মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“তোমরা সাওম রাখবে না যতক্ষণ না হেলাল (নতুন চাঁদ) দেখ, আর সাওম ছাড়বে না যতক্ষণ না তাকে দেখ, আর যদি তোমাদের থেকে তা অদৃশ্য হয়, তাহলে মাস পূর্ণ কর”।
“যখন তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখ সাওম পালন কর, আর যখন তোমরা তা দেখ সাওম ভঙ্গ কর, যদি তা তোমাদের থেকে আড়াল হয়, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৭; দ্বিতীয় হাদীস- সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮০।]
জমহুর ওলামায়ে কেরাম বলেন, যদি ঊনত্রিশ তারিখ চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে। [শারহুন নববী আলা মুসলিম, হাদীস নং ৭/১৮৬)।] যেমন অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে:
“যদি চাঁদ তোমাদের থেকে আড়াল করা হয়, তাহলে তার ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। অপর বর্ণনায় এসেছে: “ত্রিশ দিন গণনা কর”। অপর বর্ণনায় এসেছে: “সংখ্যা পূর্ণ কর”। এসব বর্ণনা সহীহ মুসলিমে রয়েছে। [দেখুন: সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮০-১০৮১।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
অপর বর্ণনায় আছে: “যদি তা তোমাদের থেকে লুকিয়ে থাকে, তাহলে শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮১। প্রথম দু’টি হাদীস মুসলিম থেকে ও তৃতীয় হাদীস বুখারী থেকে।]
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«تَرَاءَى النَّاسُ الهلالَ فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم أَني رَأَيْتُهُ فَصَامَهُ وأَمَرَ النَّاسَ بِصيَامِهِ» .
“লোকেরা চাঁদ দেখছিল, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দিলাম, আমি চাঁদ দেখেছি, অতঃপর তিনি সাওম পালন করেন ও লোকদের সাওম পালনের নির্দেশ দেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৪৩; দারামি, হাদীস নং ১৬৯১; দারাকুতনি: (২/১৫৬; বায়হাকি: (৪/২১২); তাবরানি ফিল আওসাত, হাদীস নং ৩৮৭৭; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৪৪৭; হাকেম: (১/৫৮৫)। হাদীসটি সহীহ বলেছেন। হাকেম বলেছেন মুসলিমের শর্ত মোতাবেক। আল-মাজমু গ্রন্থে ইমাম নববী হাদীসটি সহীহ বলেছেন: (৬/২৭৬)।]
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. রমযানের সাওম শর‘ঈ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। যদি মেঘ, ধুলো, ধুঁয়া ইত্যাদি চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়, তাহলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করা ওয়াজিব।
দুই. যদি মেঘ বা ধুলো ইত্যাদির কারণে চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে সতর্কতাস্বরূপ শাবানের শেষ দিন সাওম রাখবে না। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন: “চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সাওম পালন কর না”। আর নিষেধাজ্ঞার দাবি হচ্ছে হারাম।
তিন. যখন চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সাওম ওয়াজিব, তারপর জ্যোতিষ্ক ও গণকদের কথায় কর্ণপাত করা যাবে না। [শারহু ইবনল মুলাক্কিন আলাল উমদাহ: (৫/১৭৮)।]
চার. ইসলামী শরী‘আতের সরলতার প্রমাণ যে, সাওম রাখা ও ত্যাগ করা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল করেছে, যার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন হয় না, দৃষ্টি সম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তি তা দেখতে পায়, পক্ষান্তরে যদি তা নক্ষত্রের উপর নির্ভরশীল করা হত, তাহলে অনেক জায়গায় মুসলিমদের নিকট চাদেঁর বিষয়টি কঠিন আকার ধারণ করত, যেখানে গণক ও জ্যোতিষ্ক অনুপস্থিত। [শারহু ইবনুল বাত্তাল আলাল বুখারী (৪/২৭)।]
পাঁচ. যে দেশে চাঁদ দেখা গেল, তার অধিবাসীদের ওপর সাওম ওয়াজিব। যে দেশে চাঁদ দেখা যায় নি, তার অধিবাসীদের ওপর সাওম ওয়াজিব নয়। কারণ, সাওমের সম্পর্ক চাঁদ দেখার সাথে। দ্বিতীয়ত চাঁদের কক্ষপথ বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন। [দেখুন: শারহু ইবনুল মুলাক্কিন: (৫/১৮১-১৮২)।]
ছয়. রমযানের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন বিশ্বস্ত (শরী‘আতের ভাষায় আদেল) ব্যক্তির সাক্ষী গ্রহণযোগ্য, যার প্রমাণ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। কিন্তু রমযান সমাপ্তির সংবাদের জন্য দু’জন নির্ভরযোগ্য লোকের সাক্ষী অপরিহার্য। একাধিক হাদীস দ্বারা এ বিষয়টি প্রমাণিত। [তিরমিযী রহ. তার জামে তিরমিযীতে: (৩/৭৪) বলেছেন: “সাওম ত্যাগ করার বিষয়ে দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির সাক্ষী অপরিহার্য, এতে কোনো আলিমের দ্বিমত নেই”। ইমাম নববী শারহু মুসলিমে বলেছেন: “অর্থাৎ কতক মুসলিমের চাঁদ দেখা যথেষ্ট, সবার দেখা জরুরি নয়, তবে কমপক্ষে দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির সাক্ষী অবশ্য জরুরী। বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী সাওমের ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সাক্ষী গ্রহণযোগ্য, কিন্তু সাওম ভঙ্গের ক্ষেত্রে দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির সাক্ষী ব্যতীত চাঁদ দেখা গ্রহণ করা যাবে না, আবু সাউর ব্যতীত সবাই এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি সাওম ভঙ্গের ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সাক্ষী যথেষ্ট মনে করেন”। মাজমু ফাতাওয়া ইবন বায: (১৫/৬২)]
সাত. যিনি দেশের প্রধান তিনি সাওম বা ঈদের ঘোষণা দিবেন। [বুলুগুল মারাম, আবু কুতাইবাহ ফিরইয়াবির টিকাসহ: (১/৪১২), আরো দেখুন: ফাতাওয়া সাদিয়া: (২১৬)।]
আট. যে চাঁদ দেখে তার দায়িত্ব দেশের প্রধান বা তার প্রতিনিধির নিকট সংবাদ পৌঁছে দেওয়া।
নয়. আধুনিক প্রচার যন্ত্র থেকে প্রচারিত রমযান শুরু বা সমাপ্তির সংবাদ বিশ্বাস করা জরুরি, যদি তা দেশের প্রধান বা তার প্রতিনিধি থেকে প্রচার করা হয়।
দশ. মাসের শুরু-শেষ জানার জন্য ত্রিশে শাবান ও ত্রিশে রমযানের চাঁদ দেখা মোস্তাহাব।
এগার. নারী যদি চাঁদ দেখে, তার সাক্ষী গ্রহণ করার ব্যাপারে আলিমদের দ্বিমত রয়েছে। শাইখ ইবন বায রহ. তার চাঁদ দেখার সাক্ষী গ্রহণ না করার অভিমত প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ, চাঁদ দেখা পুরুষদের বৈশিষ্ট্য, এ ব্যাপারে তারা নারীদের থেকে অধিক জ্ঞানের অধিকারী। [ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার হাদীসের ওপর ভিত্তি করে যারা চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সাক্ষী কবুল করা বৈধ বলেন, তারা এ ব্যাপারে নারী ও গোলামের সংবাদ গ্রহণযোগ্য মনে করেন, যেমন খাত্তাবি আবু দাউদের টিকা মা‘আলিমুস সুনানে উল্লেখ করেছেন: (২/৭৫৩)।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।