মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবজাতির ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকেই যারা তাওহীদ, আখিরাত ও রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আসছেন, তারা সকলেই মুসলিম ছিলেন। এ সত্য মিল্লাতের অনুসারীদেরকে কোন দিন ‘নূহী’ ‘ইবরাহিমী’ বা ‘মাসীহী’ ইত্যাদি বলা হয়নি বরং তাদের নাম ছিল ‘মুসলিম’ এবং আজও সবাই মুসলিম। তবে অতি দুঃখের বিষয় যে, আজকের মুসলিমরা তাদের এ প্রকৃত পরিচিতিমূলক নামটি ব্যবহার না করে ভিন্ন ভিন্ন নামে তাদের পরিচয় প্রকাশ করছে, যার ফলে গোটা মুসলিম উম্মাহ বিভক্ত হয়ে গেছে। ফলে সবাই মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে হিংসা-বিবাদ ও হানাহানি লেগেই আছে।
আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম। এর বাইরে আমাদের আর কোন পরিচয় নেই। কুরআন থেকে আমরা আমাদের মূল পরিচয় এটাই পাই। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত। তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন ‘মুসলিম’ এবং এ কিতাবেও। (সূরা হাজ্জ– ৭৮)
এ আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে নামকরণ করেছেন। আর সেজন্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা পবিত্র কুরআনে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়াটাই পছন্দ করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান- ১০২)
আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ ﷺ এর পূর্ব পর্যমত্ম সকল নবী-রাসূলগণ মুসলিম ছিলেন। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা তাদের কারো কারো পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে তাদেরকেও মুসলিম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
নূহ (আঃ) মুসলিম ছিলেন :
﴿ وَاُمِرْتُ اَنْ اَكُوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ ﴾
{নুহ (আঃ) বলেছিলেন} আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যই আদিষ্ট হয়েছি। (সূরা ইউনুস- ৭২)
হে আমাদের রব! আমাদের উভয়কে মুসলিম বানিয়ে দিন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য হতেও আপনার অনুগত একদল লোক সৃষ্টি করে দিন। আর আমাদেরকে ইবাদাতের আহকাম বলে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হোন, নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা বাক্বারা- ১২৮)
ইবরাহীম ও ইয়াকূব স্বীয় সন্তানদেরকে এ সদুপদেশ প্রদান করেছিল যে, হে আমার বংশধর! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীনকে (জীবনব্যবস্থা হিসেবে) মনোনীত করেছেন। অতএব তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা বাক্বারা- ১৩২)
ইউসুফ (আঃ) মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য দু‘আ করেছিলেন :
হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! ইহকাল ও পরকালে তুমিই আমার অভিভাবক। তুমি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দাও এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করো। (সূরা ইউসুফ- ১০১)
স্মরণ করো, যখন আমি হাওয়ারীদেরকে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার প্রতি ও আমার রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করো। তখন তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম এবং তুমি সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলিম। (সূরা মায়েদা- ১১১)
নিশ্চয় আমি আদিষ্ট হয়েছি এ নগরীর প্রতিপালকের ইবাদাত করার জন্য, যিনি তাকে সম্মানিত করেছেন এবং সমস্ত কিছু তাঁরই জন্য। আর আমি আরো আদিষ্ট হয়েছি- যেন আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই। (সূরা নামল- ৯১)
এখন কোন ব্যক্তি যদি প্রশ্ন করে- আপনি কে? তার উত্তরে আপনার বলা উচিৎ- আমি একজন মুসলিম। কেউ যদি নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ইমাম আবু হানিফা (রহ.), অথবা ইমাম মালিক (রহ.) অথবা ইমাম শাফেয়ী (রহ.) অথবা ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.) এদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করে তবে কোন আপত্তি নেই । যদি কেউ কখনো ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এর কথা গ্রহণ করে, কখনো আবু হানিফা (রহ.) এর মত গ্রহণ করে, তাতেও কোন আপত্তি নেই। কিন্তু একজন ঈমানদার ব্যক্তির মূল পরিচয় হলো সে একজন মুসলিম।
কিন্তু বর্তমানে আপনি যদি কিছু মুসলিমকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কী? তখন কেউ বলে, আমি হানাফী, আমি শাফেয়ী, আমি মালিকী অথবা কেউ বলে আমি হাম্বলী। আমাদের প্রিয় নবী ﷺ ও তার সাথিগণ কী ছিলেন? তিনি কি শাফেয়ী ছিলেন? তিনি কি হাম্বলী ছিলেন? তিনি কি মালিকী ছিলেন? নাকি তিনি হানাফী ছিলেন? বরং তিনি ছিলেন একজন মুসলিম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন অংশিদার নেই, আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম মুসলিম। (সূরা আনআম- ১৬২, ১৬৩)
কুরআন প্রমাণ করেছে যে, নূহ (আঃ) একজন মুসলিম, ইবরাহীম (আঃ) একজন মুসলিম, মূসা (আঃ) একজন মুসলিম, ঈসা (আঃ) একজন মুসলিম, মুহাম্মাদ ﷺ একজন মুসলিম। সকল যুগের সকল নবী-রাসূলগণ মুসলিম নামে পরিচয় দান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তিনি তোমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন ঐ দ্বীন, যার নির্দেশ দিয়েছিলেন নূহকে এবং যে ব্যাপারে আমি তোমাকে ওহী করেছিলাম। আর যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই বলে যে, তোমরা এ দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে মতভেদ করো না। (সূরা শূরা- ১৩)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/51
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।