মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআনের নির্দেশ হলো لَا تَفَرَّقُوْا (লা- তাফার্রাকূ) তোমরা বিভক্ত হয়ো না। [সূরা আলে ইমরান- ১০৩।] অথচ আমরা পবিত্র কুরআনের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন দলে ও মতে বিভক্ত হয়ে নিজেদের সংহতিকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলেছি। লক্ষ লক্ষ ইট দিয়ে যে ঘর তৈরি হয় আর সে ঘরের বিভিন্ন স্থানে যদি ফাটল ধরে, তাহলে সে ঘরের যে অবস্থা হয়, আমাদের অবস্থাটাও ঠিক তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাদীসে এসেছে,
আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় একজন মুমিন অপর মুমিনের জন্য একটি প্রাচীরের ন্যায়। তারা একে অপরের দ্বারা শক্তি অর্জন করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এক হাতের আঙ্গুল অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন। [সহীহ বুখারী, হা/৪৮১, ২৪৪৬, ৬০২৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৫০; তিরমিযী, হা/১৯২৮; নাসাঈ, হা/২৫৬০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৬৪১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৩১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩১৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৭৩২১; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১০৪০; বায়হাকী, হা/১১২৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০৯৮৫; মুসনাদে হুমাইদী, হা/৮০৮।]
নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে মুমিনদের উদাহরণ একটি মানব দেহের ন্যায়- যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয় তখন তার সমস্ত দেহ জ্বর ও অনিদ্রা ডেকে আনে। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৫১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৪০৪; মুসনাদে তায়ালুসী, হা/৮২৭; মু‘জামুস সগীর, হা/৩৮২; বায়হাকী, হা/৬২২৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৪৫৯; মুসনাদে ইবনে জাদ, হা/৬০৫; মুসনাদে হুমাইদী, হা/৯৬১; জামেউস সগীর, হা/১০৭৮৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০৮৩।]
মানুষের শরীরের কোন অঙ্গে আঘাত লাগলে যেমনিভাবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও ব্যথিত হয়, ঠিক তেমনিভাবে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকেই হোক না কেন একজন মুসলিম অপর মুসলিমের কষ্টে ব্যথিত হবে। এমনকি সামর্থ্যানুযায়ী সর্বশক্তি দিয়ে তার দুঃখ মোচনের জন্য এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা কি তা করি? ব্যথিত হওয়া তো দূরের কথা, উপরমত্মু কেমন করে সে আরো বিপদে পড়বে সে কামনাই করে থাকি। মনে মনে আনন্দবোধ করি। একজনের উন্নতি দেখে অন্যজন হিংসায় জ্বলে যাই। অথচ মুখে গর্ব করে বলি যে, আমরা মুসলিম। আমরা সবাই ভাই ভাই।
কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় একদল অন্য দলকে উচ্ছেদ করতে চায়। লক্ষ লক্ষ মুসলিমের রক্ত নিয়ে খেলতে হয় খেলবে, লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে গৃহহারা করতে হয় করবে। লক্ষ লক্ষ বোনের ইজ্জত নষ্ট করতে হয় করবে, অসংখ্য প্রতিভাকে চিরতরে বিদায় দিতে হয় দেবে। স্বামীহারা নারীর আর্তচিৎকারে, পুত্রহারা জননীর বুক ফাটা ক্রন্দনে, বাচ্চাদের করুণ আর্তনাদে আল্লাহর আরশ কেঁপে যায় যাক, তবুও গদী দখল করতেই হবে অথবা পৃথিবীর উনণত শহরে একটা বাড়ি কিনতেই হবে। এসবই হচ্ছে বিশ্বের বর্তমান অবস্থা।
এ পর্যন্ত যত রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়েছে বা হতে যাচ্ছে সব দলের মূলে আছেন একজন করে রাজনৈতিক নেতা। ধর্মের নামেও যত দল তৈরি হয়েছে বা হতে যাচ্ছে এগুলোর মূলেও আছেন এক একজন করে ধর্মীয় নেতা। ধর্মীয় নেতারা কুরআন ও হাদীসকে কেন্দ্র করে বিভিন্নরূপে ও বিভিন্ন ঢঙে নিজেদের মতবাদ প্রচার করেছেন বলেই এত ধর্মীয় দল তৈরি হয়েছে।
সর্বপ্রথম মাযহাবী দলাদলির সৃষ্টি হয় মহামতি ইমামদেরকে কেন্দ্র করে। কোন ইমামই প্রিয় নবী ﷺ এর ২৩ বছরের সমগ্র হাদীস সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁদেরকে কিয়াসের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। যিনি যত কম হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন, তাঁকে ততবেশি কিয়াস করতে হয়েছিল। অবশ্য প্রত্যেক ইমাম বলে গেছেন যে, আমাদের এই কিয়াসগুলোকে আল্লাহর নবীর হাদীসগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখো। যদি মিলে যায় তবে উত্তম, আর যদি না মিলে, তাহলে আমাদের অভিমত বাদ দিয়ে আল্লাহর নবীর সিদ্ধান্তকেই গ্রহণ করবে। কিন্তু পরবর্তী যুগে তা আর হলো না। ইমামগণের তিরোধানের পর তাঁদের অনুসারীরা যখন পৃথক পৃথকভাবে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করলেন, তখন দেখা গেল যে, অতিভক্তির কারণে তারা আপন আপন উস্তাদের সিদ্ধান্তগুলোকে সিলেবাসে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ফলে আলেম তৈরির কারখানাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল।
ধর্মের নামে পরবর্তী যুগে শত শত দল সৃষ্টি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এ সবের মূলে যে শিক্ষার অভাব- তা নয়। শিক্ষিতের হার আমাদের মধ্যে বেড়েই চলেছে। এ সবের পরও দলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার একমাত্র কারণ শিক্ষিত ব্যক্তিরা এক একটি দলের মাথা হিসেবে কাজ করেন। আর এর ফলস্বরূপ মুসলিম জাতি থেকে ভ্রাতৃত্ববোধ উঠে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে বহু গণ্য-মান্য আলেমকে দেখা যায়, সারা জীবন ধরে তাঁরা অন্য দলের বিরুদ্ধে বই-পুস্তক লিখে কলমের কালি ক্ষয় করে গেছেন। কোন্ দলের আলেমের পেছনে সালাত হবে না, কোন্ মুহাদ্দিসের কাছে হাদীস পড়া হারাম, কোন্ দলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না, কোন্ দলের দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না ইত্যাদি নিয়েই তাদের মাথা ব্যথা বেশি।
আলেম সমাজ যদি মাযহাবী ঝগড়া বাদ দিয়ে পবিত্র, কুরআন ও হাদীসের মৌলিক নীতিতে এক হয়ে মুসলিম ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁদের পান্ডিত্যকে কাজে লাগাতেন, তাহলে এত দলাদলি থাকত না। এই দলাদলিই যে আমাদেরকে অধঃপতনের অতল তলে নিক্ষেপ করেছে তা সহজেই বুঝা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/48
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।