hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস শিক্ষা ও মাসায়েল

লেখকঃ ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আল-হাকীল

৩১
২৮. তারাবীর রাকাত সংখ্যা
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান কিংবা গায়রে রমযানে এগারো রাকাতের বেশি সালাত আদায় করতেন না। তিনি চার রাকাত সালাত আদায় করতেন, তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘকরণ সম্পর্কে তোমাকে কি বলব! অতঃপর তিনি চার রাকাত পড়তেন, তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘকরণ সম্পর্কে তোমাকে কী বলব! অতঃপর তিনি তিন রাকাত আদায় করতেন। আয়েশা বলেন, আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, আপনি বিতর পড়ার আগে ঘুমান, তিনি বললেন: হে আয়েশা আমার দু’চোখ ঘুমায় কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৯৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৮।]

অপর বর্ণনায় আছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তেরো রাকাত সালাত আদায় করতেন, তার মধ্যে বিতর ও ফজরের দু’রাকাত বিদ্যমান”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৮।]

মাসরুক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন, সাত রাকাত, নয় রাকাত ও এগারো রাকাত, ফজরের দু’রাকাত ব্যতীত। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৮৮।]

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তেরো রাকাত সালাত আদায় করতেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৮৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬৪।]

আব্দুর রহমান ইবন হুরমুয আল-আ‘রাজ রহ. বলেন, “আমি লোকদের দেখেছি তারা রমযানে কাফিরদের ওপর লানত করত। তিনি বলেন, কোনো কোনো ইমাম আট রাকাতে সূরা বাকারা খতম করতেন, আর যখন সূরা বাকারা দ্বারা বারো রাকাত পড়তেন, তখন লোকেরা মনে করত যে তিনি হাল্কা করেছেন”। [মুয়াত্তা মালেক: ১/১১৫; আব্দুর রায্‌যাক, হাদীস নং ৭৭৩৪; বায়হাকি: (২/৪৯৭), তার সনদ সহীহ, আব্দুর রহমান ইবন হুরমুয প্রখ্যাত তাবিয়ি, তিনি এ বর্ণনায় মদিনাবাসীদের আমল বর্ণনা করছেন। দেখুন তার জীবনী: সিয়ারে আলামিন নুবালা: (৫/৬৯।]

শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

এক. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত রমযান ও গায়রে রমযানে সমান ছিল। [আল-ইস্তেযকার: (২/৯৮)।]

দুই. নবীদের চোখ ঘুমায়, কিন্তু তাদের অন্তর ঘুমায় না, এ জন্য তাদের স্বপ্ন সত্য, এটা নবীদের বৈশিষ্ট্য। [আল-ইস্তেযকার: (২/১০১); শারহুন নববী: (৬/২১)।]

তিন. সকল আলিম একমত যে, রমযান ও গায়রে রমযানে রাতের সালাত সুন্নাত, এতে কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই, যার ইচ্ছা কিয়াম লম্বা করে রাকাত সংখ্যা কমাবে, যার ইচ্ছা কিয়াম সংক্ষেপ করে রাকাত সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। [আল-ইস্তেযকার: (২/১০২); তামহিদ: (২১/৭০)।]

চার. রাতের সালাতে কিরাত, রুকু ও সাজদাহ দীর্ঘ করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত, ছোট কিরাতে অধিক রাকাতের চেয়ে দীর্ঘ কিরাতে এগারো রাকাত অধিক উত্তম। [মাজমুউল ফাতাওয়া শায়খুল ইসলাম: (২৩/৬৯-৭২)।]

পাঁচ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এগারো রাকাতের অধিক তেরো রাকাত পড়েছেন, কখনো তিনি এগারো রাকাতের কম সাত বা নয় রাকাত পড়েছেন, যেমন অন্যান্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, তবে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা‎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সচরাচর সালাতের বর্ণনা করেছেন, অর্থাৎ এগারো রাকাত নিয়মিত পড়া। [দেখুন: ফাতাওয়া: নং (৯৩৫৩), ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ। ফাতহুল বারি লি ইবন হাজার: (৩/২০); শারহুন নববী: (৬/১৮); সুবুলুস সালাম: (২/১৩)।]

ছয়. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক দু’রাকাতের পর সালাম ফিরাতেন, একসাথে চার রাকাত বা তার অধিক পড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সচরাচর আমল ও সুন্নাত পরিপন্থী। দলীল আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনা: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক দু’রাকাতের পর সালাম ফিরাতেন, এক রাকাত দ্বারা বিতর পড়তেন”। [মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৬।] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রাতের সালাত দু’রাকাত, দু’রাকাত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪৯।] এটা বিতর ব্যতীত। অতএব, মুসলিম তিন অথবা পাঁচ রাকাত দ্বারা বিতর পড়বে, তবে শেষ রাকাত ব্যতীত বসবে না, যেমন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তেরো রাকাত সালাত পড়তেন, তন্মধ্যে পাঁচ রাকাত দ্বারা বিতর পড়তেন, শেষ রাকাত ব্যতীত বসতেন না”। [মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৭।]

সাত. সাহাবায়ে কেরাম ও তাদের পরবর্তী তাবেয়িগণ মদিনায় সালাতে তারাবীহ খুব দীর্ঘ করতেন, যেমন বিশিষ্ট তাবেয়ি আব্দুর রহমান ইবন হুরমুয রহ. উল্লেখ করেছেন।

আট. সালাতে তারাবীর ‘দো‘আয়ে কুনুতে’ কাফিরদের জন্য বদ-দো‘আ ও তাদের ওপর লা‘নত করা বৈধ। তারা আমাদের চুক্তির অধীনে থাক বা না-থাক, কুফুরীর কারণে তারা লা‘নতের উপযুক্ত, তবে এটা ওয়াজিব নয়। এ ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত হচ্ছে যুদ্ধবাজ কাফিরদের জন্য ধ্বংস ও শাস্তির বদ-দো‘আ করা। যাদের ইসলাম গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য হিদায়াত লাভের দো‘আ করা। [আল-ইস্তেযকার: (২/৭৩); ইমাম বুখারী এ সংক্রান্ত (৫৮), (৯৮), (৫৯) ও (১০০) নং বাব/অধ্যায়সমূহ রচনা করেছেন।]

নয়. মদিনায় সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈদের রমযানের ‘দো‘আয়ে কুনুত’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‘কুনুতে নাযেলা’ থেকে গৃহীত, যে কুনুতে নাযেলা তিনি রা‘ল, যাকওয়ান, বনু লিহইয়ান ও উসাইয়্যাহ সম্প্রদায়ের ওপর করেছেন, যারা কুরআনের কারীদের হত্যা করেছে। [আল-ইস্তেযকার: (২/৭৩)।] মদিনাবাসী রমযানের শেষার্ধ থেকে শেষ পর্যন্ত এ বদদো‘আ করতেন।

দশ. মদিনার সাহাবীদের আমল থেকে জুমার দ্বিতীয় খুতবায় কাফিরদের ওপর বদদো‘আ করার সুন্নাত গৃহীত। হাফেয ইবন আব্দুল বার রহ. এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে বলেছেন: “আ‘রাজ সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈদের বড় এক জমা‘আতের সাক্ষাত পেয়েছেন, এটা মদিনার আমল ছিল”। [আল-ইস্তেযকার: (২/৭৫) ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন