মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দিল্লির হযরত শাহ ওলিউল্লাহ (রহঃ) ছিলেন সে যুগের ভারতের শ্রেষ্ঠতম আলেম। ১৭০৩ খৃষ্টাব্দে তার জন্য। তিনিই প্রথম চিন্তানায়ক, আলেম যিনি ইংরেজ ভারত থেকে তাড়িয়ে দেয়া জরুরি মনে করে সংগঠনের বীজ ফেলে গেছেন। তাঁর পুত্র, ছাত্র ও শিষ্যগণ তার এ সুপরিকল্পিত সংগঠনের সভ্য ছিলেন।
সৈয়দ আহমদ বেরেলী (রহঃ) ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দের ২৯শে নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি উপরোক্ত এ সংগঠনেরই সভ্য ছিলেন। ইংরেজ বিতাড়ন পরিকল্পনা তার মাথায় এমন গাঢ় হয়ে বসে গেল যে, তিনি বিখ্যাত আলেম হওয়ার সময় আর পেলেন না। তবে চরিত্র মাধুর্য ও আধ্যাত্মিকতার উন্নতির চরম সীমায় পৌছেছিলেন। দৈহিক ক্ষমতাও তার সাধারণ মানুষের থেকে বেশি ছিল। তিনি ছোটবেলা থেকেই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করতেন। যুবক হবার পরেও মনের অঙ্কুরিত ই যেন ফুলে ফলে বড় হয়ে উঠল। তাই তিনি যোগ দিলেন ‘এক ক্ষুদ্র সামন্ত প্রভুর সেনাবাহিনীতে, শিখলেন সামরিক কলাকৌশল। এর সাথে অন্যদের সাহায্য করার বিনিময়ে শিখলেন প্রশাসনিক কাজকর্ম।' কিন্তু এ মুসলমান সামন্ত প্রভু ইংরেজদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করল। সাথে সাথে ঘৃণাভরে চাকরি খতম করে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলেন বাড়িতে।
তারপর শিষ্য সংখ্যা বাড়াতে লাগলেন ও সারা ভারত ঘুরে ফেললেন। পরে তিনি হজ যাত্রা করলেন। ইংরেজের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সাথে মুসলমানদের সাথে সশাস্ত্র সংগ্রাম করতে চাইলেন। তাই সর্বভারতীয় প্রচারে জানিয়ে দিলেন যে, কোরআন ও হাদীস বিরোধী কাজ মুসলমানদের করা চলবে না। অবশ্য অনেকাংশে সফল হয়েছিলেন। পরে বিরাট একটি দল নিয়ে যখন ভারত পরিক্রমা সহ মক্কা থেকে হজ করে ফিরলেন, তখন দেখা গেল এ ভ্রমণে তার দু'বছর দশ মাস পার হয়ে গেছে।
সে বিপুল সংখ্যক লোকের খাওয়া দাওয়া ও খরচের সব অর্থটুকু তার ভক্তদের কাছ থেকে উপহার হিসেবেই তিনি পেয়েছিলেন। জানা যায়, শুধু হজ্ব যাত্রীদের টিকিট কিনতেই লেগেছিল তখনকার ১৩৮৬০ টাকা, আর হজ্ব যাত্রার প্রক্কালে রেশনের মাল কিনেছিলেন ৩৩৯১ টাকার। আলিগড়ের সৈয়দ আহমদ ও বেরেলীর সৈয়দ আহমদ দুজনেই ইতিহাস প্রসিদ্ধ মানুষ। তবে আলিগড়ী আহমদ সাহেব পেয়েছেন ইংরেজের পক্ষ থেকে স্যার' উপাধি, প্রচুর সম্মান, চাকরির পদোন্নতি প্রভৃতি। আর বেরেলীর আহমদ সাহেব ইংরেজের পক্ষ থেকে পেয়েছেন অত্যাচার ও.আহত হওয়ার উপহার। আর সব শেষে শত্রুদের চরম আঘাতে তাকে শহীদ হতে হয়েছে ভারতবাসীকে শেষ উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন তিনি তার রক্তমাখা কাঁচা কাটা মাথা।
এ বিরাট আধ্যাত্মিক বিপ্লবী শহীদ বীরকে মিঃ উইলিয়াম হান্টার Tlic Inclian Musalmans পুস্তকে ডাকাত, ৩৫ ও লুণ্ঠনকারী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। তার চাপা পড়া ইতিহাসকে আজ কিন্তু কিছু বাস্তববাদী ঐতিহাসিক প্রকাশ করার জন্যে নতুন সাধনায় নিয়োজিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক রতন লাহিড়ী তাদের মধ্যে অন্যতম। তার লেখা অন্তত এটা প্রমাণ করে যে, সত্য তথ্য প্রকাশে তিনি সুস্পষ্টবাদী। তাই তার লেখা ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস থেকে সৈয়দ আহমদ বেরেলী সম্বন্ধে কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছি
“যার জীবনস্মৃতি প্রেরণা জুগিয়েছিল যুগে যুগে এ দেশের মহাবিপ্লবীদের। যার জীবনাদর্শ, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের আওতার বাইরে থেকে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদকে আক্রমণ করা, স্বাধীন সরকার গঠন করা, আবার সে সাথে সাথে দেশের মধ্যে থেকেও সাম্রাজ্যবাদকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করা ইত্যাদি পথ দেখিয়েছিল পরবর্তীকালের মহেন্দ্রপতাপ, বরকতুল্লা, এমন এন, রায়, রাসবিহারী এমনকি নেতাজীকেও।
কে এ মহাবিপ্লবী, যার আদর্শে উদ্বোধিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছিল ১৮৫৭ সনের মহাবিদ্রোহে-শত হাজার মানুষ বরণ করেছিল দ্বীপান্তর, সশ্রম কারাদণ্ড, কঠোর যন্ত্রণাময় মৃত্যু। কে ইনি? বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ আর তার দালালদের লেখা ইতিহাসে এর নামোল্লেখ থাকলেও এর সম্বন্ধে বিশেষ কিছু লেখা থাকা স্বাভাবিকও নয়। আর আজও স্কুল-কলেজে যে ইতিহাস পড়ান হয়, সে সব এ সাম্রাজ্যবাদীদের প্রাচীন গলিত বিকৃত ইতিহাসের আধুনিক সংস্করণ মাত্র। তাই কি করে জানবে এ মহাপুরুষের নাম? এ মহান মহাবিপ্লবী মহাবিদ্রোহীর নাম হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ বেরলভী।" (পৃষ্ঠা ৭-৯)
রতন লাহিড়ী আরও বলেন, “বিপ্লবীরা না পিছিয়ে মরণপণ সংগ্রাম করতে লাগল। তারপর যুদ্ধ হল শেষ। বিপ্লবী বাহিনী হল ধ্বংস। তাঁকে সকলে দেখেছিল বীরের মত লড়াই করতে একটার পর একটা শত্রু সৈন্য কচুকাটা করতে।” যদিও নিজেরা একে মৃত বলে কবর দেয়ার ব্যবস্থা করল কিন্তু কেহ এর শেষ পরিণতি দেখেনি।" (শ্রী লাহিড়ীর ঐ পুস্তক পৃষ্ঠা ৭-৮)
এবার উইলিয়াম হান্টারের লেখা ‘দি ইণ্ডিয়ান মুসলমানস' গ্রন্থের বিচারপতি আবদুর মওদুদের বঙ্গানুবাদ থেকে বেশ কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছি। তার পূর্বে বলে রাখি, মিঃ হান্টার হচ্ছে মিঃ হর্ডসনের অন্তরঙ্গ বান্ধব। যেহেতু তিনি পুস্তকের উৎসর্গ পৃষ্ঠায় ১৮৭১ খৃস্টাব্দের ২৩শে জুন তারিখ দিয়ে পুস্তকটি বন্ধু মিঃ হডসনের নামেই উৎসর্গ করেছেন। যে হডসন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের দু’জন পুত্রসহ রাজবাড়ির কচিকাঁচা ২৯ জন শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। সে যাহোক, লেখক যে একজন বিখ্যাত তথ্য সংগ্রহকারী, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
যদিও তাঁর লেখায় কোরআন হাদীসের বিরুদ্ধে, মাওলানাদের বিরুদ্ধে, বিপ্লবী মহামনীষীদের বিরুদ্ধে অনেক অশ্লীল কথা লেখা আছে। এ বইটি লিখতে সরকারি তথ্যসমূহ সংগ্রহ করা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল, যেহেতু তিনি ছিলেন সরকারি সিভিলিয়ান। তবে ১৮৭০ খৃস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত Calcutta Review-এর C.C. ও C ৷৷ সংখ্যায় 'Wahabis in India' শিরোনামে যে তিনটি বিরাট বিরাট প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, যার লেখকের বিচিত্র ছদ্মনাম ছিল। সে তিনটি প্রবন্ধই মিঃ হান্টারের পুস্তকের রক্ত, মাংস ও অস্থি বলা যায়।
হান্টার লেখেন, “অপেক্ষাকৃত গোঁড়া মুসলমানেরা যখন এভাবে প্রকাশ্যে রাজদ্রোহে জড়িয়ে পড়েছে, তখন সমস্ত মুসলমান সম্প্রদায়ই প্রকাশ্যে আলোচনা করছে, জিহাদে যোগ দেয়া তাদের পক্ষে ফরয কি না।” “পাঞ্জাব সীমান্তের বিদ্রোহী বসতি স্থাপন করেন সৈয়দ আহমদ। (পৃষ্ঠা ৩).
হান্টার সৈয়দ আহমদ সম্পর্কে আরও বলেন, “একজন মশহুর দস্যু সর্দারের অধীনে অশ্বারোহী সিপাহী হিসেবে তাঁর জীবন আরম্ভ। বহু বছর তিনি মলিব প্রদেশের আফিম উৎপাদনকারী গ্রামগুলোর উপর লুটতরাজ করেন। উদীয়মান শিখ শক্তির নায়ক রণজিৎ সিংহ পার্শ্ববর্তী মুসলমান অঞ্চল সমূহে যে কঠোর নীতি অবলম্বন করেন, তার ফলে কোন মুসলমান দস্যুর পক্ষে পেশা চালিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। সৈয়দ আহমদ
বুদ্ধিমানের মত নিজেকে সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিলেন। তিনি দস্যুবৃত্তি ছেড়ে নিয়ে ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে দিল্লির একজন মশহুর আলেম শাহ আবদুল আজিজ-এর কাছে শরিয়তী শিক্ষা গ্রহণ করতে উপস্থিত হলেন। তিন বছর সেখানে সাগরেদী করার পর সৈয়দ আহমদ ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন এবং ভারতীয় ইসলামে যে সব অনাচার বা বিদয়াত ঢুকে পড়েছে, সেগুলোর প্রতি কঠোর আক্রমণ পরিচালনা করে একদল গোঁড়া ও হাঙ্গামাবাজ অনুচর সংগ্রহ করলেন। ১৮২০ খৃষ্টাব্দে সৈয়দ আহমদ ধীরে ধীরে দক্ষিণ অঞ্চলে সফর করে ফিরলেন। তখন তার মুরীদান তার ধর্মীয় মাহাত্ম স্মরণ করে সাধারণ নফরের মত তার খিদমত করত এবং দেশমান্য আলেম খিদমতগারের মত খালি পায়ে তার পাল্কির দু ধারে দৌড়ে দৌড়ে যেতেন।
১৮২২ সনে তিনি মক্কায় হজ্ব করতে যান এবং এভাবে তার পূর্বতন দস্যুবৃত্তিকে হাজীর পবিত্র আলখেল্লায় বেমালুমভাবে ঢাকা দিয়ে তিনি পরবর্তী অক্টোবর মাসে বোম্বাই শহরে উপস্থিত হন। (শিখরা লাহোরে ও অন্যান্য স্থানে বহুদিন ধরে হুকুমত চালাচ্ছে। তারা মসজিদে আযান দিতে দেয় না এবং গো-জবেহ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। যখন তাদের অপমান-অত্যাচার সহ্যের সীমা অতিক্রম করল, তখন হযরত সৈয়দ আহমদ (তার সৌভাগ্য ও প্রশংসা অক্ষয় হোক) একমাত্র দ্বীনের হিফাযত করতে উদ্বুদ্ধ হয়ে কয়েকজন মাত্র খাদিম সাথে নিয়ে কাবুল ও পেশোয়ারের দিক দিকে রওনা হলেন।....কয়েক হাজার ঈমানদার মুসলমান তার আহ্বানে আল্লাহর রাহে চলতে তৈরি হয়েছে এবং ১৮২৬ সনের ২১শে ডিসেম্বর তারিখে বিধর্মী শিখদের বিরুদ্ধে জিহাদ আরম্ভ করা হয়েছে) ১৮৩০ সালের জুন মাসে একবার পরাজিত হয়েও মুজাহিদ সৈন্যরা অকুতোভয়ে সমতলভূমি দখল করে ফেলে আর সে বছর শেষ হওয়ার পূর্বেই পাঞ্জাবের রাজধানী পেশোয়ার তাদের হস্তগত হয়।...তার প্রকৃত মুজাহিদ বাহিনী ছিল হিন্দুস্তানী ধর্মান্ধদের নিয়ে গঠিত।
ইমাম আহমদ সাহেবের প্রধান খলিফাদের মধ্যে দু'ভাই ছিলেন। তারা হচ্ছেন জনৈক নামজাদা নরঘাতকের দুই পৌত্র। তাদের হামলার হাত শিখ গ্রামগুলোর উপর পড়তে লাগল বটে, কিন্তু বিধর্মী ইংরেজদের উপর আঘাত হানতে পারলেই তারা তীব্র উল্লাস উপভোগ করত। যতদিন আমরা জিহাদের দিকে নজর দিইনি, ততদিন তারা দলে দলে হামলা করে আমাদের প্রজা ও মিত্রদের ধরে নিয়ে গেছে কিংবা খুন করে ফেলেছে; আর যখন শক্তি প্রয়োগে তাদের নির্মূল করতে আমাদের সৈন্যদেরকে মারাত্মকভাবে পরাজিত করছে এবং অনেককাল ধরে বৃটিশ ভারতের সীমান্ত বাহিনীকে অবজ্ঞাভরে দূরে ঠেলে রেখেছে।
আমাদের সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদ্রোহী ও ধর্মান্ধ প্রজাদের সাহায্যপুষ্ট একটা বিদ্রোহী ও নির্বাসিতের বসতি তীব্র হিংসার বশবর্তী হয়ে কিভাবে যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ জানাতে সাহসী হতে পারে, এটা বোঝা মোটেই শক্ত ব্যাপার নয়। কিন্তু এটা বোঝা খুবই শক্ত যে, একটা সুসভ্য দেশের সেনাবিহনীর সুকৌশল ও সমরনীতির বিরুদ্ধে কিভাবে তারা বহুকাল টিকে থাকতে পারে।....শেষ পর্যন্ত ১৮৩১ সনের তার (আহমদ সাহেবের) পতন ও মৃত্যু হল।” (দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস পৃষ্ঠা ১-২১)
পূর্ণ বিদ্বেষ নিয়ে যদিও হান্টার এসব তথ্য পরিবেশন করেছেন, যদিও বিপ্লবী সৈয়দ আহমদের চরিত্রে মিথ্যার কালি মাখিয়েছেন, তবুও প্রমাণ হয় তার বীরত্ব, বাহাদুরি, সংগঠন ও আত্মত্যাগের কথা।
সৈয়দ আহমদ ও তার অনুসারীরা প্রায় সকলেই কোন যুদ্ধে এবং কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ হন-সে সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তা এ রকম : বালাকোটের শেষ যুদ্ধে পূর্বেও সৈয়দ আহমদ সাহেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিপক্ষ সৈন্য পাহাড় থেকে নীচে না নামা পর্যন্ত বা (বন্ধনী বেষ্টিত বাক্যগুলো লেখক বা অনুবাদকের নয়, জিহাদে আহবানসূচক এক প্রচার পুস্তিকার।)
তারা আক্রমণ না করা পর্যন্ত আমাদের আক্রমণ বন্ধ থাকবে। পাতিয়ালার সৈয়দ চেরাগ আলী বিপ্লবী যোদ্ধাদের জন্য পায়েস রান্না করছিলেন আর বিপক্ষ সৈন্যদের ঘাটির দিকে লক্ষ্য রাখছিলেন। হঠাৎ তার ভাবান্তর হয়-যে লাঠি দিয়ে তিনি ফুটন্ত পায়েস নাড়াচাড়া করেছিলেন তা দিয়ে তিনি এ তামার হাঁড়ির গায়ে জোরে জোরে আঘাত করতে লাগলেন। আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললেন, ভাইসব, স্বর্গ হতে লাল পোশাক পরে অপ্সরীরা দল বেঁধে নামছে।' এ বলে অস্ত্র হাতে তিনি কারও পরামর্শ না নিয়ে ছুটতে লাগলেন শত্রু সৈন্য ঘাটির দিকে। “এ ঘটনা এমনই ক্ষিপ্রতার সাথে হইয়া গেল যে, কিসে কি হইল কেহ বুঝিবার পূর্বেই সৈয়দ চেরাগ আলী গুলি লাগিয়া শহীদ হইলেন। তিনিই বালাকোটের প্রথম শহীদ।” (দ্রষ্টব্য ‘হঃ সৈয়দ আহমদ শহীদ’, পৃষ্ঠা ৫৯৮)
বাধ্য হয়েই পরিকল্পনা বিরোধী কাজ মোজাহিদ বাহিনীকে করতে হল, অর্থাৎ এলোমেলোভাবে অপ্রস্তুতির সাথে ঝাপিয়ে পড়তে হল। এ অতর্কিত আক্রমণের বিরুদ্ধে এবং শেষ পরিণতিতে প্রায় সকলকেই নিহত হতে হয়েছিল। বিখ্যাত লেখক ও বিচারপতির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রসঙ্গ শেষ করতে চাইছি-“১৮৩১ খ্রীস্টাব্দের ৬ই মে এ যুদ্ধ হয়। এটাকে ঠিক যুদ্ধ বলা চলে না। এক পক্ষে বিশ হাজার সুশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সৈন্য....(আর এক পক্ষে) ভগ্নোৎসাহ প্রায় ৯০০ মোজাহিদ। এ ছিল মৃত্যু অভিসারীদের বাহ্নিবন্যার মুক্তিস্নান। দুর্দম বেগে তারা ঝাপিয়ে পড়লেন জীবন মৃত্যু মিশেছে যেথায় মত্ত ফেনিল স্রোত'। শাহাদত বরণ করলেন সঙ্গীসহ সৈয়দ আহমাদ ও শাহ ইসমাঈল।” (দ্রষ্টব্য ওহাবী আন্দোলন, পৃষ্ঠা ১৯৫)
১৮৩১ খৃস্টাব্দে হযরত আহমদ সাহেব শহীদ হলেও তাঁর সংগঠন ও আন্দোলন কিন্তু শহীদ বা শেষ হয়নি। পরবর্তীকারে তথাকথিত সিপাহী বিদ্রোহ এবং ১৯৪৭ সনের পূর্ব পর্যন্ত যারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, তারা এবং তাঁদের আন্দোলন সৈয়দ আহমদ বেরেলীর (রহঃ) অঙ্কুরিত বীজের সফল বৃক্ষ বলা যায়। (দ্রষ্টব্য ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাসঃ শ্রীরতন লাহিড়ী, পৃষ্ঠা ৯)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/492/44
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।