hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮১
সূরা মুলক
এ সূরাটি প্রতি রাত্রে পড়া উচিত। এ সূরার মধ্যে আল্লাহর সৃষ্টির কৌশলের বর্ণনা, জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের অবস্থা, আল্লাহর অসীম ক্ষমতা এবং তার নিয়ামতরাজির বর্ণনা রয়েছে। এ সূরার শেষে আল্লাহ তা‘আলা তার ক্ষমতার প্রকাশস্বরূপ মানুষের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন।



تَبَارَكَ الَّذِيْ بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ (১) اَلَّذِيْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَّ هُوَ الْعَزِيْزُ الْغَفُوْرُ (২) اَلَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرٰى فِيْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرٰى مِنْ فُطُوْرٍ (৩) ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِيْرٌ (৪) وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُوْمًا لِّلشَّيَاطِيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيْرِ (৫) وَلِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ (৬) إِذَاۤ أُلْقُوْا فِيْهَا سَمِعُوْا لَهَا شَهِيْقًا وَّ هِيَ تَفُوْرُ (৭) تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَاۤ أُلْقِيَ فِيْهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَاۤ أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيْرٌ (৮) قَالُوْا بَلٰى قَدْ جَآءَنَا نَذِيْرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِيْ ضَلَالٍ كَبِيْرٍ (৯) وَقَالُوْا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِيْۤ أَصْحَابِ السَّعِيْرِ (১০) فَاعْتَرَفُوْا بِذَۢ نْبِهِمْ فَسُحْقًا لِّاَصْحَابِ السَّعِيْرِ (১১) إِنَّ الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَّ أَجْرٌ كَبِيْرٌ (১২) وَأَسِرُّوْا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوْا بِه ۤ إِنَّهٗ عَلِيْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ (১৩) أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ (১৪) هُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ ذَلُوْلًا فَامْشُوْا فِيْ مَنَاكِبِهَا وَكُلُوْا مِنْ رِّزْقِه وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ (১৫) أَأَمِنْتُمْ مَّنْ فِيْ السَّمَآءِ أَنْ يَّخْسِفَ بِكُمُ الْاَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُوْرُ (১৬) أَمْ أَمِنْتُمْ مَّنْ فِيْ السَّمَآءِ أَنْ يُّرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُوْنَ كَيْفَ نَذِيْرِ (১৭) وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيْرِ (১৮) أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَآفَّاتٍ وَّيَقْبِضْنَ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمٰنُ إِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍۢ بَصِيْرٌ (১৯) أَمَّنْ هٰذَا الَّذِيْ هُوَ جُنْدٌ لَّكُمْ يَنْصُرُكُمْ مِّنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِ إِنِ الْكَافِرُوْنَ إِلَّا فِيْ غُرُوْرٍ (২০) أَمَّنْ هٰذَا الَّذِيْ يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهٗ بَلْ لَّجُّوْا فِيْ عُتُوٍّ وَّنُفُوْرٍ (২১) أَفَمَنْ يَّمْشِيْ مُكِبًّا عَلٰى وَجْهِه ۤ أَهْدٰىۤ أَمَّنْ يَّمْشِيْ سَوِيًّا عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ (২২) قُلْ هُوَ الَّذِيْۤ أَنْشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَالْاَفْئِدَةَ قَلِيْلًا مَّا تَشْكُرُوْنَ (২৩) قُلْ هُوَ الَّذِيْ ذَرَأَكُمْ فِيْ الْاَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ (২৪) وَيَقُوْلُوْنَ مَتٰى هٰذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ (২৫) قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللهِ وَإِنَّمَاۤ أَنَا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ (২৬) فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيْٓئَتْ وُجُوْهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَقِيْلَ هٰذَا الَّذِيْ كُنْتُمْ بِه تَدَّعُوْنَ (২৭) قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللهُ وَمَنْ مَّعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَنْ يُّجِيْرُ الْكَافِرِيْنَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيْمٍ (২৮) قُلْ هُوَ الرَّحْمٰنُ اٰمَنَّا بِه وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا فَسَتَعْلَمُوْنَ مَنْ هُوَ فِيْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ (২৯) قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَآؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَّأْتِيْكُمْ بِمَآءٍ مَّعِيْنٍ (৩০)

সূরা মুলকের অর্থ

পরম করম্নণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরম্ন করছি

১. বরকতময় সেই সত্তা, যাঁর হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব; তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ২. যিনি জীবন ও মরণ সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন যে- কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম। আর তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। ৩. তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাতটি আকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না; আবার তাকিয়ে দেখো, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? ৪. অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখো, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকেই ফিরে আসবে। ৫. আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা (তারকারাজি) দ্বারা; আর সেগুলোকে শয়তানদেরকে প্রহার করার উপকরণ করেছি এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জাহান্নামের আযাব। ৬. আর যারা তাদের প্রতিপালকের সাথে কুফরি করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব, কতই না নিকৃষ্ট সে প্রত্যাবর্তনস্থল! ৭. যখন তারা তাতে (জাহান্নামে) নিক্ষিপ্ত হবে তখন তারা তার গর্জনের শব্দ শুনতে পাবে; আর তা টগবগ করে ফুটতে থাকবে। ৮. অত্যধিক ক্রোধে তা ফেটে পড়ার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তাদেরকে তার রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবে, তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি? ৯. তারা উত্তরে বলবে, হ্যাঁ আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, অতঃপর আমরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি; তোমরা তো মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ। ১০. তারা আরো বলবে, যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে অনুধাবন করতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না। ১১. অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। সুতরাং দূর হোক জাহান্নামবাসীরা। ১২. যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। ১৩. তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে, তিনি তো অন্তরের গোপনীয়তা সম্পর্কেই সম্যক অবগত। ১৪. যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি জানেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী, ভালোভাবে অবগত। ১৫. তিনি তোমাদের জন্য জমিনকে চলাচলের উপযোগী করেছেন; অতএব তোমরা এর রাস্তাসমূহে বিচরণ করো এবং তাঁর দেয়া রিযিক হতে আহার করো। তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। ১৬. তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভূমিকে ধ্বসিয়ে দেবেন না? তখন তা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে। ১৭. কিংবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর পাথর বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী! ১৮. আর তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যা আরোপ করেছিল; ফলে কীরূপ হয়েছিল আমার শাস্তি? ১৯. তারা কি লক্ষ্য করে না তাদের উপরের পাখির প্রতি, যারা ডানা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে? দয়াময় আল্লাহই তাদেরকে স্থির রাখেন। তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা। ২০. দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের এমন কোন সৈন্য আছে কি, যে তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফিররা তো ধোঁকায় পড়ে আছে মাত্র। ২১. তিনি যদি রিযিক বন্ধ করে দেন এমন কে আছে যে, তোমাদেরকে রিযিক দান করবে? বস্তুত তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে। ২২. যে ব্যক্তি উপুড় হয়ে মুখে

ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি সঠিক পথপ্রাপ্ত, না কি সেই ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে? ২৩. বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তঃকরণ। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। ২৪. বলুন, তিনিই পৃথিবী ব্যাপী তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে। ২৫. আর তারা (কাফিররা) বলে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও (তবে বলো) এই প্রতিশ্রুতি কবে বাস্তবায়িত হবে? ২৬. বলুন, এ জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকটই আছে; আমি স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। ২৭. যখন তা নিকটে দেখবে তখন কাফিরদের মুখমন্ডল বিবর্ণ হয়ে যাবে এবং তাদেরকে বলা হবে, এটাই তোমরা দাবি করতে। ২৮. বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি আল্লাহ আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের প্রতি রহম করেন তবে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে কে রক্ষা করবে? ২৯. বলুন, তিনিই দয়াময়, আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছি এবং তাঁর উপরই ভরসা করেছি; অচিরেই তোমরা জানতে পারবে যে, কে স্পষ্ট গোমরাহীতে রয়েছে। ৩০. বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি তোমাদের পানি ভূ-গর্ভের তলদেশে চলে যায় তবে কে তোমাদেরকে এনে দেবে প্রবাহমান পানি?

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ

وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন