মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শরীয়ত জ্ঞানার্জনের জন্য নারীকেও উৎসাহিত করেছে। যাতে এর মাধ্যমে তারা নিজেরা উপকৃত হতে পারে এবং সমাজেরও উপকার সাধন করতে পারে। সুতরাং আমরা দেখতে পাই যে, ইসলামের প্রথম যুগে শিক্ষার যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাতে নারী শিক্ষারও ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বহু মুসলিম নারীগণ জ্ঞানী, কবি, লেখিকা এবং শিক্ষিকা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য এই যে, এই শিক্ষার মাধ্যমে সে আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মাতা এবং আদর্শ গৃহিণীরূপে গড়ে উঠবে। তাছাড়া তার জন্য ঐ সকল বিদ্যা শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে, যা মানুষকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তুলতে, চরিত্র গঠন করতে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রশসত্ম করতে সাহায্য করে। এ ধরনের শিক্ষা প্রত্যেক নারীর জন্য অপরিহার্য। এরপর কোন নারী যদি অসাধারণ প্রজ্ঞা ও মানসিক যোগ্যতার অধিকারিণী হয় এবং এসকল মৌলিক শিক্ষার পরও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চায়, তাহলে তা তার জন্য আরো ভালো।
ইসলামের শিক্ষার আলোকে পুরুষদের মধ্য হতে যেমনিভাবে আবু বকর, উমর, উসমান (রাঃ) এবং হাসান বসরী, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম রাযী ও ইমাম গাযযালী (রহ.) এর মতো মহাপুরুষগণের আবির্ভাব ঘটেছিল; ঠিক তেমনিভাবে আয়েশা, হাফসা, শিফা বিনতে আবদুল্লাহ, আকারীমা বিনতে মিকদাদ, উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং রাবেয়া বসরী (রহ.) এর মতো মহিয়সী নারীরও আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। মোটকথা ইসলামের নির্ধারিত সীমা ও গন্ডির মধ্যে অবস্থান করেই সে যুগের মহিলাগণ আত্মসংশোধন এবং জাতির সেবার উদ্দেশ্যে দ্বীনী শিক্ষা লাভ করতেন এবং নিজ সমত্মানদেরকে এমন আদর্শবান করে গড়ে তুলতেন, যাতে তারা নিজেদের যুগে জাতির মধ্যে শামিত্ম প্রতিষ্ঠা করতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
নারীদেরকে জ্ঞানার্জন করার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। পুরুষদের জন্য জ্ঞানার্জন করাকে যেরূপ জরুরি করা হয়েছে, মহিলাদের জন্যও তেমনি আবশ্যক করা হয়েছে। পুরুষরা যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট হতে জ্ঞানার্জন করত, তেমনিভাবে মহিলারাও জ্ঞানার্জন করত। রাসূলুল্লাহ ﷺ নারীদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারিত করতেন। অতঃপর সে সময় তিনি তাদেরকে তালীম দিতেন। উম্মুল মুমিনীনগণও ছিলেন মহিলাদের শিক্ষিকা। কিন্তু আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) কেবল নারীদের নয়, বরং পুরুষদেরও বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। অনেক বড় বড় সাহাবীও তাঁর কাছে হাদীস, তাফসীর এবং ফিকহের জ্ঞান অমেবষণ করতেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ দাসীদেরকেও জ্ঞান লাভ করার সুযোগ দানের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন :
ইসলামে কেবল সম্ভ্রামত্ম মহিলাদেরকেই নয়, বরং দাসীদেরকেও শিক্ষা প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে,
আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, যার নিকট কোন দাসী আছে এবং সে তাকে শিক্ষা দান করে, ভালোভাবে সুশিক্ষার ব্যবস্থা করে, ভদ্রতা ও শালীনতা শিক্ষা দেয় এবং এটা খুব সুন্দররূপে আঞ্জাম দেয়, অতঃপর তাকে মুক্ত করে এবং বিয়ে করে স্ত্রীর পূর্ণ মর্যাদা দান করে, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ প্রতিদান। [সহীহ বুখারী, হা/২৫৪৪, ২৫৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৯৫৬; নাসাঈ, হা/৩৩৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৫৮২, ১৯৭২৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৫; মিশকাত, হা/১১।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ :
আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদেরকে জ্ঞান চর্চার নির্দেশ দান করে বলেন,
তোমাদের বাড়িতে আল্লাহর যে আয়াতসমূহ ও জ্ঞানের কথা পাঠ করা হয় তা স্মরণ রাখো। নিশ্চয় আল্লাহ খুবই সূক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ। (সূরা আহযাব- ৩৪)
এর তাৎপর্য হলো, হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা যা কিছু শোন এবং দেখ তা বর্ণনা করতে থাকো। কারণ তোমাদের ছাড়া ইসলামী বিধান অন্য লোকদের জানা সম্ভব হবে না। এ আয়াতগুলোতে নবী ﷺ এর স্ত্রীদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখানে কেবল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়নি, বরং অন্যান্য সকল মুসলিম গৃহের মহিলাদেরকেও উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদেরকে দেখেই তারা ইসলামী জ্ঞান অর্জন করবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে উৎসাহিত হবে।
নারী সাহাবীগণ জ্ঞানার্জনের জন্য সর্বদা ব্যস্ত থাকতেন :
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে নারী সমাজের মধ্যে ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়ার এমন উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছিল যে, সেজন্য তারা দিনরাত সবসময় ব্যসত্ম থাকত। জ্ঞান আহরণের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা তাদেরকে নিরাশ ও নিরোৎসাহিত করতে পারত না। আনসারী মহিলাদের সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) বলেন,
আনসারী মহিলারা কতই না ভালো- দ্বীনের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রে লজ্জা-শরমও তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। [সহীহ বুখারী, ইলম অর্জনে লজ্জা করা অধ্যায়, ১/৪৪ পৃঃ; সহীহ মুসলিম, হা/৭৭৬; আবু দাউদ, হা/৩১৬; ইবনে মাজাহ, হা/৬৪২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫১৮৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৪৮; বায়হাকী, হা/৮১৯।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।