মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবী ﷺ ছিলেন, মুসলিম জাতির শিক্ষক। সাহাবায়ে কেরাম তার কাছ থেকেই দ্বীনের ইলম শিক্ষা গ্রহণ করতেন। আল্লাহর কিতাবকে ব্যাখ্যা করে মানুষকে বুঝিয়ে দেয়া ছিল নবী ﷺ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে বর্ণনা করেন,
আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি, যাতে করে তুমি তাদের (মানুষদের) কাছে যা পাঠানো হয়েছে তা তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিতে পার। হয়তো তারা চিন্তা-ভাবনা করবে। (সূরা নাহল- ৪৪)
রাসূলুলস্নাহ ﷺ এর যুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণ যুগ। সাহাবীগণ রাসূলুলস্নাহ ﷺ কে যা কিছু করতে দেখতেন এবং রাসূলুলস্নাহ ﷺ থেকে যা কিছু শুনতেন, তাই যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করতেন। যখন যে সাহাবী রাসূলুলস্নাহ ﷺ কে যেভাবে কাজ করতে দেখেছেন, পরবর্তীতে সেভাবেই তা পালন করে গেছেন। সাহাবীগণ যখনই নতুন কোন সমস্যায় পড়তেন, তখনই তারা সে বিষয়ে প্রশ্ন করে জেনে নিতেন। সাহাবীগণ রাসূলুলস্নাহ ﷺ কে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রশ্ন করতেন। আর তিনি সেসব প্রেক্ষাপট অনুযায়ী জবাব দিতেন। কোন সংশয় দেখলে তা নিরসন করতেন, কেউ ভালো করতে দেখলে তার প্রশংসা করতেন এবং মন্দ কাজ করতে দেখলে বাধা দিতেন। তিনি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্নভাবে দিতেন। এভাবে রাসূলুলস্নাহ ﷺ যা করতেন এবং বলতেন সেগুলো সাহাবীগণ মনে রাখতেন। এভাবেই তারা রাসূলুলস্নাহ ﷺ থেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতেন।
আর নবী ﷺ দ্বীনের ব্যাপারে যা কিছু বলতেন, তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই বলতেন। কুরআন মাজীদে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে,
(হে নবী) বলো, আমি তোমাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করি না, যদি করতাম তবে আমি বিপথগামী হয়ে যেতাম এবং সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকতাম না। (সূরা আনআম- ৫৬)
মুহাম্মাদ ﷺ এর নবুওয়াতের শুরু থেকে ১১ হিজরীতে (৬৩২ সাল) তাঁর ইমেত্মকাল পর্যমত্ম প্রায় ২৩ বছর ধরে কুরআনের আয়াতগুলো পর্যায়ক্রমে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ মক্কা ও মদিনায় যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হতেন, সেগুলোর সমাধানে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত অবতীর্ণ হতো। কুরআনের কিছু আয়াতে মুসলিম ও অমুসলিমদের উত্থাপিত প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো আয়াত শুরু হয়েছে ‘‘তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করে’’ এ ধরনের বাচনভঙ্গি দিয়ে। যেমন,
﴿ يَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْاَنْفَالِ ﴾
লোকেরা তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। (সূরা আনফাল- ১)
﴿ وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنْ ذِى الْقَرْنَيْنِ ﴾
লোকেরা তোমাকে যুলকারনাইন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। (সূরা কাহফ- ৮৩)
﴿ وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْمَحِيْضِ ﴾
(হে নবী!) তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। (সূরা বাক্বারা- ২২২)
﴿ يَسْاَلُوْنَكَ مَاذَا يُنْفِقُوْنَ ﴾
লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তারা কী ব্যয় করবে। (সূরা বাক্বারা- ২১৫)
﴿ وَيَسْاَلُوْنَكَ عَنِ الْيَتَامٰى ﴾
তারা তোমাকে ইয়াতীমদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। (সূরা বাক্বারা- ২২০)
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যুগে সংঘটিত বিশেষ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুরআনের বেশ কিছু আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল। সাহাবী হেলাল ইবনে উমাইয়া (রাঃ) এর ঘটনাটি এমনই একটি উদাহরণ। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে নিজ স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, তোমাকে প্রমাণ আনতে হবে, নতুবা তোমাকে নির্দিষ্ট শাসিত্ম ভোগ করতে হবে।
হেলাল (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যদি অন্য পুরুষকে তার স্ত্রীর উপর দেখে তাহলে কি সাক্ষী খুঁজতে যাবে?
কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রমাণ আনার দাবিরই পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন। এরপর জিবরাঈল (আঃ) নিম্নোক্ত ওহী নিয়ে অবতীর্ণ হলেন,
যারা নিজেদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং নিজেরা ব্যতীত তাদের অন্য কোন সাক্ষী না থাকে, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এ হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চমবার বলবে যে, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে যেন তার উপর আল্লাহর লানত নেমে আসে। তবে স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবার বলে যে, তার স্বামী যদি সত্যবাদী হয় তবে তার নিজের উপর যেন আল্লাহর গযব নেমে আসে। (সূরা নূর : ৬-৯)
সুন্নাহ তথা হাদীসের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এর অধিকাংশ বিষয় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বা কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিভিন্ন বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, একবার এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সমুদ্রে ভ্রমণ করি। সে সময় মিঠা পানি দিয়ে অযু করলে আমাদের তৃষ্ণার্ত থাকতে হবে। আমরা কী করব? তখন তিনি বললেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মৃত জীবগুলো হালাল। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১; আবু দাউদ, হা/৮৩; তিরমিযী, হা/৬৯; নাসাঈ, হা/৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১২৪৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬; সুনানে দার কুতনী, হা/৮০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪৮০; মুসনাদে দারেমী, হা/৭৫৬; মিশকাত, হা/৪৭৯।]
উল্লেখ্য যে, ওহীর যুগে একটি আইন একবারে প্রয়োগ না করে, কয়েকটি পর্যায়ে ধাপে ধাপে প্রয়োগ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/569/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।