hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুল ইলম

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৪
বিভিন্ন মাসআলায় মতভেদের কারণ
১. অর্থের ব্যাপকতা :

কুরআন ও হাদীসে ব্যবহৃত আরবি এমন অনেক শব্দ রয়েছে, যার একাধিক অর্থ রয়েছে। কেউ একটি অর্থ গ্রহণ করেছেন। আবার কেউ অপর অর্থ গ্রহণ করেছেন। এর ফলে দ্বিমত দেখা দেয়। যেমন- তালাকপ্রাপ্তা নারী কতদিন পর্যমত্ম ইদ্দত পালন করবে- এ ব্যাপারে বিধান দিতে গিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوْٓءٍ﴾

আর তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিন কুরূ পর্যমত্ম অপেক্ষা করবে। (সূরা বাক্বারা- ২২৮)

এখানে قُرُوْءٍ শব্দটি অভিধানে পবিত্রতা এবং হায়েয উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন কেউ এর অর্থ নিয়েছেন হায়েয। আবার কেউ এর অর্থ নিয়েছেন পবিত্রতা।

ক) ইমাম মালিক, শাফেয়ী ও আহমাদ সিদ্ধামত্ম দিয়েছেন যে, কুরূ মানে পবিত্র অবস্থা।

খ) ইমাম আবু হানীফা (রহ.) রায় দিয়েছেন যে, কুরূ শব্দের অর্থ হলো ঋতুস্রাব।

২. আক্ষরিক ও রূপক অর্থ :

কুরআন ও সুন্নাহতে ব্যবহৃত বেশ কিছু শব্দের আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থই রয়েছে। দৃষ্টামত্মস্বরূপ, لَمْسٌ (লামছুন) শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো হাত দ্বারা স্পর্শ করা অথবা দুটি বসত্মুর সংস্পর্শে আসা। এর রূপক অর্থ হলো, দৈহিক মিলন। এর ফলে ইমামগণ কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের অর্থ প্রসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রদান করেছেন :

﴿وَاِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَاَيْدِيْكُمْؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُوْرًا﴾

যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে যাও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ শৌচাগার হতে আস অথবা তোমরা নারী-সম্ভোগ কর এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও এবং মুখমন্ডল ও হাত মাসাহ্ করো, নিশ্চয় আল্লাহ পাপ মোচনকারী এবং ক্ষমাশীল। (সূরা নিসা- ৪৩)

অযু ভাঙার কারণ প্রসঙ্গে উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে।

ক) ইমাম শাফেয়ী ও তাঁর অধিকাংশ ছাত্র মত দিয়েছেন যে, لَمْسٌ (লামছুন) শব্দের অর্থ হলো হাতের স্পর্শ অথবা দৈহিক সংস্পর্শ। অতএব কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা ভুলক্রমে কোন নারীর ত্বকে স্পর্শ করে অথবা কোন নারী যদি পুরুষের ত্বক স্পর্শ করে তাহলে উভয়ের অযু ভেঙে যাবে।

খ) ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর মতে, আলোচ্য আয়াতে لَمْسٌ (লামছুন) শব্দের অর্থ হলো দৈহিক মিলন। অতএব আনন্দানুভূতি হোক বা না হোক কোন নারীকে শুধু স্পর্শ করলে অযু বাতিল হবে না। [বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১/৩৩-৩৪।]

৩. ব্যাকরণগত অর্থ :

কিছু কিছু আরবি শব্দের ব্যাকরণিক গঠনের মধ্যেও কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। যেমন-

اِلٰى (ইলা) অব্যয়টির সরল অর্থ হলো, পর্যমত্ম। কিন্তু এর অর্থ সহকারে নয়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী-

﴿ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ﴾

রাত পর্যমত্ম সিয়ামকে পূর্ণ করো । (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

সিয়ামের সময় হলো মাগরিব পর্যমত্ম। অর্থাৎ রাতের শুরু পর্যমত্ম, তবে রাত সিয়ামের অমত্মর্ভুক্ত নয়।

আবার اِلٰى (ইলা) অব্যয়টি অনেক সময় পর্যমত্ম ও সহকারে অর্থও বোঝায়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী-

﴿وَنَسُوْقُ الْمُجْرِمِيْنَ إِلٰى جَهَنَّمَ وِرْدًا﴾

আর আমি অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত পশুর মতো জাহান্নামের দিকে (পর্যমত্ম ও ভেতরে) হাঁকিয়ে নিয়ে যাব। (সূরা মারইয়াম- ৮৬)

অযুর নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে :

﴿فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ﴾

আর তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও দুই হাত কনুই পর্যমত্ম ধৌত করবে।

(সূরা মায়েদা- ৬)

আয়াতটির অর্থ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞগণ দুটি মত প্রদান করেছেন,

ক) ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর ছাত্র ইমাম যুফার, ইমাম দাউদ জাহিরী এবং ইমাম মালিকের কয়েকজন ছাত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী উপরোক্ত আয়াতে اِلٰى (ইলা) অব্যয়ের অর্থ কনুই পর্যমত্ম, তবে কনুইসহ নয়। [নায়লুল আওতার, ১/১৬৮।]

খ) অন্যদিকে চার ইমামের সকলেই মত দিয়েছেন যে, উপরোক্ত আয়াতের অর্থ হলো কনুই পর্যমত্ম এবং কনুইসহ।

৪. ভুলে যাওয়া :

একজন একটি বিষয়ে একটি সিদ্ধামত্ম নিয়েছেন। পরে তিনি ভুলে গিয়ে অন্য কোন সিদ্ধামত্ম নিতে পারেন অথবা কেউ কোন দলীল ভুলে যাওয়ার কারণে একটি সিদ্ধামত্ম দেয়ার পর পরবর্তীতে উক্ত দলীল স্মরণ হওয়ার ফলে অন্য সিদ্ধামত্ম দিতেন। ফলে তার সিদ্ধামেত্ম মতভেদ দেখা দেয়।

৫. অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মৃত্যুর পর সাহাবীগণ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে ইলমও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেক বিশেষজ্ঞই অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের থেকে দূরে অবস্থান করতেন। আর তখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল খুবই নাজুক। এ কারণে পারস্পরিক পরামর্শের সুবিধা থেকে তাঁরা অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে অঞ্চলভেদে তাদের মতের মধ্যে বিভিন্ন রকম পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে।

৬. হাদীস না পাওয়া :

অনেক হাদীস অনেক বিশেষজ্ঞ আলেমের কাছে পৌঁছেনি। কেননা দাওয়াতের কাজ নিয়ে হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীগণ ইসলামী সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। তাদের কাউকে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজেই বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়েছিলেন, আবার কাউকে পরবর্তী খলীফাগণ পাঠিয়েছিলেন, আবার কেউ কেউ নিজের উদ্যোগেই স্থানামত্মরিত হয়েছিলেন। তাছাড়া হিজরী তৃতীয় শতাব্দির মাঝামাঝি ও চতুর্থ শতাব্দির প্রথমাংশের আগে হাদীসের বিশুদ্ধ ও বিশাল সংকলনগুলো রচিত ছিল না। ফলে যে আলেমের কাছে যে হাদীস থাকত, তিনি তার উপর ভিত্তি করেই ফতওয়া দিতেন। যদি তার কাছে কোন হাদীস না থাকত, তিনি ইজতিহাদ করতেন। ফলে অনেক সময় দেখা গেছে যে, তিনি যে সিদ্ধামত্ম দিয়েছেন তার চেয়েও বিশুদ্ধ সিদ্ধামত্ম হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।

৭. বিশ্বসত্ম সূত্রে হাদীস না পৌঁছা :

অনেক সময় দেখা গেছে যে, একজন একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি সে হাদীসটির দুর্বলতার কথা জানতেন না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল যে, অপর কোন আলেম উক্ত হাদীসটির দুর্বলতার কথা জানতে পেরেছেন এবং তিনি অন্য সূত্রে এর চেয়ে অধিক বিশুদ্ধ হাদীস সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এভাবে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়।

৮. হাদীসের উদ্দেশ্য বুঝতে না পারা :

সকল মানুষের জ্ঞান সমান নয়। কোন বিষয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী জ্ঞান গ্রহণ করে থাকে। অনুরূপভাবে হাদীসের উদ্দেশ্য বুঝার ক্ষেত্রে একই বিষয়ে আলেমগণ বিভিন্ন সিদ্ধামেত্ম উপনীত হয়েছেন। এভাবে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।

৯. হাদীসের পরস্পরবিরোধী মতন :

অনেক সময় হাদীসের মতন তথা মূল কথার মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। অর্থাৎ কোন হাদীসে যদি দেখা যায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এটা বলেছেন অথবা করেছেন, তবে অন্য হাদীসে পাওয়া যায় তিনি এটার বিপরীতটা বলেছেন অথবা করেছেন। আবার কোন সময় দেখা যায় কোন সাহাবী একটি আমল এক পদ্ধতিতে করেছেন, কিন্তু অন্য কোন সাহাবী একই আমল ভিন্ন পদ্ধতিতে করেছেন। হাদীসের মতনের এসব ভিন্নতাও মতপার্থক্যের অন্যতম কারণ।

এ ক্ষেত্রে কতিপয় বিশেষজ্ঞ তারজীহ তথা প্রাধান্য দেয়ার পন্থা বেছে নিয়েছেন। অর্থাৎ একই বিষয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন হাদীস পর্যালোচনা করে তারা একটিকে আরেকটির উপর প্রাধান্য দিতেন।

আবার কোন সময় বিশেষজ্ঞরা জমা তথা সমন্বয়ের পন্থা অবলম্বন করতেন। এ ক্ষেত্রে তারা একটি হাদীসকে সাধারণ অর্থে ধরে নিয়ে বাকিগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন করতেন। যেমন- একটি বিশুদ্ধ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিশেষ কিছু সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করে বলেন, ফজর সালাতের পর সূর্যোদয় পর্যমত্ম আর আসর সালাতের পর সূর্যাসত্ম পর্যমত্ম কোন সালাত নেই। [সহীহ বুখারী, হা/৫৫৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৫; আবু দাউদ, হা/১২৭১।]

তবে কিছু সমমানের সহীহ হাদীসে সময়ের কোন উল্লেখ ছাড়াই সর্বাবস্থায় কিছু সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন- তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে তার উচিত বসার আগেই দু’রাকআত সালাত আদায় করা। [সহীহ বুখারী, হা/৪৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৪০; আবু দাউদ, হা/৪৬৭।]

ইমাম আবু হানীফা এ ক্ষেত্রে তারজীহ এর পন্থা বেছে নিয়েছেন। তিনি প্রথম হাদীসকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধামত্ম প্রদান করেছেন যে, নিষিদ্ধ সময়ে সব ধরনের সালাতই নিষিদ্ধ। অন্যদিকে ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম আহমাদ (রহ.) হাদীস দুটির সমন্বয় সাধন করে সিদ্ধামত্ম দিয়েছেন যে, প্রথম হাদীসটি সাধারণ এবং তার সম্পর্ক হলো নফল সালাতের সাথে। অন্য দিকে দ্বিতীয় হাদীসটি সুনির্দিষ্ট, যেখানে সাধারণত নিষিদ্ধ সময়েও মুসত্মাহাব বা বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদানকৃত সালাতের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

১০. কিছু মূলনীতির গ্রহণযোগ্যতা :

ইমামগণের কেউ কেউ এমন কিছু মূলনীতি তৈরি করে তার ভিত্তিতে সিদ্ধামত্ম প্রদান করেছিলেন, যেগুলো সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে সেসব সিদ্ধামত্ম ও মূলনীতি উভয়টিই বিশেষজ্ঞদের মতবিরোধের উৎসে পরিণত হয়। যেমন- অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ সাহাবীগণের পরের যুগের আলেমদের ইজমাকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এর সংঘটনের সম্ভাব্যতা নিয়ে ইমাম শাফেয়ী (রহ.) সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং ইমাম আহমাদ (রহ.) সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

একইভাবে, ইমাম মালিক (রহ.) মদিনার প্রথাকে আইনের একটি উৎস মনে করতেন, কিন্তু অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এ নীতি গ্রহণ করতে অসম্মতি প্রকাশ করেছেন।

আবার ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ইমাম আবু হানীফার ইসিত্মহসান ও ইমাম মালিক (রহ.) এর ইসিত্মসলাহ- উভয় নীতি গ্রহণের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

১১. কিয়াস :

আলেমগণ কিয়াস প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেসকল পন্থা অবলম্বন করেছেন, সেগুলোই তাদের মতপার্থক্যের সর্বপ্রধান উৎস। তাঁদের কেউ কেউ কিয়াস ব্যবহারের জন্য কিছু পূর্বশর্ত আরোপের মাধ্যমে এর পরিধিকে সংকীর্ণ করে দিয়েছেন। পক্ষামত্মরে অন্যরা ব্যাপক হারে কিয়াসের নীতি প্রয়োগ করেছেন। অন্যান্য নীতির তুলনায় কিয়াসের নীতিটি অধিক মাত্রায় ব্যক্তিগত মতভিত্তিক হওয়ায় এ নীতি প্রয়োগের জন্য তেমন কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। আর এ কারণেই ব্যাপক মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। [আল মাদখাল, পৃঃ ২০৯-১০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন