hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৯
সূরা ফাতেহার ফযীলত
সূরা ফাতিহা কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা :

সূরা ফাতিহা হচ্ছে কুরআন মাজীদের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ সূরা। এর ফযীলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। হাদীসে এসেছে,

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সফরে থাকাকালে নবী ﷺ কোন এক স্থানে অবতরণ করলেন। তখন তার পাশে এক ব্যক্তি অবস্থান করল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী ﷺ তার দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তোমাকে কুরআনের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সূরার ব্যাপারে সংবাদ দিব না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী ﷺ পাঠ করলেন, ﴿ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ﴾ অর্থাৎ সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৭৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১/৫৬০; সহীহ তারগীব ও ওয়াত তারহীব, হা/১৪৫৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৯৯।]

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জীল এবং ফুরকান তথা কুরআনে এই সূরার সমতুল্য কোন সূরা নেই। এটা হচ্ছে বার বার পঠিত সাতটি আয়াতবিশিষ্ট সূরা এবং মহান কুরআন, যা আমাকে দান করা হয়েছে। [বুখারী হা/৪৭০৩; আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৪২।**]

নামাযের প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়তে হয় :

উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়ে না, তার কোন সালাতই হয় না। [সহীহ বুখারী, হা/৭৫৬; সহীহ মুসলিম, হা/৯০০; আবু দাউদ, হা/৮২২; তিরমিযী, হা/২৪৭; নাসাঈ, হা/৯১০; বায়হাকী, হা/২১৯৩; মিশকাত, হা/৮২২।]

সূরা ফাতিহা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হয় :

আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এর কিছু সংখ্যক সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা আরবদের কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট পৌঁছে তাদের নিকট মেহমানদারী কামনা করলেন। কিন্তু তারা তাঁদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। (ঘটনাক্রমে) ঐ সম্প্রদায়ের দলপতি বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হলো। লোকেরা তার (সুস্থতার) জন্য সর্বপ্রকার চেষ্টা করল, কিন্তু ফল হলো না। তখন তাদের কেউ বলল, ঐ যে লোকগুলো এখানে এসেছে, তাদের নিকট যদি তোমরা যেতে! হয়তো তাদের কারো নিকট কিছু (ব্যবস্থা) থাকতে পারে। তখন তারা তাদের কাছে গেল এবং বলল, হে সফরকারী দল! আমাদের দলপতিকে বিচ্ছু দংশন করেছে। আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কোন ব্যবস্থা আছে কি? তখন সাহাবীদের একজন বললেন, হ্যাঁ- আল্লাহর শপথ! আমি ঝাড়ফুঁক করি। তবে দেখো, আমরা তোমাদের নিকট মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়ফুঁক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করবে। তখন তারা তাঁদের সাথে একপাল বকরীর শর্ত করল। এরপর ঐ সাহাবী গিয়ে তার (দংশিত স্থানের) উপর থুথু দিতে দিতে সূরা ফাতিহা পড়তে লাগলেন। ফলে সে এমনভাবে সুস্থ হলো যেন তার কোন অসুস্থতাই নেই। [সহীহ বুখারী, হা/২২৭৬; ইবনে মাজাহ, হা/২১৫৬; মিশকাত, হা/২৯৮৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন