hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৯
ঘুমানোর সুন্নাত
যখন কোন ব্যক্তি বিছানায় ঘুমাতে যায়, তখন তার কাছে ফেরেশতা আগমন করে এবং শয়তানও আগমন করে। ফেরেশতা বলে, তুমি কল্যাণের সাথে সমাপ্তি করো। আর শয়তান বলে, তুমি মন্দের সাথে সমাপ্তি করো। এরপর যদি ঐ বান্দা আল্লাহকে স্মরণ করে ঘুমায়, তবে ফেরেশতা তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। আর যখন সে ঘুম থেকে উঠে, তখন ফেরেশতা বলে, তুমি কল্যাণের সাথে শুরম্ন করো। আর শয়তান বলে, তুমি মন্দের সাথে শুরম্ন করো। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩৩।]

তাই ঘুমানের সময় অবশ্যই সুন্নাতের অনুসরণ করা জরম্নরি। ঘুমানোর সময়কার সুন্নাতসমূহ নিম্নে উলেস্নখ করা হলো :

১. সাধারণ বিছানায় শয়ন করা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ আঁশভর্তি চামড়ার বিছানায় নিদ্রা যেতেন। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ যে বিছানায় নিদ্রা যেতেন, তা ছিল চামড়ার। এর ভেতরে খেজুর গাছের আঁশ ভরা থাকত। [সহীহ বুখারী, হা/৬৪৫৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৫৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৫১; বায়হাকী, হা/১৩০৯৫।]

২. রাতে ঘুমাতে দেরি না করা :

عَنْ أَبِي بَرْزَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ كَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا ‏

আবু বারযা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এশার সালাত আদায়ের আগে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬৮।]

এশার পরে গল্প করতে নিষেধ করার কারণ রাতে ঘুমাতে দেরি করলে তাহাজ্জুদের জন্য উঠা কঠিন হয়ে যাবে।

৩. ছুঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বিতর আদায় করে নেয়া :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : أَوْصَانِي خَلِيلِي بِثَلاثٍ : بِصِيَامِ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَكْعَتَيْ الضُّحَى وَأَنْ أُوتِرَ قَبْلَ أَنْ أَرْقُدَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু অর্থাৎ রসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে তিনটি কাজ করতে উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো- প্রতি মাসে তিনটি করে সওম (রোযা) পালন করতে, ‘যুহা’ বা চাশ্তের দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতে এবং ঘুমানোর পূর্বে বিত্র সালাত আদায় করতে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৫৫৭।]

৪. বাতি নিভানো, দরজা বন্ধ করা ও পানপাত্রের মুখ বন্ধ করা :

عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ : ‏‏ أَطْفِئُوا الْمَصَابِيحَ إِذَا رَقَدْتُمْ، وَغَلِّقُوا الأَبْوَابَ، وَأَوْكُوا الأَسْقِيَةَ، وَخَمِّرُوا الطَّعَامَ وَالشَّرَابَ . وَأَحْسِبُهٗ قَالَ : وَلَوْ بِعُودٍ تَعْرُضُهٗ عَلَيْهِ ‏

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা (রাতে) ঘুমানোর সময় বাতিগুলো নিভিয়ে দাও, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করো, পানপাত্রের মুখ বন্ধ করো, খাবার ও পানির পাত্রগুলো ঢেকে রাখো। সম্ভবত তিনি এ কথাও বলেছেন যে, কমপক্ষে একটি কাঠ দিয়ে হলেও আড়াআড়িভাবে পাত্রের উপর রেখে দাও। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬২৪।]

عَنْ أَبِي مُوسٰى قَالَ : احْتَرَقَ بَيْتٌ بِالْمَدِينَةِ عَلٰى أَهْلِه مِنَ اللَّيْلِ، فَحُدِّثَ بِشَأْنِهِمُ النَّبِيُّ قَالَ ‏ : ‏ إِنَّ هَذِهِ النَّارَ إِنَّمَا هِيَ عَدُوٌّ لَكُمْ، فَإِذَا نِمْتُمْ فَأَطْفِئُوهَا عَنْكُمْ ‏

আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের বেলা মদীনার একটি পরিবারের ঘরে আগুন লেগে তা পুড়ে গেল। তাদের এ ঘটনাটি নবী ﷺ-এর কাছে বর্ণনা করা হলে তিনি বললেন, এ আগুন তোমাদের শত্রু। তাই যখনই তোমরা ঘুমাতে যাবে তখন তা নিভিয়ে ফেলবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬২৯৪।]

৫. বেষ্টনী বা দেয়াল ছাড়া ছাদে শয়ন না করা :

عَنْ عَلِيِّ بنِ شَيْبَانَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ  : مَنْ بَاتَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَيْسَ لَهُ حِجَارٌ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ

আলী ইবনে শায়বান (রাঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোন ছাদে রাত্রি যাপন করে, যার কোন দেয়াল নেই, তার উপর আল্লাহর কোন যিম্মাদারী থাকে না। [আবু দাউদ, হা/৫০৪৩; মিশকাত, হা/৪৭২০।]

৬. হাত-মুখ পরিষ্কার করা :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ : مَنْ نَامَ وَفِي يَدِه غَمَرٌ وَلَمْ يَغْسِلْهُ فَأَصَابَهٗ شَيْءٌ فَلا يَلُومَنَّ إِلَّا نَفْسَهٗ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় ঘুমাবে যে, তার হাতে ঘি (তৈলাক্ত জিনিস) আর সে তা ধৌত করেনি। এরপর যদি তার কোন বিপদ হয়, তাহলে সে যেন নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দোষারোপ না করে। [আবু দাউদ, হা/৩৮৫৪; শু‘আবুল ঈমান, হা/৫৮১১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫২১; মিশকাত, হা/৪২১৯।]

৭. ওজু অবস্থায় শোয়া :

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : قَالَ لِىْ النَّبِيُّ ‏إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ

বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ আমাকে বললেন, যখন তুমি বিছানায় আসবে, তার পূর্বে সালাতের ওযুর ন্যায় ওযু করে নিবে। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৭।]

৭. ডান কাতে শোয়া :

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : قَالَ لِىْ النَّبِيُّ ‏إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلٰى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ

বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ আমাকে বললেন, যখন তুমি বিছানায় আসবে, তার পূর্বে সালাতের ওযুর ন্যায় ওযু করে নিবে, তারপর ডান কাতে শুবে। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৭]

৮. ডান হাত গালের নিচে রাখা :

عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهٗ مِنْ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهٗ تَحْتَ خَدِّه

হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন শয়ন করতেন, তখন তার হাতকে গালের নিচে রাখতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪২২৬; মিশকাত, হা/২৩৮২।]

৯. গোসল ফরয হলে ওযু করে শয়ন করা :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَأَنَّهٗ قَالَ : ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللهِ بِأَنَّهٗ تُصِيبُهٗ الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ؟ فَقَالَ لَهٗ رَسُولُ اللهِ : ‏تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نَمْ

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কাছে উলেস্নখ করলেন যে, রাতে জুনুবী অবস্থা দেখা দিলে কী করণীয়? রাসূল ﷺ বললেন, তুমি লজ্জাস্থান ধুইয়ে ওযু করে নিবে, তারপর ঘুমাবে। [সহীহ বুখারী, হা/২৯০।]

১০. বিছানা ঝাড়া এবং বিসমিল্লাহ বলা :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ : إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلٰى فِرَاشِه فَلْيَأْخُذْ دَاخِلَةَ إِزَارِه فَلْيَنْفُضْ بِهَا فِرَاشَهٗ وَلْيُسَمِّ اللهَ ، فَإِنَّهٗ لَا يَعْلَمُ مَا خَلَفَهٗ بَعْدَهٗ عَلٰى فِرَاشِه

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন শয্যাগ্রহণ করতে তার বিছানায় আসে, তখন সে যেন তার কাপড়ের আঁচল দিয়ে বিছানাটি ঝেড়ে নেয় এবং ‘বিস্মিল্লাহ’ পাঠ করে। কেননা সে জানে না, বিছানা ছাড়ার পর তার বিছানায় কী ছিল। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৮৫।]

১১. সতর আবৃত রাখা :

- عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ الله أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ : لَا يَسْتَلْقِيَنَّ أَحَدُكُمْ ثُمَّ يَضَعُ إِحْدٰى رِجْلَيْه عَلَى الأخْرٰى

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন চিৎ হয়ে শুয়ে এক পায়ের উপর অপর পা না উঠায়। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৯৬।]

১২. সন্তানদের বয়স দশ বছর হলে বিছানা আলাদা করা :

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ : مُرُوْا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ

আমর ইবনে শুয়াইব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের নির্দেশ দাও- যখন তাদের বয়স সাত বছর হয়। আর তাদের বয়স যখন দশ বছর হয়, তখন এজন্য তাদেরকে মারধর করো (যদি তারা সালাত আদায় না করে থাকে) এবং এ বয়সেই তাদেরকে আলাদা বিছানায় থাকতে দাও। [আবু দাউদ, হা/৪৯৫; মিশকাত, হা/৫৭২।]

১৩. ওসীয়তনামা লিখে রাখা :

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ : ‏‏ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهٗ شَىْءٌ، يُوْصِيْ فِيْهِ يَبِيْتُ لَيْلَتَيْنِ، إِلَّا وَوَصِيَّتُهٗ مَكْتُوْبَةٌ عِنْدَهٗ ‏

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে মুসলিমের কাছে ওসীয়তের উপযোগী কোন বিষয় রয়েছে, ওসীয়তনামা তার কাছে লিখিত অবস্থায় থাকা ছাড়া তার জন্য দু’রাত অতিবাহিত করা বৈধ ন। [সহীহ বুখারী, হা/২৭৩৮।]

১৪. উপুড় হয়ে পেটের উপর ভর করে শয়ন না করা :

عَنْ طِخْفَةَ الْغِفَارِيِّ -  -، قَالَ : أَصَابَنِيْ رَسُوْلُ اللَّهِ -  - نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِيْ، فَرَكَضَنِيْ بِرِجْلِه ، وَقَالَ : مَا لَكَ وَلِهٰذَا النَّوْمِ . هٰذِه نَوْمَةٌ يَكْرَهُهَا اللهُ، أَوْ يُبْغِضُهَا اللهُ

তিখফাহ আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার পেটে আঘাত করলেন এবং তিনি তাঁর পা দ্বারা আমাকে খোঁচা দিলেন। তারপর বললেন, তোমার এবং তোমার এই ঘুমের কি হয়েছে? এ ধরনের ঘুমকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। [ইবনে মাজাহ, হা/৩৭২৩; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৮২৩০।]

অপর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এটা হচ্ছে জাহান্নামীদের শয়ন। [ইবনে মাজাহ, হা/৩৭২৪; মিশকাত, হা/৪৭৩১।]

১৫. তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করে শয়ন করা :

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ -، عَنْ النَّبِيَّ -  -، قَال : مَنْ أَتٰى فِرَاشَهٗ وَهُوَ يَنْوِيْ أَنْ يَقُومَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ حَتّٰى أَصْبَحَ، كُتِبَ لَهٗ مَا نَوٰى، وَكَانَ نَوْمُهٗ صَدَقَةً عَلَيْهِ مِنْ رَبِّه عَزَّ وَجَلَّ

আবু দারদা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি শোয়ার সময় এ নিয়ত করবে যে, সে রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবে, কিন্তু পরে তার ঘুমের চাপ বেশি হওয়ার কারণে সে তাহাজ্জুদ পড়তে পারেনি, তারপরেও এই নিয়তের কারণে সে নেকী পাবে। আর এই ঘুমটি আল্লাহর পক্ষ হতে সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে। [নাসাঈ, হা/১৭৮৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১।]

১৬. তাওবা করে শয়ন করা :

ঘুমানোর সময় উচিত হলো সারাদিন যেসব পাপকর্ম হয়ে গেছে, সেগুলোর জন্য তাওবা ইস্তেগফার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে শয়ন করা এবং কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ ও হিংসা অন্তরে না রাখা। এটা জান্নাতী লোকদের বৈশিষ্ট্য। আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ এক জান্নাতী ব্যক্তির সুসংবাদ দিয়েছিলেন। ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, তুমি এমন কী আমল কর, যার কারণে রাসূলুল্লাহ ﷺ তোমার সম্পর্কে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন,

أَنِّي لَا أَجِدُ فِي نَفْسِيْ لِأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ غِشًّا، وَلَا أَحْسُدُ أَحَدًا عَلٰى خَيْرٍ أَعْطَاهُ اللهُ إِيَّاهُ

আমার তেমন কোন আমল নেই, তবে আমি কোন মুসলমানের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণ করি না এবং আল্লাহ কাউকে কোন কিছু দিলে আমি হিংসাও করি না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৭২০।]

১৭. আল্লাহর যিকির অবস্থায় শয়ন করা :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ أَنَّهٗ قَالَ : مَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيْهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنْ اللهِ تِرَةٌ

আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় রাতে ঘুমায় যে, সে আল্লাহকে স্মরণ করেনি- এটা তার জন্য আফসোসের কারণ হবে। [আবু দাউদ, হা/৪৮৫৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৫৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫১২; মিশকাত, হা/২২৭২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন