hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

চেপে রাখা ইতিহাস

লেখকঃ গোলাম আহমাদ মোর্তজা

৫৬
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম হয় ১৮২০ খৃস্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর। স্থানটি ছিল মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রাম। ১৮৯১ খৃস্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন। ১৮৫৭-র সে বিখ্যাত ভারতীয় বিপ্লবের সময় তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। এ সংগ্রামে তার ভূমিকা কি ছিল স্বাভাবিকভাবেই জানার ইচ্ছা হয়-কিন্তু সে সম্বন্ধে অনুকুল কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

১৮২৯ থেকে ১৮৪১ পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেন। বাংলা, সংস্কৃত ও ইংরাজীতে তিনি চরম জ্ঞান লাভ করেছিলেন। এ সময় (১৮২৭) হিন্দু কলেজে মিঃ ডিরোজিও শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর খৃস্টীয় মনোভাবাপন্ন শিক্ষাদানে ছাত্রদের মধ্যে হিন্দুধর্মের উপর বিরাগ সৃষ্টি হয়। ইয়ং বেঙ্গল দলের নেতৃত্বে ‘হিন্দু ধর্ম ধ্বংস হোক’, ‘গোড়ামী ধ্বংস হোক। প্রভৃতি স্লোগানগুলো চলতে থাকে (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর; বিনয় ঘোষ, পৃষ্ঠা ২০-২১)

প্রসঙ্গতঃ, এ হিন্দু কলেজে মুসলমান ছাত্রদের পড়তে দেয়া হত না। ১৮৩৯ সনে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যাসাগর' উপাধি পান ইংরেজ সরকারের পক্ষ থেকে। ১৮৪১ সনে ন্যায়ের শেষ পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে ইংরেজের পক্ষ থেকে ১০০ টাকা পুরস্কার পান। সংস্কৃত কবিতা রচনার জন্য এ সরকার আরও ১০০ টাকা পুরস্কার দেয়। দেবনাগরী হাতের লেখার জন্য তাকে আরও ৮ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। কোম্পানির আইনে ব্যুৎপত্তির জন্য ২৫ টাকা পেয়েছিলেন। তাছাড়া ইংরেজ সরকার তাকে মাসিক ৮ টাকা হিসেবে বৃত্তি দিয়ে যেতেন ১৮৪১ সনের ৪ঠা ডিসেম্বর সংস্কৃত ভাষায় পাণ্ডিত্যের জন্য তাঁকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশংসাপত্র দেয়া হয়। এ সনেই তিনি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৪৬ সনে সংস্কৃত কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। তিনি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড রাইটার' ও কোষাধ্যক্ষ পদে বহাল হন।

যে সমস্ত কলেজে শুধু ব্রাহ্মণদের পড়ার ব্যবস্থা ছিল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পরিষদকে সুপারিশ করেছিলেন অস্ততঃ কায়স্থ ছেলেদেরও তাদের সাথে পড়তে অনুমতি দেয়া হোক। কলেজের পণ্ডিতেরা, যাঁরা বেশীর ভাগই বিদ্যাসাগরের শিক্ষক ছিলেন, তারা ক্রুদ্ধ হয়ে এ প্রচেষ্টার বিরোধিতা করতে লাগলেন” (দ্রষ্টব্য ডঃ বিনয় ঘোষঃ ঐ পৃষ্ঠা ৪০)

বিনয় ঘোষ আরও লিখেছেন-“বিদ্যাসাগরের পাণ্ডিত্য ছিল মানবকেন্দ্রিক, ঈশ্বরকেন্দ্রিক নয়।" (পৃষ্ঠা ৪৬)

রামমোহন যেমন সতীদাহ প্রথার বিলোপ সাধনে অমর হয়ে আছেন, বিদ্যাসাগর ও তেমনি বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তন বা প্রচলন করার প্রচেষ্টায় ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ‘বীরসিংহ গ্রামে একটি বালিকা বিদ্যাসাগরের খেলার সাথী ছিল। বালিকাটি বাল্যবিধবা। বিদ্যাসাগর তাকে খুব পছন্দ করতেন এবং মনে হয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরস্পরের মধ্যে অনুরাগের সঞ্চার হয়েছিল। বিদ্যাসাগর যখন জানতে পারলেন যে সে বিধবা এবং শাস্ত্রের

নির্দেশে সে বালিকাকে আজীবন কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে, তখন তিনি হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহ প্রবর্তন করার সংকল্প করলেন।...এ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। বিদ্যাসাগর যখন সে অসহায় বিধবার শোচনীয় পরিণামের কথা জানতে পারলেন তখন তিনি শপথ করলেন যে তিনি হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহের অধিকার সমাজে প্রচলিত করে সরকারকে দিয়ে তা বিধিবদ্ধ করাবেন” দ্রষ্টব্য ডক্টর বিন ঘোষ, পৃষ্ঠা ৭৬]। বিনয় ঘোষের এ কথ্য সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। কারণ বিদ্যাসাগর ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করা পছন্দ করতেন না এবং তিনি যে ধার্মিক তারও কোন প্রমাণ নেই। কিন্তু যেহেতু তিনি সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলেন তাই ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করলেন যে, বিধবা বিবাহ বৈধ।

বিদ্যাসাগরের ধর্ম-ধারণা সম্বন্ধে ডক্টর বিনয় ঘোষ একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি শিবনাথ শাস্ত্রীয় উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, বিদ্যাসাগর জিজ্ঞেস করলেন-“ওহে হারাণ, তুমি তো কাশীবাস করছ, কিন্তু গাঁজা খেতে শিখেছ ত?” তার উত্তরে তিনি (শিবনাথ শাস্ত্রীর পিতা) বললেন, “কাশীবাস করার সাথে গাঁজা খাওয়ার কি সম্বন্ধ আছে? বিদ্যাসাগর বললেনঃ “তুমি তো জান, সাধারণ লোকের বিশ্বাস যে কাশীতে মরলে শিব হয়। কিন্তু শিব হচ্ছে ভয়ানক গাঁজাখোর। সুতরাং আগে থেকে গাজা খাওয়ার অভ্যাসটা করে রাখা উচিত নয় কি? তা না হলে যখন প্রথম গাজা খাবে তখন তো মুস্কিলে পড়তে পার।” [দ্রষ্টব্য এ, পৃষ্ঠা ১৫২

রামমোহন-পুত্র রাধাপ্রসাদ রায়ের পৌত্র ললিতমোহনকে বিদ্যাসাগর একদিন ডেকে স্নেহের সাথে বললেন-“ললিত তুমি সত্যই বিশ্বাস কর যে মৃত্যুর পরে জীবন আছে। আমরা আমাদের এ পার্থিব জীবন সম্বন্ধেই অনেক কিছু জানিনা। কিন্তু তুমি ভাগ্যবান, কারণ তুমি শুধু এ পার্থিব জীবন সম্বন্ধেই জান তা নয়, এমন কি মৃত্যুর পরে পারলৌকিক জীবন সম্বন্ধেও তোমার জ্ঞান আছে।" ...বিদ্যাসাগর হাসতে হাসতে বললেন, “তোমর কথা শুনে বেশ মধুর লাগছে, যদিও হাসিও পাচ্ছে। আমর এ জরাজীর্ণ বাধ্যক্য অবস্থায় শুনে খুব সান্ত্বনা পেলাম যে মৃত্যুর পর আমি উপযুক্ত প্রতিদান পাব।” [বিনয় ঘোষ, ঐ, ১৫৪-৫৫) রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বিদ্যাসাগরের বাসায় গিয়ে হাজির হলেন তাঁকে শিষ্য করতে বা ধার্মিক করতে। তিনি বিদ্যাসাগরকে বললেন, “আমি সাগরে এসেছি, ইচ্ছা আছে কিছু রত্ন সংগ্রহ করে নিয়ে যাব।" বিদ্যাসাগর বললেন, “আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে বলে তো মনে হয় না।

কারণ এ সাগরে কেবল শামুকই পাবেন। তাই পরে রামকৃষ্ণ তাঁর জন্য বলেছিলেন, এমন কি তাঁর নিজের (বিদ্যাসাগরের) মোক্ষলাভের জন্য ভগবানের নাম করবারও তার কোন স্পৃহা নেই, সেইটাই বোধ হয় তার সবচেয়ে বড় ত্যাগ। অন্য লোকের উপকার করতে গিয়ে তিনি নিজের আত্মার উপকার করার প্রয়োজন অগ্রাহ্য করেছেন।' (বিনয় ঘোষঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ১৫৭ পৃষ্ঠা) তিনি পুরোপুরিভাবে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন বলে ইংরেজ সরকার তার উপর কোন কুধারণা রাখতেন না। একবার ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি স্যার উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় তাঁকে কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য স্বয়ং আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি উত্তরে বলেছিলেন-“আমাকে বাদ দিয়েই তোমরা কাজে এগোও।” শ্রীইন্দুভূষণ দাস, পূর্বোক্ত পুস্তক, পৃষ্ঠা ৫৪].

কনক মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, “প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করা যায় বিদ্যাসাগর যে ইংরাজ সরকারের বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন তা তার জীবনীকারদের রচনা থেকেই বোঝা যায়” (পৃষ্ঠা ৭২)

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন, “...তিনি গভর্ণমেন্টের একজন প্রিয়পাত্র হইয়া উঠিলেন...” (পৃষ্ঠা ৭৩]। রমেশচন্দ্র দত্ত লিখেছেন, “...ভারত বর্ষের প্রকৃত উন্নতিকামী ইংরেজবর্গ একজন সহকী পাইলেন।" (পৃষ্ঠা ৭৩)

বিদ্যাসাগর সরকারি চাকরী থেকে অবসর গ্রহণ করার পর শাসক ইংরেজের সাথে তাঁর সম্বন্ধ কেমন ছিল সে সম্বন্দে ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “বিদ্যাসাগর এখন আর সরকারী বেতনভোগী কর্মচারী নন। না হইলেও, বে-সরকারী পরামর্শদাতা হিসাবে তিনি সরকারের উপকার সাধন করিতে লাগিলেন। পরপর বহু ছোটলোকই তাহার পরামর্শ গ্রহণ করিতেন।...অবসর গ্রহণের বিশ বৎসর পরে ১৮৯০ সালে নববর্ষের প্রথম দিনে ভারত গভর্ণমেন্ট তাহাকে সি. আই. ই. উপাধিতে ভূষিত করেন। আগেই বলা হয়েছে এই c.I.E. বলতে বোঝায় Companion of the indian Empire; যার বঙ্গার্থ হয়-ভারত সাম্রাজ্যের সহযোগী।

কুখ্যাত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর যা বলেছেন তা চাপা দেওয়া যায় না-“এ দশশালা বন্দোবস্ত ইহাই নির্ধারিত হইল, এ পর্যন্ত যে সকল জমিদার কেবল রাজস্ব সংগ্রহ করিতেছেন; অতঃপর তাহারাই ভূমির স্বামী হইবেন; প্রজারা তাঁদের সহিত রাজস্বের বন্দোবস্ত করিবেন।...চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হওয়াতে বাঙ্গালা দেশের যে সবিশেষ উপকার দর্শিয়াচে ইহাতে কোনও সন্দেহ নাই।”

বাঙ্গালার ইতিহাস'-এর দ্বিতীয় ভাগের বিজ্ঞাপনে ঈশ্বরচন্দ্র যে বাক্য রচনা করেছেন তার প্রতি চোখ বুলালে ইংরেজদের প্রতি তাঁর ভক্তি ও আনুগত্যের পরিচয়ই পাওয়া যায়-“বাঙ্গালার ইতিহাসের দ্বিতীয় ভাগ, শ্রীযুক্ত মার্শম্যান সাহেবের রচিত ইংরেজী গ্রন্থের শেষ নয় অধ্যায় অবলম্বনপূর্ব সংকলিত....এ পুস্তকে অতি দুরাচার নবাব সিরাজউদৌলার সিংহাসনারোহণ অবধি, চিরস্মরণীয় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিক মহোদয়ের অধিকার সমাপ্তি পর্যন্ত বৃত্তান্ত বর্ণিত আছে।" (দ্রষ্টব্য বিদ্যাসাগর রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৫) ঈশ্বরচন্দ্রের 'বাঙ্গালার ইতিহাস প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক অসিত বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন; “বিদ্যাসাগর প্রায় মার্শম্যানের অবিকল অনুবাদ করিয়াছেন। মার্শম্যানের সাম্রাজ্যবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গিমাও তিনি হুবহু স্বীকার করিয়া লইয়া অনুবাদ করিয়াছেন।” (পৃষ্ঠা ৩২১)

এ প্রসঙ্গে সবশেষে আর একটি মূল্যবান উদ্ধৃতি তুলে দিচ্ছি-“বলাবাহুল্য, মার্শম্যানের নকলে লেখা ইতিহাসের মাধ্যমে সুকুমার-মতি বালক-বালিকাদের জন্য বিদ্যাসাগর ইংরেজ সরকারের যে ভাবমূর্তি উপস্থিত করেছেন তা না করলেই ভাল হত।” (দ্রষ্টব্য উনবিংশ শতাব্দীর নারী প্রগতি ও রামমোহন-বিদ্যাসাগর ও কনক মুখোপাধ্যায়, পৃষ্ঠা ৭৪)

১৮৫৭-র বিপ্লবের মুহূর্তে তার প্রধান কাজ ছিল বহু বিবাহ বন্ধের ব্যবস্থা করা। এ প্রসঙ্গে তিনি তার ভাষাতেই লিখেছেন, “কিন্তু এই হতভাগ্য দেশে দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সময় রাজ বিদ্রোহ উপস্থিত হইল। রাজপুরুষেরা বিদ্রোহের নিবারণ বিষয়ে সম্পূর্ণ ব্যাপৃত হইলেন; বহু বিবাহের নিবারণ বিষয়ে আর তাদের মনোযোগ দিবার অবকাশ রহিল না।” (পৃষ্ঠা ৭৫)

বিপ্লবী ও বিরোধীদের ইংরেজ-বিরুদ্ধ গতি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য অথবা অন্য কোন কারণে তিনি বলেছেন, “বাবুরা কংগ্রেস করিতেছেন, আন্দোলন করিতেছেন, আস্ফালন করিতেছেন, বক্তৃতা করিতেছেন, ভারত উদ্ধার করিতেছেন। দেশের সহস্র সহস্র লোক অনাহারে প্রতিদিন মরিতেছেন তাহার দিকে কেহই দেখিতেছেন না। রাজনীতি লইয়া কি হইবে?..." (কনক মুখোপাধ্যায়, ঐ, পৃষ্ঠা ৭৬-৭৭)

১৮৯১ খৃস্টাব্দে কলকাতায় তার নিজ বাড়ীতে তিনি দুরারোগ্য ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হন এবং তাতেই তিনি মারা যান। তাঁর প্রতিভা, বাংলা সাহিত্যে পুষ্টিসাধন, দান এবং বিধবা বিবাহের প্রচলনের জন্য তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন