মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বহু বিখ্যাত মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন যারা বোকাও নন, অত্যচারেও নয় এবং অন্ত্রের ভয়েও নয় বরং স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। যেমন আফ্রিকা মহাদেশের উগাণ্ডার বিখ্যাত পণ্ডিত এবং খৃষ্টান ধর্ম প্রচারক রেভারেন্ড পল। তিনি ১৯৭৫ সনের ২৬শে মে মুসলমান হয়েছেন। অথচ আকস্মিকভাবে নয়, যুগ যুগ ধরে বহু ধর্ম ও নীতি নিয়ে গবেষণা করে তারপর তার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
ফ্রান্সের সেলমা বেঁয়োস্ত বিরাট প্রভাবশালী পুরুষ এবং একজন সৃজনশীল বৈজ্ঞানিক। তিনি ওষুধের উপর ডক্টর ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। তিনি অনেক পড়াশোনা ও সমীক্ষা করেন। Le phenomene Coranique বই খানি পড়ে ইসলামের প্রতি আরো আকৃষ্ট হন। বইটির লেখক হচ্ছেন Malek Ben Nabi। তিনি ১৯৫৩ সনে ২০শে ফেব্রুয়ারী ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলমান হওয়পর পর তার পুরা নাম হয়-আলী সেলমা বেঁয়োস্ত (Ali Selman Benoist)। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এখানে অস্ত্রের জোরে কাজ হয়নি।
১৯ শতকে অধ্যাপক লিওন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি আমেরিকা ও ইউরোপের বহু সংস্থার সভ্য ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বিজ্ঞানী এবং সু-গ্রন্থকার। ভূবিজ্ঞান ও শব্দ বিজ্ঞান (Etymolgv) তার বিষয় ছিল। তার ডিগ্রী ছিল-এম, এ, পি-এইচ-ডি., এল, এল, বি. এফ, এস, পি। লণ্ডন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে একটি বিখ্যাত পত্রিকা প্রকাশিত হত, যেটার নাম ছিল The Philomathe। তিনি সে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মুসলমান হওয়ার পর তার নাম প্রফেসর হারুন মোস্তফা লিওন।
জার্মানীর বিখ্যাত কুটনীতিজ্ঞ এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী মনীষী মিঃ ‘হবহম' অনেক আলোচনা ও সমীক্ষা চালিয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মিঃ হবহমের মুসলমান হওয়ার পর নতুন নাম হয় Mohammad Arman Hobhorm (মোহাম্মদ আমীন হুবহম)। তাছাড়া সাধারণ জার্মান যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তাদের নাম উল্লেখে শুধু বই-এর কলেবরই বৃদ্ধিই হবে।
ইংল্যান্ডের স্যপর লডার ব্রান্টন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এ ইউনিভারসিটিতে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। তিনি একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বেরনেট ছিলেন। ইংল্যান্ড সরকার তাকে সম্মানীয় স্যার উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি একজন নিষ্ঠাবান খৃষ্টান ছিলেন। অনেক পড়াশোনা এবং রিসার্চ করার পরে তাকে মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার মুসলমান হওয়ার পরে নাম হয় Sir Jalaluddin Lauder Brunton (স্যার জালালুদ্দিন লডার ব্রান্টন)
আমেরিকার মিঃ আলেকজান্ডপর নিউইয়র্কে পড়াশোনা করে নানা পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। কিছুদিনের মধ্যে বিখ্যাত লেখক হয়ে ক্ষান্ত হলেন না বরং দুটি ভাল পত্রিকার সম্পাদক হয়ে সে দুটো পরিচালনাও করতেন। একটি হচ্ছে St. Josheph Gazette এবং দ্বিতীয় হচ্ছে Missouri Republican। জ্ঞানবৃদ্ধির সাথে সাথে গবেষণাও চলতে লাগল, শেষে তিনিও স্বেচ্ছায় মুসলমান হলেন। তখন তার নাম হোল, মোহাম্মদ আলেকজান্ডার রাসেল ওয়েব।
অষ্টিয়ার বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও গ্রন্থকার Leopold whiss (লিয়োপন্ড উইস) ১৯০০ সনে জনুগ্রহণ করেন। ১৯২২ সনে বহিভ্রমণে বের হয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। ধর্ম সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু মন চঞ্চল হয়ে পড়ে। অবশেষে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হন। মুসলমান হওয়ার পরেও দুখানি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। একটি হচ্ছে Islam at the Goss Road, দ্বিতীয়টি হচ্ছে Road to Mecca। মুসলমান হওয়ার পর তিনি নতুন নাম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আসাদ।
ইংল্যান্ডের লর্ড হেডলি যে বিখ্যাত খৃষ্টান মনীষী ছিলেন তার লর্ড' উপাধিতেই তা বোঝা যায়। তিনি লর্ড সভার সভ্য, উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিজ্ঞ এবং গ্রন্থকার ছিলেন ১৯১৩ সনে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি ছিলেন 4th B.N.M.F, এর নৌবাহিনীর বৃটিশ কর্ণেল। তাছাড়া তিনি ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ার। মুসলমান হওয়ার পরে তিনি নিজের নাম গ্রহণ করেছিলেন Lord Headley Faruque (লর্ড হেডলি ফারুক)
জাপানের মিঃ তাকিউচ্ছি একজন মানবজাতিতত্ত্ব বিশারদ। তিনিও মুসলমান হয়েছিলেন নিজের ইচ্ছাতে। তিনি বলেছিলেন-আজকে জাপান এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত দেশ, জাপানীরা শুধু কারিগরী বিদ্যায় উন্নত। কিন্তু যদি আমার মত এরা ইসলামকে বোঝবার জন্য একটু সময় দিত তাহলে তা গ্রহণ করে দেখত শুধু শিল্পে নয়, ইসলামের প্রকৃত চরিত্র নিয়ে অগ্রসর হলে সে সর্ববিষয়ে সুখী ও পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে। তিনিও নতুন নাম গ্রহণ করেছিলেন-মোহাম্মদ সুলাইমান তাকিউচি। '। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের টমাস ক্লেটন বুদ্ধিমান প্রতিপত্তিশালী ও পণ্ডিত মানুষ ছিলেন। তিনিও তরবারির ভয়ে নয় বরং মানবিক প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নতুন নাম গ্রহণ করেন-টমাস মোহাম্মদ ক্লেটন Thomas Muhammad Cleaton)
আমেরিকার ওয়ান্ড চ্যাম্পিয়ান মুষ্টিযোদ্ধা ক্যাসাইয়াসকের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে। তিনি মুসলমান হয়েছিলেন অস্ত্রের ভয়ে নয়, কারোর প্ররোচনাতেও নয়, নিশ্চিতভাবে স্বেচ্ছায়। বরং খৃস্টান হতে মুসলমান হওয়ার জন্য তাঁর খেতাব সম্মান ও প্রাণ নিয়ে টানাটানি চলে কিন্তু স্বদর্পে তিনি ঘোষণা করলেন, আমার নাম আর ক্যাসইয়াসক্লে নয়, আমি এখন মোহাম্মদ আলী। আর এক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ান বক্সার মাইক টাইসনও যে খুব সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তা বিশ্ববাসী জেনেছে। তার নতুন নাম হয়েছে আযীয।
সুলাইমান করনানীর সেনাপতি কালাপাহাড় সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশীয় হিন্দু ছিলেন। তিনিও স্বেচ্ছায় মুসলমান হন। বাংলার বারভূঁইয়াদের অগ্রণী ইসাখা একটা বিখ্যাত ঐতিহাসিক নাম। তার বাবা কালিদাস ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ার পূর্বে বিখ্যাত ব্রাহ্মণ ছিলেন। " মিঃ কেনেডি যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সে সময় আমেরিকার নিউইয়র্কের বিখ্যাত বিদুষী মহিলা মার্গারেট মারকিউস ছিলেন সম্ভ্রান্ত খৃস্টান। তিনি অত্যন্ত ভাল লেখিকা ও সমালোচিকা। অনুসন্ধিৎসু মনে ঝড় উঠল তার খৃষ্টান ধর্ম তাকে চরম ও পরম পর্যায়ে
হতে পারে কিনা? অনেক পড়াশোনা করলেন এবং নামজাদা ভাল পণ্ডিত ও লেখকদের পথে পত্রালাপ করলেন, তার মধ্যে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মওদুদী সাহেবের সাথেও অনেকগুলো দীর্ঘপত্র দেয়া নেয়া হয়। অবশেষে সে খৃষ্টান মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম নিলেন-মারিয়াম জামিলা। তিনি যার কাছে মুসলমান হন তাঁর নাম সেখ অউদ আবমাদ ফাইসাল।
মিঃ ওয়েন মারিশন বিশ্ববিশ্রুত সাংবাদিক। আন্তর্জাতিক পত্রিকা ‘উইকে'র সম্পাদক। যিনি নিত্য নতুন সংবাদ সারা বিশ্বে পরিবেশন করেন, তিনি নিজেই একটা সংবাদে পরিণত হলেন অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম গ্রহণ করলেন সালমান ওয়েল মরিশন। এটা বিগত ১৯৮৪ এর ঘটনা।
আবার যদি পিছিয়ে যাই তাহলে দেখা যাবে, বিখ্যাত ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন মুর্শিদকুলি খাঁ নতুন মুসলমান অনেকে যেমন নানাভাবে হিন্দুদের উপর বিশেষ করে জাতি ও ধর্মের উপর আঘাত দিয়েছেন বা দেয়ার চেষ্টা করছেন, মুর্শিদকুলি খাঁ- কিন্তু মুসলমানদের বিশেষভাবে বাদ দিযে হিন্দুদের মধ্য হতে জমিদার রাজা' ‘মহারাজা' ইত্যাদি পদ সৃষ্টি করে হিন্দুজাতির অর্থনৈতিক উন্নতির সৌধ নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন। (দ্রঃ তারিখ-ই বাঙ্গালাহ পৃষ্ঠা ৪০৩-৪)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/492/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।