hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খণ্ড

লেখকঃ ডক্টর মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৬৫
আক্রমণকারীকে দমন করা অপরিহার্য
61 -عَنْ سَعِيْدِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : " مَنْ قُتِلَ دُوْنَ مَالِهِ؛ فَهُوَ شَهِيْدٌ، وَمَنْ قُتِلَ دُوْنَ أَهْلِهِ، أو دُوْنَ دَمِهِ، أو دُوْنَ دِيْنِهِ؛ فَهُوَ شَهِيْدٌ ".

( سنن أبي داود، رقم الحديث 4772 ، واللفظ له، وجامع الترمذي، رقم الحديث 1421 ، وسنن النسائي، رقم الحديث 4095 ، وسنن ابن ماجه، رقم الحديث 2580 ، وقال الإمام الترمذي عن هذا الحديث بأنه : حسن صحيح، وصححه الألباني ).

61 - অর্থ: সাঈদ বিন জ্যাইদ [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে বর্ণনা করেছেন, নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “যে ব্যক্তি নিজের সম্পত্তি রক্ষা করার কারণে নিহত হবে, সে শাহীদ বলেই বিবেচিত হবে। যে ব্যক্তি নিজের পরিবার রক্ষার কারণে নিহত হবে সেও শাহীদ বলেই বিবেচিত হবে। অথবা যে ব্যক্তি নিজের প্রাণ রক্ষার কারণে কিংবা নিজের সত্য সঠিক ধর্ম ইসলাম রক্ষার কারণে নিহত হবে সেও শাহীদ বলেই বিবেচিত হবে”।

[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 4772 এবং জামে তিরমিযী, হাদীস নং 1421, সুনান নাসায়ী, হাদীস নং 4095 এবং সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 2580, তবে হাদীসের শব্দগুলি সুনান আবু দাউদ থেকে নেওয়া হয়েছে। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ (সুন্দর সঠিক) বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

আবুল আওয়ার সাঈদ বিন জ্যাইদ আলআদাভী আলকুরাশী একজন মহাবিখ্যাত সাহাবী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হিজরতের 22 বছর পূর্বে মাক্কা মহানগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মাদীনায় হিজরত করেন। এবং বদরের যুদ্ধ ছাড়া আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে সমস্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বদরের যুদ্ধে তিনি এই জন্য অংশগ্রহণ করতে পারেন নি যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁকে কুরাইশ বংশের বাণিজ্যিক যাত্রিদলের সংবাদ সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে শাম দেশের রাজপথের দিকে গুপ্তচর হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন।

যে দশজন সাহাবীকে দুনিয়াতেই জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেই দশজন সাহাবীগণের মধ্যে হলেন তিনি একজন। ইসলাম ধর্ম আবির্ভূত হওয়ার প্রথম দিকেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ও সহধর্মিণী উম্মু জামীল ফাতিমা বিনতুল খাত্তাবসহ এক সাথে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

আবুল আওয়ার সাঈদ বিন জ্যাইদ [রাদিয়াল্লাহু আনহু] মাদীনায় হিজরত করেন। এবং ওহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আর আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে আরো সমস্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যেহেতু তিনি বদরের যুদ্ধের সময় মাদীনায় ছিলেন না, সেহেতু তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। তবুও আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁকে বদরের যুদ্ধের গানীমাতের মাল (ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) এর একটি অংশ প্রদান করেছিলেন। কেননা তিনি তাঁকে গুপ্তচর হিসেবে কুরাইশ বংশের বাণিজ্যিক যাত্রিদলের সংবাদ সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে শাম দেশের রাজপথের দিকে প্রেরণ করেছিলেন।

হাদীস গ্রন্থে তাঁর কাছ থেকে বর্ণিত 48 টি হাদীস পাওয়া যায়।

তিনি একজন বেঁটে আকারের মানুষ ছিলেন। তিনি মাদীনা শহরের বাইরে সাত মাইল দূরে আকীক নামক জায়গাতে সন 51 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। আবার এটাও বলা হয়েছে যে, তিনি সন 52 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেছেন। অতঃপর সেই আকীক নামক জায়গা থেকে মানুষের কাঁধে করে তাঁর দেহ মাদীনা শহরে নিয়ে আসা হয়। [রাদিয়াল্লাহু আনহু]।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির প্রতি একটি ওয়াজেব ও অপরিহার্য কাজ হলো এই যে, সে যেন নিজেকে, নিজের পরিবারকে এবং নিজের মহিলাদেরকে যেমন:- উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, নিজের মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রীকে বা নিজের সম্পদকে অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে বা আক্রমণকারীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। সুতরাং আক্রমণকারীকে প্রথমে সহজ পদ্ধতিতে দমন করার জন্য দমননীতি অবলম্বন করবে। তাতে কাজ না হলে তাকে হনন করবে। আর এই হননের কোনো কেসাস বা শাস্তি নেই, ক্ষতিপূরণ অথবা দিয়াত নেই এবং কোনো প্রায়শ্চিত্ত কিংবা কাফ্ফারাও নেই; যেহেতু এই বিষয়ে প্রকৃত ইসলামের এটাই বিধান। আর হননীয় আক্রমণকারী বা নির্যাতনকারীকে জাহান্নামী ব্যক্তি বলে সতর্ক করা হয়েছে। আর নির্যাতিত ব্যক্তিকে হত্যা করা হলে সে শাহীদ বলেই গণ্য করা হয়েছে।

2। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির সত্তা, ধর্ম, সম্পদ এবং পরিবারের লোকজনের সম্মান রক্ষা করার বিষয়টি নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং এই নির্ধারিত বিষয়টির প্রতি যে ব্যক্তি আক্রমণ বা হামলা করবে, তাকে কঠোর ভাবে দমন করতে হবে। তাই আক্রমণকারীকে দমন করতে গিয়ে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে, সে ব্যক্তি শাহীদ হওয়ার মর্যাদা লাভ করবে।

3। এই হাদীসটির সারাংশ হলো এই যে, যে ব্যক্তি আক্রমণকারীর হাত থেকে নিজের সম্পদ, নিজের পরিবারের লোকজন, নিজের মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রী, নিজের জীবন এবং নিজের প্রকৃত ধর্ম ইসলামকে রক্ষা করতে যাওয়ার কারণে আক্রমণকারীর হাতে মৃত্যুবরণ করবে, সে ব্যক্তি শাহীদ বলেই গণ্য করা হবে এবং পরকালে সে শাহীদের পুণ্য ও মর্যাদা লাভ করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন