মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তাকলীদ নিষিদ্ধ মানে এ নয় যে, প্রত্যেককেই প্রতিটি কাজ করার পূর্বে মূল প্রমাণ গবেষণা করে দেখতে হবে। এর অর্থ এও নয় যে, প্রথম দিকের বিশেষজ্ঞ ইমামদের অবদানকে প্রত্যাখ্যান কিংবা উপেক্ষা করতে হবে। তা সম্পূর্ণ বাসত্মবতার পরিপন্থী এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম্ভব। তবে ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান রয়েছে তাদের উচিত সেসকল বিশেষজ্ঞের মতামতের দিকে দৃষ্টিপাত করা। জ্ঞানান্বেষণের ক্ষেত্রে একজন আলেমকে অবশ্যই উদার মানসিকতার অধিকারী হতে হবে; নতুবা তার সিদ্ধামত্মগুলো পক্ষপাত বা দলীয় দোষে দোষী সাব্যসত্ম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ কথা স্মরণ রাখা উচিত যে, আইনের মূলনীতি অধ্যয়নের ক্ষেত্রেও পূর্বসূরী বিশেষজ্ঞদের মহান কীর্তিগুলোর উপর নির্ভর করতে হবে। ফিকহশাস্ত্র সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চিমত্মা করা একেবারেই অসম্ভব এবং এই অপচেষ্টা করাও অনুচিত। কারণ তা নির্ঘাত বিচ্যুতি ও পথভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যাবে। কোন বিশেষ বিষয়ে সত্যপন্থী বিশেষজ্ঞগণ হয় আগের কোন বিশেষজ্ঞের সিদ্ধামত্ম অনুসরণ করবেন, নতুবা তাদের প্রণীত নীতিমালার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে নতুন কোন সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আগের ইমামদেরই অনুসরণ করবেন। তবে এ ধরনের অনুসরণকে স্বয়ং ইমামদের দ্বারা নিষিদ্ধ তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরণ আখ্যা দেয়া যায় না। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ইত্তেবা। এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলো সকল মতামতের উপর প্রাধান্য লাভ করবে, যেমনটি ইমাম আবু হানীফা ও শাফেয়ী (রহ.) বলেছেন- কোন সহীহ হাদীস পাওয়া গেলে, তা-ই আমার মাযহাব।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমরা কার অনুসরণ করব? মানুষ কি কোন ইমামের এমন অনুসরণ করবে যে, তার কথার বাইরে যাবে না, যদিও হক অন্যের সাথে থাকে? নাকি তার কাছে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দলীলের অনুসরণ করবে, যদিও তা তার অনুসারী ইমামের মতের বিরোধী হয়? দ্বিতীয়টিই এর সঠিক জবাব। সেজন্য যিনি দলীল জানতে পারবেন তার উপর সেই দলীলের অনুসরণ করা আবশ্যক- যদিও তা ইমামের বিরোধী হয়। তবে তা যেন ইজমার বিরোধী না হয়ে যায়।
আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ব্যতীত অন্য কারো কথা সর্বাবস্থায় এবং সব সময় অবশ্য পালনীয়, সে মূলত অন্য কারো জন্য রিসালাতের বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করল। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ ব্যতীত অন্য কারো কথার বিধান এমনটা হতে পারে না এবং অন্য কারো কথা সর্বদা অনুসরণীয় হতে পারে না।
ইলমের দিক দিয়ে মানুষ তিন ধরনের-
প্রথম শ্রেণি : প্রকৃত আলেম- যাকে আল্লাহ ইলম ও উপলব্ধি দুটোই দান করেছেন। এ প্রকার ব্যক্তি শরয়ী বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারেন এবং মত পেশ করতে পারেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তবে যারা অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারত। (সূরা নিসা- ৮৩)
মূলত এ শ্রেণির আলেমগণই কুরআন ও সুন্নাহ থেকে হুকুম-আহকাম উদঘাটনের অধিকারী।
দ্বিতীয় শ্রেণি : জ্ঞান পিপাসু- যাকে আল্লাহ তা‘আলা জ্ঞান দিয়েছেন, কিন্তু তিনি প্রথম শ্রেণি পর্যমত্ম পৌঁছতে পারেননি। যদি তিনি সাধারণ বিষয়গুলো এবং তার কাছে যে জ্ঞানটুকু পৌঁছেছে তার অনুসরণ করেন, তার জন্য কোন দোষ নেই। তবে তিনি তার চেয়ে বড় আলেমকে জিজ্ঞেস করার ক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শন করবেন না।
তৃতীয় শ্রেণি : যার কোন ইলম নেই। তার জন্য আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা আবশ্যক। যেসব সাধারণ মানুষ পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখে না তাদের দায়িত্ব হলো, তাদের যতটুকু জ্ঞান আছে সে অনুযায়ী আমল করা, সত্যকে মেনে নেয়ার জন্য নিজেদের মন উন্মুক্ত রাখা এবং যতদূর সম্ভব নির্ভরযোগ্য আলেমদের কাছে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অতএব জ্ঞানীদেরকে দলীল-প্রমাণ সহকারে জিজ্ঞেস করো, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল- ৪৩, ৪৪)
মাসআলার ব্যাপারে কাকে জিজ্ঞেস করবে :
যারা ইসলাম সম্পর্কে বেশি জ্ঞান রাখে না, তারা এ সম্পর্কে যারা জানে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে নেবে। কিন্তু আলেম তো অনেক আছেন- তাদের মধ্যে কাকে জিজ্ঞেস করবে?
সাধারণ ব্যক্তির উপর তার এলাকার সবচেয়ে বিশ্বসত্ম আলেমকে জিজ্ঞেস করা আবশ্যক। কেননা মানুষের শারীরিক অসুস্থতার কারণে যেমন সে সবচেয়ে ভালো ডাক্তার খুঁজে। তেমনি এ ক্ষেত্রেও তাই করবে। কারণ জ্ঞান হলো মনের ঔষধ। মানুষের শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেমন ভালো ডাক্তার নির্ণয় করতে হয়, তেমনি জ্ঞানের অসুস্থতার জন্য ভালো আলেম নির্ণয় করতে হবে। সে দ্বীনদারিতায় ও জ্ঞানে তুলনামূলক উত্তম ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করবে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি জ্ঞানী ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোন মাসআলায় ভুল করতে পারেন এবং তুলনামূলক কম জ্ঞানী ব্যক্তি সঠিক ফতওয়া দিতে পারেন। সুতরাং অগ্রগণ্যতার দিক থেকে জ্ঞানী, আল্লাহভীতি ও দ্বীনদারিতায় অধিকতর সঠিকতার নিকটবর্তী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা উচিত।
যে আলেম নির্দিষ্ট কোন দল বা মাযহাবের অনুসরণ করেন, তাদের কাছে মাসআলা জিজ্ঞেস করা হলে অনেক সময় সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। কেননা মূলনীতি হচ্ছে, যদি কোন মাসআলায় মতভেদ দেখা দেয় তবে অধিকতর সহীহ দলীলের ভিত্তিতে গৃহীত মতটি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু যিনি নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অনুসরণ করেন তিনি মাযহাব কর্তৃক গ্রহণীয় মতামতের বাইরে যাবেন না। মাযহাবে যেটি আছে সেটির ভিত্তিতেই ফতওয়া দেবেন। অথচ হক জিনিসটা ভিন্ন মতের মধ্যেও থাকতে পারে।
এজন্য সকল মুজতাহিদ ইমামের কথাগুলো পর্যালোচনা করে যার কথা অধিক শুদ্ধ হবে এবং সহীহ দলীলের কাছাকাছি হবে তার কথা মেনে নেয়ার মানসিকতা যাদের রয়েছে তারাই কেবল সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/45
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।