hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুল ইলম

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২১
সাহাবীদের যুগে ইলম চর্চা
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর দ্বীনকে মজবুতভাবে ধারণ করেন এবং দ্বীনের ইলমকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেন। আর তারা এভাবেই দ্বীন প্রচারের কাজ আঞ্জাম দেন। তারা ছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসারী। তারা নবী ﷺ এর আদর্শে আদর্শিত হয়ে ইসলামের জন্য কাজ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِه وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَاتَّبَعُوا النُّوْرَ الَّذِيْۤ اُنْزِلَ مَعَهٗۤ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ﴾

যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে ও তাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তার সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তার অনুসরণ করে তারাই সফলকাম। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৭)

বিদায় হজ্জের ভাষণে আল্লাহর নবী ﷺ মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নসীহত করেন। নসীহত শেষে তিনি উপস্থিত জনতাকে এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, যারা এখানে উপস্থিত রয়েছে, তারা যেন ইসলামের শিক্ষাকে অনুপস্থিত লোকের কাছে পৌঁছে দেয়। যেমন হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

فَلْيُبْلِغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ لَا تَرْجِعُوْا بَعْدِيْ كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ

এখানে উপস্থিতরা যেন অনুপস্থিতদের কাছে আমার এ বাণী পৌঁছে দেয়। আর তোমরা আমার পরে পরস্পরকে হত্যা করে কাফির হয়ে যেও না।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর এই উপদেশ সাহাবায়ে কেরাম অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন এবং তারা ইসলামের শিক্ষাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর মৃত্যুর পর ইসলামের দাওয়াত নিয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। এ সময় তাদের মাঝে বিভিন্ন ঘটনার উদ্ভব হয় এবং মাসআলা-মাসায়েলের প্রয়োজন পড়ে। ফলে তারা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন এবং কুরআন ও সুন্নাহ হতে প্রাপ্ত জ্ঞান অনুযায়ী এর সমাধান দেন। যদি এতেও সম্ভব না হতো, তাহলে তারা ইজতিহাদ করে ফতওয়া দিতেন। অতঃপর রাসূলুলস্নাহ ﷺ যে বিষয়ের যে হুকুম দিয়েছেন, তার কারণ জানার চেষ্টা করতেন। যদি কোন সাহাবী কোন বিষয় সম্পর্কে না জানতেন, তখন তা অন্যান্য সাহাবীদের সাথে আলোচনা করে জেনে নিতেন এবং এ ব্যাপারে কোন কার্পণ্য করতেন না। তারা সর্বাবস্থায় রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর হাদীসকে প্রাধান্য দিতেন। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে দ্বীনের কোন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলেও তারা বড় ধরনের কোন ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে অন্যান্য সাহাবীর সাহায্য নিতেন। কোন সময় নিজের ভুল বুঝতে পারলে সাথে সাথেই তারা কুরআন হাদীসের দিকে ফিরে আসতেন। আর এভাবেই তারা রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর মৃত্যুর পরবর্তী যুগ অতিবাহিত করেন।

এ পর্যায়ের প্রথম বিশ বছরে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা অতি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছিল। এ সময়েই সিরিয়া, জর্দান, মিশর, ইরাক ও পারস্য প্রভৃতি অঞ্চল ইসলামী সাম্রাজ্যের অমত্মর্ভুক্ত হয়। এর ফলে মুসলিম জাতি সম্পূর্ণ নতুন এক জীবনধারা, সংস্কৃতি ও আচার-ব্যবহারের সংস্পর্শে আসে এবং নতুন নতুন এমন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়, যেগুলোর জন্য শরীয়তে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। এসব নতুন সমস্যা মোকাবেলার জন্য খুলাফায়ে রাশেদাগণ বিজ্ঞ সাহাবীদের ঐক্যমত ও ইজতিহাদের উপর নির্ভর করতেন। তারা এসব পরিস্থিতিতে সাধারণত নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতেন :

১. প্রথমে তারা কুরআনে সমস্যাটির সমাধান খুঁজতেন।

২. কুরআনে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান খুঁজে না পেলে হাদীসে অনুসন্ধান করতেন।

৩. হাদীসেও সমাধান না পাওয়া গেলে বিশিষ্ট সাহাবীদের বৈঠক ডেকে সমস্যাটির সমাধানের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধামেত্ম পৌঁছানোর চেষ্টা করতেন। আর এ ধরনের ঐক্যমতকে ইজমা নামে অভিহিত করা হতো।

৪. মতৈক্যে উপনীত হওয়া সম্ভব না হলে, তারা অধিকাংশ সাহাবীর সিদ্ধামত্মকে গ্রহণ করতেন।

৫. তবে ব্যাপক মতপার্থক্যের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিরূপণ করা কঠিন হয়ে গেলে খলীফা নিজেই ইজতিহাদ করতেন। ফলে তা আইনে পরিণত হতো।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন