hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খণ্ড

লেখকঃ ডক্টর মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৫৪
বেতরের নামাজ কাজা করার বিধান
50 - عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ اَلْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ نَامَ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ؛ فَلْيُصَلِّ إِذَا ذَكَرَ وَإِذاَ اسْتَيْقَظَ ".

( جامع الترمذي، رقم الحديث 465 ، واللفظ له، وسنن أبي داود، رقم الحديث 1431 ، وسنن ابن ماجه، رقم الحديث 1188 ، وصححه الألباني ).

50 - অর্থ: আবু সাঈদ আলখুদরী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি বেতরের নামাজ না পড়ে শুয়ে যাবে অথবা বেতরের নামাজ পড়তে ভুলে যাবে, সে ব্যক্তি যখনই তা স্মরণ করবে কিংবা নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে, তখনই বেতরের নামাজ পড়ে নিবে”।

[জামে তিরমিযী, হাদীস নং 465, এবং সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 1431 এবং সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 1188, তবে হাদীসের শব্দগুলি জামে তিরমিযী থেকে নেওয়া হয়েছে। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয় পূর্বে 43 নং হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। এই হাদীসটির বাহ্যিক অবস্থার দ্বারা এটা প্রতিমান হয় যে, যে ব্যক্তি বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে শুয়ে যাওয়ার কারণে অথবা ভুলে যাওয়ার কারণে, সে ব্যক্তি যখনই তা স্মরণ করবে কিংবা নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে, রাত্রিবেলায় অথবা দিনের বেলায়, তখনই সে বেতরের নামাজ পড়ে নিবে। যেহেতু আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “কোনো ব্যক্তি কোনো নামাজ ভুলে গেলে কিংবা কোনো ব্যক্তির ঘুমের কারণে নামাজ ছুটে গেলে তার কাফফারা হলো এই যে, সে উক্ত নামাজের কথা স্মরণ করলেই সাথে সাথে সেই নামাজ পড়ে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 315 - (684) ]।

2। প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কতকগুলি পণ্ডিত বলেছেন: যে ব্যক্তি ঘুমের কারণে বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে ব্যক্তি বেতরের নামাজ পড়বে চাশতের নামাজের সময়ে। তবে সে বেতরের নামাজ বিজোড় ও অযুগ্ম পড়বে না বরং যুগ্ম করে পড়বে। যেহেতু আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা আয়েশা উম্মুলমুমেনীন [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন কোনো নফল নামাজ পড়তেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবেই পড়তে পছন্দ করতেন। তবে যদি তাঁর উপর ঘুম প্রবল হতো অথবা তাঁর কোনো প্রকার কষ্ট হতো, তাহলে তিনি দিনে বারো রাকাআত নফল নামাজ পড়তেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 139 - (746) ]।

3। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি বেতরের নামাজ কাজা করার বিষয়ে উল্লিখিত দুইটি মতের মধ্যে থেকে যে মতটি তার পছন্দ হবে সে মতটি সে গ্রহণ করবে, তবে প্রথম মতটি বেশি প্রাধান্য দেওয়ার উপযোগী। আর এই বিষয়ে মহান আল্লাহই বেশি জানেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন