hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খণ্ড

লেখকঃ ডক্টর মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

৫৭
মাতার সাথে ন্যায়পরায়ণতার অধিকার সর্বশ্রেষ্ঠ
53 -عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللَّهِ ! مَنْ أحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ : " أُمُّكَ " قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : " ثُمَّ أُمُّكَ " ، قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : " ثُمَّ أُمُّكَ " ، قَالَ : ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ : " ثُمَّ أَبُوْكَ ".

( صحيح البخاري، رقم الحديث 5971 ، وأيضاً صحيح مسلم، رقم الحديث 1 - (2548)،).

53 - অর্থ: আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নিকটে এসে বললো: হে আল্লাহর রাসূল! আমার ন্যায়পরায়ণতার অধিকতর অধিকারী কে? আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন: “তোমার মাতা” । সেই লোকটি বললো: তারপর কে? তিনি বললেন: “তারপর তোমার মাতা” সেই লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো: তারপর কে? তিনি বললেন: “তাপরও তোমার মাতা” তারপর সেই লোকটি আবার বললো: তারপর কে? তখন আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন: “তারপর তোমার পিতা”।

[সহীহ বুখারী, হাদীস নং 5971 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 1 -(2548)]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয় পূর্বে 1 নং হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। এই হাদীসটির মধ্যে ( اَلصَّحَابَة ) শব্দটির অর্থ হলা: ন্যায়পরায়ণতার সহিত সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং সদাচরণ।

2। এই হাদীসটির মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার অধিকতর অধিকারী মাতাকেই সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার কারণ হলো এই যে, সন্তানের জন্য মাতাকেই সব চেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। সন্তানের জন্য মাতাকেই সব চেয়ে বেশি দয়া, স্নেহ এবং যত্ন করতে হয়। আবার সন্তানকে দুধ পান ও লালন-পালন করার সমস্ত কষ্ট মাতাকেই সহ্য করতে হয়। সন্তানের অসুখের সময় মাতাকেই সজাগ থাকতে হয়। এই রকমভাবে সন্তানের সব ক্ষেত্রে ও সর্বাবস্থায় বেদনা ও কষ্ট মাতাকেই সহ্য করতে হয়। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্মে মাতার সাথে ন্যায়পরায়ণতার অধিকার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থায় সাব্যস্ত করা হয়েছে।

3। মানুষের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সহিত সর্বশ্রেষ্ঠ আচার-ব্যবহারের অধিকারী হলেন মাতা। সুতরাং তাঁর সাথে ন্যায়পরায়ণতার সহিত সুসম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যম হলো: তাঁর সাহায্য ও সেবাযত্ন করা, তাঁর পানাহারের প্রয়োজন পূরণ করা, তাঁর সাথে নম্রভাবে বিনয়ীর সুরে কথা বলা, তাঁর প্রয়োজন ও পছন্দ মত তাঁকে উপহার প্রদান করা, তাঁর প্রতি শ্রদ্বা নিবেদন করা, তিনি দূরে থাকলে তাঁর সাথে মাঝে মধ্যে সাক্ষাৎ করা, তাঁর সাথে সদাসর্বদা সুসম্পর্ক স্থাপন করে রাখা, তাই তাঁর সাথে কোনো দিন সুসম্পর্ক ছিন্ন করা বৈধ নয়, তবে তাঁর সাথে বেশি সাক্ষাৎ করে তাঁকে কষ্ট দেওয়া অথবা তাঁকে বিরক্ত করা বা অসন্তুষ্ট করা উচিত নয়। তিনি অসুস্থ বা পীড়িত হলে তাঁর আরাম ও শান্তি লাভের ব্যবস্থা করার জন্য সজাগ থাকা, তাঁর জন্য দোয়া করা; কেননা সমস্ত জাগতিক বিষয়ে তাঁর সাথে ন্যায়পরায়ণতার সহিত সদাচরণ ও সুসম্পর্ক স্থাপন করে রাখাই হলো তাঁর অধিকার, যদিও তিনি মহা পাপে এবং আল্লাহর সাথে শির্ক ও অংশীদার স্থাপনের কাজে লিপ্ত থাকেন। কিন্তু মাতা যখন সঠিক পন্থায় প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক অত্যন্ত ধার্মিকী হয়ে মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসূলকে মেনে চলবেন, তখন তাঁর অধিকার সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সব চেয়ে বেশি বড়ো হয়ে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন