hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

১. রমযানের পূর্বে সাওমের নিষেধাজ্ঞা
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لا يَتَقَدَّمَنَّ أحَدُكُم رَمَضَانَ بصَومِ يومٍ أو يومَينِ إلا أنْ يَكونَ رَجُلٌ كان يَصُومُ صَومَه فَليَصُمْ ذَلكَ اليَوم» .

“তোমাদের কেউ যেন একদিন বা দু’দিনের সাওমের মাধ্যমে রমযানকে এগিয়ে না আনে, তবে কারো যদি পূর্বের অভ্যাস থাকে, তাহলে সে ঐ দিন সাওম রাখবে”।‎ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮২।]

তিরমিযীতে হাদীসটি এভাবে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لا تَقَدَّمُوا الشَّهرَ بِيَوْمٍٍ ولا بِيَومَين إلا أن يُوَافِقَ ذَلكَ صَوْماً كَانَ يَصُوُمُهُ أَحَدُكُم ...».

“তোমরা একদিন বা দু’দিনের মাধ্যমে (রমযান) মাস এগোবে না, তবে সেদিন যদি সাওমের দিন হয়, যা তোমাদের কেউ পালন করত...”‎

শিক্ষা ও মাসায়েল:

এক. রমযানের সতর্কতার জন্য তার পূর্বে সাওমের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।ওলামায়ে কেরাম বলেছেন: হাদীসের অর্থ: তোমরা সাওমের মাধ্যমে রমযানের সতর্কতার নিয়তে রমযানকে এগিয়ে আনবে না। [ফাতহুল বারি: (৪/১২৮)।]

ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, “আহলে ইলমের আমল এ হাদীস মোতাবেক। তারা রমযান মাস আসার আগে রমযান হিসেবে সাওম পালন করা পছন্দ করতেন না। হ্যাঁ, কেউ যদি পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট দিন সাওম পালন করে, আর সেদিন রমযানের আগের দিন হয়, তবে এতে তাদের নিকট কোনো সমস্যা নেই”। [সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৬৮৪।]

দুই. রমযানের পূর্বে (রমযানের সাথে লাগিয়ে) নফল সাওম পালন করা নিষেধ।‎ [ফাতহুল বারি: (৪/১২৮)।]

তিন. এ দিন যার সাওমের দিন, সে এ থেকে ব্যতিক্রম, যেমনকাফ্‌ফারা বা মান্নতের সাওম এবং যার এ দিন নফল সাওমের অভ্যাস রয়েছে। যেমন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার।

‎চার. এ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সবচেয়ে যৌক্তিক যে হিকমত বর্ণনা করা হয়েছে তা হলো, রমযানের সাওম শর‘ঈ চাঁদ দেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং যে শর‘ঈভাবে চাঁদ দেখারএক বা দু’দিন আগে সাওম রাখল সে শরী‘আতের এ বিধানে ত্রুটির নির্দেশ করল এবং যেসব ‘নস’ বা দলীলে চাঁদ দেখার সাথে সাওম সম্পৃক্ত করা হয়েছে, তা সে প্রত্যাখ্যান করল।‎ [ফাতহুল বারি: (৪/১২৮)।]

পাঁচ. এ হাদীসে ‘রাফেযি’ সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ রয়েছে, যারা চাঁদ না দেখে সাওম পালন বৈধ বলে। [ফাহুল বারি : (৪/১২৮)।]

ছয়. এ হাদীস থেকে জানা গেল, নফল ও ফরয ইবাদতের মাঝে প্রাচীর ও বিরতি রয়েছে। যেমন, শাবানের নফল ও রমযানের ফরযের বিরতি সন্দেহের দিন সাওম পালন করা হারাম। অনুরূপ রমযানের শেষ ও শাওয়ালেরপ্রথম দিন তথা ঈদের দিন সাওম পালন করা হারাম।ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ ও একদল সলফ ফরয ও নফল সালাতের মাঝে বিরতি সৃষ্টি করা মোস্তাহাব বলেছেন। যেমন, কথাবার্তা বলা বা নড়াচড়ার করা বা সালাতের স্থানে আগ-পিছ হওয়া। [আল-ইস্তেযকার: (৩/৩৭১)।]

সাত. শরী‘আত আঁকড়ে ধরা ওয়াজিব, তাতে বৃদ্ধি বা হ্রাস করা বৈধ নয়। কারণ, তা দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি অথবা দীন থেকে বিচ্যুতির আলামত। সতর্কতামূলক রমযানের আগে রমযানের নিয়তে সাওমের নিষেধাজ্ঞা থেকে এ বিষয়টি স্পষ্টহয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন