hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নির্বাচিত হাদীস পঞ্চম খণ্ড

লেখকঃ ডক্টর মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ

নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানোর পদ্ধতি
5 - عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِيْ وَقَّاصٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : كُنْتُ أَرَى رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ، حَتَّى أَرَى بَيَاضَ خَدِّهِ .

( صحيح مسلم، رقم الحديث 199 - (582)، ).

5 - অর্থ: সায়াদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাদিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আমি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে দেখতাম, তিনি নামাজের কাজ শেষ করে নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য ডান দিকে এবং বাম দিকে এমন পদ্ধতিতে সালাম ফিরাতেন যে, আমি তাঁর গালের সাদা ঝলক দেখতে পেতাম।

[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 199 - (582) ]।

* এই হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর পরিচয়:

আবু ইসহাক সায়াদ বিন আবু অক্কাস আজ জহরী আল কুরাশী একজন মহাবিখ্যাত সাহাবী [রাদিয়াল্লাহু আনহু] । তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর হিজরতের 23 বছর পূর্বে মাক্কা মহানগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। এবং সেখানেই তিনি প্রতিপালিত হন ও বড়ো হন। তিনি ইসলাম ধর্ম আবির্ভূত হওয়ার প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। যে দশজন সাহাবীকে দুনিয়াতেই জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেই দশজন সাহাবীগণের মধ্যে হলেন তিনি একজন। ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহু] যে ছয়জন সাহাবীগণের মধ্যে থেকে একজনকে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে মুসলিম জাহানের খালীফা ও শ্রেষ্ঠনৃপতি নিযুক্ত করার জন্য একটি পরিষদ বা সভা গঠন করেছিলেন, সেই ছয়জন সাহাবীগণের মধ্যে সায়াদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাদিয়াল্লাহু আনহু] ছিলেন অন্যতম একজন মহাসাহাবী।

তিনি মাদীনায় হিজরত করেন। এবং বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে আরো সমস্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মায়ের পিতৃব্যপুত্র ছিলেন। তাই আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁকে মামা বলেই ডাকতেন। অর্থাৎ তিনি ছিলেন তাঁর মামাদের অন্তর্ভুক্ত যদিও তিনি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মায়ের সহোদর ভাই ছিলেন না।

সায়াদ বিন আবু ওয়াক্কাস ছিলেন একজন বিরাট সাহসী ও যোদ্ধা সাহাবী। এবং আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বড়ো বড়ো নেতাদের অন্তর্গতই ছিলেন তিনি। আবু বাকর ও ওমার [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] দুই খালীফার আমলে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রমে তাঁর মহা অবদান রয়েছে। ওমার এবং ওসমান [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] এর আমলে তাঁকে কুফা শহরের আমির বা শাসক নিযুক্ত করা হয়েছিল।

সায়াদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাদিয়াল্লাহু আনহু] পারস্য এবং ইরাক সাম্রাজ্যের যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রধান নেতা ও সেনাপতি ছিলেন। এবং আল্লাহর করুণায় তিনি কাদসিয়ার যুদ্ধে পারস্য এবং ইরাক সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনীকে পরাজিত ও পরাস্ত করে জয়লাভ করেন। মাদায়েনের যুদ্ধেও তিনি জয়লাভ করেন। তিনি মহান আল্লাহর কাছে এমন পবিত্র মানুষ ছিলেন যে, আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করে নিতেন। তাঁর মহামর্যাদার সমস্ত কথা এখানে উল্লেখ করার সুযোগ নেই বলে এই বিষয়টিকে অধিক দীর্ঘ করলাম না।

অতঃপর সাহাবীগণের মধ্যে যখন ফেতনা এবং অমঙ্গল সৃষ্টি হয়, তখন তিনি রাজনীতির কাজ এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম পরিত্যাগ করে মাদীনা শহর থেকে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে অবস্থান করেন। এবং নিজের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে আদেশ প্রদান করেন যে, তারা যেন সাহাবীগণের মধ্যে যে ফেতনা এবং অমঙ্গল সৃষ্টি হবে, সেই ফেতনা এবং অমঙ্গলের কোনো সংবাদ বা রাষ্ট্রীয় কোনো খবর তাঁর কাছে না পৌঁছায়।

হাদীস গ্রন্থে তাঁর কাছ থেকে বর্ণিত 270 টি হাদীস পাওয়া যায়।

তিনি একজন বেঁটে আকারের মানুষ ছিলেন। তিনি মাদীনা শহর থেকে সাত মাইল দূরে আকীক নামক জায়গাতে তাঁর প্রাসাদে সন 55 হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। সেখান থেকে তাঁর দেহ মাদীনা শহরে নিয়ে আসা হয় এবং মাদীনা শহরের শাসক মারওয়ান ইবনুল হাকাম তাঁর জানাজার নামাজ পড়ান। এবং তাঁকে মাদীনার আল বাকী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। হিজরতকারী সাহাবীগণের মধ্যে তিনিই সব শেষে মৃত্যুবরণ করেছেন।

* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

1। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্যক্তি বা মুসাল্লি নামাজের কাজ শেষ করে নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে এমন পদ্ধতিতে সালাম ফিরাবে যে, তার পাশে নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্যক্তি বা মুসাল্লি তার গাল দেখতে পায়।

2- নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্যক্তি বা মুসাল্লি নামাজের কাজ শেষ করে নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে বলবে:

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ”

(অর্থ: “আপনাদের প্রতি সর্ব প্রকার শান্তি, আল্লাহর করুণা ও তাঁর কল্যাণ অবতীর্ণ হোক”।)

কেননা এই পদ্ধতিটি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তিনি ডান দিকে সালাম ফিরানোর সময় এমন পদ্ধতিতে বলতেন:

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ”

যে তাঁর গালের সাদা ঝলক ডান দিক থেকে দেখা যেতো।

অনুরূপভাবে তিনি বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় এমন পদ্ধতিতে বলতেন:

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ”

যে তাঁর গালের সাদা ঝলক বাম দিকে থেকে দেখা যেতো।

[সুনান নাসায়ী, হাদীস নং 1325, সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 996, জামে তিরমিযী, হাদীস নং 295, এবং সুনান ইবনু মাজাহ, হাদীস নং 914, তবে হাদীসের শব্দগুলি সুনান নাসায়ী থেকে নেওয়া হয়েছে। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান এবং সহীহ (সঠিক) বলেছেন। আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী হাদীসটিকে সহীহ (সঠিক) বলেছেন]।

3- নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্যক্তি বা মুসাল্লি নামাজের কাজ শেষ করে নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য ডান দিকে এবং বাম দিকে সালাম ফিরানোর বিষয়টি হলো নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকুন। এই রুকুন পালন না করলে নামাজ সঠিক বলে বিবেচিত হবে না। এটাই হলো সাহাবীগণ [রাদিয়াল্লাহু আনহুম] এবং অধিকাংশ ওলামায়ে ইসলাম ও পণ্ডিতগণের অভিমত। তাই নামাজ আদায়কারী মুসলিম ব্যক্তি বা মুসাল্লি নামাজের কাজ শেষ করে নামাজ হতে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানোর বিষয়টি প্রকৃত ইসলাম ধর্মে সাব্যস্ত রয়েছে। এবং নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আমল সারা জীবন এই পন্থার উপরেই অটল ছিলো। কিন্তু কতকগুলি ওলামায়ে ইসলাম [রাহিমাহুমুল্লাহ] এই সালাম ফিরানোর বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকুন না বলে সুন্নাত বলেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন