hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

চেপে রাখা ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

১৯
মুহাম্মদ বিন তুঘলক
গিয়াসুদ্দিন তুঘলকের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র জুনা খা মুহাম্মদ বিন তুঘলক' নাম দিয়ে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তার রাজত্বকাল ছিল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত। সলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক ছিলেন ভারতের ইতিহাসে এক অতি উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন বাদশাহ। ধর্মের দিক দিয়ে তিনি যেমন স্বচ্ছ জ্ঞানের অনুসারী ছিলেন, তেমনি রাজনীতিতে বৈপ্লবিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তার সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত ছিল এবং হিদায়ার মত ফিকাহ শাস্ত্রের কঠিন গ্রন্থও কণ্ঠস্থ ছিল (মাসালিকুল আবসার, পৃষ্ঠা ৩৭ দ্রষ্টব্য)

তিনি উপদেশ দিতে গিয়ে কুরআনের শ্লোক উদ্ধৃত করতেন। বারণী লিখেছেন, যখন আজানের শব্দ তার কানে যেত তিনি দাড়িয়ে যেতেন এবং আযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। ঐতিহাসিক ফিরিস্তা সুলতানের নফল এবং মুস্তাহাব (অতিরিক্ত উপাসনাসমূহ) আগ্রহের বর্ণনা দিয়েছেন। (দ্রষ্টব্যঃ রহিয়, ১৪ ও ৩৪৫ পৃষ্ঠ ও তরিখ ফিবে )

তিনি শুধুমাত্র রমযান মাসে নয়, অসুস্থ অবস্থাতে, গ্রীষ্মের দারণ ক্লান্তিতে ও মহরম মাসের দশ তারিখে রোযা রাখতেন। ছোটখাটো ব্যাপারেও ধর্মের অনুশাসন মেনে চলতেন। শরীয়তসম্মত ভাবে যবেহ করা হয়নি বলে মনে হলে সে পশুর মাংস খেতেন না (আজয়েবুল আলফার, ১৭৬ পৃষ্ঠা)

শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দিস দেহলবীর বর্ণনা থেকে জানা যায়, সিংহাসনে বসার পর তিনি কোন উপাধি ধারণ করেন নি। মুহাম্মদ নামই তাঁর কাছে মানব সন্তানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নাম হিসেবে বিবেচিত ছিল। তবে তিনি নিজেকে মুহীয়ে সুনানে খাতামিন্নাবিইন অর্থাৎ শেষ নবীর সুন্নাতকে জীবিতকারক বলে অভিহিত করতেন। ব্যাভিচার ইত্যাদি অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র নজর দিতেন ও অপ্রয়োজনীয়, অশ্লীল

এবং কুৎসিত দ্রব্য থেকে যতদূর সম্ভব নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। হারেমে প্রবেশের সময় মোহরেম অর্থাৎ যাদেরকে বিবাহ করা অবৈধ এমন মেয়েরা তাকে দেখে পর্দা করতেন এবং তিনিও তাদের প্রতি দৃষ্টি দেয়া অত্যন্ত দোষের মনে করতেন। (তারিখি ফিরোজশাহী, ৫০৬ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)

সুলতান তার মাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন, তার কোন আদেশেরই তিনি বিরোধিতা করতেন না। মদের ঘোর শত্রু ছিলেন তিনি। মদপানের অপরাধে একজন আমীরের তিনি সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। শাহাবুদ্দিন আল আমীর শিবলী বলেন, সে সময় দিল্লীতে প্রকাশে মদ পাওয়া যেত না।

তিনি মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়ার জন্য খুব জোর দিতেন। ইবনে বতুতাও একথা স্বীকার করেছেন। জামাতের সাথে নামায না পড়ার অপরাধে তিনি তার একজন নিকট আত্মীয়কে কঠোর শাস্তি দান করেন। ভারতে ইনিই প্রথম বাদশাহ যিনি শাসন ব্যবস্থায় নামাযকে অঙ্গীভূত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নাচ গান করা মেয়েরাও নামাযে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক তবলীগের সমর্থক এবং সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। সে যুগে তিনি সতীদাহ প্রথা তুলে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা বা হস্তক্ষেপ হবে বলেই তা থেকে বিরত হন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন