মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
«لا تَزَالُ أُمَّتِي على سُنَّتِي مَا لم تَنتَظرْ بفِطْرِهَا النُّجوم» .
“আমার উম্মতেরা সুন্নাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যতক্ষণ তারা ইফতারের জন্য নক্ষত্রের অপেক্ষা না করবে”। [ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ২০৬১; সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৫২০; হাকেম: (১/৫৯৯), তিনি বলেছেন বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক, ইমাম যাহাবি তার সমর্থন করেছেন।]
আবুল আতিয়াহ হামদানি রহ. বলেন, আমি ও মাসরুক আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করি: হে উম্মুল মুমিনীন, রাসূলের দু’জন সাহাবী: একজন দ্রুত ইফতার ও দ্রুত সালাত আদায় করেন, অপরজন দেরিতে ইফতার ও দেরিতে সালাত আদায় করেন। তিনি বললেন: কে দ্রুত ইফতার করে ও দ্রুত সালাত আদায় করে? তিনি বলেন, আমরা বললাম: আব্দুল্লাহ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ। তিনি বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন। আবু কুরাইব বাড়িয়ে বলেছেন: দ্বিতীয় ব্যক্তি আবু মূসা”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৯৯; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৫৪; তিরমিযী, হাদীস নং ৭০২; নাসাঈ: (৪/১৪৪); আহমদ: (৬/৪৬)।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “ইফতার না করে কখনো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের সালাত আদায় করতে দেখি নি, তা এক ঢোক পানি দ্বারাই হোক”। [আবু ইয়ালা, হাদীস নং ৩৭৯২; বায্যার, হাদীস নং ৯৮৪; বায়হাকি: (৪/২৩৯); সহীহ ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ২০৬৩; ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৫০৪-৩৫০৫; হায়সামি মাজমাউয যাওয়ায়েদ: (৩/১৫৫) গ্রন্থে বলেছেন, আবু ইয়ালার বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারী।]
আমর ইবন মায়মুন আওদি রহ. বলেছেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ সবচেয়ে দ্রুত ইফতার করতেন ও সবচেয়ে বিলম্বে সাহরি খেতেন”। [আব্দুর রায্যাক, হাদীস নং ৭৫৯১; বায়হাকি: (৪/২৩৮); হাফেয ইবন হাজার ফাতহুল বারিতে : (৪/১৯৯), হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. চোখে দেখে অথবা নির্ভরযোগ্য সংবাদ শুনে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, সূর্য ডুবেছে, তাহলে দ্রুত ইফতার করা মোস্তাহাব। হাদীস তাই প্রমাণ করে, সাহাবীদের আদর্শ এরূপ ছিল। হাফেয ইব্নু আব্দুল বার রহ. বলেছেন: “সকল আলিম একমত যে, মাগরিবের সালাতের সময় হলে সাওম পালনকারীর ইফতার হালাল হয়, কি ফরয কি নফল। মাগরিব সালাত রাতের সালাতের অন্তর্ভুক্ত, এতে কারো দ্বিমত নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, [আল-ইস্তেযকার: (৩/২৮৮)।]
“অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৭]
দুই. দ্রুত ইফতার যেহেতু বরকতময়, তাই বিলম্বে ইফতার বরকতহীন। [আল-ইস্তেযকার: (৩/১৫৩)।]
তিন. এ উম্মতের একটি কল্যাণ হচ্ছে তারা কিতাবি তথা ইয়াহূদী ও নাসারাদের বিপরীতে দ্রুত ইফতার করে, তারা নক্ষত্র বিকশিত হওয়ার অপেক্ষা করে। [ফাতহুল বারি: (৪/১৯৯)।] কিতাবিদের বিরোধিতা আমাদের দীনের এক গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি। এটা এ উম্মতের বড় বৈশিষ্ট্য ও সকল উম্মতের ওপর তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ। এ জন্য কাফিরদের সাথে মিল রাখা হারাম।
চার. সূর্যাস্তের পর ইফতার বিলম্ব করা সুন্নাত পরিহার ও বিদআত সৃষ্টির আলামত।
পাঁচ. এসব হাদীসে শিয়া-রাফেযা ও তাদের অনুসারীদের প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, যারা সূর্যাস্তের পর ইফতারের জন্য স্পষ্টভাবে তারকা দেখার অপেক্ষা করে। [ফাতহুল বারি: (৪/১৯৯)।]
ছয়. ইবাদতের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের পাবন্দ হলে, গোঁড়ামি, দীন থেকে বিচ্যুতি ও শয়তানি প্রবঞ্চনা থেকে মুক্ত থাকা যায়, যেমন নিশ্চিত সূর্যাস্তের পর দ্রুত ইফতার করা। [আল-মুফহিম: (৩/১৫৭); তুহফাতুল আহওয়াযি: (৩/৩১৪)।]
সাত. দ্রুত ইফতারে বান্দার অপারগতা, আল্লাহর আনুগত্য ও তার রুখসতের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পায়। [তুহফাতুল আহওয়াযি: (৩/৩১৫)।]
আট. এ হাদীস প্রমাণ করে লাগাতার সাওম মাকরূহ। আরো প্রমাণ করে সালাতের পূর্বে ইফতার করা জরুরি, এতে ইফতার দ্রুত হয়। [শারহু ইবনল মুলাক্কিন আলাল উমদাহ: (৫/৩১১)।]
নয়. সুন্নাতের অনুসরণ করা ও তার বিরোধিতা থেকে বিরত থাকা, সুন্নাত ত্যাগ করার কারণে কর্মে ফ্যাসাদ ও বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়। সাহাবীগণ কোনো কর্মে সফলতা না পেলে পরখ করত, তাদের থেকে কোনো সুন্নাত ছুটে গেছে, কোনো সুন্নাত খুঁজে পেলে ধরে নিত, এ কারণে তাদের এ সমস্যা। [শারহু ইবনল মুলাক্কিন আলাল উমদাহ: (৫/৩১০-৩১১)।]
দশ. এ উম্মতের সৌভাগ্য তারা সুন্নাত লাভ করেছে, যা আল্লাহর মহব্বতকে জরুরি করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বল, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৩১] [তুহফাতুল আহওয়াযি: (৩/৩১৬)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/27
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।