hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুল ইলম

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫২
সঠিক পথ কোনটি
সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব আল্লাহর :

বান্দাকে হেদায়াত দানের দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর। কেননা তিনি নিজেই এ দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দান করে থাকেন। তিনি বলেছেন,

﴿وَعَلَى اللهِ قَصْدُ السَّبِيْلِ وَمِنْهَا جَآئِرٌ وَّلَوْ شَآءَ لَهَدَاكُمْ اَجْمَعِيْنَ﴾

সরল পথ দেখানো আল্লাহর কাজ, কিন্তু পথগুলোর মধ্যে (অনেক) বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সকলকেই সৎপথে পরিচালিত করতে পারতেন। (সূরা নাহল- ৯)

অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা এ কথাও বলে দিলেন যে, পথের সংখ্যা অনেক। কিন্তু সবগুলো পথ সঠিক ও সরল নয়। যে পথটি তিনি বান্দাদেরকে প্রদর্শন করে থাকেন, কেবল সে পথটিই সঠিক পথ।

সঠিক পথ একটিই :

﴿وَاَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمًا فَاتَّبِعُوْهُۚ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيْلِهٖؕ ذٰلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهٖ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ ﴾

এ পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা এরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, নতুবা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। এভাবে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা আনআম- ১৫৩)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ خَطَّ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ خَطًّا ، ثُمَّ خَطَّ عَنْ يَمِيْنِه ، وَعَنْ شِمَالِه خُطُوْطًا ، ثُمَّ قَالَ : هٰذَا سَبِيْلُ اللهِ وَهٰذِهِ السُّبُلُ عَلَى كُلِّ سَبِيْلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُوْ إِلَيْهِ ﴿وَأَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمًا فَاتَّبِعُوْهُ ، وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيْلِه ﴾

আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে (সিরাতে মুসত্মাকীম বুঝানোর জন্য) প্রথমে একটি সোজা দাগ দিলেন। আর বললেন এটা হলো আল্লাহর রাসত্মা। অতঃপর ডানে-বামে অনেকগুলো দাগ দিলেন এবং বললেন, এই রাসত্মাগুলো শয়তানের রাসত্মা। এ রাসত্মাগুলোর প্রতিটি রাসত্মার মুখে মুখে একটি করে শয়তান বসে আছে। তারা ঐ রাসত্মার দিকে মানুষদেরকে ডাকে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের কথার প্রমাণে উপরোল্লেখিত আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১৪২; তিরমিযী, হা/২৪৫৪; নাসাঈ, হা/১১১৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬, ৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/১৬৭৪; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/২৪১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩২৪১; সুনানে সা‘দ ইবনে মানসূর, হা/৯৩৫; দারেমী, হা/২০২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৯৬; মিশকাত, হা/১৬৬।]

আমাদের দায়িত্ব :

বর্তমানে আমাদের মাঝে অনেক দল ও মতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ফলে সাধারণ মানুষও ফেতনায় পতিত হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন করে বসছে যে, এতগুলো দল ও মতের মধ্যে আমরা কোন দল বা মতের অনুসরণ করব? কিন্তু এ ধরনের অজুহাতে পরকালে মুক্তি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্টভাবেই এগুলোর ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন এবং এমন পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। হাদীসে এসেছে,

عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ ، قَالَ : صَلّٰى بِنَا رَسُوْلُ اللهِ - - ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً ۢبَلِيْغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُوْنُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوْبُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَأَنَّ هٰذِه مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا فَقَالَ : أُوصِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّه مَنْ يَّعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِىْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيْرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّيْنَ الرَّاشِدِيْنَ تَمَسَّكُوْا بِهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

ইরবায ইবনে সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর আমাদের দিকে মুখোমুখি হয়ে এমন একটি ভাষণ দিলেন, যা ছিল অত্যমত্ম হৃদয়স্পর্শী। এ ভাষণের ফলে চোখ অশ্রু প্রবাহিত করেছে এবং হৃদয় বিগলিত হয়েছে। তখন শ্রোতাদের মধ্যে একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে এটি বিদায়ী ভাষণ। সুতরাং আপনি আমাদেরকে কিছু নসীহত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার পর জীবিত থাকবে সে অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার তরীকা ও খোলাফায়ে রাশেদীনের তরীকা শক্তভাবে ধারণ করবে। মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরবে। সাবধান! তোমরা নতুন নতুন আবিষ্কৃত ইবাদাত থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা নব আবিষ্কৃত সকল ইবাদাতই বিদআত। আর সকল বিদআতই গুমরাহী। [আবু দাউদ, হা/৪৬০৯; তিরমিযী, হা/২৬৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৮৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩২৯; বায়হাকী, হা/২০১২৫; দারেমী, হা/৯৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/১০২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৩৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৭; জামেউস সগীর, হা/৪৩১৪; মিশকাত, হা/১৬৫।]

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - لَيَأْتِيَنَّ عَلٰى أُمَّتِىْ مَا أَتٰى عَلٰى بَنِىْ إِسْرَائِيْلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتّٰى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتٰى أُمَّه عَلَانِيَةً لَكَانَ فِىْ أُمَّتِىْ مَنْ يَصْنَعُ ذٰلِكَ وَإِنَّ بَنِىْ إِسْرَائِيْلَ تَفَرَّقَتْ عَلٰى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِيْنَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِىْ عَلٰى ثَلَاثٍ وَسَبْعِيْنَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِى النَّارِ إِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوْا وَمَنْ هِىَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِىْ

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার উম্মতের উপর ঐসকল অবস্থা অতিক্রম করবে, যা বনী ইসরাঈলদের উপর আবর্তিত হয়েছিল, যেভাবে (উভয় পায়ের) একটি জুতা আরেকটি জুতার সঙ্গে বরাবর হয়। এমনকি তাদের মধ্যে যদি কেউ নিজের মায়ের সঙ্গে প্রকাশ্যে যিনায় লিপ্ত হয়ে থাকে। তাহলে আমার উম্মতের মধ্যেও এমন লোক পাওয়া যাবে, যে ঐ কাজ করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ৭২টি ফিরকায় বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মত ৭৩টি ফিরকায় বিভক্ত হবে। তারা সকলেই জাহান্নামে যাবে, শুধুমাত্র একটি মিল্লাত (দল) ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে মিল্লাত কোনটি? তিনি বললেন, তা হচ্ছে ঐ মিল্লাত, যার উপর আমি এবং আমার সাহাবীগণ প্রতিষ্ঠিত রয়েছি। [তিরমিযী, হা/২৬৪১; মুসত্মাদরাকে হাকেম হা/৪৪৪; জামেউস সগীর, হা/৯৪৭৪।]

এই হাদীসে আমাদের প্রতি পূর্ণ দিক-নির্দেশনা রয়েছে যে, যখনই বিভিন্ন দল, মত, ফিরকা, তরীকা ইত্যাদি দেখা দেবে তখনই সবকিছু বর্জন করে কেবল রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরামের পথ অনুসরণ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে তাদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে প্রাধান্য দিতে হবে। সুতরাং আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমরা বর্তমানে কোন পথে আছি। আমাদের অনুসৃত পথটি কি রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীদের পথ? নাকি নব উদ্ভাবিত অন্য কোন পথ। আমরা যে দল, মত বা পথের অনুসরণ করছি সেটা কি রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীদের যুগে ছিল? যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে সেগুলো বর্জন করতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন