মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করেন, তখন সেখানে দু’টি দিন ছিল, সেদিন দু’টিতে তারা আনন্দ-ফুর্তি করত। তিনি বললেন: এ দু’টি দিন কী? তারা বলল: আমরা জাহেলি যুগে এতে আনন্দ-ফুর্তি করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তোমাদের এ দিন দু’টির পরিবর্তে আরো উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন: ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১১৩৪; নাসাঈ: (৩/১৭৯); আহমদ: (৩/১০৩); আবু ইয়ালা, হাদীস নং ৩৮৪১। হাকেম হাদীসটি মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ বলেছেন: (১/৪৩৪), হাফেয ফাতহুল বারিতে সহীহ বলেছেন: (২/৪২২) আলবানি সহীহ আবু দাউদে সহীহ বলেছেন।]
আবু উবাইদ মাওলা ইবন আযহার বলেন, “আমি উমার ইবন খাত্তাবের সাথে ঈদ করেছি, তিনি বলেন, এ দু’টি দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম নিষেধ করেছেন: রমযানের সিয়াম শেষে তোমাদের ঈদুল ফিতরের দিন। দ্বিতীয় দিন হচ্ছে ঈদুল আযহা, সেদিন তোমরা তোমাদের কুরবানী থেকে খাবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৭।]
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও কুরবানির ঈদের সাওম পালন নিষেধ করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮২৭।]
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর দিনে বের হন, অতঃপর দুই রাকাত সালাত আদায় করেন, তার পূর্বাপর কোনো সালাত আদায় করেন নি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৮৪।]
উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন যুবতী, ঋতুবতী ও কিশোরীদের নিয়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে যাই, তবে ঋতুবতীরা সালাত থেকে দূরে থাকবে, তারা দো‘আ ও কল্যাণে অংশ গ্রহণ করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯০।]
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. আল্লাহ তা‘আলা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দান করে এ উম্মতের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। মুসলিম উম্মাহকে তিনি এর মাধ্যমে জাহেলি ঈদ ও উৎসব থেকে মুক্ত করেছেন।
দুই. আমাদের দু’টি ঈদ কাফিরদের ঈদ ও উৎসব থেকে বিভিন্ন কারণে আলাদা ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। যেমন,
(১) আমাদের ঈদ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল, গণনার ওপর নয়, যেমন কাফিরদের উৎসবগুলো গণনার উপর নির্ভরশীল।
(২) আমাদের দু’টি ঈদ মহান ইবাদত ও ইসলামের ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন, সিয়াম, যাকাতুল ফিতর, হজ ও কুরবানী।
(৩). দুই ঈদে সম্পাদিত কাজগুলো ইবাদত, যা বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য দান করে। যেমন, তাকবীর, সালাতুল ঈদ ও খুতবা ইত্যাদি, কাফিরদের ঈদ ও উৎসবের বিপরীত, যেখানে কুফর ও গোমরাহির প্রদর্শন হয়, বিভিন্ন প্রবৃত্তি ও শয়তানি কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।
(৪) দুই ঈদের দিনে অনুগ্রহ, দয়া ও পরস্পর দায়িত্বশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যেমন সদকাতুল ফিতর, হাদিয়া ও কুরবানী।
(৫) আমাদের দু’টি ঈদ ভ্রান্ত আকীদা ও কুসংস্কারের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যেমন, নববর্ষ, নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যু, কারো স্মরণ, কোনো ব্যক্তির মর্যাদা অথবা সাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তার সাথে সম্পৃক্ত নয়, বরং এ ঈদ দু’টি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য।
আমাদের ওপর ওয়াজিব হচ্ছে এসব নি‘আমতের মোকাবিলায় আল্লাহ তা‘আলার শোকর আদায় করা, তার নির্দেশ পালন করা ও তার নিষেধ থেকে বিরত থাকা, ঈদ, খুশি ও আনন্দের দিনে।
তিন. ঈদের দিন আল্লাহর নি‘আমতের না-শোকরি হচ্ছে ফরয ত্যাগ করা, নারীদের পোশাক-আশাকে শিথিলতা অবলম্বন করা ও পুরুষদের সাথে মেলামেশা করা। পোশাক-আশাক, পানাহার ও অনুষ্ঠানে অপচয় ও গান-বাদ্য করা।
চার. ঈদের দিন সুন্নাত হচ্ছে ঈদের সালাতের জন্য গোসল করা ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা। আমাদের সালাফে সালেহীন বা উত্তম পূর্ব পুরুষগণ অনুরূপ করতেন।
পাঁচ. ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সকালে খেজুর খাওয়া সুন্নাত, কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ করেছেন। আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে ঈদের দিন দ্রুত পানাহার করা সুন্নাত।
ছয়. ঈদের সালাতে বাচ্চা ও নারীদের যাওয়া সুন্নাত, তারা সালাতে উপস্থিত হবে ও মুসলিমদের দো‘আয় অংশ গ্রহণ করবে। ঋতুবতী নারীরা সালাতের স্থান থেকে দূরে থাকবে, তারা শুধু খুতবা ও দো‘আয় অংশ গ্রহণ করবে।
সাত. ঈদের সালাতে হেঁটে যাওয়া সুন্নাত, অনুরূপ এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া ও অপর রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত।
আট. সালাত শেষে খুৎবা শ্রবণ করা ও দো‘আয় আমীন বলার জন্য সালাতের স্থানে বসে থাকা উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঋতুবতী নারীদের ব্যাপারে বলেছেন: ‘তারা কল্যাণ ও মুসলিমদের দো‘আয় অংশ গ্রহণ করবে”।
নয়. ঈদের সালাতে পূর্বাপর সালাত নেই, কিন্তু মুসলিম যখন মুসল্লা অথবা মসজিদে প্রবেশ করে, সে দুই রাকাত সালাতের ব্যাপারে আদিষ্ট, নিষিদ্ধ সময়ে পর্যন্ত। কারণ, তাহিয়্যাতুল মসজিদ মসজিদে প্রবেশের কারণে জরুরি হয়, যা নিষিদ্ধ সময়ে আদায় করা বৈধ।
দশ. ইমাম সাহেবের অপেক্ষার সময়ে তাকবীরে লিপ্ত থাকা উত্তম, কারণ, এটা ইবাদতের সময়, এ মুহূর্তে সে কুরআন তিলাওয়াত বা নফল সালাত আদায় করতে পারে, যদি নিষিদ্ধ সময় না হয়, তবে তাকবীরে মশগুল থাকা উত্তম।
এগার. যদি লোকেরা সূর্য ঢলার পূর্বে ঈদ সম্পর্কে জানতে না পারে, তাহলে পরদিন সালাত আদায় করবে। যদি কেউ ঈদের সালাতে ইমামের তাশাহহুদে অংশ গ্রহণ করে, সে তার সাথে বসে যাবে, অতঃপর দু’রাকাত কাযা করবে ও তাতে তাকবীর পড়বে।
বার. ঈদের সালাত ছুটে গেলে বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তার কাযা নেই। কারণ, ঈদের সালাত কাযা করার কোনো দলীল নেই।
তের. ঈদের দিন আনন্দ করা বৈধ, যদি সীমালঙ্ঘন অথবা ওয়াজিব বিনষ্ট না হয়। মুসলিমদের উচিৎ ঈদের দিন পরিবারে সচ্ছলতার ব্যবস্থা করা। কারণ, ঈদের দিন আনন্দ করা দীনের একটি অংশ।
চৌদ্দ. ঈদের দিন খাবারে অনেক লোক একত্র হওয়া ভালো, কারণ, এতে ঈদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় হয় ও মুসলিমদের জমায়েত হয়।
পনের. ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে কোনো সমস্যা নেই, আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে বর্ণিত, ঈদের দিন সাক্ষাতের সময় তারা পরস্পরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তারা বলতেন: تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُم . “আল্লাহ আমাদের থেকে ও আপনাদের থেকে কবুল করুন”। তবে শুভেচ্ছার শব্দ দেশ ও অঞ্চল অথবা সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, যদি হারাম শব্দ অথবা কাফিরদের সাথে সামঞ্জস্য না হয়, যেমন তাদের হারাম উৎসবে ব্যবহৃত শুভেচ্ছা পদ্ধতি গ্রহণ করা।
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/63
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।