hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

৬২
৫৯. শাওয়াল মাসের ছয় রোযার ফযীলত
আবু আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتبَعَهُ سِتاً مِنْ شَوَّالَ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهرِ» .

“যে রমযানের সিয়াম পালন করল, অতঃপর তার অনুগামী করল শাওয়ালের ছয়টি, তা পুরো বছর সিয়ামের ন্যায়”। [মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৪।]

সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«صِيامُ رَمَضَانَ بِعَشرَةِ أَشْهُر، وصِيَامُ السِّتَّةِ أيَّامٍ بِشَهرَينِ فذَلك صِيَامُ السَّنَة» .

“রমযানের সিয়াম দশ মাসের সমতুল্য, ছয়দিনের সিয়াম দুই মাসের সমতুল্য, এটাই পূর্ণ বছরের সিয়াম”।

অপর বর্ণনায় রয়েছে:

«مَنْ صَامَ سِتَّةَ أيَّامٍ بَعْدَ الفِطْرِ كَانَ تَمامَ السَّنة ﴿مَنْ جَاءَ بِالحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا﴾ [ الأنعام :160]».

“যে ঈদুল ফিতরের পর ছয়দিন সিয়াম পালন করবে, তা পূর্ণ বৎসরে পরিণত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ ‎‎ গুণ”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬০] [আহমদ: (৫/২৮০); ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৭১৫; দারামি, হাদীস নং ১৭৫৫; নাসাঈ ফিল কুবরা, হাদীস নং ২৮৬০; সহীহ ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ২১১৫৪; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৬৩৫।]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

এক. শাওয়ালের ছয় রোযার ফযীলত প্রমাণিত হয়। প্রতি বছর রমযানের সিয়ামের সাথে যে শাওয়ালের ছয় সাওম পালন করল, সে সারা বছর সাওম রাখল।

দুই. বান্দার ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত, তিনি বান্দার অল্প আমলের বিনিময়ে অনেক সাওয়াব ও বিরাট প্রতিদান প্রদান করেন।

তিন. ঈদের পর দ্রুত শাওয়ালের ছয় সাওম পালন করা, যেন এ সাওম ছুটে না যায়, কিংবা কোনো ব্যস্ততা এসে না পড়ে।

চার. শাওয়ালের শুরু-শেষ বা মাঝে, এক সঙ্গে বা পৃথকভাবে এ সাওম রাখা বৈধ। বান্দা যেভাবে তা সম্পাদন করুক, সে আল্লাহর নিকট এর পূর্ণ সাওয়াব লাভ করবে, যদি আল্লাহ তা কবুল করেন। [ইবন কুদামার মুগনি: (৪/৪৪০); শারহুন নববী আলা মুসলিম (৮/৫৬)।]

পাঁচ. যার ওপর রমযানের কাযা রয়েছে, সে প্রথমে কাযা আদায় করবে, অতঃপর শাওয়ালের ছয় সাওম আদায় করবে। হাদীসের বাণী থেকে এমন বুঝে আসে, কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে রমযানের সাওম রাখল” অর্থাৎ পূর্ণ রমযান। যার ওপর কাযা রয়েছে, সে পূর্ণ রমযান সাওম রাখে নি। তার ওপর পূর্ণ রমযান সাওম রাখা প্রয়োগ হয় না, যতক্ষণ না সে কাযা করে। [শারহুল মুমতি: (৬/৪৬৬)।] দ্বিতীয়ত নফল ইবাদতের চেয়ে ওয়াজিব কাযা আদায় করা বেশি শ্রেয়।

ছয়. আল্লাহ তা‘আলা ফরযের আগে নফলের বিধান রেখেছেন, যেমন নফলের বিধান রেখেছেন ফরযের পর। যেমন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পূর্বাপর সুন্নাত রয়েছে, অনুরূপ রমযানের সিয়ামের পূর্বাপর সিয়াম রয়েছে। অর্থাৎ শাবান ও শাওয়ালের সিয়াম।

সাত. এসব নফল ইবাদত ফরযের মধ্যে ঘটে যাওয়া ত্রুটিসমূহ দূর করে। কারণ, এমন সাওম পালনকারী নেই যে অযথা বাক্যালাপ, কু-দৃষ্টি ও হারাম খাবার ইত্যাদি দ্বারা তার রোযার ক্ষতি করে নি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন