মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না।’ [সূরা শুরা : ২০]
اللهم إني أسألك أن تبارك لي في نفسي، و في سمعي، و في بصري، و في روحي، و في خلقي، و في خُلُقي، و في أهلي، و في محياي، و في مماتي، و في عملي، فتقبل حسناتي، و أسألك الدرجات العلى من الجنة آمين .
‘হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট প্রার্থনা জানাচ্ছি, আপনি আমার অন্তরে, শ্রবণে, দৃষ্টিতে, আত্মায়, গঠনে ও চরিত্রে, পরিবার-পরিজনে, জীবনে-মৃত্যুতে এবং আমার কর্মে বরকত দিন। অএতএব, আপনি আমার সুকর্মগুলো কবুল করুন। আর আমি আপনার নিকট জান্নাতের উচ্চ স্থান কামনা করছি। আমীন!’ [হাকেম : ১৯১১]
জনৈক আল্লাহর বান্দা আমাকে একদিন তার গল্প শোনালেন এভাবে : আমি গতকাল এক দোকানে গেলাম ফুল ও গাছ কেনার উদ্দেশ্যে, সেখানে অনেক ঘুরলাম। দীর্ঘক্ষণ ফুল-বৃক্ষ দেখে আমি বের হওয়ার মনস্থ হলাম।
যখন আমি দরজা দিয়ে বের হচ্ছিলাম, তখন উক্ত দোকানে কর্মরত এক ফিলিপিনী যুবক এসে আমাকে বলল, যদি কিছু মনে না করেন, তবে আমার ইচ্ছা যে, আপনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানান।
তাই আমি দাঁড়িয়ে গেলাম, আধ ঘন্টা যাবৎ আমি বিভিন্ন বিষয়ে বললাম। অত:পর সে আমাকে বলল, আমি ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ সন্তোষ লাভ করেছি।
আমি তাকে বললাম, তবে কেন তুমি ইসলাম গ্রহণ করছ না? এমনও হতে পারে যে, অমুসলিম অবস্থায় মৃত্যু এসে তোমার দরজায় উপস্থিত হবে?
কিন্তু সে বলল, এখন নয়।
তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, কোন সমস্যা আছে, যুবকটি হয়তো তা দূর হওয়ার অপেক্ষা করছে। আমি পিছনে ফিরে দেখলাম, তার পিতা আমার দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তখন আমি তার পিতাকে লক্ষ্য করে বললাম, এখন আপনার বয়স কত? বলল, সত্তর...বয়সের ভারে ন্যুব্জ কপালের অসংখ্য ভাজ নিয়ে সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।
আমি তাকে বললাম, দীর্ঘ সত্তর বছর যে ধর্মে কাটিয়েছ, তা তোমাকে কী দিয়েছে?
তা কি তোমাকে কোন প্রকার সৌভাগ্য এনে দিয়েছে?
কিংবা বুদ্ধি ও চিন্তার সন্তোষ লাভে তুমি ধন্য হয়েছ?
মনে অন্ধকার এলাকায় যে সমস্ত জটিলতা ঘুরে বেড়ায়, সে কি তার সমাধান হাজির করেছে?
জীবনের সত্তুর বছর অতিক্রান্তের পর যে আবাসের দিকে তুমি পা বাড়িয়েছ, তার ব্যাপারে সে কি তোমাকে সন্তোষজনক কিছু দিয়ে ধন্য করেছে?
সে বলল, না।
তবে, জীবনের যে ক্ষণকাল তোমার অবশিষ্ট আছে, তাকে কেন ইসলামে নিবিষ্ট করছ না?
এভাবে কিছুটা সময় তার সাথে আমি আলাপে অতিবাহিত করলাম। আমার আলোচনার ধারাবাহিকতায় তার কপালের ভাজ ধীরে ধীরে কমে আসছিল, সেখানে ফুটে উঠছিল উন্মোচনের আলোকছটা। অত:পর আমি তাদেরকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিলাম, আমাদের মাঝে সৌহার্দ্য ও মতবিনিময় অব্যাহত আছে। আমি আশাবাদী যে, অচিরে তারা আল্লাহ চাহে তো ইসলামে প্রবেশ করবে।
এই গল্প শেষ করে আমার বন্ধু স্মিতহাস্যে আমাকে সম্বোধন করে বলল, তুমি কী মনে করছ?
আমি তাকে বললাম, ভাই ! আমি তোমাকে তাই বলছি, যেমন বলেছেন বড় বড় আলেম ও জ্ঞানীরা : শরীয়তের নীতিমালার অনুরূপ জগত পরিচালনার জন্য আল্লাহর রয়েছে কিছু অলৌকিক নীতিমালা, সেই নীতিমালার আওতায় তিনি তার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা তাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। হয়তো এ ঘটনাটি ছিল তোমার জন্য সেই অলৌকিক নীতিমালার শিক্ষাস্বরূপ।
সে বলল, কীভাবে?
বললাম, তুমি যখন দোকানে প্রবেশ করেছিলে, তখন তোমার একক চিন্তা ছিল ফুল দেখা ও ক্রয় করা। অন্য কোন চিন্তা ছিল না। তুমি ক্ষণস্থায়ী ফুলের ব্যাপারে চিন্তা করছিলে, আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে নয়, কিংবা স্থায়ী পরকাল-জান্নাতের ব্যাপারেও নয়।
যখন তোমার পরিদর্শন শেষ হল, তুমি বের হওয়ার উপক্রম হলে, ভুলে যাওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ স্বয়ং তোমাকে তোমার দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিলেন। তাই বের হওয়ার দরজায় কুফর স্বয়ং তোমাকে এই বলে সম্বোধন করল যে, তুমি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত কর।
এভাবেই, যখন অন্তরের কম্পন ও দৃষ্টির লক্ষ্য আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি নিবদ্ধ হয়, তখন জীবনের মোড় ঘুরে যায়, সে অভিমুখী হয় মৌলের প্রতি, দাওয়াত, দীন ও ইবাদাতের প্রতি ; যদিও চোখ সেই পুরোনো চোখ, এবং তা স্থিত থাকে তার পুরোনো স্বভাবে। যে পার্থক্যটুকু ঘটে যায়, তা হচ্ছে তার ভিতরগত স্বভাবে এক নতুন কম্পন সৃষ্টি হয়, যা পরিবর্তিত হয়ে রূপ নেয় দাওয়াত ও বপনে।
দাওয়াতী চিন্তার ইন্দ্রিয়গত প্রেরণা হচ্ছে কর্ষণকারী প্রেরণা, যা চিন্তা-চেতনায় নিত্য-নতুন ভাব জাগিয়ে তোলে, যে তার প্রতিবেশ, আশপাশকে, তার ঘটনাপরম্পরাকে এক নতুন অভাবিত অর্থে গ্রহণ করে। যদিও তা হয় সাধারণের মতই, অন্যান্য মানুষ তাকে যেভাবে দেখে, তার দেখা এর চেয়ে অন্যভাবে সাধিত হয় না। তাতে ছড়িয়ে আছে যে সৌন্দর্যের বিভা, সাধারণের মত সেও তা দর্শন করে। কিন্তু পার্থক্য ঘটে যায় তখন, যখন সে তাকে দাওয়াতের পথে নিয়ে যায়, দীনের কাজে তাকে নিয়োজিত করে। যে দৃষ্টি দিয়ে ইবরাহীম খলীলুল্লাহ তার আশপাশে নজর বুলিয়েছেন, তার সাথে সাধারণ মানুষের দৃষ্টির কি পার্থক্য ছিল? কুরআনে এসেছে :
‘ অতঃপর যখন সে সূর্য উজ্জ্বলরূপে উদীয়মান দেখল, বলল, ‘এ আমার রব, এ সবচেয়ে বড়’। পরে যখন তা ডুবে গেল, তখন সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা যা শরীক কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে মুক্ত।’ [সূরা আনআম : ৭৮]
এটিই হচ্ছে চিন্তানৈতিক উল্লম্ফন ও বপনের বড় লক্ষ্য। কুরআনে এসেছে :
‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতঃপর তিনি তাদের অন্তরে কি ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে।’ [সূরা ফাতাহ : ১৮]
সুতরাং, তোমার উপর আল্লাহর প্রশান্তির অবতরণ, তোমার হাতে অন্তরসমূহের উন্মোচন, আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের পর, মূলত: সম্পৃক্ত তোমার অন্তরস্থিত কর্ষণের দৃঢ় ইচ্ছা ও বপনের নিয়তের সাথে।
তোমার অন্তরের এই বৃত্তি সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই অবগত আছেন...সুতরাং দোকানের ফুল অথবা পার্থিব জীবন ও তার ক্ষণস্থায়ী শোভা যেন তোমাকে বিমুখ না করে। তোমার অন্যান্য বৈষয়িক চিন্তা যেন কোনভাবে ইসলামের চিন্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
এভাবে যদি আপন চিন্তা ও চিন্তাবৃত্তিকে সাজিয়ে নিতে সক্ষম হও, তবে নিশ্চিত থাক, প্রশান্তি তোমার উপর নাযিল হবেই, আল্লাহ তোমার হাতে অসংখ্য অন্তরের বদ্ধ কপাট খুলে দিবেন, যদিও তোমার জ্ঞান ও বুদ্ধি হয় স্বল্প, তোমার কলমের শক্তি হয় ক্ষীণ, অসীম জড়তায় তোমার ভাষা যদিও হয় বাধাগ্রস্ত।
ফুলের দোকানে আমার সে বন্ধুর ঘটনাটি, সন্দেহ নেই, একটি ক্ষুদ্র ঘটনা, যা ঘটেছিল একটি ক্ষুদ্র পরিসরে, কিন্তু তার সাথে যদি কর্মের যোগ ঘটানো হয়, তবে তা অনেক বড় এক সত্য বহন করছে।
ঘটনাটি ছিল ছোট, কিন্তু দায়ী, তালিবুল ইলম ও দাওয়াতের ময়দানে নিয়োজিতদের জন্য তা এক অবশ্য পাঠ্য ওয়াজীফা, যার অনুবর্তন বান্দাকে সার্বিক সাফল্যে উন্নীত করে। যদিও এটি একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ, কিন্তু যদি একে ও এর অনুরূপ অন্যান্য উদাহরণগুলো আমরা আমাদের কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট করে নিতে পারি, তবে আশা করি, আমরা জীবনকে শাসন করতে পারব, জীবন আমাদের শাসন করবে না।
এ এক ক্ষুদ্র উদাহরণ, যাতে মানুষের অনেক বৃত্তির মধ্যে একটি বৃত্তির প্রতি অবহেলার দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে, তা হচ্ছে দৃষ্টি। আমার বন্ধু দৃষ্টি প্রদানে অবহেলা করেছে। সুতরাং, যদি মানুষের অন্যান্য অঙ্গ ও বৃত্তিগুলো শুদ্ধতা লাভ করে, স্বচ্ছ হয়ে যায় চোখের দৃষ্টি, উন্মোচিত হয় তার পরদা, শ্রবণ সঠিক অর্থে ঘটনা পরম্পরাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়, যে ব্যাখ্যায় সে তা গ্রহণ করছে, তা যদি হয় সঠিক, মানুষের হাত, পা, চুল ও ত্বক যদি সুস্থ থাকে তবে কেমন হবে? কি বিপুল সচেতনা তার মাঝে সঞ্চারিত হবে? তখনি প্রেরণা সত্যিকার অর্থে আল্লাহর রঙ ধারণ করবে, তার ইন্দ্রিয় সৃষ্টিশীল ইন্দ্রিয়ে রূপান্তরিত হবে। আমরা কখন এ অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হব? কখন আসবে আমাদের সে সুসময়? হাদীসে এসেছে :
كنت سمعه الذي يسمع به، و بصره الذي يبصر به، و يده التي يبطش بها , و رجله التي يمشي بها .
‘আমি হয়ে যাই তার শ্রবণযন্ত্র, যা দিয়ে সে শ্রবণ করে, এবং তার দৃষ্টি যার মাধ্যমে সে দেখে, তার হাত যার মাধ্যমে সে ধরে এবং তার পা, যার মাধ্যমে সে হাঁটে।’ [বুখারী : ৬৫০২]
আমরা কখন এ স্তরে উপনীত হতে সক্ষম হব?
ফুলের দোকানে যেই চিন্তার উদয় হয়েছে, ইন্দ্রিয় যেভাবে জেগে উঠেছে, তার ফলই যদি এই হয়, তবে ভেবে দেখ, আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণী যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের মাঝে সঞ্চারিত হয়, তবে কি অতুলনীয় ফল বয়ে আনবে তা? চিন্তার এলাকায় কি বিপুল সাড়া ফেলবে তা? মানুষের চিন্তায় ও ইন্দ্রিয়ে আয়াত কীভাবে সাড়া ফেলে, একটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আমি বিষয়টি স্পষ্ট করে তোলার প্রয়াস পাব।
‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।’ [সূরা কাফ : ১৮]- তখন পিছনে ফিরে যায়, এমন কিছু চিন্তা ও কল্পনা আকলের গভীরে জন্ম দিতে, অসংখ্য হয়ে যা মানুষের জ্ঞানের-চিন্তার গভীরে প্রোথিত হয়ে আছে। যাতে, যে প্রক্রিয়ার অনুবর্তী করে আল্লাহ তাকে প্রকাশে আসার ফায়সালা করে দিয়েছেন, সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, এবং তা ভাষায় প্রকাশ পায়। চিন্তার অদৃশ্য লোকের গভীর থেকে উৎসারিত হয়ে তা মুখে চলে আসে, শব্দে রূপ ধারণ করে। প্রকাশের এই পর্যায়ে এসেই মানুষের ঈমানী চেতনা কিংবা সর্বশেষ যাচাই শক্তি দখল দেয় এবং যথেচ্ছ শব্দ বা বাক্যের প্রকাশ থেকে মানুষকে বাধা প্রদান করে। মানুষের ঈমানী শক্তি, এক্ষেত্রে, যতটা শক্তিশালী, ঠিক ততটাই বাধা প্রদানে তার শক্তির বহি:প্রকাশ ঘটে।
সুতরাং, যখন এই শক্তি ও চেতনা, যা মানুষের চিন্তা ও কল্পনার আধার থেকে বেরোনো শব্দের যথেচ্ছ প্রকাশে প্রতিরোধ করে, যতটা শক্তিশালী হবে, ঠিক ততটাই অনর্থক শব্দের প্রকাশে বাধা প্রদান করবে। এভাবে, একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে যখন এই চেতনা ও শক্তি বৃদ্ধি পায়, তখন মানুষের চৈতন্য সর্বদা এমন শব্দকেই প্রকাশে ছাড়পত্র দেয়, যা কল্যাণকর ও শুভ, দুনিয়া আখিরাতে ফলদায়ক। আর যা অকল্যাণকর, অশুভ তাকে বাধা প্রদান করে, এমনকি তাকে চিন্তা ও কল্পনাতে হাজির হতেই দেয় না। কল্পজগতের গভীরে যে কোন ভাবকে শব্দে রূপান্তরিত হওয়ার আগেই সে সর্ব শক্তি নিয়ে হাজির হয় এবং তাকে মৌলিক কল্যাণকর চিন্তায় রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে।
এ হচ্ছে বাস্তব এক প্রতিচ্ছবি, ব্যক্তি যা অনুভব করে সচেতনভাবে, প্রতি মুহূর্তে, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি দিনে, এমনকি যে কোন শব্দ উচ্চারণকালে। কিংবা যখনই সে চিন্তার এলাকায় কোন ভাব নিয়ে খেলা করে।
এ বাস্তব প্রতিচ্ছবি, যদিও ফিল্ম নির্মাতাগণ একে সেল্যুলয়েডের ফিতায় বন্দি করতে সক্ষম নয়। কিংবা মানুষের চিন্তা যাকে ব্যাখ্যাত করে হাজির করতে পারে না।
আমরা যখন, উক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে, শব্দ তৈরীর অভ্যন্তরীন ইন্দ্রিয়, চেতনা ও কর্মপ্রক্রিয়াকে চি হ্নত করতে সক্ষম হব, এবং সক্ষম হব তাকে উপলব্ধি করতে, তখন অবশ্যই তা আরো গভীরে হানা দিবে, আমাদের ভাব, চিন্তা ও চিন্তার প্রক্রিয়া আত্মস্থকরণ আরো সহজ হবে এবং আমরা চিন্তার বিনির্মাণেই সক্রিয় হতে পারব। যখন আমরা ইন্দ্রিয় ও চিন্তায় কর্ষণ করতে আরম্ভ করব, তখন এমন স্থান থেকে আমাদের কর্ষণ ও চিন্তা চাষ আরম্ভ করবে, যা মূলত: কেন্দ্র ও যা থেকে চিন্তার যাত্রা হয়।
যখন আমরা ক্রোধে ফেটে পড়ি, তখন ইন্দ্রিয়ের কোথা থেকে এর যাত্রা হয়, যদি আমরা তা চি হ্নত করতে সক্ষম হই, তবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলার এ বাণীর অর্থ ও মাহাত্ম বুঝতে সক্ষম হব। কুরআনে এসেছে :-
‘যারা ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।’ [সূরা আলে ইমরান : ১৩৪]
ক্রোধকালীন ঈমানী ইন্দিয়ের বিবর্তন ও পর্যায়গুলো তুমি গভীর মনোযোগে ভেবে দেখ। প্রথমে তা ক্রোধের উৎসারণ ক্ষেত্র থেকে ফেটে পড়ে, তারপর ঈমানী চেতনা ও ইন্দ্রিয় তাকে প্রশমিত করে। এভাবে যখন বান্দার মাঝে ঈমানী শক্তির বৃদ্ধি পেতে থাকে, ক্রমান্বয় উন্নতি ঘটে, তখন বান্দা তার প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করে দেয়। বান্দা সক্রিয় সাধনার ফলে যদি আরো শক্তিশালী হয়, তবে সে একটি স্থির অবস্থানে ফিরে আসে...এটিই হচ্ছে উল্লেখিত আয়াতে বর্ণিত ইহসান।
‘নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে যখন তাদেরকে শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। তখনই তাদের দৃষ্টি খুলে যায়।’ [সূরা আরাফ : ২০১]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/723/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।