hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

৩২
২৯. মুসাফির কখন সিয়াম ভাঙ্গবে?!
জা‘ফর ইবন জাবর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি আবু বসরা গিফারি সাহাবীর সাথে রমযানে মিসরের ফুসতাত থেকে জাহাজে চড়েছিলাম, তাদেরকে যখন জাহাজে উঠানো হলো, দুপুরের খানা পেশ করা হলো। জা‘ফর তার হাদীসে বলেন, এখনো বাড়ি-ঘরগুলো ছাড়িয়ে যায়নি, তিনি দস্তরখান হাযির করতে বললেন। তিনি বললেন: নিকটে আস। আমি বললাম আপনি কি ঘরগুলো দেখছেন না। আবু বসরাহ বললেন: তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত থেকে বিরত থাকতে চাও? জা‘ফর তার হাদীসে বলেন, অতঃপর তিনি খানা গ্রহণ করেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪১২; আহমদ: (৬/৩৯৮); দারামি, হাদীস নং ১৭১৩; তাবরানি ফিল কাবির: (২/২৭৯-২৮০), হাদীস নং ২১৬৯-২১৭০। শাওকানি বলেন: এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য, নাইলুল আওতার: (৪/৩১১); দেখুন: তুহফাতুল আহওয়াযি: (৩/৪৩০); আলবানি ইরওয়া: (৪/১৬৩) গ্রন্থে হাদীসটি সহীহ বলেছেন, হাদীস নং ৯২৮।]

মুহাম্মাদ ইবন কাব রহ. বলেন, “আমি রমযানে আনাস ইবন মালিকের নিকট আসি, তখন তিনি সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তার জন্য সওয়ারি প্রস্তুত করা হয়েছে, তিনি সফরের পোশাক পরিধান করেন, অতঃপর খানা আনতে বলেন, তিনি খানা ভক্ষণ করেন, আমি তাকে বললাম: এটা কি সুন্নাত? তিনি বললেন: সুন্নাত, অতঃপর সওয়ারীর উপর উঠে বসলেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৭৯৯-৮০০), তিনি হাদীসটি হাসান বলেছেন। দিয়া’ ফিল মুখতারাহ: (২৬০২; দারাকুতনি: (২/১৮৭; বায়হাকি: (৪/২৪৭), আলবানি ইরওয়া: (৪/৬৪) ও সহীহ তিরমিযীতে হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

এক. সফরে ইফতার করা নবীর সুন্নাত। তার থেকে বর্ণিত: তিনি সফরে সাওম পালন করেছেন, যেমন তিনি ইফতার করেছেন। অনুরূপ সাহাবীদের থেকে বর্ণিত: তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কতক সফরে সাওম পালন করেছেন, কতক সফরে ইফতার করেছেন।

দুই. এসব হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, যদি কেউ সফর আরম্ভ করে, তার জন্য ইফতার করা বৈধ, সে নিজের শহর বা গ্রাম অতিক্রম করুক বা না-করুক। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “সাহাবায়ে কেরাম যখন সফর করতেন, তখন তারা বাড়ি ত্যাগ করার ভ্রুক্ষেপ না করে ইফতার করতেন, বলতেন এটা সুন্নাত ও নবীর আদর্শ”। [যাদুল মায়াদ: (২/৫৬), এ মাসআলাটি দ্বিমতপূর্ণ, ইমাম আহমদ থেকে বর্ণিত, ঘর থেকে বের হয়ে ইফতার করবে। ইসহাক বলেছেন: বরং যখন সে সফরে পা রাখবে তখন থেকে, যেমন আনাস করেছেন। দেখুন: মুগনি: (৪/৩৪৫-৩৪৮), ফাতহুল বারি: (৪/১৮০-১৮২)]

তিন. এসব হাদীস প্রমাণ করে, যে ব্যক্তি দিনের মধ্যবর্তী সময়ে সাওম অবস্থায় সফর করে, তার জন্য ইফতার করা বৈধ, যদিও কেউ কেউ এর বিরোধিতা করে থাকে। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেছেন: “এসব হাদীস থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, রমযানের দিনে যে সফর করবে, তার জন্য সেদিন ইফতার করা বৈধ”। [যাদুল মায়াদ: (২/৫২); তাহযিবুস সুনান: (৭/৩৯)। এটাই শা’বি, আহমদ, ইসহাক, আবু দাউদ ও ইবন মুনযিরের ব্যক্তব্য। তবে তিন ইমাম ও ইমাম আওযায়ি এর বিপরীত মত প্রকাশ করেন, তাদের নিকট যে ব্যক্তি সাওম অবস্থায় সফর আরম্ভ করে, সে ঐ দিন ইফতার করবে না। দেখুন: মুখতাসারুস সুনান লিল মুনযিরি: (৩/২৯১)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন