hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২
তাহাজ্জুদ সালাতের সুন্নাতসমূহ
শেষ রাতে ইবাদাত করা জান্নাতী লোকদের বিশেষ গুণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন;

﴿اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ اٰخِذِيْنَ مَاۤ اٰتَاهُمْ رَبُّهُمْؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَبْلَ ذٰلِكَ مُحْسِنِيْنَ كَانُوْا قَلِيْلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُوْنَ وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ﴾

সেদিন মুত্তাক্বীরা জান্নাত ও ঝর্ণার মধ্যে থাকবে, যা তাদের প্রতিপালক তাদেরকে প্রদান করবেন; তা তারা গ্রহণ করবে। নিশ্চয় তারা ইতিপূর্বে সৎকর্মপরায়ণ ছিল। তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রাবস্থায় অতিবাহিত করত এবং রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থনা করত। (সূরা যারিয়াত, ১৫-১৮)

ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো মধ্য রাতের সালাত :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, ফরয সালাতের পর সবচেয়ে উত্তম সালাত কোনটি এবং রমাযান মাসের সিয়ামের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন, ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো মধ্য রাতের সালাত। আর রমাযান মাসের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো মুহাররম মাসের সিয়াম। [সহীহ মুসলিম, হা/২৮১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০১৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৩৪।]

তাহাজ্জুদ সালাতের নিয়ম :

বিতরের সালাতসহ রাতের নফলের সর্বোত্তম সংখ্যা ১১ রাকাত অথবা ১৩ রাকাআত। দীর্ঘ কেরাত ও রম্নকু-সেজদা সহকারে এ সালাত আদায় করা ভাল। রাসূল ﷺ এমনই আমল করতেন। এ সালাত ২ রাকআত করে পড়তে হয়। ফজরের সময় শুরম্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ সালাত আদায় করা যায়।

রাতের নফল সালাত প্রথমে দুই রাকাত ছোট কেরাতে আদায় করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমাদের কেউ রাতে নফল সালাত আদায় করতে উঠলে সে যেন প্রথমে সংক্ষেপে দুই রাকাত সালাত দ্বারা শুরম্ন করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৮]

তাহাজ্জুদ সালাতের বিশেষ ছানা :

তাহাজ্জুদ সালাতের বিশেষ ছানা রয়েছে। ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দন্ডায়মান হতেন, তখন এ দু‘আ পড়তেন।

اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ قَيِّمُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ . وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ وَمَنْ فِيْهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ نُوْرُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اَللّٰهُمَّ لَكَ اَسْلَمْتُ وَبِكَ اٰمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَاِلَيْكَ اَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَاِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا اَخَّرْتُ، وَمَا اَسْرَرْتُ وَمَا اَعْلَنْتُ، اَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَاَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ

আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা কায়্যিমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়ালাকাল হামদু লাকা মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি ওয়ামান ফীহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু, আনতা নূরম্নস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি। ওয়া লাকাল হামদু, আনতা মালিকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি। ওয়া লাকাল হামদু, আনতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়া লিকা-উকা হাক্কুন, ওয়া ক্বাওলুকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান্না-রম্ন হাক্কুন, ওয়ান্নাবিয়য়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন। আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়াবিকা আ-মানতু, ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়াবিকা খা-ছামতু, ওয়া ইলাইকা হা-কামতু, ফাগফিরলী মা-ক্বাদ্দামতু ওয়া মা-আখখারতু, ওয়া মা-আসরারতু ওয়ামা আ‘লানতু, আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরম্ন। লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আকাশসমূহ, পৃথিবী ও এ দু’য়ের মধ্যে বিদ্যমান সব কিছুর ধারক। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আকাশ, জমিন এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আসমান জমিনের নূর। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আসমান ও জমিনের মালিক। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা আপনিই চির সত্য। আপনার অঙ্গীকার চির সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য, আপনার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ ﷺ সত্য, কিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরই ভরসা করলাম এবং আপনারই অভিমুখী হলাম। আর আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্যই শত্রুতায় লিপ্ত হই, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বের ও পরের এবং প্রকাশ্য ও গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করম্নন। আপনিই অগ্রগামী এবং পশ্চাদগামী। আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৭; নাসাঈ, হা/১৬১৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৫১।]

রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর দু‘আ কবুল হয় :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقٰى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاٰخِرُ يَقُوْلُ : مَنْ يَّدْعُوْنِي فَأَسْتَجِيْبَ لَهٗ مَنْ يَّسْأَلُنِيْ فَأُعْطِيَهٗ مَنْ يَّسْتَغْفِرُنِيْ فَأَغْفِرَ لَهٗ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮।]

পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য জাগানো সুন্নাত :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ ঐ বান্দার প্রতি রহম করম্নন, যে বান্দা রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও জাগ্রত করে। স্ত্রী যদি সালাত আদায় না করে তবে তার চেহারায় পানি ঢালে। আল্লাহ রহম করম্নন সেই মহিলার প্রতি, যে রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করে এবং সে তার স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে অস্বীকার করে তবে সে তার চেহারায় পানি দেয়। [আবু দাউদ, হা/১৩০৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৩৬; সহীহুল জামে, হা/৩৪৮৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন