hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

৫৫
৫২. সাওমের জন্য জান্নাতের একটি দরজা
সাহাল ইবন সা‘দ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«في الجنَّةِ ثَمَانِيَةُ أبْوَابٍ فيهَا بَابٌ يُسَمَّى الرَّيَّانُ لا يَدْخُلُهُ إِلاّ الصَّائِمُونَ»

“জান্নাতে আটটি দরজা, তাতে একটি দরজাকে “রাইয়ান” বলা হয়, তা দিয়ে সাওম পালনকারী ব্যতীত কেউপ্রবেশ করবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৮৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৫; তিরমিযী, হাদীস নং ৭৬৫; নাসাঈ: (৪/১৬৮); ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৬৪০; আহমদ: (৫/৩৩৫)।]‎

বুখারীর বর্ণিত শব্দে হাদীসটি এসেছে এভাবে:

«إِنَّ في الجَنَّةِ بَاباً يُقَالُ لهُ الرَّيَّانُ يَدخُلُ منهُ الصَّائِمونَ يَوْمَ القِيامَةِ لا يَدخُلُ منْهُ أحَدٌ غَيرُهُمْ، يقَالُ : أَيْنَ الصَّائِمونَ؟ فَيَقُومُونَ، لا يَدخُلُ منْهُ أَحَدٌ غَيرُهُم، فَإِذا دَخَلُوا أُغْلِقَ فَلَم يَدخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ» .

“নিশ্চয় জান্নাতে একটি দরজা আছে, যাকে বলা হয় রাইয়ান, কিয়ামতের দিন তা দিয়ে সাওম পালনকারী প্রবেশ করবে, তাদের ব্যতীত কেউ সেখান থেকে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: সাওম পালনকারীগণ কোথায়? ফলে তারা দাঁড়াবে, তাদের ব্যতীত কেউ তা দিয়ে প্রবেশ করবে না, যখন তারা প্রবেশ করবে বন্দ করে দেওয়া হবে, অতঃপর কেউ তা দিয়ে কেউ প্রবেশ করবে না”।‎ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭।]

তিরমিযীর বর্ণিত শব্দ:

«إِنَّ في الجنَّةِ لبَاباً يُدعَى الرَّيَّانُ، يُدعَى لهُ الصَّائِمُونَ، فَمَنْ كَانَ مِنَ الصَّائِمِينَ دَخَلَهُ، وَمَنْ دَخَلَهُ لم يَظْمَأْ أَبَداً» .

“জান্নাতে একটি দরজা আছে, যাকে রাইয়ান বলা হয়, তার জন্য সাওম পালনকারীদেরকে আহ্বান করা হবে, যে সাওম পালনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে, যে তাতে প্রবেশ করবে কখনো পিপাসার্ত হবে না”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৭৬৫। তিনি বলেছেন: হাসান-সহীহ-গরীব।]‎

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ أَنفَقَ زَوجَينِ في سَبيلِ الله نُودِيَ مِنْ أبْوابِ الجَنَّةِ : يا عَبدَالله : هَذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاةِ، ومَنْ كَانَ منْ أهْلِ الجِهادِ دُعِيَ من بَابِ الجِهادِ، ومَنْ كَانَ مِنْ أهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ من بَابِ الرَّيَّانِ، ومَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ من بَابِ الصَّدَقَةِ، فقَالَ أَبو بَكْر : بِأَبي وأُمِّي يا رَسُولَ الله، مَا عَلى مَن دُعِيَ من تلكَ الأَبوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ من تِلكَ الأَبوَابِ كلِّها؟ قَالَ : نَعَم، وأَرجُو أن تَكُونَ مِنهُم» .

“আল্লাহর রাস্তায় যে দু’টি জিনিস খরচ করল, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে: হে আব্দুল্লাহ, এটা কল্যাণ। যে সালাত আদায়কারী তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকেজিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সাওম পালনকারী তাকে রাইয়ান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে দানশীলতাকে সদকার দরজা থেকে ডাকা হবে। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ বললেন : হে আল্লাহর রাসূল, আমার মাথা-পিতা আপনার উপর উৎসর্গ। যাকে এক দরজা থেকে ডাকা হবে না, তার বিষয়টি পরিষ্কার, কিন্তু কাউকে কি সকল দরজা থেকে ডাকা হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি আশা করছি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত”।‎ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৭।]

বুখারি ও মুসলিমের অন্য শব্দে এসেছে:‎

«دعَاه خَزَنَةُ الجَنَّةِ، كُلُّ خَزَنَةِ بَابٍ : أَيْ فُلْ، هَلُمَّ» .

“জান্নাতের প্রহরী তাকে ডাকবে, প্রত্যেক দরজার প্রহরী বলবে: হে অমুক, আস”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৭।]

ইমাম আহমাদের বর্ণিত শব্দ:

«لِكلِّ أَهْلِ عَمَلٍ بَابٌ مِنْ أَبْوَابِ الجَنَّةِ يُدْعَونَ بذَلكَ العَمَل، ولأَهْلِ الصَّيامِ بَابٌ يُدْعَوْنَ مِنهُ، يُقَالُ لَهُ : الرَّيَّان، فقَالَ أَبو بَكر : يا رَسُولَ الله، هَلْ أَحَدٌ يُدْعَى مِنْ تِلْكَ الأَبْوابِ كُلِّها؟ قَالَ : نَعَم، وأَرجُو أنْ تَكُونَ مِنهُم يا أَبا بَكْر» .

“প্রত্যেক আমলের লোকের জন্য জান্নাতে একটি করে দরজা আছে, তাদেরকে সে আমল দ্বারা ডাকা হবে। সাওম পালনকারীদের একটি দরজা রয়েছে, তাদেরকে সেখান থেকে ডাকা হবে, যাকে বলা হয় রাইয়ান। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ‎ ‎ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, কেউ কি সব দরজা থেকে ডাকা হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি আশা করছি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হে আবু বকর”। [মুসনাদে আহমদ: (২/৪৪৯)।]‎

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু‎র উদ্দেশ্য, যাকে জান্নাতের এক দরজা দিয়ে ডাকা হলো, তার জন্য এটাই যথেষ্ট, প্রত্যেক দরজা থেকে ডাকার প্রয়োজন নেই। কারণ, মূল উদ্দেশ্য জান্নাতে প্রবেশ করা, যা এক দরজা দিয়ে সম্পন্ন হয়। তারপরও কাউকে কি সব দরজা থেকে ডাকা হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হ্যাঁ বলে উত্তর দিলেন।

শিক্ষা ও মাসায়েল:

এক. সাওমের ফযীলত যে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা থেকে একটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

দুই. “বাবে রাইয়ান” জান্নাতের একটি দরজার নাম। “রাইয়ান” الرَّيَّانِ শব্দটি ‎الرِّيِّ ধাতু থেকে নেওয়া, যা পিপাসার বিপরীত, সাওম পালনকারী যেহেতু নিজেকে পানি থেকে বিরত রাখে, যামানুষের খুব প্রয়োজন, সেহেতু তার যথাযথ প্রতিদান হিসেবে আখিরাতে তাকে পান করানো হবে, যারপর কখনো সে তৃষ্ণার্ত হবে না।

তিন. হাদীসে উল্লিখিত ইবাদত: সালাত, জিহাদ, সিয়াম ও সদকা জান্নাতের এক একটি দরজা। প্রত্যেক দরজা তার আমলকারীর জন্য খাস থাকবে, এখানে উদ্দেশ্য যার যে আমল বেশি তার জন্য সে দরজা বরাদ্ধ।

চার. জান্নাতের দরজায় ফিরিশতাদের থেকে প্রহরী নিযুক্ত রয়েছে, তারা প্রত্যেক আমলকারীকে তার আমল অনুসারে তার জন্য নির্দিষ্ট দরজা থেকে ডাকবে, এ থেকে প্রমাণ হয় যে, ফিরিশতারা নেককার আদম সন্তানদের মহব্বত করে ও তাদের কারণে খুশি হয়।‎ [ফাতহুল বারি: (৭/২৯)।]

পাঁচ. আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ফযীলত যে, তাকে প্রত্যেক দরজা থেকে ডাকা হবে, কারণ, সে প্রত্যেক আমল করত। আবু বকরের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আশা অবশ্যই সত্যে পরিণত হবে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে এসেছে, আবু বকরকে প্রত্যেক দরজা থেকে ডাকা হবে, বরং জান্নাতের প্রত্যেক গলি ও ঘর থেকে ডাকা হবে। [সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৬৮৬৭। ইবন আব্বাসের হাদীসে দুর্বলতা রয়েছে, কিন্তু হায়সামি তাকে শক্তিশালী বলেছেন, মাজমাউয যাওয়ায়েদ: (৯/৪৬)।]‎

ছয়. হাদীস থেকে বুঝে আসে, যাদেরকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে, তাদের সংখ্যা খুব কম। [ফাতহুল বারি: (৭/২৮)।]

সাত. হাদীস থেকে আরো বুঝে আসে যে, এখানে উদ্দেশ্য নফল আমল, ওয়াজিব নয়, কারণ, ওয়াজিব আদায়কারীর সংখ্যা প্রচুর হবে, তবে তাদের সংখ্যা খুব কম হবে, যাদের আমলনামায় অধিকহারে সর্বপ্রকার আমল থাকবে এবং যাদেরকে জান্নাতের সবদরজা থেকে ডাকা হবে। [ফাতহুল বারি: ৭/২৮-২৯)।]

আট. সামনে মানুষের প্রশংসা করা বৈধ, যদি তার উপর গর্ব ইত্যাদির আশঙ্কা না থাকে। [শারহুন নববী আলা মুসলিম (৭/১১৭)।]

নয়. যে সব আমল করে ও নিয়মিত করে, তাকে জান্নাতের সব দরজা থেকে ডাকা হবে, এটা তারপ্রতি সম্মান ও ইজ্জত প্রদর্শন স্বরূপ, তবে সে প্রবেশ করবে এক দরজা দিয়ে।

‎দশ. সাধারণত প্রত্যেক প্রকার নেক আমলের তাওফীক একজন মানুষের হয় না, যার এক আমলের তাওফিক হয়, তার থেকে অপর আমল থেকে ছুটে যায়, এটাই স্বাভাবিক। খুব কম লোকের তাওফীক হয় প্রত্যেক প্রকার আমল করা, আর সে কমের অন্তর্ভুক্ত আবু বকর। [আত-তামহিদ: (৭/১৮৪-১৮৫)।]

এগার. যার যে আমল বেশি, সে আমল দ্বারা সে প্রসিদ্ধি লাভ করে ও সে আমলের সাথে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়, দেখুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “যে সালাত আদায়কারীদের দলভুক্ত হবে”। তার উদ্দেশ্য যার যে আমল বেশি, তাকে সে আমল দ্বারা ডাকা হবে। কারণ, সব মুসলিম সালাত আদায় করে। [আত-তামহিদ: (৭/১৮৫)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন