মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম সিলেবাস হচ্ছে কুরআন অধ্যয়ন করা। কেননা কুরআন হচ্ছে এমন এক নির্ভুল গ্রন্থ, যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। কুরআন থেকে যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জন করবে সে সঠিক জ্ঞানই অর্জন করবে।
কুরআন পড়লে কোন্টি সত্য, কোন্টি মিথ্যা, কোন্টি হক, কোন্টি বাতিল এবং কোন্টি ভালো ও কোন্টি মন্দ তা জানতে পারবে। আল্লাহর এ বাণীসমূহ মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসে। কেননা এ কুরআন হলো হেদায়াতের কিতাব। যেমন- কুরআনে বলা হয়েছে,
‘‘আমি তোমাদের কাছে দু’টি জিনিস রেখে গেলাম। যতদিন পর্যন্ত তোমরা এ দু’টিকে আঁকড়ে ধরবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো, আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবীর সুন্নাত।’’ [মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হা/১৫৯৫; মিশকাত, হা/১৮৬; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৯৯৩; দার কুতনী, হা/৪৬০৬।]
আবু শুরাইহ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো। তোমরা কি এ সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? আমরা বললাম, হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
এ কুরআন হলো একটি রশি। এর এক মাথা হচ্ছে আল্লাহর হাতে, আর অপর মাথা হচ্ছে তোমাদের হাতে। সুতরাং তোমরা এটাকে আঁকড়ে ধরো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না এবং ধ্বংসও হবে না। [সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১২২; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৭৯৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১২২; মুসান্নাফে ইবনে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০৬২৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৮।]
কুরআনের মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তীদের ইতিহাস, রয়েছে ভবিষ্যতের সংবাদ, এটা ফায়সালাদানকারী। এটাকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি অন্য কোথাও হেদায়াত অনুসন্ধান করবে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করে দেবেন। এটা আল্লাহর এক মজবুত রশি এবং জ্ঞানময় উপদেশ। আর এটাই হলো সিরাতে মুস্তাকীম বা সোজা পথ। এর আশ্চর্যকারিতা কখনো শেষ হয় না। জ্ঞানার্জনকারীরা এর থেকে কখনো বিমুখ হয় না। এটা বার বার পাঠ করলেও বিরক্তি আসে না। জিনেরা এটা শোনার পর একথা না বলে পারেনি যে, আমরা এমন এক আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি, যা সঠিক পথের সন্ধান দেয়। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। [সূরা জিন- ১, ২।] যে ব্যক্তি কুরআন দিয়ে কথা বলবে সে সত্য বলবে। যে কুরআনের উপর আমল করবে সে এর প্রতিদান পাবে। যে এর মাধ্যমে বিচার করবে সে ইনসাফ করবে। যে এটাকে আঁকড়ে ধরবে সে সঠিক পথের সন্ধান পাবে। [দারেমী, হা/৩৩৭৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৩৬; তিরমিযী, হা/২৯০৬।]
২. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীস :
কুরআন যেহেতু সংক্ষিপ্ত কিতাব, তাই এর ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য এবং এর বাস্তব প্রয়োগ দেখিয়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ কে মানবজাতির কাছে প্রেরণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বাস্তব শিক্ষার মাধ্যমে সাহাবায়ে কেরামকে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর তাঁর এই শিক্ষাগুলো হাদীস গ্রন্থসমূহের মাঝে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাই একজন মুসলিমের দ্বিতীয় সিলেবাস হলো হাদীস অধ্যয়ন করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসসমূহ হচ্ছে ইসলামের দ্বিতীয় মূলভিত্তি। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ ইসলামের ব্যাপারে যা কিছু করতেন এবং বলতেন সবই আল্লাহর পক্ষ হতে প্রাপ্ত ওহীর মাধ্যমে করতেন এবং বলতেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তোমাদের সাথি পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিভ্রান্তও হয়নি। তিনি প্রবৃত্তি হতে কথা বলেন না। এটা তো এক ওহী, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। (সূরা নাজম : ২-৪)
রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের পক্ষ হতে দ্বীনের মধ্যে কোন কম-বেশি করেননি এবং এটা তার জন্য করার সুযোগও ছিল না। কেননা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তার উপর যে কিতাব নাযিল করেছেন এর হেফাযতের দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক। (সূরা হিজর- ৯)
দ্বীনের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি নিজের মনগড়া কিছু বলতেন বা নিজের থেকে কুরআনের সাথে কোন কিছু সংযোজন করতেন, তবে তিনিও আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পেতেন না। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা অনেক কঠিন সতর্কবাণী দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
যদি রাসূল নিজে কোন কথা বানিয়ে আমার কথা বলে চালিয়ে দিত, তবে অবশ্যই আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে দিতাম তার শাহরগ। অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ থাকত না, যে তার থেকে আমাকে বিরত রাখতে পারে। (সূরা হা-ক্কাহ : ৪৪-৪৭)
নবীর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা যত বিধিবিধান বান্দাদের উপর আরোপ করেছেন সেসব বিধিবিধান বাসত্মবায়ন করার জন্য সকল মুসলিম বাধ্য। কেননা নবীর নির্দেশগুলোও মূলত আল্লাহরই নির্দেশ। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য করে সে মূলত আল্লাহরই আনুগত্য করে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল এবং যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল তবে (মনে রেখো) তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা- ৮০)
নবীর নির্দেশকে মেনে চলার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মুমিন বান্দাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ মর্মে কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে-
রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে খুবই কঠোর। (সূরা হাশর- ৭)
অতএব উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্ট জানা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পক্ষ থেকে ইসলামের ব্যাপারে যত কথা এবং কাজ আমরা জানতে পেরেছি তার উপর আমল করা এবং তা মেনে চলা মূলত আল্লাহরই নির্দেশ। এজন্য নবী ﷺ এর যত সহীহ হাদীস রয়েছে সেসকল সহীহ হাদীস অধ্যয়ন করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর অবশ্য কর্তব্য।
৩. সাহাবায়ে কেরামের আছার :
সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পক্ষ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারা নবী ﷺ এর কাছ থেকে ইসলামের ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ের বিধিবিধান সরাসরি শিখেছেন। এজন্য সাহাবায়ে কেরামের আছার তথা তাদের থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহও আমাদের জন্য অনুসরণীয়। তাদের কথাগুলোও বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত আছে। এসকল হাদীসকে উসূলে ফিকহের পরিভাষায় মাওকূফ হাদীস বলা হয়।
আর সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণ করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ এরও নির্দেশ রয়েছে। হাদীসে এসেছে,
ইরবায ইবনে সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে দন্ডায়মান হলেন। অতঃপর হৃদয়স্পর্শী একটি ভাষণ দিলেন। যার মাধ্যমে হৃদয় কেঁপে উঠল এবং চক্ষু থেকে অশ্রু প্রবাহিত হলো। এরপর তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এমন ভাষণ দিলেন, মনে হচ্ছে যে, তা শেষ ভাষণ। সুতরাং আপনি আমাদেরকে কিছু উপদেশ দিন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে অর্থাৎ সর্বদা আল্লাহকে ভয় করবে। খলিফার আদেশ শ্রবণ করবে এবং তার আনুগত্য করবে, যদিও সে একজন কালো গোলাম হয়। অচিরেই তোমরা আমার পর অনেক মতবাদ দেখতে পাবে। তাই তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাতকে এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে। (আমার এবং আমার সাহাবীদের আদর্শকে) তোমরা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরবে। সাবধান! অবশ্যই তোমরা বিদআত থেকে অর্থাৎ নব আবিষ্কৃত আমল থেকে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নব আবিষ্কৃত আমল গুমরাহী। [ইবনে মাজাহ, হা/৪২; জামেউস সগীর, হা/৪৩১৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৩৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩২৯।]
একটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে, অনেক লোক আল্লাহর নবীর নামে মনগড়া হাদীস তৈরি করেছে। এজন্য হাদীস গ্রন্থসমূহে অনেক বানোয়াট এবং দুর্বল হাদীস রয়েছে। এসব হাদীসগুলোকে যাচাই-বাছাই করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা কিছু লোককে তৈরি করেছেন। তারা হাদীসের সনদ (হাদীসের বর্ণনা সূত্র) যাচাই-বাছাই করে সহীহ হাদীসসমূহ নির্বাচন করেছেন। এজন্য আমাদের দায়িত্ব হলো আল্লাহর নবীর সহীহ হাদীসসমূহ জানা এবং এগুলোর উপরই আমল করা। আর যেসকল বানোয়াট এবং দুর্বল হাদীস সমাজে প্রচলিত রয়েছে এবং যেগুলোর উপর আমল চলছে তা থেকে মানুষকে সতর্ক করা।
৪. কুরআন ও সুন্নার সহীহ দলীল সম্পন্ন বই-পুস্তক :
বিভিন্ন যুগে আল্লাহ তা‘আলা এমন অনেক লোক তৈরি করেছেন, যারা ইসলামের সঠিক শিক্ষাকে জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য এবং ইসলামের নামে যতসব বিভ্রান্তি সমাজে চালু আছে তা থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য কাজ করে গেছেন। তারা আজীবন পরিশ্রম করে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এজন্য তারা কুরআন ও সুন্নার আলোকে অনেক বই-পুস্তকও রচনা করেছেন। সুতরাং সহীহ ইলম ও আকীদা সম্পন্ন আলেমগণের বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত বই-পুস্তক পড়ে আমাদেরকে ইসলামের জ্ঞানার্জন করতে হবে।
অনেকে ইসলামের নামে দলীলবিহীন অনেক বই-পুস্তক রচনা করেছেন। আবার অনেকে হাদীস যাচাই-বাছাই করা ছাড়াই বানোয়াট ও দুর্বল হাদীস দিয়ে বই-পুস্তক রচনা করেছেন। এসব বই-পুস্তক থেকে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। আবার অনেক ভ্রামত্ম আকীদার বই বাজারে আছে। এসব থেকেও আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/46
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।