মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্ হাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না বা‘দা মা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে মরণের পর জীবিত করেছেন এবং তাঁর দিকেই আবার প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬২৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৭৭৯।]
২. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর ২য় দু‘আ :
উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ যদি শেষ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এ দু‘আটি পড়ে, তবে সে যে কোন দু‘আ করলে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে ওযু করে সালাত আদায় করে তবে তার সালাত কবুল করা হবে।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি বা উপায় নেই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করম্নন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৬২; তিরমিযী, হা/৩৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬১২; মিশকাত, হা/১২১৩।]
৩. সূরা আলে ইমরানের শেষ রম্নকূ পড়া :
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা মাইমুনার ঘরে থাকলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺও এ রাতে তার সাথে ছিলেন। নবী ﷺ পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললেন। তারপর ঘুমিয়ে গেলেন। যখন রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলো, তখন তিনি উঠলেন এবং আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর সূরা আলে ইমরানের শেষ রম্নকূ তিলাওয়াত করলেন। তারপর ওযু করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন। অন্য বর্ণনায় শেষ রম্নকূর প্রথম ৫ আয়াত পড়ার কথা বর্ণিত আছে।
অর্থ : নিশ্চয় আসমান ও জমিনের সৃষ্টির মধ্যে এবং দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য স্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে। যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে (বলে), হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তা বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনিই পবিত্রতম; অতএব আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করম্নন। হে আমাদের প্রতিপালক! অবশ্যই আপনি যাকে জাহান্নামে দেবেন, নিশ্চয় তাকে লাঞ্চিত করবেন এবং অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তাতেই আমরা ঈমান এনেছি; হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করম্নন, আর আমাদের গোনাহগুলো মুছে দিন এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান করম্নন। হে আমাদের রব! আপনি স্বীয় রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা দান করম্নন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্চিত করবেন না; নিশ্চয় আপনি ওয়াদা খিলাফ করেন না। অতঃপর তাদের প্রতিপালক তাদের আহবানে সাড়া দিলেন এ মর্মে যে, আমি তোমাদের পুরম্নষ অথবা নারীর মধ্য হতে কোন আমলকারীর আমল নষ্ট করব না, তোমরা পরস্পর এক। অতএব যারা হিজরত করেছে, তাদের ঘরবাড়ি হতে বিতাড়িত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং সংগ্রাম করেছে ও নিহত হয়েছে, নিশ্চয় আমি তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করব এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার নিচ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত; এটা আল্লাহর নিকট হতে প্রতিদান, আর আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম প্রতিদান। শহরসমূহে কাফিরদের চালচলন যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। এসব কয়েকদিনের ভোগের সামগ্রী মাত্র; অতঃপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম এবং তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান! কিন্তু যারা স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে মেহমানদারী। আর যেসব বস্তু আল্লাহর নিকট রয়েছে তা পুণ্যবানদের জন্য বহুগুণে উত্তম। আর নিশ্চয় আহলে কিতাবের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে, সে বিষয়ে আল্লাহর ভয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে; যারা অল্প মূল্যে আল্লাহর নিদর্শনাবলি বিক্রি করে না, তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে; নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো, আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [সহীহ বুখারী, হা/৪৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৩৫; আবু দাঊদ, হা/৫৮; নাসাঈ, হা/১৭০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৮; মিশকাত, হা/১১৯৫, ১২০৯।]
আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সূত্রে নবী ﷺ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠে এবং অযু করে, তখন তার তিনবার নাকে পানি দিয়ে ঝেড়ে ফেলা কর্তব্য। কারণ শায়তান তার নাকের ছিদ্র পথে রাত কাটায়। [সহীহ বুখারী, হা/৩২৯৫।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, তোমাদের কেউ যখন ওযু করবে তখন সে যেন তার নাকের ছিদ্রে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়। আর যে ঢিলা ব্যবহার করবে সে যেন বিজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠে, সে যেন পানির পাত্রে হাত ঢুকাবার আগে কবজি পর্যন্ত তিন বার ধৌত করে নেয়। কারণ তোমাদের কেউ জানে না রাতে তার হাত কোথায় ছিল। [সহীহ বুখারী, হা/১৬২।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তান তার মাথার শেষ প্রান্তে অর্থাৎ ঘাড়ে তিনটি গিরা দেয়। প্রত্যেকটি গিরাতেই সে ফুঁক দিয়ে বলে, এখনো অনেক রাত আছে। পরে যখন সে ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর সে ওযু করলে আরো একটি গিরা খুলে যায়। আর যখন সে সালাত আদায় করে তখন সবগুলো গিরা খুলে যায়। এভাবে সে কর্মতৎপর ও প্রফুলস্ন মনের অধিকারী হয়ে সকালে উপণীত হয়। অন্যথায় বিমর্ষ ও অলস মন নিয়ে সকালে উপনীত হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪২।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/290/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।