মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ থেকে এসে উম্মে সিনান আনসারীকে বলেন, তুমি কেন হজ কর নি? সে বলল: অমুকের পিতা, অর্থাৎ তার স্বামীর কারণে। তার চাষাবাদের দু’টি উট ছিল, একটি দ্বারা সে হজ করেছে, অপরটি আমাদের জমি চাষ করেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “নিশ্চয় রমযানের উমরা আমার সাথে হজের সমান”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৬৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৫৬।]
অপর বর্ণনায় আছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«فإِذا جَاءَ رَمَضَانُ فاعتَمرِي فإنَّ عُمْرةً فيه تَعْدِلُ حَجَّة» .
অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে জাবের, আনাস, আবু হুরায়রা ও ওয়াহাব ইবন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে। [দেখুন: জামে তিরমিযী (৩/২৭৬)।]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “রমযানের উমরা হজের সমান”। ইবন বাত্তাল রহ. বলেন, “এর দ্বারা বুঝা যায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যে হজের কথা বলেছেন, তা নফল ছিল। কারণ, উম্মত এ বিষয়ে একমত যে, উমরা কখনো ফরয হজের স্থলাভিষিক্ত হয় না। এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী “হজের বরাবর” দ্বারা উদ্দেশ্যে সাওয়াব ও ফযীলত, যা মানুষের কিয়াস ও ধারণার ঊর্ধ্বে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তার অনুগ্রহ দান করেন”। [শারহু ইবন বাত্তাল আলাল বুখারী (৪/৪২৮); দেখুন: মিনহাতুল বারি: (৪/২৩৩)।]
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. বান্দার ওপর আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহ যে, তিনি অল্প আমলের বিনিয়ে অধিক সাওয়াব দান করেন। এ জন্য আমরা আল্লাহর শোকর আদায় করি।
দুই. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতেন ও তাদের খবর নিতেন। আল্লাহ যাকে তার বান্দাদের দায়িত্ব দান করেন, তার উচিৎ অধীনদের সাথে দয়ার আচরণ করা, তাদের হিতকামনা করা ও খবরাখবর নেওয়া এবং তাদের দীন ও দুনিয়ার স্বার্থে কাজ করা।
তিন. ফরয হজের মোকাবেলায় যথেষ্ট নয় রমযানের উমরা। অবশ্য সাওয়াবের দিক থেকে সমান, কিন্তু এ কারণে ফরয আদায় হবে না। এ ব্যাপারে সবাই একমত। [ফাতহুল বারি: (৩/৬০৪;, তুহফাতুল আহওয়াযি: (৪/৭)।]
চার. সময়ের মর্যাদার কারণে আমলের সাওয়াব বেড়ে যায়, যেমন বেড়ে যায় একাগ্রতা ও ইখলাসের কারণে। [দেখুন: ফাতহুল বারি: (৩/৬০৪); আউনুল মাবুদ: (৫/৩২৩); ফায়যুল কাদির: (৪/৩৬১)।]
পাঁচ. এসব হাদীসের উদাহরণ, যেমন এসেছে সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান, অর্থাৎ সওয়াবের বিবেচনায়, কিন্তু সূরা ইখলাস তিলাওয়াত করা পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করার সমান নয়।
ষষ্ট. রমযানের মর্যাদার কারণে উমরা হজের সমমর্যাদা লাভ করে। কারণ, রমযান মাসে উমরাকারী উমরার ফযীলত ও রমযানের ফযীলত লাভ করে। এ বরকতপূর্ণ সময় ও মক্কার পবিত্রতার কারণে উমরা হজের সমান, যে হজ যিলহজ মাসের বরকতপূর্ণ সময় ও মক্কার পবিত্র স্থানে আদায় করা হয়। [মাজমুউল ফাতাওয়া: (২৬/২৯৩)।]
দ্বিতীয়ত রমযানের উমরায় রয়েছে অধিক কষ্ট, কারণ, সাওম অবস্থায় আমল কষ্টকর, বা সফরের কারণে যদি সাওম ত্যাগ করে, তবু সফরের কষ্ট কম নয়, পরবর্তীতে আবার কাযার কষ্ট। এরূপ কষ্ট রমযান ব্যতীত অন্য মাসে হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরার নির্দেশ করে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলেন,
“ওমরা হচ্ছে তোমার কষ্ট অথবা বলেছেন: তোমার খরচ অনুপাতে”। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১১; দেখুন: আল-মুফহিম: (৩/৩৭০)।]
সাত. রমযান মাসে উমরাকারী এ সাওয়াব অর্জন করবে, মক্কায় অবস্থান করুক বা উমরা শেষে বাড়ি ফিরুক।
আট. এ হাদীস প্রমাণ করে না যে, তানয়িম অথবা হেরেমের বাইরে গিয়ে একমাসে বারবার উমরা করা অথবা একদিনে বারবার উমরা করা বৈধ, বর্তমান যুগে প্রচলিত এ আমল সুন্নাত পরিপন্থী, সাহাবীদের আমলের বিপরীত, তাদের কারো থেকে বর্ণিত নেই যে, তারা এক সফরে একাধিক উমরা করেছেন। [মাজমুউল ফাতাওয়া: (২৬/২৯২); যাদুল মায়াদ: (২/৯৩); তাহযিবুস সুনান: (৭/৩৬)।]
নয়. রমযানে উমরাকারী ও বায়তুল্লাহ শরীফে ই‘তিকাফকারীর কর্তব্য আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হিফাজত করা। কারণ, মক্কার পাপ অন্য স্থানের পাপের তুলনায় অধিক ক্ষতিকর, বিশেষভাবে যদি রমযানের মহান মাসে হয়।
দশ. পরিবার ও সন্তানসহ যে রমযান মাসে হারাম শরীফে অবস্থান করে, তার কর্তব্য পরিবার ও সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখা, যেন তারা হারামে লিপ্ত না হয়, অন্যথায় সে সাওয়াবের পরিবর্তে পাপ ও গুনাসহ বাড়ি ফিরবে, যেহেতু সে তাদের প্রতি খেয়াল রাখে নি।
এগার. যখন সাওম অবস্থায় উমরার নিয়তে মক্কায় পৌঁছে, সে হয়তো সাওম ভেঙ্গে উমরা আদায় করবে অথবা সূর্যাস্তের অপেক্ষা করে ইফতারের পর তা আদায় করবে। সাওম ভঙ্গ করে উমরা আদায় করাই উত্তম। কারণ, উমরার নিয়ম মক্কায় পৌঁছা মাত্র তা আদায় করা, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।