hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

২৩
২০. সাহরির সময় (২)
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ بِلالاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابنُ أُمِّ مَكْتُومٍ ثُمَّ قَالَ : وَكَانَ رَجُلاً أَعْمَى لا يُنَادي حَتَّى يقَالَ لَهُ : أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ» .

“নিশ্চয় বেলাল আযান দেয় রাতে। অতএব, ‎‎ তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না আব্দুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম আযান দেয়। অতঃপর তিনি বলেন, সে ছিল অন্ধ, যতক্ষণ না তাকে বলা হত ভোর করেছ, ভোর করেছ সে আযান দিত না”।

সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় রয়েছে:

«كَانَ لِرَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنانِ : بِلالٌ وابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم : إِنَّ بِلالاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا واشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُوم قَالَ : وَلم يَكُنْ بَيْنَهُما إِلاّ أَنْ يَنْزِلَ هَذا ويَرْقَى هَذَا» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’জন মুয়াজ্জিন ছিল: বেলাল ও অন্ধ আব্দুল্লাহ ইবনউম্মে মাকতুম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বেলাল রাতে আযান দেয়সুতরাং তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না ইবন উম্মে মাকতুম আযান দেয়। তিনি বলেন, তাদের দু’জনের সময়ের ব্যবধান ছিল একজন (আযানের স্থান ‎‎ থেকে) নামতেন অপরজন উঠতেন”।‎ [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৯২।] ‎ ‎

সামুরা ইবন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদকরেন:

«لا يَغُرَّنكُمْ مِنْ سُحُورِكُم أَذانُ بِلالٍ ولا بَياضُ الأُفِقِ المسْتَطِيلِ هَكَذا، حَتَّى يَسْتَطيرَ هَكَذا» وَحَكَاهُ حَمادُ بنُ زَيْدٍ بِيَدَيْهِ، قَالَ : يَعْنِي مُعْتَرِضاً» .

“বেলালের আযান বা দিগন্তের লম্বা সাদা রেখা যেন তোমাদেরকে সাহরি থেকেবিরত না রাখে, যতক্ষণ না তা এভাবে প্রলম্বিত হয়”। হাম্মাদ ইবন যায়েদ দু’হাতে ইশারা করে তার ব্যাখ্যা দেন। তিনি ইঙ্গিত করলেন: অর্থাৎ প্রস্থের দিক থেকে প্রসারিত হওয়া। (মুসলিম)

নাসাঈর এক বর্ণনায় আছে:

«لا يَغُرَّنكُمْ أَذانُ بِلالٍ، ولا هَذَا البَيَاضُ حَتَّى يَنْفَجِرَ الفَجْرُ هَكذَا وَهَكَذا» يَعْني : مُعْتَرضاً . قَالَ أَبو دَاوُدَ الطَيالِسيُ : وَبَسَطَ بِيدَيْهِ يَمِيناً وشِمالاً مَادَّاً يَدَيْهِ» .

“বেলালের আযান এবং এ শ্রুভ্রতা যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে, যতক্ষণ না ফজর এভাবে এভাবে ছড়িয়ে পড়ে”। অর্থাৎ প্রস্থেরদিকে। আবু দাউদ তায়ালিসি বলেন, তিনি তার দু’হাত ডানে-বামে লম্বাকরে প্রসারিত করলেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৯৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৪৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৭০৬; নাসাঈ: (৪/১৪৮)।]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمْ النِّدَاءَ والإِنَاءُ عَلى يَدِهِ فَلا يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنهُ»

“যখন তোমাদের কেউ আযান শ্রবণ করে, আর হাতে থাকে খানার প্লেট, সে তা রাখবে না যতক্ষণ না সেখান থেকে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫০; আহমদ: (২/৫১০); দারা কুতনি: (২/১৬৫); বায়হাকি: (৪/২১৮); হাকেম: (১/৫৮৮), তিনি মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন, ইমাম যাহাবি তার সমর্থন করেছেন।]

ইমাম আহমদের এক বর্ণনায় অতিরিক্ত বলেছেন:

«وَكَانَ المؤَذِّنُ يُؤَذِّنُ إِذا بَزَغَ الفَجْرُ» .

“মুয়াজ্জিন আযান দিত যখন সুবহে সাদিকের আলো বিচ্ছুরিত হত”। [আহমদ: (২/৫১০); তাবারি ফি তাফসিরিহি: (২/১৭৫; বায়হাকি: (৪/২১৮)।]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎ [আল-মুফহিম: (৩/১৫০); শারহুন নববী: (৭/২০৪); ফাতহুল বারি: (২/৯৯০-১০০); দিবায: (৩/১৯৪)।]

এক. ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রীগমন বৈধ।

দুই. অন্ধ ব্যক্তির আযান দেওয়া বৈধ, যদি সে সময় সম্পর্কে জানে বা তাকে জানানোর কেউ থাকে।

তিন. ফজরের জন্য দু’বার আযান দেওয়া বৈধ: প্রথমবার ফজরের পূর্বে, দ্বিতীয়বার: ফজর উদয় হওয়ার পর।

চার. সাওমের নিয়তের পর সাহরি খাওয়া বৈধ, পানাহারের কারণে পূর্বের নিয়ত নষ্ট হবে না। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার বৈধ করেছেন, অথচ ফজর উদয়ের পর নিয়ত বৈধ নয়, এ থেকে প্রমাণিত হয় নিয়তের স্থান খানার পূর্বে, তারপর পানাহারে সাওম নষ্ট হবে না। অতএব, কেউ মাঝ রাতে আগামীকালের সাওমের নিয়ত করে, শেষ রাত পর্যন্ত পানাহার করলে তার নিয়ত শুদ্ধ।

পাঁচ. ফজর উদয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে পানাহার করা বৈধ, কারণ, রাত অবশিষ্ট আছে এটাই স্বাভাবিক। দলীল নিম্নের আয়াত:

﴿وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ١٨٧﴾ [ البقرة : 187]

“তোমরা পানাহার করতে থাক যতক্ষণ নাফজরের সাদা রেখা থেকে কালো রেখা সুস্পষ্ট আলাদা না হয়ে যায়”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৭] সন্দেহকারীর নিকট ফজরের সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়নি, তাই সে সাহরি খেতে পারবে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা‎ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত:

«كُلْ مَا شَكَكَتَ حتى يَتَبَينَ لكَ»

“তোমার সন্দেহ পর্যন্ত তুমি খাও, যতক্ষণ তোমার নিকট স্পষ্ট হয়”। [ইমাম নববী বলেছেন: “যদি ফজর উদয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তার জন্য পানাহার ও স্ত্রীগমন বৈধ, এতে কারো দ্বিমত নেই, যতক্ষণ না ফজর স্পষ্ট হয়”। মাজমু: (৬/৩১৩); দেখুন: যাখিরাতুল উকবা: (২০/৩৫৫)।]

এ বিধান তখন, যখন সে স্বচক্ষে ফজর দেখে নিশ্চিত হয়, কিন্তু সে যদি আযান অথবা ঘড়ির ওপর নির্ভর করে, তাহলে সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ, তখন জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।

ছয়. সাহরি খাওয়া ও তাতে বিলম্ব করা মোস্তাহাব।

সাত. “দুই মুয়াজ্জিনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: একজন নামতেন, অপরজন উঠতেন”। ইমাম নববী রহ. বলেন, “এর অর্থ: বেলাল ফজরের পূর্বে আযান দিতেন, আযানের পর দো‘আ ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করতেন। অতঃপর ফজর পর্যবেক্ষণ করতেন, যখন ফজর ঘনিয়ে আসত, তিনি অবতরণ করে উম্মে মাকতুমকে খবর দিতেন। ইবনউম্মে মাকতুম ওযু, ইস্তেঞ্জা সেরে প্রস্তুতি নিতেন, অতঃপর উপরে উঠে ফজর উদিত হওয়ার সাথে সাথে আযান আরম্ভ করতেন”। [কুরতুবি এ ব্যাখ্যা উল্লেখ করে বলেন, এটাই যুক্তিযুক্ত। আল-মুফহিম: (৩/১৫১); দেখুন: শারহুন নববী: (৭/২০৪); দিবায: (৩/১৯৪)।] ‎ ‎ ‎

আট. এ থেকে প্রমাণিত হয়, ফজরের পর রাত থাকে না, বরং তা দিনের অংশ। [আল-মুফহিম: (৩/১৫১); দিবায: (৩/১৯৪); দেখুন: ফাতহুল বারি: (২/১০১)।]

নয়. ব্যক্তির জন্য মায়ের পরিচয় গ্রহণ করা বৈধ, যদি লোকেরা তার মায়ের পরিচয়ে তাকে চিনে, বা তার প্রয়োজন হয়। [ফাতহুল বারি: (২/১০১)।]

দশ. প্রথম ফজর ও দ্বিতীয় ফজরে পার্থক্য তিনটি:

প্রথম পার্থক্য: দিগন্তের উত্তর থেকে দক্ষিণে লম্বালম্বি সাদা রেখা দ্বিতীয় ফজরের আলামত। আর উর্ধ্ব আকাশে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সাদা লম্বা রেখা প্রথম ফজরের আলামত।

দ্বিতীয় পার্থক্য: দ্বিতীয় ফজরের পর অন্ধকার থাকে না, বরং সূর্যোদয় পর্যন্ত ফর্সা ক্রমান্বয়ে পায়। আর দ্বিতীয় ফজরে আলোর পর অন্ধকার মেনে আসে।

তৃতীয় পার্থক্য: দ্বিতীয় ফজরের সাদা রেখা দিগন্তের সাথে মিলিত থাকে। প্রথম ফজরে সাদা রেখা ও উর্ধ্ব আকাশের মাঝে অন্ধকার বিরাজ করে। [ফিকহুল ইবাদাত লি শাইখ উসাইমিন: (১৭২-১৭৩)।]

এগার. মুয়াজ্জিন যখন ফজরের আযান দেয়, তখন যদি সাওম পালনকারীর হাতে খাবার প্লেট থাকে, সে পানাহার পূর্ণ করবে, বন্ধ করবে না, হাদীসের বাহ্যিক অর্থ তাই বলে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়। তাঁর জন্য সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। [“মুখতাসারে মুনযিরির” উপর শাইখ আহমদ শাকেরের টিকা: (৩/২৩৩); তামামুল মিন্নাহ লিল আলবানি: (৪১৭-৪১৮)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন