মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ শোয়ার সময় এ সূরাটি পড়তেন। এ সূরার মধ্যে আল্লাহর অসীম কুদরত, তার সৃষ্টিজগতের রহস্য, মানব সৃষ্টির বিভিন্ন পর্যায়, জান্নাতের নিয়ামত, জাহান্নামের শাস্তি, পরকালের বিচার ফায়সালা এবং পরকাল নিশ্চিত হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১. আলিফ- লাম- মীম। ২. এ কিতাব বিশ্বজগতের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই। ৩. তারা কি বলে যে, এটা তো সে নিজে রচনা করেছে? বরং এটা তো তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত সত্য, যেন তুমি এমন লোকদেরকে সাবধান করতে পার, যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। হয়তো তারা সরল সঠিক পথ লাভ করবে। ৪. আল্লাহই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমানসমূহ, জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সব কিছু ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং কোন আবেদনকারী নেই তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? ৫. তিনি আসমানসমূহ থেকে জমিন পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন, অবশেষে তা তার নিকট এমন একদিনে পৌঁছবে, যার পরিমাণ হবে তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। ৬. তিনি অপ্রকাশ্য ও প্রকাশ্যের পরিজ্ঞাত প্রতাপশালী, পরম দয়ালু। ৭. যিনি তার প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে অতি সুন্দররূপে সৃষ্টি করেছেন এবং মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন কাদামাটি দিয়ে। ৮. তারপর তার বংশধরকে সৃষ্টি করেছেন নগণ্য পানির সারাংশ থেকে। ৯. পুনরায় তিনি তাকে সুগঠিত করেছেন এবং তাতে নিজের পক্ষ থেকে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দান করেছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। কিন্তু তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। ১০. আর তারা বলে, আমরা যখন মাটিতে মিশে শেষ হয়ে যাব, তখন কি আবার আমাদেরকে নতুন করে সৃষ্টি করা হবে? বস্তুত তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করে। ১১. তুমি বলো, তোমাদের জন্য নিয়োজিত মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের মৃত্যু ঘটাবে, তারপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। ১২. আর যদি তুমি দেখতে! যখন পাপীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে স্বীয় মাথা নিচু করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শ্রবণ করলাম, এখন আপনি আমাদেরকে পুনরায় (পৃথিবীতে) প্রেরণ করম্নন; আমরা নেক কাজ করব। আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী হয়েছি। ১৩. আমি যদি ইচ্ছা করতাম, তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সরল সঠিক পথ দান করতাম, কিন্তু আমার এ বাণী নির্ধারিত হয়ে রয়েছে যে, আমি অবশ্যই জিন ও মানুষ সবাইকে দিয়েই জাহান্নাম পরিপূর্ণ করব। ১৪. অতএব আজকের এ দিনের সাক্ষাৎ লাভের কথা তোমাদের ভুলে থাকার কারণে তোমরা শাস্তি ভোগ করো, আমিও তোমাদেরকে ভুলে গেলাম। আর তোমরা যা করতে, তার জন্য চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে থাকো। ১৫. কেবল তারাই আমার নিদর্শনগুলোর প্রতি ঈমান রাখে, যাদেরকে আমার আয়াতসমূহ যখন স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং স্বীয়প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, আর তারা অহঙ্কার করে না। ১৬. তাদের পার্শ্বসমূহ (অঙ্গসমূহ) বিছানা থেকে এমনভাবে আলাদা হয়ে যায় যে, তারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করতে থাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। ১৭. কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান স্বরূপ। ১৮. যে ব্যক্তি ঈমানদার সে কি ঐ ব্যক্তির সমান, যে পাপাচারী? কখনই তারা সমান হতে পারে না। ১৯. অতএব যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎ কাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের কাজকর্মের প্রতিদানস্বরূপ চিরকালের বাসস্থান জান্নাত। ২০. আর যারা পাপ কাজ করেছে তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে সেথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, দোযখের যে আযাব তোমরা মিথ্যা বলতে আজ তা ভোগ করো। ২১. আমি নিশ্চয় তাদেরকে সামান্য শাস্তি ভোগ করাব মহাশাস্তির পূর্বে, যাতে তারা ফিরে আসে। ২২. ঐ ব্যক্তির চাইতে অধিক অত্যাচারী কে যাকে তার প্রতিপালকের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু সে তা থেকে বিমুখ হয়? আমি অবশ্যই পাপীদের থেকে প্রতিশোধ নেব। ২৩. আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছি। অতএব তুমি তার সাক্ষাৎ সম্পর্কে কোন সন্দেহ করবে না। আর আমি তাকে বনী ইসরাঈলের জন্য পথপ্রদর্শনকারী করেছিলাম। ২৪. আর আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করেছিলাম, যারা আমার আদেশ অনুযায়ী হেদায়াত করত, যখন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল। আর তারা আমার আয়াতসমূহে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত। ২৫. তারা যে বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে দ্বিমত করত, অবশ্যই তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। ২৬. এটাও কি তাদেরকে পথ দেখাল না যে, আমি তো তাদের আগে কত মানব সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, যাদের বাসস্থানসমূহের মধ্যে এরা যাতায়াত করে থাকে? নিশ্চয় এতে রয়েছে স্পষ্ট নিদর্শন। তবে কি তারা শোনবে না। ২৭. তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি শুষ্ক ও পতিত জমিনে পানি প্রবাহিত করি, তারপর তার সাহায্যে শস্য উৎপাদন করি, তা থেকে খায় তাদের চতুষ্পদ জন্তুরা এবং তারা নিজেরাও? তবে কি তারা দেখে না? ২৮. আর তারা বলে, এ ফায়সালা কখন হবে যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক? ২৯. তুমি বলে দাও, সেই ফায়সালার দিনে কাফিরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে কোন অবকাশও দেয়া হবে না। ৩০. অতএব আপনি তাদের হতে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং অপেক্ষায় থাকুন, তারাও অপেক্ষায় রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/290/77
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।