মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সাফিয়্যাহ বিনতে হুইয়াই থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফে ছিলেন, আমি রাতে তাঁর সাক্ষাতের জন্য আসি। আমি তার সাথে কথা বলি, অতঃপর রওয়ানা দেই ও ঘুরে দাঁড়াই, তিনি আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। তার ঘর ছিল উসামা ইবন যায়েদের বাড়িতে। ইত্যবসরে দু’জন আনসার অতিক্রম করল, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখে দ্রুত চলল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন: থাম, এ হচ্ছে সাফিয়্যাহ বিনতে হুইয়াই। তারা আশ্চর্য হলো: সুবহানাল্লাহ হে আল্লাহ রাসূল! তিনি বললেন: নিশ্চয় শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় বিচরণ করে, আমি আশঙ্কা করছি, সে তোমাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা দিতে পারে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৭৫; দ্বিতীয় বর্ণনা সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৭৫।]
আলী ইবন হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ছিলেন, তার নিকট তার স্ত্রীগণ উপবিষ্ট ছিল, অতঃপর তারা চলে গেল। তিনি সাফিয়্যাহ বিনতে হুইয়াইকে বললেন: দ্রুত কর না, যতক্ষণ না আমি তোমার সাথে চলি। সাফিয়্যার ঘর ছিল উসামার বাড়িতে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে বের হলেন, তার সাথে দু’জন আনসারের সাক্ষাত হলো, তারা নবীকে দেখল, অতঃপর দ্রুত চলল। তিনি তাদের দু’জনকে বললেন: এ হচ্ছে সাফিয়্যাহ বিনতে হুইয়াই। তারা বলল: সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন: নিশ্চয় শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় বিচরণ করে, আমি আশঙ্কা করছি, সে তোমাদের অন্তরে কিছু সৃষ্টি করতে পারে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৭৫।]
শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. এ হাদীসে উম্মতের ওপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দয়া, তাদের স্বার্থ রক্ষা করা ও তাদেরকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার প্রমাণ মিলে, যাতে রয়েছে তাদের আত্মা ও অন্তরের পরিশুদ্ধতা। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশঙ্কা করেছেন যে, শয়তান তাদের অন্তরে তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করতে পারে, আর নবীদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা কুফর, তাই তিনি তাদের সতর্ক করলেন। [শারহুন নববী: (১৪/৫৬)।] ইমাম শাফে‘ঈ রহ. বলেন, “তিনি তাদেরকে এ জন্য বলেছেন। কারণ, তিনি তাদের উপর কুফুরীর আশঙ্কা করেছেন, যদি তারা তাঁর সম্পর্কে কু-ধারণা করত, তাই তাদের অন্তরে শয়তানের কুমন্ত্রণা সঞ্চার করার পূর্বে, যা তাদের ধ্বংসের কারণ, ছিল, তিনি দ্রুত জানিয়ে দিয়ে তাদের হিত কামনা করলেন।
দুই. ই‘তিকাফকারীর সাথে সাক্ষাত করা বৈধ, মসজিদে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সাক্ষাত ও কথা বলতে পারবে রাত-দিন যে কোনো সময়, এতে ই‘তিকাফের ক্ষতি হবে না। তবে অতিরিক্ত গমনাগমন ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, কখনো ই‘তিকাফ বিনষ্টকারী কর্মে লিপ্ত করে, তাই তা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
তিন. মুসলিমদের উচিৎ অপবাদ ও সন্দেহের স্থান থেকে দূরে থাকা, যখন খারাপ ধারণার আশঙ্কা হয় স্পষ্ট করে দিবে যেন তা দূরীভূত হয়ে যায়। বিশেষ করে অনুসরণীয় আলিম ও নেককার লোকদের বিষয়, তাদের এমন কাজ করা বৈধ নয় যা মানুষের অন্তরে সন্দেহের জন্ম দেয়। অনুরূপ বিচারকের বিচার ব্যাখ্যা করে দেওয়া উচিৎ, যদি বিবাদীর নিকট তার কারণ অস্পষ্ট থাকে ও পক্ষপাত তুষ্টের ধারণা জন্মায়।
চার. শয়তান ও তার ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকা ওয়াজিব। কারণ, সে বনী আদমের রক্তের শিরায় বিচরণ করে।
পাঁচ. আশ্চর্য হয়ে সুবহানাল্লাহ বলা বৈধ। যেমন, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ওপর অপবাদের ঘটনায় আছে:
“তুমি অতি পবিত্র মহান, এটা এক গুরুতর অপবাদ”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ১৬]
ছয়. ই‘তিকাফকারীর বৈধ কাজে লিপ্ত হওয়া জায়েয। যেমন, সাক্ষাতকারীকে উৎসাহ দেওয়া, তার সাথে দাঁড়ানো ও তার সাথে কথা বলা, তবে অতিরিক্ত না করা।
সাত. ই‘তিকাফকারীর পাঠ দান করা, শিক্ষণীয় প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করা ও দীনি বিষয় লেখা বৈধ, তবে বেশি পরিমাণে নয়। কারণ, ই‘তিকাফের উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধু ইবাদতের জন্য অবসর হওয়া।
আট. ই‘তিকাফকারী প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে পারবে, যেমন খাবার ইত্যাদি।
নয়. স্ত্রীর সাথে ই‘তিকাফকারী নির্জনে মিলিত হতে পারবে, তবে স্ত্রীগমন থেকে সতর্ক থাকবে।
দশ. নিরাপত্তা থাকলে নারীদের রাতে বের হওয়া বৈধ।
এগার. যার সাথে তার স্ত্রী রয়েছে, তাকে সালাম দেওয়া বৈধ, কারণ, কতক বর্ণনায় এসেছে তারা উভয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম করেছিল, তিনি তাদের বিরত করেন নি।
বারো. যদি ব্যক্তির সাথে স্ত্রী বা মাহরাম থাকে, সে যে কাউকে সম্বোধন করতে পারবে, বিশেষ করে যদি তার প্রয়োজন হয়, কোনো হুকুম বর্ণনা করা অথবা কোনো অনিষ্ট দূর করা ইত্যাদি, এটা রুচি বিরোধী নয়।
তের. কথা বা কোনো মাধ্যমে ই‘তিকাফকারী নিজের ওপর খারাপ ধারণা দূর করতে পারবে, অনুরূপ সে হাতের দ্বারা কষ্ট দূর করতে পারবে, যদি কেউ তার উপর সীমালঙ্ঘন করতে চায়। ই‘তিকাফকারী মুসল্লির চেয়ে বেশি নয়, মুসল্লির জন্য বৈধ তার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাঁধা দেওয়া, অনুরূপ ই‘তিকাফকারী সে ব্যক্তিকে বারণ করতে পারবে, যে তার উপর সীমালঙ্ঘন করে, এ জন্য তার ই‘তিকাফ নষ্ট হবে না।
চৌদ্দ. একান্ত প্রয়োজন না হলে ধীরে কাজ করা ও দ্রুততা পরিহার করা, কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলেছেন: عَلَى رِسْلِكُمَا “তোমরা ধীরে চল”।
পনের. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফ করতেন। কেননা তাঁর স্ত্রীগণ তার ই‘তিকাফে তাকে দেখতে এসেছেন, যখন তারা যাওয়ার ইচ্ছা করেন, তিনি সাফিয়্যাহকে বললেন: তাড়াহুড়ো করোনা। সাফিয়্যাকে থাকার নির্দেশের কারণ, সম্ভবত সে অন্যদের চেয়ে দেরীতে এসেছে, তাই তাকে দেরিতে যেতে বলেছেন, যেন তার নিকট অবস্থানের সময় সবার সমান হয় অথবা তার বাড়ি অন্য স্ত্রীদের বাড়ি থেকে দূরে ছিল, তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যাপারে আশঙ্কা করেছেন। মুসলিমদের উচিৎ অনুরূপভাবে স্ত্রীদের মাঝে সমতা রক্ষা করা ও তাদের প্রতি যত্নশীল থাকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/128/53
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।