মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. ওযুর পূর্বে মিসওয়াক করা সুন্নাত। আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের যদি কষ্ট না হতো, তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে প্রত্যেক ওযুর পূর্বে মিসওয়াক করার আদেশ করতাম। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৪৫; সহীহ বুখারী, হা/৮৮৭, সহীহ মুসলিম, হা/৬১২; আবু দাউদ, হা/৪৬; তিরমিযী, হা/২২; নাসাঈ, হা/৭; ইবনে মাজাহ, হা/২৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬০৭।]
২. মনে মনে ওযুর নিয়ত করবে। [সহীহ বুখারী, হা/১; আবু দাউদ, হা/২২০৩; মিশকাত, হা/১।]
৩. তারপর بِسْمِ اللهِ (বিসমিল্লাহ) বলবে। [তিরমিযী, হা/২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৩৯৭; আবু দাউদ, হা/১০২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/১০৬০।]
ওযুর শুরম্নতে কেবল বিসমিল্লাহ পড়ার কথা হাদীসে এসেছে। এ সময় অন্য কোন দু‘আ পড়ার বর্ণনা কোন সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় না। তাছাড়া ওযুতে প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় পৃথক পৃথক দু‘আ কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। ওযু শেষে সূরা কদর পাঠ করারও কোন দলীল নেই।
৪. তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে দু’হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করবে এবং আঙ্গুলসমূহ খিলাল করবে। [আবু দাউদ, হা/১৪২; তিরমিযী, হা/৭৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৪৪৮; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/১৬৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৮৭; মিশকাত হা/৪০৫।]
৫. তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে কুলি করবে এবং পরে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল দিয়ে নাক ঝাড়বে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৪৯২; মিশকাত হা/৩৯৪।] তবে সিয়ামরত অবস্থায় কুলি করা ও নাকে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. তারপর কপালের গোড়া থেকে দু’কানের লতি হয়ে থুতনীর নীচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ধৌত করবে এবং দাড়ি খিলাল করবে। [আবু দাউদ, হা/১৪২; তিরমিযী, হা/৭৮৮; নাসাঈ, হা/৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/৪০৭; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/১৫০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৮৭; মিশকাত, হা/৪০৫।] এজন্য এক অঞ্জলি পানি নিয়ে থুতনীর নীচে দিবে। [আবু দাউদ হা/১৪৫; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২৫০; মিশকাত, হা/৪০৮।]
৭. তারপর প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১০০; সহীহ বুখারী, হা/১৯৩৪; সহীহ মুসলিম, হা/৫৬০।]
৮. তারপর পানি নিয়ে দু’হাতের ভিজা আঙ্গুলগুলো মাথার সম্মুখ হতে পেছনে ও পেছন হতে সম্মুখে বুলিয়ে একবার পুরো মাথা মাসাহ করবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৪৯২; মিশকাত হা/৩৯৩-৯৪।] একই সাথে ভিজা শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতরের অংশ ও বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে পেছনের অংশ মাসাহ করবে। [নাসাঈ হা/১০২; মিশকাত হা/৪১৩।]
৯. তারপর প্রথমে ডান পা ও পরে বাম পা টাখনু পর্যন্ত ভালোভাবে ধৌত করবে [সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৪৯২; মিশকাত হা/৩৯৪।] এবং বাম হাতের আঙ্গুল দিয়ে উভয় পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করবে। [আবু দাউদ, হা/১৪২; তিরমিযী, হা/৭৮৮; নাসাঈ, হা/৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/৪০৭।]
১০. এভাবে ওযু শেষে বাম হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দেবে। [আবু দাউদ হা/১৬৮; নাসাঈ, হা/১৩৫; মিশকাত হা/৩৬১।]
১১. ওযু করার পর দু‘আ পাঠ করা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করবে এবং নিচের দু‘আটি পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে। ফলে সে যেকোন দরজা দিয়ে তাতে প্রবেশ করতে পারবে।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। [সহীহ মুসলিম, হা/ ৫৭৬; আবু দাউদ, হা/১৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৩১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২২২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৫০; মিশকাত, হা/২৮৯।]
১২. বাড়ি হতে ওযু করে মসজিদে যাওয়া সুন্নাত :
বাড়ি হতে ওযু করে মসজিদে যাওয়া সুন্নাত। হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি পবত্রিতা অর্জন করে ফরজ সালাত আদায় করার জন্য মসজিদের দিকে রওয়ানা হল তার প্রতিটি কদমে একটি একটি করে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, তার জন্য একটি করে দরজা বুলন্দ হবে। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৩০।]
১৩. ওযুর পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া :
ওযুর পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া উচিত। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ একমুদ (আধাসের পরিমাণ) পরিমাণ পানি দ্বারা ওযু করতেন। [বায়হাকী, হা/৪৯০।]।
কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, অযুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমন্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে। [সহীহ বুখারী, হা/১৩৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৮৪, ১০৭৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৪৯; জামেউস সগীর, হা/৩৭৬৮; মিশকাত, হা/২৯০।]
১৫. ওযুর পর তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত আদায় করা সুন্নাত :
তাহিয়্যা শব্দের অর্থ হচ্ছে উপঢৌকন। ওযু করার পর ওযুর উপহার হিসেবে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করাকে তাহিয়্যাতুল ওযু বলে। এ সালাতের অনেক ফযীলত রয়েছে। এ আমলের প্রতিদানস্বরূপ রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রাঃ) এর পায়ের শব্দ জান্নাতে শুনতে পান।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ একদিন ফজরের সালাতের পর বেলাল (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে বেলাল! ইসলামের মধ্যে তোমার এমন কী আমল আছে, যার বিনিময়ে তুমি পুরস্কৃত হওয়ার আশা রাখ? কেননা আজ রাতে আমি জান্নাতে আমার সামনে তোমার জুতার (চলাচলের) শব্দ পেয়েছি। বেলাল (রাঃ) বললেন, আমি তেমন কোন আমল করিনি যার আশা করতে পারি; তবে দিনে বা রাতে যখনই ওযু করি তখনই যতটুকু আল্লাহ তাওফীক দেন সালাত আদায় করি। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৬।]
উক্ববা ইবনে আমের আল জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সুন্দর করে ওযু করবে এবং তার চেহারা ও অন্তর উভয়কে আল্লাহমুখী করে দু’রাক‘আত সালাত পড়বে, তার উপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। [আবু দাউদ, হা/৯০৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৬; নাসাঈ, হা/১৫১।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/290/26
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।