hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২১
ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর সুন্নাত
১. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর ১ম দু‘আ :

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وإِلَيْهِ النُّشُوْرُ

আল্ হাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না বা‘দা মা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।

অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে মরণের পর জীবিত করেছেন এবং তাঁর দিকেই আবার প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬২৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৭৭৯।]

২. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর ২য় দু‘আ :

উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ যদি শেষ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এ দু‘আটি পড়ে, তবে সে যে কোন দু‘আ করলে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে ওযু করে সালাত আদায় করে তবে তার সালাত কবুল করা হবে।

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ وَسُبْحَانَ اللهِ وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ- اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুলিস্ন শায়ইন ক্বাদীর, ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী।

অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি বা উপায় নেই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করম্নন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৬২; তিরমিযী, হা/৩৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬১২; মিশকাত, হা/১২১৩।]

৩. সূরা আলে ইমরানের শেষ রম্নকূ পড়া :

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা মাইমুনার ঘরে থাকলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺও এ রাতে তার সাথে ছিলেন। নবী ﷺ পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললেন। তারপর ঘুমিয়ে গেলেন। যখন রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলো, তখন তিনি উঠলেন এবং আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর সূরা আলে ইমরানের শেষ রম্নকূ তিলাওয়াত করলেন। তারপর ওযু করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন। অন্য বর্ণনায় শেষ রম্নকূর প্রথম ৫ আয়াত পড়ার কথা বর্ণিত আছে।

﴿إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَاٰيَاتٍ لِاُولِي الْاَلْبَابِ اَلَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّ قُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ رَبَّنَاۤ إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَه وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ أَنْصَارٍ رَبَّنَاۤ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ أَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّيْ لَاۤ أُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى بَعْضُكُمْ مِّنْ ۢبَعْضٍ فَالَّذِيْنَ هَاجَرُوْا وَأُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقَاتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَاُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَاللهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ الْبِلَادِ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ثُمَّ مَأٰوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيَاتِ اللهِ ثَمَنًا قَلِيْلًا أُولٰٓئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾

ইন্না ফী খালক্বিসসামা-ওয়া-তি ওয়ালআরযি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়াননাহা-রি লাআ-য়া-তিল লিউলিল আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ ওয়াকু‘ঊদাওঁ ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়া ইয়াতাফাক্কারূনা ফী খালকিসসামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, রাববানা মা-খালাক্বতা হা-যা বা-ত্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা ‘আযা-বাননা-র। রাববানা ইন্নাকা মান তুদ্খিলিন না-রা ফাক্বাদ আখযাইতাহ্, ওয়ামা লিযযা-লিমীনা মিন আনসা-র। রাববানা ইন্নানা সামি‘না মুনা-দিয়াই ইউনা-দী লিলঈমা-নি আনআ-মিনূ বিরাব্বিকুম ফাআ-মান্না। রাববানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়াকাফ্ফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রাববানা ওয়াআ-তিনা মা ওয়া‘আত্তানা ‘আলা রম্নসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আ-দ। ফাস্তাজা-বা লাহুম রাববুহুম আন্নী লা-উযী‘উ ‘আমালা ‘আ-মিলিম মিনকুম মিন যাকারিন আও উনসা, বা‘যুকুম মিম বা‘য, ফাল্লাযীনা হা-জারম্ন ওয়া উখরিজু মিন দিয়া-রিহিম ওয়াঊযূ ফী সাবীলী ওয়াক্বা-তালূ ওয়াকুতিলূ লাউকাফ্ফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালা উদ্খীলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-র, সাওয়া-বাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়াল্লা-হু ‘ইনদাহূ হুসনুস সাওয়া-ব। লা-ইয়াগুর্রান্নাকা তাক্বালস্নুবুল্লাযীনা কাফারম্ন ফিল বিলা-দ। মাতা‘উন ক্বালীল। সুম্মা মা’ওয়া-হুম জাহান্নাম, ওয়াবি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাক্বাও রাববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহ্তিহাল আনহা-রম্ন খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়ামা ‘ইনদাল্লা-হি খাইরম্নল লিল আবরা-র। ওয়া ইন্না মিন আহলিল কিতা-বি লামাই ইউ’মিনু বিল্লা-হি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শি‘ঈনা লিল্লা-হি লা-ইয়াশ্তারূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি সামানান ক্বালীলা, উলা-ইকা লাহুম আজরম্নহুম ‘ইনদা রাবিবহিম, ইন্নাল্লা-হা সারী‘উল হিসা-ব। ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়ারা-বিতূ ওয়াত্তাকুল্লা-হা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।

অর্থ : নিশ্চয় আসমান ও জমিনের সৃষ্টির মধ্যে এবং দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য স্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে। যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে (বলে), হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তা বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনিই পবিত্রতম; অতএব আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করম্নন। হে আমাদের প্রতিপালক! অবশ্যই আপনি যাকে জাহান্নামে দেবেন, নিশ্চয় তাকে লাঞ্চিত করবেন এবং অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তাতেই আমরা ঈমান এনেছি; হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করম্নন, আর আমাদের গোনাহগুলো মুছে দিন এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান করম্নন। হে আমাদের রব! আপনি স্বীয় রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা দান করম্নন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্চিত করবেন না; নিশ্চয় আপনি ওয়াদা খিলাফ করেন না। অতঃপর তাদের প্রতিপালক তাদের আহবানে সাড়া দিলেন এ মর্মে যে, আমি তোমাদের পুরম্নষ অথবা নারীর মধ্য হতে কোন আমলকারীর আমল নষ্ট করব না, তোমরা পরস্পর এক। অতএব যারা হিজরত করেছে, তাদের ঘরবাড়ি হতে বিতাড়িত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং সংগ্রাম করেছে ও নিহত হয়েছে, নিশ্চয় আমি তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করব এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার নিচ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত; এটা আল্লাহর নিকট হতে প্রতিদান, আর আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম প্রতিদান। শহরসমূহে কাফিরদের চালচলন যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। এসব কয়েকদিনের ভোগের সামগ্রী মাত্র; অতঃপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম এবং তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান! কিন্তু যারা স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে মেহমানদারী। আর যেসব বস্তু আল্লাহর নিকট রয়েছে তা পুণ্যবানদের জন্য বহুগুণে উত্তম। আর নিশ্চয় আহলে কিতাবের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে, সে বিষয়ে আল্লাহর ভয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে; যারা অল্প মূল্যে আল্লাহর নিদর্শনাবলি বিক্রি করে না, তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে; নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো, আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [সহীহ বুখারী, হা/৪৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৩৫; আবু দাঊদ, হা/৫৮; নাসাঈ, হা/১৭০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৮; মিশকাত, হা/১১৯৫, ১২০৯।]

৪. ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা :

عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ ‏ .‏

হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন রাতে উঠতেন, তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৫।]

৫. ঘুম থেকে উঠে নাক ঝাড়া :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَنَامِه فَتَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ ثَلاَثًا، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَبِيتُ عَلٰى خَيْشُومِه

আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সূত্রে নবী ﷺ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠে এবং অযু করে, তখন তার তিনবার নাকে পানি দিয়ে ঝেড়ে ফেলা কর্তব্য। কারণ শায়তান তার নাকের ছিদ্র পথে রাত কাটায়। [সহীহ বুখারী, হা/৩২৯৫।]

৬. কব্জি পর্যন্ত তিন বার হাত ধৌত করা :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ : ‏‏ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ مَاءً ثُمَّ لْيَنْتَثِرْ، وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، وَإِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِه فَلْيَغْسِلْ يَدَه قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهَا فِي وَضُوئِهِ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهٗ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, তোমাদের কেউ যখন ওযু করবে তখন সে যেন তার নাকের ছিদ্রে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়। আর যে ঢিলা ব্যবহার করবে সে যেন বিজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠে, সে যেন পানির পাত্রে হাত ঢুকাবার আগে কবজি পর্যন্ত তিন বার ধৌত করে নেয়। কারণ তোমাদের কেউ জানে না রাতে তার হাত কোথায় ছিল। [সহীহ বুখারী, হা/১৬২।]

৭. ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ الله قَالَ : يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلٰى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ إِذَا هُوَ نَامَ ثَلَاثَ عُقَدٍ يَضْرِبُ مَكَانَ كُلِّ عُقْدَةٍ " عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ " - فَإِنْ اِسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ الله اِنْحَلَّتْ عُقْدَةٌ - فَإِنْ تَوَضَّأَ اِنْحَلَّتْ عُقْدَةٌ - فَإِنْ صَلّٰى اِنْحَلَّتْ عُقَدُهٗ . فَأَصْبَحَ نَشِيْطاً طَيِّبَ النَّفْسِ ، وَإِلَّا أَصْبَحَ خَبِيْثَ النَّفْسِ كَسْلَانَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তান তার মাথার শেষ প্রান্তে অর্থাৎ ঘাড়ে তিনটি গিরা দেয়। প্রত্যেকটি গিরাতেই সে ফুঁক দিয়ে বলে, এখনো অনেক রাত আছে। পরে যখন সে ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর সে ওযু করলে আরো একটি গিরা খুলে যায়। আর যখন সে সালাত আদায় করে তখন সবগুলো গিরা খুলে যায়। এভাবে সে কর্মতৎপর ও প্রফুলস্ন মনের অধিকারী হয়ে সকালে উপণীত হয়। অন্যথায় বিমর্ষ ও অলস মন নিয়ে সকালে উপনীত হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন