hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুল ইলম

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৩
কুরআন ও সুন্নার উপর আমল করা ফরয
সকলের উপর ফরয হলো, একতাবদ্ধ হয়ে কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর উপর আমল করা। কুরআন ও সুন্নাহে এর অনেক দলীল রয়েছে। যেমন, আলস্নাহ তা‘আলা বলেন-

﴿اِتَّبِعُوْا مَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوْا مِنْ دُوْنِه ۤ اَوْلِيَآءَؕ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ﴾

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কোন অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা আ‘রাফ- ৩)

‘‘আলস্নাহ তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ করেছেন’’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, ‘কুরআন’ এবং এর ব্যাখ্যাকারী গ্রন্থ ‘হাদীস’। কেননা এ উভয়টিই ওহীর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে।

﴿وَاتَّبِعُوْاۤ اَحْسَنَ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّاْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَّاَنْتُمْ لَا تَشْعُرُوْنَ﴾

তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে উত্তম যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করো- তোমাদের উপর হঠাৎ করে শাস্তি আসার পূর্বে, যে ব্যাপারে তোমাদের কোন খবরও থাকবে না। (সূরা যুমার- ৫৫)

নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কুরআন হলো সর্বোত্তম কিতাব, যা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর সুন্নাহ হলো, কুরআনের ব্যাখ্যাকারী। আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যে উত্তম কিতাব আমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে, যারা তার অনুসরণ করবে না আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেন।

আল্লাহ তা‘আলা অপর আয়াতে বলেন,

﴿وَاَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاحْذَرُوْاۚ فَاِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوْاۤ اَنَّمَا عَلٰى رَسُوْلِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِيْنُ﴾

তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো ও রাসূলের আনুগত্য করো এবং সতর্ক হও। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রেখো, স্পষ্ট প্রচারই আমার রাসূলের দায়িত্ব। (সূরা মায়েদা- ৯২)

অন্য আয়াতে বলেন,

﴿فَاتَّقُوا اللهَ وَاَصْلِحُوْا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَاَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَهٗۤ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ﴾

আল্লাহকে ভয় করো এবং নিজেদের মধ্যে সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুমিন হও।

(সূরা আনফাল- ১)

কুরআন ও সুন্নার আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত হেদায়াত :

﴿قُلْ أَطِيْعُوا اللهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُمْ مَّا حُمِّلْتُمْ وَإِنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا وَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِيْنُ﴾

বলো, তোমরা আলস্নাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তিনি শুধু তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে তোমরা হেদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। (সূরা নূর- ৫৪)

কুরআন ও সুন্নার আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে রহমত :

﴿وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ﴾

তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার। (সূরা নূর- ৫৬)

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য করার নির্দেশ :

﴿وَمَاۤ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُۚ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْاۚ وَاتَّقُوا اللهَؕ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ﴾

রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে খুবই কঠোর। (সূরা হাশর- ৭)

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মধ্যেই রয়েছে উত্তম আদর্শ :

﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُو اللهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيْرًا﴾

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের দিনকে ভয় করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব- ২১)

এখানে اُسْوَةٌ অর্থ اِقْتِدَاءٌ তথা অনুসরণ করা। সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের উচিত রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর আদর্শে জীবন গঠন করা। আর এটাই হবে তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আদেশ-নিষেধ মানা ঈমানের পরিচায়ক :

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْ ۤأَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا﴾

তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ নিরসনে তোমাকে বিচারক হিসেবে মানবে। অতঃপর তোমার মীমাংসায় নিজেদের মনে কোন সংকীর্ণতা অনুভব করবে না এবং তা সমত্মুষ্টচিত্তে মেনে নিবে। (সূরা নিসা- ৬৫)

আলস্নাহ তা‘আলা অত্র আয়াতে কসম করে বলছেন যে, তারা ততক্ষণ পর্যমত্ম মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের বিতর্কিত বিষয়ের ফায়সালা রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর মাধ্যমে গ্রহণ করবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসরণ না করলে মানুষ বিভ্রামত্ম হয়ে যাবে :

﴿فَاِنْ لَّمْ يَسْتَجِيْبُوْا لَكَ فَاعْلَمْ اَنَّمَا يَتَّبِعُوْنَ اَهْوَآءَهُمْؕ وَمَنْ اَضَلُّ مِمَّنِ اتَّبَعَ هَوَاهُ بِغَيْرِ هُدًى مِّنَ اللهِؕ اِنَّ اللهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ﴾

তারা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে জানবে যে, তারা কেবল নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথনির্দেশকে অগ্রাহ্য করে নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে, তার চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সূরা ক্বাসাস- ৫০)

যে নিজেই আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় না এবং তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাকে জোর করে সত্য ও সঠিক পথ দেখানো আল্লাহর রীতি নয়। এ ধরনের লোকেরা সত্য ও সঠিক পথ পরিত্যাগ করে বিভ্রান্তের মতো যেসব ভুল পথে ঘুরে বেড়াতে চায় আল্লাহ তাদেরকে সেসব পথে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ দেন। একজন সত্য সন্ধানী লোকের জন্য যেসব মাধ্যম সত্যপথ লাভের ব্যাপারে সহায়ক হয়, একজন অসত্য ও ভ্রান্ত পথ প্রত্যাশী ব্যক্তির জন্য সেগুলো বিভ্রান্তি ও গুমরাহীর কারণ হয়।

রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল ওহীর অনুসরণ করতেন :

রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন আমাদের মতোই একজন মানুষ। অন্যান্য মানুষের মতো তার উপরও শরীয়তের বিধান প্রযোজ্য ছিল। তিনি শরীয়তের বিষয়ে নিজের থেকে কোন কিছু বলতেন না। বরং তিনি ওহীর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ হতে যা কিছু নির্দেশ পেতেন তাই বর্ণনা করতেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلْ مَا يَكُوْنُ لِۤيْ اَنْ اُبَدِّلَهٗ مِنْ تِلْقَآءِ نَفْسِيْۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّۚ اِنِّۤيْ اَخَافُ اِنْ عَصَيْتُ رَبِّيْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ﴾

(হে নবী! তাদেরকে) বলো, নিজ হতে এটা বদলানো আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি। (সূরা ইউনুস- ১৫)

তিনি আরো বলেন,

﴿قُلْ لَّاۤ اَقُوْلُ لَكُمْ عِنْدِيْ خَزَآئِنُ اللهِ وَلَاۤ اَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَاۤ اَقُوْلُ لَكُمْ اِنِّيْ مَلَكٌۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّ﴾

বলো, আমি তোমাদেরকে এটা বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধনভান্ডার আছে। আর অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি কোনকিছু জানি না। আমি তোমাদেরকে এটাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা; তবে আমার প্রতি যা ওহী করা হয় আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। (সূরা আনআম- ৫০)

তিনি অন্য আয়াতে আরো বলেন,

﴿قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِّنَ الرُّسُلِ وَمَاۤ اَدْرِيْ مَا يُفْعَلُ بِيْ وَلَا بِكُمْؕ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّ وَمَاۤ اَنَا اِلَّا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ﴾

(হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, আমি তো রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না যে, আমার সাথে ও তোমাদের সাথে কেমন আচরণ করা হবে। আমি তো শুধু তা-ই মেনে চলছি, যা আমার উপর ওহী করা হয়। আর আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ছাড়া আর কিছুই নই। (সূরা আহকাফ- ৯)

অন্য আয়াতে আলস্নাহ তা’আলা আরো বলেন

﴿قُلْ اِنَّمَاۤ اُنْذِرُكُمْ بِالْوَحْيِ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ إِذَا مَا يُنْذَرُوْنَ﴾

বলো, আমি তো তোমাদেরকে কেবল ওহী দ্বারাই সতর্ক করে থাকি। কিন্তু যারা বধির তাদেরকে যখন সতর্ক করা হয়, তখন তারা সে আহবান শুনে না। (সূরা আম্বিয়া- ৪৫)

﴿قُلْ اِنْ ضَلَلْتُ فَاِنَّمَاۤ اَضِلُّ عَلٰى نَفْسِيْۚ وَاِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوْحِيْۤ اِلَيَّ رَبِّيْؕ اِنَّهٗ سَمِيْعٌ قَرِيْبٌ﴾

বলো, যদি আমি পথভ্রষ্ট হই, তবে তো নিজেরই ক্ষতি করব; আর যদি আমি সরল-সঠিক পথের উপর থাকি, তবে তা এজন্য সম্ভব হচ্ছে যে, আমার প্রতিপালক আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন এবং তিনি অতি নিকটবর্তী। (সূরা সাবা- ৫০)

উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ওহীর পথই হলো হেদায়াতের পথ এবং রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর পথ হলো ওহীর অনুসরণ করা। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য করতে আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের উপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য করা আবশ্যক।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্যই আল্লাহর আনুগত্য :

রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন আল্লাহর পক্ষ হতে মানবজাতির জন্য একজন শিক্ষক। আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে যখন যা কিছু করতে বলেছেন, তখন তিনি তাই করেছেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য করা আল্লাহর আনুগত্যেরই নামামত্মর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَۚ وَمَنْ تَوَلّٰى فَمَاۤ اَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًا ﴾

যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল এবং যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল তবে (মনে রেখো) তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা- ৮০)

আলস্নাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ﴾

তাদেরকে বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো। (যদি কর) তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান- ৩১)

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণকারীদের মর্যাদা :

﴿وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَالرَّسُوْلَ فَاُولٰٓئِكَ مَعَ الَّذِيْنَ اَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيِّيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَآءِ وَالصَّالِحِيْنَۚ وَحَسُنَ اُولٰٓئِكَ رَفِيْقًا﴾

যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তারা সকলেই নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালেহীনদের অন্তর্ভুক্ত; তারা নিয়ামতপ্রাপ্তদের সাথে থাকবে এবং তারাই একে অপরের উত্তম সঙ্গী হবে। (সূরা নিসা– ৬৯)

একমাত্র ওহীর অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে সঠিক পথ :

﴿فَاِمَّا يَاْتِيَنَّكُمْ مِّنِّيْ هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقٰى﴾

পরে আমার পক্ষ হতে তোমাদের নিকট সৎপথের নির্দেশ আসলে যে আমার পথ অনুসরণ করবে, সে বিপথগামী হবে না এবং দুঃখ-কষ্টও পাবে না। (সূরা ত্বা-হা- ১২৩)

অত্র আয়াতটি প্রমাণ করে যে, যারা ওহীর অনুসরণ করবে তারা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না এবং পরকালে হতভাগাদের অমত্মর্ভুক্ত হবে না। তাছাড়া এ আয়াত এটাও প্রমাণ করে যে, কোন আলেমের অন্ধ অনুসরণ করা পথভ্রষ্টতার অমত্মর্ভুক্ত। কারণ কোন আলেমই নিষ্পাপ নন, তাদের মাধ্যমেও ভুল সংঘটিত হয়। সুতরাং তাদের থেকে আগত সব কথাই ওহীভিত্তিক বা ওহীর সঠিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী হবে- এটাও নিশ্চিত নয়।

কুরআন ও সুন্নার অনুসারীরাই সফলকাম :

﴿اَ لَّذِيْنَ يَسْتَمِعُوْنَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُوْنَ اَحْسَنَهٗؕ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ هَدَاهُمُ اللهُ وَاُولٰٓئِكَ هُمْ اُولُو الْاَ لْبَابِ﴾

যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তার অনুসরণ করে। এরাই ঐসব লোক, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সৎপথে পরিচালিত করেছেন; আর তারাই জ্ঞানের অধিকারী। (সূরা যুমার- ১৮)

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কোন ব্যক্তির মতামতের চেয়ে কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূলুলস্নাহ ﷺ অতি উত্তম।

আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন,

﴿وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا﴾

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে তো মহাসাফল্য লাভ করবে। (সূরা আহযাব- ৭১)

কুরআন ও সুন্নার অনুসরণ করা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য :

﴿اِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذَا دُعُوْاۤ اِلَى اللهِ وَرَسُوْلِهٖ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ اَنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَاؕ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ﴾

মুমিনদের উক্তি তো এই- যখন তাদের মধ্যে ফায়সালা করার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে আহবান করা হয় তখন তারা বলে, আমরা শ্রবণ করলাম ও আনুগত্য করলাম। মূলত তারাই সফলকাম। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই কৃতকার্য। (সূরা নূর- ৫১, ৫২)

﴿وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ يَّاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكَاةَ وَيُطِيْعُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗؕ اُولٰٓئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللهُؕ اِنَّ اللهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ﴾

মুমিন নর ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, এরা সৎ কাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে; অচিরেই আল্লাহ এদেরকে দয়া প্রদর্শন করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা তওবা- ৭১)

কুরআন ও সুন্নার অনুসরণ না করা মুনাফিক ও কাফিদের বৈশিষ্ট্য :

﴿وَاِذَا قِيْلَ لَهُمْ تَعَالَوْا اِلٰى مَاۤ اَنْزَلَ اللهُ وَاِلَى الرَّسُوْلِ رَاَيْتَ الْمُنَافِقِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْكَ صُدُوْدًا﴾

যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসূলের দিকে এসো, তখন তুমি মুনাফিকদেরকে তোমার নিকট হতে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখবে। (সূরা নিসা- ৬১)

এ আয়াত এ কথাই প্রমাণ করছে যে, যখন কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করার আহবান জানানো হয়, তখন তা থেকে যে বিমুখ হয় তার চরিত্র সম্পূর্ণ মুনাফিকের মতো।

﴿قُلْ اَطِيْعُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِيْنَ﴾

বলো, তোমরা আলস্নাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করো। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আলস্নাহ কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না।

(সূরা আলে ইমরান- ৩২)

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তথা কুরআন ও হাদীসের অনুসরণ করে না অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কাফির হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

কুরআন ও সুন্নার অনুসরণের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি :

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُولِى الْاَمْرِ مِنْكُمْ فَاِنْ تَنَازَعْتُمْ فِيْ شَيْءٍ فَرُدُّوْهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوْلِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِؕ ذٰلِكَ خَيْرٌ وَّاَحْسَنُ تَاْوِيْلًا﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করো এবং তাদের আনুগত্য করো, যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী। অতঃপর তোমাদের মাঝে যদি কোন মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, তাহলে সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনয়ন করে থাক; এটাই উত্তম এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর উপযুক্ত। (সূরা নিসা- ৫৯)

আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হলো, তাঁর কিতাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। আর রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর মৃত্যুর পর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হলো তাঁর সুন্নাতের দিকে প্রত্যাবর্তন করা।

আর এ বিষয়টিকে ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত করে বলা হচ্ছে যে, اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ অর্থাৎ যদি তোমরা আলস্নাহর প্রতি ঈমান রাখ তথা দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে কিতাবুলস্নাহ ও সুনণাতে রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন কর, তাহলে সেটাই হলো প্রকৃত ঈমানের পরিচয়। সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে, যদি কেউ দ্বন্দ্ব নিরসনে কুরআন ও সুন্নাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর দিকে প্রত্যাবর্তন করে তাহলে সে ঈমানদার নয়।

এ আয়াতটি ইসলামের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের মূল ভিত্তি। এখানে নিম্নলিখিত মূলনীতিগুলো স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়া হয়েছে।

(এক) ইসলামী জীবনব্যবস্থায় আসল আনুগত্য লাভের অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। একজন মুসলিমের সর্বপ্রথম পরিচয় হচ্ছে, সে আল্লাহর বান্দা; এরপর অন্য কিছু। মুসলিমের ব্যক্তিগত জীবন ও সমাজব্যবস্থা উভয়ের কেন্দ্র ও লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য করা ও বিশ্বস্ততার সাথে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা। অন্যান্য আনুগত্য ও অনুসরণ কেবল তখনই গৃহীত হবে, যখন তা আল্লাহর আনুগত্যের বিপরীত না হবে। কারণ স্রষ্টার নাফরমানী করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না।

(দুই) ইসলামী জীবনব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আনুগত্য। এটি কোন স্বতন্ত্র আনুগত্য নয়; বরং আল্লাহর আনুগত্যের বাস্তব ও কার্যকর পদ্ধতি। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রমাণ ছাড়া আল্লাহর কোন আনুগত্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নবী ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে মূলত আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার নাফরমানী করল সে মূলত আল্লাহরই নাফরমানী করল। [সহীহ বুখারী, হা/২৯৫৭; সহীহ মুসলিম, হা/৪৮৫২-৫৮; নাসাঈ, হা/৪১৯৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৬৪৩; জামেউস সগীর, হা/১০৯৮৮; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/২০৬৭৯; মুসনাদে হুমাইদী, হা/১১৭৪; মিশকাত, হা/৩৬৬১।]

(তিন) উপরোক্ত দু’টি আনুগত্যের পর তৃতীয় আরো একটি আনুগত্য মুসলিমদের উপর ওয়াজিব। সেটি হচ্ছে, ‘উলিল আমর’ তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির আনুগত্য করা। মুসলিমদের সামষ্টিক কার্যাবলির ক্ষেত্রে দায়িত্বসম্পন্ন ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরাই ‘উলিল আমর’-এর অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে রয়েছেন মুসলিমদের নেতৃত্বদানকারী উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দেশের শাসনকার্য পরিচালনাকারী প্রশাসকবৃন্দ, আদালতে রায় প্রদানকারী বিচারপতি এবং সামাজিক বিষয়ে নেতৃত্বদানকারী নেতাগণ। মোটকথা যে ব্যক্তিই মুসলিমদের নেতৃত্বদানকারী হবেন, তিনিই আনুগত্য লাভের অধিকারী হবেন। তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মুসলিমদের সামাজিক জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, তাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত হতে হবে। নবী ﷺ বলেছেন, আল্লাহ ও রাসূলের নাফরমানির ক্ষেত্রে কোন আনুগত্য নেই, আনুগত্য করতে হবে শুধুমাত্র ‘মারূফ’ বা বৈধ ও সৎকাজে। [সহীহ বুখারী, হা/৭২৫৭; সহীহ মুসলিম, হা/৪৮৭১; আবু দাউদ, হা/২৬২৭; নাসাঈ, হা/৪২০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৫৬৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৮০; মিশকাত, হা/৩৬৬৫।]

(চার) এ আয়াতের চতুর্থ মূলনীতি হচ্ছে, ইসলামী জীবনব্যবস্থায় আল্লাহর হুকুম ও রাসূলের সুন্নাহই হচ্ছে মৌলিক আইন ও চূড়ান্ত সনদ। মুসলিমদের মধ্যে অথবা মুসলিম সরকার ও প্রজাদের মধ্যে কোন বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংসার জন্য কুরআন ও সুন্নার দিকে ফিরে আসতে হবে। কুরআন ও সুন্নাহ এ ব্যাপারে যা ফায়সালা দেবে তা মেনে নিতে হবে। আর এটা ইসলামী জীবনব্যবস্থার এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যা তাকে কুফরী জীবনব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়। যে ব্যবস্থায় এ জিনিসটি অনুপস্থিত থাকে সেটি হবে অনৈসলামী জীবনব্যবস্থা।

কাফিররা নিজেদের তৈরি মূলনীতি ও বিধানের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা করে। এসব মূলনীতি ও বিধানের ক্ষেত্রে কোন দলীলের সমর্থন ও স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না। অপরপক্ষে মুসলিমরা তাদের প্রতিটি ব্যাপারে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরে যায়। সেখান থেকে কোন নির্দেশ পেলে তারা তার অনুসরণ করে। আর কোন নির্দেশ না পেলে কেবল এ অবস্থায়ই স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ লাভ করে। এ ব্যাপারে শরীয়ত প্রণেতার পক্ষ থেকে কোন বিধান না দেয়াই এ কথা প্রমাণ করে যে, তিনি এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা প্রদান করেছেন।

নিঃসন্দেহে বিদ্বানদের মতে, উলেস্নখিত আয়াতসমূহ দ্বারা এবং ওহী সংক্রামত্ম অন্যান্য আয়াত দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে, আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য করা কিতাবুলস্নাহ ও সুন্নাতে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর প্রতি আমল করার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

সুতরাং কুরআন ও সুন্নার দলীলসমূহ প্রমাণ করছে যে, ওহীর ব্যাপারে চিমত্মা-ভাবনা করা, তা নিয়ে গবেষণা করা এবং সে ব্যাপারে জ্ঞানার্জন ও তার প্রতি আমল করা আবশ্যক। সাহাবীগণ কোন ব্যক্তির কথার কারণে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর সুন্নাত পরিত্যাগ করেননি। সে যে মাপেরই লোক হোক না কেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন