মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
«أنَّ حَمزَةَ بنَ عَمْروٍ الأَسلَميِّ قَالَ للنَّبيِّ صلى الله عليه وسلم : أَأَصُومُ في السَّفَرِ؟ وَكَانَ كَثيرَ الصِّيامِ، فقَالَ : إنْ شِئْتَ فَصُمْ وإنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ» .
“হামজাহ ইবন আমর আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, আমি কি সফরে সাওম রাখব? তার রোযার খুব অভ্যাস ছিল। তিনি বললেন: যদি চাও রাখ, অন্যথায় ইফতার কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮১৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১২১।]
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«سَافَرَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم في رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُم دَعَا بإِناءٍ مِنْ مَاءٍ فَشَرِبَ نَهَاراً لِيرَاهُ النَّاسُ، فَأَفْطَرَ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ، وَكَانَ ابنُ عَباسٍ يَقُولُ : صَامَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم في السَّفَرِ وَأَفْطَر، فَمَنْ شَاءَ صَامَ ومَنْ شَاءَ أَفْطَر» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে সফর করে সাওম অবস্থায় উসফান নামক স্থানে পৌঁছেন। অতঃপর পানির পাত্র ডেকে পাঠালেন ও দিনে পান করলেন, যেন লোকেরা তাকে দেখে। তিনি ইফতার করে মক্কায় আগমন করেন। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে সাওম রেখেছেন ও ইফতার করেছেন। অতএব, যার ইচ্ছা সাওম রাখ, যার ইচ্ছা ইফতার কর। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪০২৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১১৩।]
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كُنَّا نُسَافِرُ مَعَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَم يَعِبِ الصَّائِمُ على المُفْطِرِ ولا المُفْطِرُ عَلى الصَّائِمِ»
“আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফর করতাম, সাওম পালনকারী সাওম ভঙ্গকারীকে বা সাওম ভঙ্গকারী সাওম পালনকারীকে কোনো তিরস্কার করে নি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১১৮।]
আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন:
«كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم في رَمَضَانَ فَمنَّا الصَّائِمُ ومنَّا المُفطِرُ، فلا يَجِدُ الصَّائمُ على المُفطِرِ، ولا المُفطِرُ على الصَّائِمِ، يَرونَ أنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فصَامَ فَإِنَّ ذَلكَ حَسَنٌ، ويرَونَ أنَّ من وَجَدَ ضَعْفَاً فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلكَ حَسَن» .
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রমযানে যুদ্ধ করতাম, আমাদের থেকে কেউ হত সাওম পালনকারী, কেউ হত রোযাভঙ্গকারী। সাওম পালনকারী সাওম ভঙ্গকারীকে ও সাওম ভঙ্গকারী সাওম পালনকারীকে তিরস্কার করত না। তারা মনে করত, যার শক্তি আছে সে সাওম রাখবে, এটা তার জন্য ভালো, আর যে দুর্বল সে সাওম ভাঙ্গবে, এটা তার জন্য ভালো”। [মুসলিম, হাদীস নং ১১১৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৭১৩; আহমদ: (৩/১২)।]
তার থেকে আরো বর্ণিত, তিনি বলেন,
«سافَرْنا مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم إلى مكَّةَ ونَحْنُ صِيامٌ، فنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم : إنَّكُم قدْ دَنَوتُم من عَدُوِّكُم والفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ، فكانَتْ رُخصَةً، فمِنَّا مَنْ صَامَ، ومنَّا مَنْ أَفطَر، ثُم نَزَلْنَا مَنْزِلاً آخَرَ فقَالَ : إِنَّكُم مُصَبِّحُو عدُوِّكُم والفِطرُ أَقْوَى لكم فأفْطِرُوا، وكَانَت عَزْمَةً فَأَفْطَرنَا، ثم قَالَ : لقَد رَأَيْتُنَا نَصُومُ مَعَ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلكَ في السَّفَرِ» .
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাওম অবস্থায় মক্কার দিকে সফর করেছি, আমরা একস্থানে অবতরণ করলাম, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা তোমাদের শত্রুদের নিকটবর্তী হয়েছ, পানাহার তোমাদের শক্তির জন্য সহায়ক। এটা ছিল রুখসত। আমাদের কেউ সাওম রাখল, কেউ ভেঙ্গে ফেলল। অতঃপর আমরা অপর স্থানে অবতরণ করলাম, তিনি বললেন: সকালে তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হবে, ইফতার তোমাদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। এটা চূড়ান্ত নির্দেশ ছিল, আমরা সকলে ইফতার করলাম। অতঃপর তিনি বলেন, তারপর আমরা নিজেদের দেখেছি, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে সাওম রাখতাম”। [মুসলিম, হাদীস নং ১১২০; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪০৬; আহমদ: (৩/৩৫)।]
শিক্ষা ও মাসায়েল [দেখুন : শারহু ইবনল মুলাক্কিন আলাল উমদাহ: (৫/২৬৮-২৭২); তাহযিবুস সুনান: (৩/২৮৪)।]:
এক. ইসলামের উদারতা, ইসলামি শরী‘আতের ছাড় ও তার অনুসারীদের ওপর সজাগ দৃষ্টির প্রমাণ রয়েছে এ হাদীসে।
দুই. মুসাফির সাওম রাখা ও ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে ইচ্ছাধীন, যা সহজ তার পক্ষে তাই সুন্নাত। এসব হাদীস শিথিলতা গ্রহণ করার দীক্ষা দেয়।
তিন. যার পক্ষে সাওম কষ্টকর, তার জন্য সাওম না রাখা উত্তম। আর যার পক্ষে কাযা কষ্টকর, সফরে সাওম কষ্টকর নয়, তার পক্ষে সফরে সাওম রাখা উত্তম।
চার. লাগাতার যে সফর করে অথবা অধিকাংশ সময় সফরে থাকে, চাকুরী বা পেশাদারী কাজের জন্য, তার পক্ষে সফরে সাওম রাখা উত্তম, যদি কষ্ট না হয়। আর যদি কাযার সময় না মিলে, যেমন যাদের সারা বছর অতিবাহিত হয় সফরে, তাদের পক্ষে সফরে সাওম রাখা ওয়াজিব।
পাঁচ. যতদ্রুত সম্ভব শরী‘আতের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া জরুরি।
ছয়. সফরে সাওম রাখা ও ইফতার করা উভয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, যখন যার দাবি ছিল, তিনি তখন তিনি তাই করেছেন। মুসলিমদের উচিৎ এ ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করা।
সাত. হামজাহ আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস প্রমাণ করে যে, প্রয়োজনীয় প্রত্যেক বিষয় জানা উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম এরূপ করতেন।
আট. ইমাম যখন রুখসতের নির্দেশ দেন, তখন তা আযিমত হয়ে যায়, তার বিরোধিতা করা বৈধ নয়। কারণ, তার আনুগত্য করা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করা আল্লাহর অবাধ্যতায় তার আনুগত্য করা নয়।
নয়. ইমামের কর্তব্য অধীনদের সাথে নরম আচরণ করা, তাদের দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি রাখা, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবাইকে ইফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেন শত্রুর মোকাবেলায় তারা শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম হয়। অথচ তাদের মধ্যে এমন লোক ছিল, সাওম যাদের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করত না, কারণ, তাদের তা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু এমনও লোক ছিল, সাওম যাদের দুর্বল করে দিত, তাই দুর্বলদের প্রতি লক্ষ্য রেখে সবাইকে ইফতারের নির্দেশ দেন।
দশ. দু’টি বিধানের একটি গ্রহণ করার স্বাধীনতা মূলত মুসলিমের উপর শরী‘আতের উদারতা, যে কোনো একটি গ্রহণে সে তিরস্কারের উপযুক্ত হবে না। তদানুরূপ ইখতিলাফি মাসাআলা, যেখানে কারো পক্ষে দলীল স্পষ্ট নেই, সেখানেও যে কোনো একটি গ্রহণের প্রশস্ততা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।
এগার. রুখসত গ্রহণ বা দলীল বুঝার ক্ষেত্রে মুসলিমদের ইখতিলাফ যেন বিচ্ছেদ ও শত্রুতার কারণ না হয়।
বারো. এসব হাদীস প্রমাণ করে যে, সাহাবীদের মাঝে মহব্বত, ভ্রাতৃত্ব ও দীনের গভীর জ্ঞান ছিল। যেমন সাওম পালনকারী ও রোযাভঙ্গকারী কেউ কাউকে দোষারোপ করে নি, যেহেতু সকলে শরী‘আতের নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করেছে।
তের. রমযান মাসে সফর করা বৈধ, কারণ, ফাতহে মক্কার বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে সফর করেছেন। [আত-তামহিদ: (২২/৪৮)।]
চৌদ্দ. আগামীকাল সফরের যে নিয়ত করে, সে রাত থেকে ইফতারের নিয়ত করবে না। কারণ, নিয়ত দ্বারা মুসাফির হয় না, যতক্ষণ না সে সফর আরম্ভ করে। [আত-তামহিদ: (২২/৪৯)।]
পনের. সফরের নিয়তকারী ব্যক্তির মুকিম অবস্থায় ইফতার করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে সফর আরম্ভ করে, বা যানবাহনে চড়ে। [আত-তামহিদ: (২২/৪৯)।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/29
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।