hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

চেপে রাখা ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

৪২
হায়দার আলি
১৭১৭ (মতান্তরে ১৭২২) খৃষ্টাব্দে আলি নামক এক সন্ত বীর কোরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। যৌবনের প্রারম্ভে মহীশূরের হিন্দু রাজার অধীনে তিনি সৈনিক হিসেবে কাজ আরম্ভ করেন। হায়দারের বহু গুণের মধ্যে দুটি গুণ উল্লেখযোগ্য একটি বীরত্ব ও অপরটি সততা।

এ সময়ে মন্ত্রীও সেনাপতিদের মধ্যে মতানৈক্যের ফলস্বরূপ অর্থ-দপ্তরের দুরবস্থাকে রাজা আয়ত্তে আনতে না পেরে অবশেষে হায়দারের হাতেই সব কিছু সমর্পণ করেন। হায়দার এ ডুবন্ত রাজ্যের হাল সাহসের সাথে গ্রহণ করেন। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে শাসন, পোষণ, দান, দয়া, মায়া ও বুদ্ধিপূর্ণ কৌশলে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক ভাবে ফিরিয়ে আনেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট রাজ্যগুলো দখল করে মহীশূনের সীমানা বৃদ্ধি করে দেশে প্রকৃত শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।

তাঁর অন্তরের আসল ইচ্ছা ছিল ইউরোপীয় আদর্শ ও ভাবধারায় নিজে ও সৈন্যদের সুগঠিত করে ইংরেজদের দেশচ্যুত করা। এ ব্যাপারে মারাঠাদের তিনি বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, আমরা যে যেখান থেকেই আসি না কেন ভারতকে নিজের মাতৃভূমি রূপে বরণ করে নিয়েছি-হিন্দু, মুসলমান, শিখ, মারাঠা সবাই আমরা ভারতবাসী, ভাই ভাই। হায়দারের উদার ও যুক্তিপূর্ণ প্রস্তাবে মারাঠারা ও নিজাম তাঁর হাতে হাত মেলান। এবার হায়দার ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। এটাই ইতিহাসে প্রথম মহীশুর যুদ্ধ নামে বিখ্যাত। কিন্তু দুঃখের বিষয়

মাঝপথে নৌকাডুবির মত নিজাম হায়দারের পক্ষ পরিত্যাগ করেন। আর মারাঠারা শুধু পক্ষ ত্যাগ নয়, বিপক্ষ ইংরেজদের প্রলোভনে প্রলোভিত হয়ে ভীতির কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু হায়দার বীরবিক্রমে একাই সৎসাহসকে সহায় করে যুদ্ধে অগ্রগতিকে মাদ্রাজের দ্বারে পৌছে দেন। ইংরেজগণ হায়দারের অসম্ভব সাহসিকতা আর বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধাবস্থায় ধৃত হয়ে সন্ধির প্রস্তাব দেয়। হায়দার লেখাপড়া না জানলেও জন্মগতভাবে চতুর ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। তাই অনুমান করলেন, মাররাঠারা অপর দিক থেকে আক্রমণ করলে ঘরের শত্রু বিভীষণে পরিণত হবে। অতএব আপাতত সন্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করলে অন্য কোন শক্তি হায়দারকে আক্রমণ করলে ইংরেজরা তাকে সাহায্য কর।

এদিকে হায়দারের অনুমানই বাস্তবে পরিণত হয়। মারাঠারাই ১৭৭০ খৃষ্টাব্দে মহীশূর আক্রমণ করে। কিন্তু সন্ধির শর্তানুযায়ী ইংরেজরা হায়দারের কোন সাহায্যে এগিয়ে এলনা। আবার হায়দার পূর্বের ন্যায় জ্ঞানগর্ভ যুক্তিতে মারাঠাদের বোঝালে পুনরায় তারা হায়দারের সাথে সহযোগিতা করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বার সদিচ্ছা জ্ঞাপন করে। নিজামও ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একমত বলে জানান।

হায়দার আবার সাহসে ভর করে সসৈন্যে মাদ্রাজ পৌছান। কিন্তু এবারে পরোক্ষভাবে নয়, প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজদের পক্ষে যোগদান করে মারাঠারা ও নিজাম সাহেব হায়দারের সাথে প্রতারণা করেন। এবার আর সন্ধির কথা নয় বীরবিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে লাগলেন হায়দার। তার সুযোগ্য বীর সন্তান টিপু ইংরেজদের এমন ভাবে পরাজিত করলেন যে, তারা আর পালানরও সুযোগ না পেয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। হায়দার তার বীর সন্তানের বীরত্ব দেখার সুযোগ বেশি দিন পাননি। প্রায় ২২ বছর রাজত্ব করার পর এক কঠিন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে ১৭৮২ খৃস্টাব্দের ৭ই ডিসেম্বর তিনি পরলোকগমন করেন।

তিনি যে অত্যন্ত সুযোগ্য শাসক ও পরিচালক ছিলেন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাকে যদি প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজদের সাথে লড়াই করতে না হত এবং তার যদি ভারত থেকে ইংরেজ বিতাড়নের স্বপ্ন ও প্রচেষ্টা না থাকত, তাহলে এ বিশাল ভারত বর্ষের অধিকাংশই তার হস্তগত হত। ডক্টর এম এ কাদেরও বলেন, ইংরেজদের বিরোধিতা করিতে না হইলে ভারতের অধিকাংশ স্থানই তাহার ও তৎপুত্রের হস্তগত হইত।” (হায়দার আলী, পৃষ্ঠা ৩২)

তাঁহার সাম্রাজ্য আশি হাজার বর্গমাইল ব্যাপিয়া বিস্তৃত ছিল।' সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এ বিরাট প্রতিভাবান, কঠোর ক্ষমতাসম্পন্ন শাসক পড়তে ও লিখতে জানতেন না অর্থাৎ নিরক্ষর ছিলেন। (Rise of the christian Power: Major B.D, Basu; হায়দার আলী, পৃষ্ঠা ১৬৫) “একদিন দক্ষিণ ভারত হায়দারকে জাতীয় নেতা বলিয়া মানিয়া লইয়াছিল। হিন্দু-মুসলমান মিলিয়া তাঁহার সাহায্যর্থে আকুল প্রাণে ছুটিয়া গিয়াছিল; মসজিদের ন্যায় মন্দির হইতেও তার কৃতকার্যতার জন্য প্রার্থনার বাণী উঠিয়াছিল। কিন্তু ভারতবাসী বিশেষতঃ বাঙালী আজ তাহাকে একেবারে ভুলিয়া গিয়েছে। এখন দেশ স্বাধীন হইয়াছে। এ সময় কি তাহার আদর হইবে না? স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ বীর আজ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে কাছ হতে কি তার ন্যায্য সম্মান পেতে পারেন না?" (হায়দার আলী, পৃষ্ঠা ১৭৫-৭৬)

“মহীশুরে আজও হায়দারের নাম সর্বদা সসম্মানে উচ্চারিত হইয়া থাকে। ঐতিহাসিক Bowring 1691659, "His names is always mentioned in Mysore with respect. IR. B. Bowring: Haidar Ali and Tipu Sultan. 113]

অভারতীয় নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক তাকে এশিয়ার সর্বোন্নত চরিত্র বলে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায় "Hydar ali khan was doubtiessly one of the greatest characters Asia has produced. (History of Hydar Sha and Tipoo Sultan: De la Tour p. 568)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন