hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮০
সূরা ওয়াকিয়া
এ সূরাটি তাওহীদের প্রমাণ দ্বারা পরিপূর্ণ। আর এতে জান্নাত ও জাহান্নামের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। পরকালে মানুষের অবস্থা কেমন হবে, কয় দলে ভাগ হবে ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে। তাই আমরা এ সূরাটি পড়ে আল্লাহর পরিচয় জানব, শিরকমুক্ত হয়ে তাওহীদের অনুসরণ করব এবং সে অনুযায়ী আমল করব।



اِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ (১) لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ (২) خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ (৩) اِذَا رُجَّتِ الْاَرْضُ رَجًّا (৪) وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا (৫) فَكَانَتْ هَبَآءً مُّنْبَثًّا (৬) وَكُنْتُمْ اَزْوَاجًا ثَلَاثَةً (৭) فَاَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَاۤ اَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ (৮) وَاَصْحَابُ الْمَشْاَمَةِ مَاۤ اَصْحَابُ الْمَشْاَمَةِ (৯) وَالسَّابِقُوْنَ السَّابِقُوْنَ (১০) اُولٰٓئِكَ الْمُقَرَّبُوْنَ (১১) فِيْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ (১২) ثُلَّةٌ مِّنَ الْاَوَّلِيْنَ (১৩) وَقَلِيْلٌ مِّنَ الْاٰخِرِيْنَ (১৪) عَلٰى سُرُرٍ مَّوْضُوْنَةٍ (১৫) مُتَّكِئِيْنَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِيْنَ (১৬)

يَطُوْفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُوْنَ (১৭) بِاَكْوَابٍ وَّاَبَارِيْقَ وَكَأْسٍ مِّنْ مَّعِيْنٍ (১৮) لَا يُصَدَّعُوْنَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُوْنَ (১৯) وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُوْنَ (২০) وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُوْنَ (২১) وَحُوْرٌ عِيْنٌ (২২) كَاَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُوْنِ (২৩) جَزَآءً ۢبِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ (২৪) لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا وَّلَا تَأْثِيْمًا (২৫) اِلَّا قِيْلًا سَلَامًا سَلَامًا (২৬) وَاَصْحَابُ الْيَمِيْنِ مَاۤ اَصْحَابُ الْيَمِيْنِ (২৭) فِيْ سِدْرٍ مَّخْضُوْدٍ (২৮) وَطَلْحٍ مَّنْضُوْدٍ (২৯) وَظِلٍّ مَّمْدُوْدٍ (৩০) وَمَآءٍ مَّسْكُوْبٍ (৩১) وَفَاكِهَةٍ كَثِيْرَةٍ (৩২) لَا مَقْطُوْعَةٍ وَّلَا مَمْنُوْعَةٍ (৩৩) وَفُرُشٍ مَّرْفُوْعَةٍ (৩৪) اِنَّاۤ اَنْشَأْنَاهُنَّ اِنْشَآءً (৩৫) فَجَعَلْنَاهُنَّ اَبْكَارًا (৩৬) عُرُبًا اَتْرَابًا (৩৭) لِاَصْحَابِ الْيَمِيْنِ (৩৮) ثُلَّةٌ مِّنَ الْاَوَّلِيْنَ (৩৯) وَثُلَّةٌ مِّنَ الْاٰخِرِيْنَ (৪০) وَاَصْحَابُ الشِّمَالِ مَاۤ اَصْحَابُ الشِّمَالِ (৪১) فِيْ سَمُوْمٍ وَّحَمِيْمٍ (৪২) وَظِلٍّ مِّنْ يَّحْمُوْمٍ (৪৩) لَا بَارِدٍ وَّلَا كَرِيْمٍ (৪৪) اِنَّهُمْ كَانُوْا قَبْلَ ذٰلِكَ مُتْرَفِيْنَ (৪৫) وَكَانُوْا يُصِرُّوْنَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيْمِ (৪৬) وَكَانُوْا يَقُوْلُوْنَ اَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا اَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ (৪৭) اَوَاٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَ (৪৮) قُلْ اِنَّ الْاَوَّلِيْنَ وَالْاٰخِرِيْنَ (৪৯) لَمَجْمُوْعُوْنَ اِلٰى مِيْقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُوْمٍ (৫০)

ثُمَّ اِنَّكُمْ اَيُّهَا الضَّآلُّوْنَ الْمُكَذِّبُوْنَ (৫১) لَاٰكِلُوْنَ مِنْ شَجَرٍ مِّنْ زَقُّوْمٍ (৫২) فَمَالِئُوْنَ مِنْهَا الْبُطُوْنَ (৫৩) فَشَارِبُوْنَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيْمِ (৫৪) فَشَارِبُوْنَ شُرْبَ الْهِيْمِ (৫৫) هٰذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّيْنِ (৫৬) نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُوْنَ (৫৭) اَفَرَاَيْتُمْ مَّا تُمْنُوْنَ (৫৮) اَاَنْتُمْ تَخْلُقُوْنَهٗۤ اَمْ نَحْنُ الْخَالِقُوْنَ (৫৯) نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوْقِيْنَ (৬০) عَلٰۤى اَنْ نُّبَدِّلَ اَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِيْ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ (৬১) وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْاَةَ الْاُوْلٰى فَلَوْلَا تَذَكَّرُوْنَ (৬২) اَفَرَاَيْتُمْ مَّا تَحْرُثُوْنَ (৬৩) اَاَنْتُمْ تَزْرَعُوْنَهٗۤ اَمْ نَحْنُ الزَّارِعُوْنَ (৬৪) لَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُوْنَ (৬৫) اِنَّا لَمُغْرَمُوْنَ (৬৬) بَلْ نَحْنُ مَحْرُوْمُوْنَ (৬৭) اَفَرَاَيْتُمُ الْمَآءَ الَّذِيْ تَشْرَبُوْنَ (৬৮) اَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ (৬৯) لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنَاهُ اُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُوْنَ (৭০) اَفَرَاَيْتُمُ النَّارَ الَّتِيْ تُوْرُوْنَ (৭১) اَاَنْتُمْ اَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَاۤ اَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُوْنَ (৭২) نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَّمَتَاعًا لِّلْمُقْوِيْنَ (৭৩) فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيْمِ (৭৪) فَلَاۤ اُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُوْمِ (৭৫) وَاِنَّهٗ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُوْنَ عَظِيْمٌ (৭৬)

اِنَّهٗ لَقُرْاٰنٌ كَرِيْمٌ (৭৭) فِيْ كِتَابٍ مَّكْنُوْنٍ (৭৮) لَا يَمَسُّهٗۤ اِلَّا الْمُطَهَّرُوْنَ (৭৯) تَنْزِيْلٌ مِّنْ رَّبِّ الْعَالَمِيْنَ (৮০) اَفَبِهٰذَا الْحَدِيْثِ اَنْتُمْ مُّدْهِنُوْنَ (৮১) وَتَجْعَلُوْنَ رِزْقَكُمْ اَنَّكُمْ تُكَذِّبُوْنَ (৮২) فَلَوْلَاۤ اِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُوْمَ (৮৩) وَاَنْتُمْ حِيْنَئِذٍ تَنْظُرُوْنَ (৮৪) وَنَحْنُ اَقْرَبُ اِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلٰكِنْ لَّا تُبْصِرُوْنَ (৮৫) فَلَوْلَاۤ اِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِيْنِيْنَ (৮৬) تَرْجِعُوْنَهَاۤ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ (৮৭) فَاَمَّاۤ اِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِيْنَ (৮৮) فَرَوْحٌ وَّرَيْحَانٌ وَّجَنَّتُ نَعِيْمٍ (৮৯) وَاَمَّاۤ اِنْ كَانَ مِنْ اَصْحَابِ الْيَمِيْنِ (৯০) فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ اَصْحَابِ الْيَمِيْنِ (৯১) وَاَمَّاۤ اِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِيْنَ الضَّآلِّيْنَ (৯২) فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيْمٍ (৯৩) وَتَصْلِيَةُ جَحِيْمٍ (৯৪) اِنَّ هٰذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِيْنِ (৯৫) فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيْمِ (৯৬)

সূরা ওয়াকিয়ার অর্থ

পরম করম্নণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরম্ন করছি

১. যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। ২. (তখন) এর সংঘটন অস্বীকার করার মতো কেউ থাকবে না। ৩. এটা কাউকে করবে নীচু এবং কাউকে করবে সমুন্নত। ৪. যখন পৃথিবী প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে। ৫. পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। ৬. অতঃপর তা উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। ৭. তোমরা তিন শ্রেণিতে বিভক্ত হবে। ৮. ডান দিকের দল; (যারা ডান হাতে আমলনামা প্রাপ্ত) কতই না ভাগ্যবান ডান দিকের দল! ৯. এবং বাম দিকের দল; (যারা বাম হাতে আমলনামা প্রাপ্ত) কতই না হতভাগা বাম দিকের দল! ১০. আর অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই। ১১. তারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত। ১২. তারা থাকবে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতসমূহে। ১৩. তাদের অনেকেই হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে। ১৪. আর অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে। ১৫. (তারা থাকবে) স্বর্ণখচিত আসনসমূহে। ১৬. তারা তাতে হেলান দিয়ে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে বসবে। ১৭. (তাদের সেবায়) ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা। ১৮. (তারা হাজির হবে) পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবণ নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে। ১৯. সেই সুরা পানে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং তারা অজ্ঞানও হবে না। ২০. এবং তাদের পছন্দমতো ফলমূল (নিয়ে)। ২১. আর তাদের পছন্দমতো পাখির গোশত (নিয়ে)। ২২. আর (তাদের জন্য থাকবে) আয়তনয়না হুরগণ। ২৩. সযত্নে লুকিয়ে রাখা মুক্তার মতো। ২৪. তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ (এগুলো দেয়া হবে)। ২৫. সেখানে তারা কোন অসার অথবা পাপ বাক্য শুনবে না। ২৬. ‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ব্যতীত। ২৭. আর ডান হাতের দল, কতই না ভাগ্যবান ডান হাতের দল! ২৮. (তারা থাকবে এক উদ্যানে) সেখানে আছে কাঁটাবিহীন বরই গাছ। ২৯. কাঁদিভরা কলা গাছ। ৩০. সুদীর্ঘ ছায়া। ৩১. সদা প্রবাহমান পানি। ৩২. ও প্রচুর ফলমূল। ৩৩. যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও নয়। ৩৪. আর সমুন্নত শয্যাসমূহ। ৩৫. তাদেরকে (হুরদেরকে) আমি সৃষ্টি করেছি নতুনরূপে। ৩৬. তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। ৩৭. সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। ৩৮. এসব ডান দিকের লোকদের জন্য (পুরস্কারস্বরূপ)। ৩৯. তাদের অনেকেই হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য হতে। ৪০. আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য হতে। ৪১. আর বাম দিকের দল, কতই না হতভাগা বাম দিকের দল! ৪২. তারা থাকবে অত্যধিক গরম হাওয়ায় ও উত্তপ্ত পানিতে। ৪৩. কালো ধোঁয়ার ছায়ায়। ৪৪. যা শীতলও নয়, আরামদায়কও নয়। ৪৫. ইতিপূর্বে তারা তো মগ্ন ছিল ভোগ-বিলাসে। ৪৬. আর তারা জঘন্য পাপ কর্মে লিপ্ত ছিল। ৪৭. তারা বলতো, আমরা যখন মরে গিয়ে হাড় ও মাটিতে পরিণত হব, তখনও কি পুনরায় উত্থিত হব? ৪৮. এবং আমাদের পূর্বপুরম্নষগণও? ৪৯. বলো, অবশ্যই পূর্ববর্তীগণ এবং পরবর্তীগণও। ৫০. সকলকে একত্রিত করা হবে এক নির্ধারিত দিনের নির্ধারিত সময়ে। ৫১. অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যা প্রতিপন্নকারীরা! ৫২. তোমরা অবশ্যই যাক্কূম বৃক্ষ হতে আহার করবে। ৫৩. এবং তা দ্বারা পেট ভর্তি করবে। ৫৪. তারপর তোমরা পান করবে ফুটন্ত পানি। ৫৫. তা পান করবে তৃষ্ণার্ত উটের ন্যায়। ৫৬. কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। ৫৭. আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তবে কেন তোমরা বিশ্বাস করছ না? ৫৮. তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে? ৫৯. তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি? ৬০. আমি তোমাদের জন্য মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমি অক্ষম নই। ৬১. এ ব্যাপারে যে, আমি তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মতো (অন্যকে) নিয়ে আসব এবং তোমাদেরকে এমন (আকৃতিতে) তৈরি করব, যা তোমরা জান না। ৬২. তোমরা তো অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্বন্ধে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন? ৬৩. তোমরা যে বীজ বপন কর সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? ৬৪. তা কি তোমরা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি? ৬৫. আমি ইচ্ছা করলে তা খড়কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা হয়ে যাবে বিস্ময়ে হতবাক। ৬৬. (তখন তোমরা বলতে থাকবে) আমাদের তো বরবাদ হয়েছে! ৬৭. বরং আমরা বঞ্চিত হয়ে গেলাম। ৬৮. তোমরা যে পানি পান কর সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? ৬৯. তোমরাই কি তা মেঘ হতে বর্ষণ কর, না আমি বর্ষণ করি? ৭০. আমি ইচ্ছা করলে তা লবণাক্ত বানাতে পারি। তবুও কি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না? ৭১. তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? ৭২. তোমরাই কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি? ৭৩. আমি একে করেছি একটি নিদর্শনস্বরূপ এবং মরম্নবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু। ৭৪. সুতরাং তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। ৭৫. আমি শপথ করছি তারকারাজির অস্তাচলের। ৭৬. অবশ্যই এটা এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে। ৭৭. নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন। ৭৮. যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে। ৭৯. যারা পাক-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না। ৮০. এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ। ৮১. তবুও কি তোমরা এই বাণীকে (কুরআনকে) তুচ্ছ গণ্য করবে? ৮২. এবং একে মিথ্যা প্রতিপন্ন করাকেই তোমরা তোমাদের জীবিকা আহরণের পেশা বানিয়ে নিবে? ৮৩. অতঃপর যখন কারও প্রাণ কণ্ঠাগত হয়। ৮৪. আর তখন তোমরা তাকিয়ে দেখ। ৮৫. আর আমি তোমাদের চেয়ে (জানার দিক দিয়ে) তার অধিক নিকটতর; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না। ৮৬. যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়। ৮৭. তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরিয়ে নাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? ৮৮. যদি সে নৈকট্য প্রাপ্তদের একজন হয়। ৮৯. তার জন্য রয়েছে আরাম, উত্তম রিযিক ও নিয়ামতে ভরা জান্নাত। ৯০. আর যদি সে ডানপার্শ্বস্থদের একজন হয়। ৯১. (তবে তাকে বলা হবে,) তোমার জন্য ডানপার্শ্বস্থদের পক্ষ থেকে সালাম। ৯২. আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়। ৯৩. তবে তার আপ্যায়ন হবে টগবগে ফুটন্ত পানি দ্বারা। ৯৪. আর (তার জন্য রয়েছে) জাহান্নামের আগুনের দহন। ৯৫. নিশ্চয় এটাই চূড়ান্ত সত্য। ৯৬. অতএব তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন