hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুল ইলম

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪০
ইমামদের প্রকৃত অনুসারী কে
যে ব্যক্তি সুস্পষ্ট হাদীস আঁকড়ে ধরতে গিয়ে ইমামদের কিছু কথার বিরম্নদ্ধে গেলেন তিনি ইমামদের বিরোধী হবেন না। বরং তিনি হবেন তাদের প্রত্যেকের অনুসারী। তিনি হবেন শক্ত হাতল মজবুতভাবে ধারণকারী, যে হাতল ছিন্ন হবার নয়। পক্ষামত্মরে যে ব্যক্তি শুধু ইমামদের মতভেদের কারণে সুস্পষ্ট হাদীস প্রত্যাখ্যান করে তার অবস্থা এমনটি নয়, বরং সে এর মাধ্যমে তাদের অবাধ্য হলো এবং তাদের পূর্বোক্ত কথাগুলোর বিরোধিতা করল। আলস্নাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِۤيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا ﴾

তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ নিরসনে তোমাকে বিচারক মানবে। অতঃপর তোমার মীমাংসায় নিজেদের মনে কোন সংকীর্ণতা অনুভব করবে না এবং তা সমত্মুষ্টচিত্তে মেনে নিবে। (সূরা নিসা- ৬৫)

তিনি আরো বলেন,

﴿فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ أَمْرِهۤ أَنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ﴾

তাই যারা তাঁর আদেশের বিরম্নদ্ধাচরণ করে তারা যেন ভীতিগ্রসত্ম থাকে (কুফর, শিরক বা বিদআত দ্বারা) ফেতনায় আক্রামত্ম হওয়ার অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাসিত্ম প্রাপ্ত হওয়ার ব্যাপারে। (সূরা নূর- ৬৩)

যে কারো নিকট রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর পবিত্র নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে, তিনি সে হাদীসের মর্মও উপলব্ধি করবেন। তার উপরই আবশ্যিক হবে যে, এ হাদীসটিকে জাতির সামনে বিসত্মারিতভাবে বর্ণনা করা। উম্মতের কল্যাণ কামনা করা ও রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর আদেশ পালন করার নির্দেশ প্রদান করা। যদিও হাদীসটি বড় কোন ইসলামী ব্যক্তিত্বের মতবাদের বিরোধী হয়। রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর যে কোন হাদীস তথা আদেশ বা নিষেধ ইসলামে কোন বড় ব্যক্তিতেবর অভিমতের তুলনায় সর্বাধিক শ্রদ্ধাভাজন ও অনুসরণযোগ্য, যার সাথে কোন বড় ব্যক্তিত্বের তুলনা নেই। বড় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তি কোন সময় ভুলবশত রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর নির্দেশের বিরোধিতা করে থাকেন। সেহেতু সাহাবী ও পরবর্তীগণ সহীহ হাদীসের বিরোধিতাকে প্রতিবাদ করেছেন। কোন সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক কঠোরতা অবলম্বন করেছিলেন। আলস্নাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল হলেন সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয়তম। তার নির্দেশ পালন করা সকল সৃষ্টিকুলের কর্তব্য।

তাই যখন রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর নির্দেশ ও অন্য কোন বড় ব্যক্তির নির্দেশের মাঝে বিরোধ দেখা দেবে, তখন রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর নির্দেশ প্রাধান্য পাবে, সবচেয়ে বেশি পালনীয় ও অনুসরণযোগ্য হবে।

ইমামগণ তাদের অনুসারীদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমার মতামতের বিরোধী কোন হাদীস পাওয়া গেলে সে হাদীসই আমার মতামত। তারা সকলে স্বীয় অনুসারীদেরকে সুন্নাতের সাথে সাংঘর্ষিক মতবাদগুলোকে পরিহার করা ওয়াজিব করেছেন।

সুতরাং আমাদের কর্তব্য হবে সুন্নাতবিরোধী মতবাদগুলো ইমামদের দিকে জড়িয়ে দেয়ার মিথ্যাচার না করা।

আগেকার অনুসারীরা ইমামদের সকল মতবাদকে গ্রহণ করতেন না। তাদের অনেক কথাকেই ছেড়ে দিয়েছেন।

ইমাম ইছাম বিন ইউসুফ আল বালাখী (রহ.), যিনি ইমাম মুহাম্মাদ (রহ.) এর সাথি ছিলেন তিনি ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর মতামতের সম্পূর্ণ উল্টো অনেক ফতওয়া প্রদান করেছেন। কেননা এ সমসত্ম কথাগুলোর দলীল ইমাম আবু হানীফা (রহ.) জানতে পারেননি; অথচ অন্যদের থেকে স্পষ্ট দলীল প্রকাশ পেয়েছে- বিধায় তিনি সে দলীলের উপর ফতওয়া দিতেন। যার ফলে তিনি রুকূতে যাওয়ার সময় ও রুকূ থেকে উঠার সময় দু’হাত উত্তোলন করতেন। যেহেতু এ ব্যাপারে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর থেকে মুতাওয়াতির হাদীস এসেছে। ইমামদের মতামত তাকে এ হাদীসের প্রতি আমল করতে বাধা দেয়নি। এমন আদর্শের উপরই প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর অটল থাকা আবশ্যক।

প্রসিদ্ধ চার ইমাম ও অন্যান্যদের মতামত এ মর্মেই প্রমাণিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইমামদের অনুসারী হলো ঐ ব্যক্তি, যে কোন কিছুকে কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নার উপর প্রাধান্য দেয় না। আর যারা কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নার উপর কোন ব্যক্তির মতামতকে প্রাধান্য দেয়, মূলত তারাই ইমামদের বিরম্নদ্ধাচরণকারী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন