hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

৩৬
৩৩. সাওম পালনকারীর বমির হুকুম
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«مَنْ ذَرَعَهُ قَيءٌ وهُو صَائمٌ فَليسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَإِن اسْتَقَاءَ فلْيَقض»

“সাওম অবস্থায় যার বমি হলো, তার ওপর কাযা জরুরি নয়। হ্যাঁ, যদি সে স্বেচ্ছায়বমি করে, তাহলে সে যেন কাযা করে”। [‎আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৮০; আহমদ: (২/৪৯৮); সহীহ ইবন খুজাইমা, হাদীস নং ১৯৬০; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৫১৮; সহীহহাকেম: (১/৮৫৫-৫৮৯)‎।]‎

মি‘দান ইবন তালহা রহ. থেকে বর্ণিত: “আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করার পর সাওম ভঙ্গকরেছেন। পরবর্তীতে দিমাশকের এক মসজিদে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাস সাওবানের সঙ্গে সাক্ষাত করি, আমি বললাম: আবুদ দারদা আমাকে বলেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করার পর সাওম ভঙ্গ করেছেন। তিনিবললেন: হ্যাঁ, তিনি ঠিক বলেছেন। আমি তার পানি ঢেলেছি”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৮১; আহমদ: (৬/১৯); নাসাঈ ফিল কুবরা, হাদীস নং ৩২১০-৩১২৯; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১০৯৭;হাকেম: (১/৫৮৮-৫৮৯)।‎]‎

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

এক. বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া যে, তার অনিচ্ছায় যেসব কাজ সংঘটিত হয়, সে জন্য তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করবেন না। হ্যাঁ, বান্দার ইচ্ছাধীন কাজের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যেমন,বমি করা। অর্থাৎ আঙ্গুল ঢুকিয়ে বা গলায় কিছু প্রবেশ করিয়ে অথবা দুর্গন্ধ শুকে অথবা বিরক্তিকর ‎‎ কোনো জিনিস দেখে বা কোনো কারণে বমি করল। যদি সে ইচ্ছাকৃত এমন করে, তবে তার সিয়াম নষ্টহয়ে যাবে, অনিচ্ছাকৃত হলে সিয়াম নষ্ট হবে না।‎

দুই. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যে বর্ণিত আছে, তিনি বমি করেছেন, অতঃপর সাওম ভঙ্গ করেছেন, এর অর্থ তিনি বমির কারণে দুর্বল হয়েছিলেন বিধায় সিয়াম ভঙ্গ করেছেন। বমির কারণে তিনি সাওম ভঙ্গ করেন নি। ত্বাহাবির এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«ولَكني قِئْتُ فَضَعُفْتُ عن الصَّومِ فأَفطرتُ» .

“কিন্তু আমি বমি করেছি,ফলে সাওম পালন থেকে দুর্বল হয়ে গেছি, তাই আমি সিয়াম ভঙ্গ করেছি”।‎ [তাহাবি: শরহুমাআনিল আসার: (২/৯৭); উমদাতুলকারি: (১১/৩৬)‎।]

তিন. এসব হাদীস প্রমাণ করে, স্বেচ্ছায় যে বমি করবে, তার সাওম ভেঙ্গে যাবে, হোক সে বমি তিক্ত পানি,খানা, কফ কিংবা রক্ত, কারণ, এসব হাদীসের অর্থ ও ব্যাপকতার অন্তর্ভুক্ত। [আল-মুগনি লি ইবন কুদামাহ: (৩/২৪)।]

চার. রমযানের দিনে সাওম পালনকারীর বমি করা বৈধ নয়, কারণ, বমির কারণে তার সাওম ভেঙ্গে যাবে। হ্যাঁ, কেউ যদি অসুস্থ হয়, তাহলে রোগের কারণে অপারগ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۚ ١٨٤﴾ [ البقرة : 184]

“তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবাসফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যাপূরণ করে নেবে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৪]অর্থাৎ সে রমযানে পানাহার করেপরে কাযা করবে।‎ [আস-সালাত লি ইবন কাইয়্যিম: (১৩৪)।‎]

পাঁচ. ইচ্ছাকৃতভাবে যে বমি করবে, তার সাওম ভঙ্গের বিধান ইসলামি শরী‘আতের ইনসাফকে প্রমাণ করে। আরো প্রমাণ করে যে, আল্লাহর প্রত্যেক বিধান বান্দার ওপর ইনসাফ ও রহমত। শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ রহ. বলেছেন: “সাওম পালনকারীকে সেসব বস্তু থেকে বারণ করা হয়েছে, যা তার শক্তি বৃদ্ধি করে ও খাদ্যের যোগান দেয়, যেমন খাদ্য ও পানীয়। অতএব, যা তাকে দুর্বল করে ও যার ফলে তার খাদ্য বের হয়, তা থেকে তাকে বারণ করা হয়েছে। যদি তাকে এর অনুমিত দেওয়া হয়, সে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে ও ইবাদতে সীমালঙ্গনকারী গণ্য হবে। [মাজমুউল ফাতাওয়া : (২৫/২৫০-২৫১)‎।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন