মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, ‘হে আমার রব, আমার গর্ভে যা আছে, নিশ্চয় আমি তা খালেসভাবে আপনার জন্য মানত করলাম। অতএব, আপনি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ’।’ [সূরা আলে ইমরান : ৩৫]
عن عمر بن أبي سلمة رضى الله عنهما، قال : كنت غلاما في حجر رسول الله صلى الله عليه و سلم، و كانت يدي تطيش في الصحفة، فقال لي رسول الله صلى الله عليه و سلم : يا غلام سم الله، و كل بيمينك، و كل مما يليك . فما زالت تلك طعمتي بعد .
‘উমর বিন আবু সালামা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ছিলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোলের বালক। খাবারের সময়ে আমার হাত বর্তনের এদিক সেদিক ঘুরত। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘হে বালক, আল্লাহর নাম নাও, ডান হাতে আহার কর এবং তোমার সামনের দিক থেকে খাবার গ্রহণ কর।’ সেদিন থেকে আমার খাবারের পদ্ধতি এমনই আছে।’ [বুখারী : ৫৩৭৬]
عن ابن عباس قال : كنت خلف رسول الله صلى الله عليه و سلم يوما فقال : يا غلام إني أعلمك كلمات (( احفظ الله يحفظك، احفظ الله تجده تجاهك , إذا سألت فاسأل الله , و إذا استعنت فاستعن بالله , واعلم أن الأمة لو اجتمعت على أن ينفعوك بشيئ لم ينفعوك إلا بشيئ قد كتبه الله لك , ولو اجتمعوا على أن يضروك بشيئ لم يضروك إلا بشيئ قد كتبه الله عليك , رفعت الأقلام و جفت الصحف .
‘ইবনে আববাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে ছিলাম, তিনি আমাকে বললেন : হে বালক, আমি তোমাকে কয়েকটি বাণী শিখাচ্ছি। ‘তুমি আল্লাহর দীনের হিফাযত কর, তিনি তোমাকে হিফাযত করবেন। তুমি আললাহর দীনের হিফাযত কর, তাহলে তাকে সহায় হিসেবে সম্মুখে পাবে। যখন চাও, তখন আল্লাহর কাছে চাও। যখন সাহায্য চাও, তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাও। জেনে রাখ, যদি সকলে তোমার কোন উপকারের জন্য একত্রিত হয়, তারা তোমার সে উপকারই করতে সক্ষম হবে, আল্লাহ যা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আর যদি সকলে একত্রিত হয়ে তোমার কোন ক্ষতি করতে চায়, তারা তোমার তাই ক্ষতি করতে পারবে, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আমললিপি শুকিয়ে গিয়েছে।’ [তিরমিযী : ২৫১৬]
বাবা তার আদরের সমত্মান হামিদকে নিয়ে সকালে হাঁটতে বের হলেন। পথে বাবা তাকে বললেন :
এই সাত সকালে পথে ঘাটে মানুষের ঢল দেখ ; দেখ কেমন ভীর করে আছে গাড়ী ও যানবাহন। ছুটছে চাকুরীজীবিরা, ছুটছে যার যার কর্মক্ষেত্রে। তাকিয়ে দেখ, পাখীরাও বসে নেই, সকালের মুক্ত আকাশে ছুটছে খাবারের সন্ধানে, কিংবা শূন্যে কোথাও। তুমি তোমার আশপাশে তাকাও, এবং, তাকাও নিজের অভ্যমত্মরে, তোমার অমত্মর ধুক ধুক করছে, রগে রগে বয়ে যাচ্ছে রক্তের ধারা। মনে একের পর এক হানা দিচ্ছে চিমত্মা ও কল্পনা। চোখ, কান, গলা কিছুই বসে নেই, যে যার দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে চলেছে।
এই পথচলা মৃত্যু ব্যতীত কখনো থামবে না। এটাই হচ্ছে জীবনের প্রকৃতি ও ধর্ম। জীবিত মানুষের এই হচ্ছে জীবনময়তা...কিন্তু তুমি নিজেকে প্রশ্ন কর :
এ সব কিছু, যা শূন্যে ও যমীনে বিচরণ করছে, তার নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য রয়েছে, যার দিকে নিরমত্মর ছুটে চলেছে সে। সুতরাং, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি?
পূণ্য অর্জন তুমি তোমার লক্ষ্য বানিয়ে নাও, অত:পর ছুটে চল তোমার কর্মক্ষেত্রে, বিচরণ কর উপকারী বিচরণ।
আমরা অফিসে যাব ; অফিসে ঢুকেই যদি তুমি উদাসীর মত চেয়ারে বসে থাক, কোন কাজে মনোযোগ না দাও, তবে তোমাকে জীবিতই গণ্য করা হবে না। কারণ, এটি জীবনের ধর্মের বিরোধিতা ; আমরা ইতিপূর্বে চারদিকে যে অবাধ জীবনময়তার দেখা পেলাম তা প্রমাণ করে, জীবনের নির্দিষ্ট একটি ধর্ম রয়েছে, সেই ধর্মের অনুসরণ ব্যতীত কখনোই জীবন পরিপূর্ণ জীবন হয়ে উঠে না।
তুমি উঠে গিয়ে চায়ের কাপ রাখার স্থানে যাও, সেগুলো ধোও এবং নিজেকে প্রশ্ন কর, কেন আমি এমন করলাম?
এভাবে, এক স্থান থেকে অপর স্থানে গমনের উদ্দেশ্য কি?
বল, আমার লক্ষ্য পূণ্য অর্জন, কারণ, তা আমার জন্য উপকারী, কল্যাণবাহী, এতে আমার বাবা সন্তুষ্ট হবেন। আমার অফিসটি পরিচ্ছন্ন থাকবে, আমার অমত্মর শামিত্ম পাবে।
কিংবা তুমি ঝাড়ু নিয়ে ঘরটি ঝাট দাও, তেপায়াটি পরিস্কার কর, গ্লাসটি ভাল মত মুছে দাও। এবং নিজেকে প্রশ্ন কর, কেন আমি এমন করলাম?
এ কাজে আমার উদ্দেশ্য কি?
আমি এ কাজের মাধ্যমে ভাল কোন পূণ্যফল অর্জন করতে চাই।
অফিসে যদি কাউকে কিছু অনুসন্ধান করতে দেখ, তাহলে তুমি এগিয়ে যাও, বলার আগেই তাকে বিষয়টি হাজির করে দাও।
কাজ শেষে প্রশ্ন কর, কেন এমন করছি?
কারণ, তুমি তোমার প্রকৃতি অনুসারে বিচরণ করছ। সুতরাং তোমার এ বিচরণকে কেন এমন এক সফলতায় পর্যবসিত করবে না, যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এবং তোমার পূণ্য অর্জন হয়?
এভাবে প্রতিটি কাজে নিজেকে প্রশ্ন কর, এবং এগিয়ে যাও।
সমত্মানের দায়িত্বশীল হে পিতা, তুমি যদি তোমার সমত্মানের কর্মকান্ডের মাঝে শুদ্ধ নিয়তের সঞ্চার করতে সক্ষম হও, তবে নিশ্চিত থাক, তুমি তার জীবনে সফলতার সূচনা করতে সক্ষম হয়েছ।
হে মুসলিম বালক, আজ আমি তোমার সাথে একটু একটু করে পথ চলব, তোমাকে দেখাব এমন অনেক ক্ষেত্র, যাতে তুমি উত্তম কিছু অনায়াসে বপন করতে সক্ষম হবে।
তুমি তোমার বাড়ীতে একাধিক সিন্দুক স্থাপন কর, তার মাধ্যমে সাদাকায়ে জারিয়ার সূচনা কর। প্রতিটি শিশু তার প্রাত্যহিক ব্যয়ের কিছু অংশ সেখানে জমা করবে। এর মাধ্যমে শিশুর উদ্দেশ্য থাকবে পূণ্যলাভ। তার সামনে প্রয়োজনগ্রসত্ম মুসলমান, ইয়াতীমদের অবস্থা ও তাদের প্রয়োজন তুলে ধরবে।
তুমি প্রতিদিনই মা-বাবার সাথে নিত্য নতুন ভাষায় ও ভঙ্গিতে ভাল আচরণ কর, সালাম দিয়ে তাদের মাথায় চুমু খাও, সহাস্যমুখে তাদের সাথে কথা বল। তোমার হাস্যমুখ যে কোন সুবাসিত উদ্যানের তুলনায় তাদের কাছে অধিক প্রিয় মনে হবে।
প্রতিদিন একাধিক আয়াত মুখসত্ম কর, প্রতি সকালে কুরআনের কিছু অংশ তিলাওয়াত কর।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অনেক প্রয়োজনীয় দুআ শিক্ষা দিয়েছেন। এ সংক্রামত্ম একটি পুসিত্মকা সংগ্রহ করে তুমি তা থেকে প্রতিদিন কিছু কিছু মুখসত্ম করতে পার। দেখা যাবে মাস অতিক্রামত্ম হওয়ার পূর্বেই তার পুরোটা বা অধিকাংশই মুখসত্ম হয়ে যাবে।
প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে একটি ইসলামী বই অধ্যয়ন কর। আমি একজন বালককে জানি, যে প্রতি দিন-বাসত্মবেই প্রতিদিন-একটি কিংবা দুটি বই পাঠ করে। প্রতিটি বই-ই সাধারণত সর্বনিম্ন পঞ্চাশ পৃষ্ঠার হয়।
তুমি নিয়ম করে কম্পিউটার শিখতে পার, তাতে লিখা, টাইপ করা এবং পড়ার অভ্যাস কর।
বাবাদের কেউ কেউ মনে করেন, শরীয়তের অবশ্য পাঠ্য বিষয়গুলো কেবল ছেলেদের আত্মস্থ করলেই চলবে, সুতরাং কোন নারী এ বিষয়ে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করবে, এটি তারা ধারণাই করতে সক্ষম নয়। কিন্তু বাসত্মবতা হল, এই ধারণা খুবই জাহিলী ধারণা, এর আড়ালে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা লুকিয়ে আছে। লোখ দেখানোর হীন ইচ্ছা কার্যকর আছে এর পশ্চাতে। কারণ, ছেলেদের শিক্ষার মাধ্যমেই লোকদেখানোর হীন ইচ্ছা চরিতার্থ হয়।
প্রকৃতপক্ষে বাসত্মবতা হচ্ছে, নারীদের মাঝে ইসলামী জ্ঞানে জ্ঞানী গড়ে উঠা আমাদের ও আমাদের বর্তমান সমাজের কল্যাণের জন্য অত্যমত্ম প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। নারীরা সমাজের সংশোধনের ও ভালো অবস্থায় ফিরে আসার মূলে অবস্থান করছে- এই সত্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমরা বলতে পারি সমাজের অর্ধেক অংশকেই তারা সৎপথে নিয়ে আসতে সক্ষম। আয়িশা রা., তার অবস্থান, ইসলামের যাত্রাকালে তার ভূমিকা ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য করলে আমরা স্পষ্টরূপে অনুভব করতে সক্ষম হব, একজন বিজ্ঞ নারী সমাজের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ।
রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন আয়িশা রা. এর বয়স ছিল আঠার। তার ওফাতের পর তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর জীবিত ছিলেন, মানুষ তার কাছ থেকে দীনের প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছে। আবু মূসা আশআরী রা. বলেন, ‘আমাদের- রাসূলের সাহাবীদের কাছে- যখনি কোন হাদীস দুর্বোধ্য হয়েছে, আমরা আয়িশা রা.-এর কাছে তার সমাধান পেয়েছি।’ [তিরমিযী : ৩৮৮৩]
মূসা বিন তালহা তার ব্যাপারে বলেন, ‘আমি আয়িশা রা.-এর থেকে উত্তম কোন সুভাষিণী দেখিনি।’ [তিরমিযী : ৩৮৮৪]
আল্লাহ তাকে অসাধারণ মেধায় ভূষিত করেছিলেন, তার ছিল অতুলনীয় স্মৃতিশক্তি, দ্রুত আত্মস্থ করার ক্ষমতা। তিনি বলেন : ‘রাসূলের যুগে আমাদের উপর আয়াত নাযিল হত, আমরা তার হালাল-হারাম, নির্দেশ-নিষেধগুলো মুখসত্ম করে নিতাম।’
আবু মূসা আশআরী রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা রা. সম্পর্কে এক হাদীসে বলেন : ‘পুরুষের মাঝে অনেকে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেছে, নারীদের মাঝে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করেছে কেবল মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া ; অন্যান্য নারীদের উপর আয়িশার শ্রেষ্ঠত্ব যাবতীয় খাবারের উপর ‘সারীদ’ (এক প্রকার অভিজাত খাদ্য)-এর মত।’ [বুখারী : ৩৭৬৯]
শিশু কিংবা তুমি যে সাদাকায়ে জারিয়ার সূচনা করবে, তার অন্যতম হচ্ছে ইসলামী জ্ঞান অনুসারে তার মানসিক ও জ্ঞানগত পরিগঠন। শিশুকে উত্তম রূপে প্রতিপালন এবং তাকে একটি সুস্থ সবল জীবনে প্রবেশ করিয়ে দেওয়াই হচ্ছে একজন পিতা ও মাতার জীবনের চরম সার্থকতা। এ এক বিরাট সাদাকায়ে জারিয়া, যখন তুমি মৃত্যু বরণ করবে, পরজগত হবে তোমার আবাস, যখন কোন প্রকার আমলে নিজেকে ধনী করবার সুযোগ রহিত হয়ে যাবে, তখন তোমার সমত্মান তোমার কাজে আসবে।
হে সমত্মান, তুমিও নিজেকে নানা প্রকার সাদাকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে ভূষিত করতে পার। তোমার পিতা যদি ধূমপানে অভ্যসত্ম হয়, তবে তুমি শালীন পন্থা অবলম্বন করে তাকে এ ব্যাপারে বলতে পার। কিংবা তাকে সম্বোধন করে একটি ছোট পুসিত্মকা লিখতে পার, যা হাদিয়ার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিবে। তা নিশ্চয় তার উপর প্রভাব ফেলবে।
হে সমত্মান, বাড়ীতে যখনি কোন সমস্যা দেখা দিবে, তুমি অত্যমত্ম ভদ্রতার আচরণ করে বিষয়টির সমাধানে ভূমিকা রাখতে পার। বিশেষত, সমস্যা যদি হয় পিতা-মাতার মাঝে, তবে তোমাকে বলা ব্যতীতই তুমি এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখ। তাদের বলার অপেক্ষা কর না।
তুমি যদি তোমার বাবার সাথে বাজারে যাও, তবে তাকে স্মরণ করিয়ে দাও, তিনি যেন তোমার মায়ের জন্য উপঢৌকন স্বরূপ কিছু নিয়ে যান, অনুরূপ তুমি যদি তোমার মায়ের সাথে বাজারে যাও, তাকে বাবার জন্য কিছু নিয়ে যেতে স্মরণ করিয়ে দিয়ো।
নিজেকে প্রশ্ন কর, তোমার সাথীদের কে কে সালাতে অবহেলা করে, তাদেরকে সালাতের পথে নিয়ে আসা তোমার পক্ষে সম্ভব কি না, কে কে আল্লাহর আদেশ নিষেধের ব্যাপারে কোন প্রকার তোয়াক্কা করে না, ভালো আচরণের বদলে মন্দ আচরণ কার অধিক প্রিয়, অশ্লীল ও গর্হিত কথা কার মুখের ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে,- তাদেরকে চি হ্নত করে তুমি তাদেরকে এ ব্যাপারে অত্যমত্ম শালীনতার সাথে উপদেশ দিতে পার।
হে প্রিয় সমত্মান, তুমি কি নিজেকে কখনো এ প্রশ্ন করে দেখেছ, কেন তুমি পড়াশোনা করছ? ভবিষ্যতে ভাল বেতনে চাকরী করবে এই কি তোমার উদ্দেশ্য? নাকি কোন বড় পদের প্রতি তোমার মোহ রয়েছে? তুমি কি পড়াশোনার আড়ালে পার্থিব কোন আকাঙ্ক্ষা লালন কর?
নাকি তুমি পড়ছ তোমার দীনকে সহযোগিতা করতে, তোমার কাজ ও পদ ইসলামের সাহায্যের জন্য নিবেদিত করতে? আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় হিসেবে? তুমি তোমার দীনের ব্যাপারে সর্বদা কেন নেতিবাচক পন্থা অবলম্বন করছ? তোমার ব্যক্তিগত ধর্মচর্চাকে অন্য যাবতীয় ক্ষতিকর সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে, এতটুকুই কি তোমার দায়িত্ব? অপরকে সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজে নিষেধ এবং উত্তম উপদেশ প্রদানের জন্য এগিয়ে যাচ্ছ না কেন?
আমি কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করে এ সংক্রামত্ম আলোচনার সমাপ্তি টানতে চাচ্ছি :
কীভাবে আমরা আমাদের শিশুদেরকে এমন অভ্যাসে গড়ে তুলতে পারি, যার ফলে সে একক নয়, গড়ে উঠবে সমাজের অংশ হয়ে, কেবল পরিবারের সাথেই নয়, তার যোগাযোগ থাকবে সমাজ ও সমাজের বাসত্মবতার সাথে?
সঠিক কল্পনা, শুদ্ধ চিমত্মা ও বোধ এবং দূরকল্পনার অধিকারী করে কীভাবে আমরা তাদেরকে বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারি?
জ্ঞানগত উৎকর্ষের পাশাপাশি আমরা তাদেরকে কীভাবে এমন অভ্যাসের অনুবর্তী করে তুলতে পারি, যার ফলে তার মাঝে কর্মতৎপরতার অতুলনীয় আগ্রহ ও উদম্য ইচ্ছার জন্ম নিবে? তার প্রতিবেশ, পরিবেশ ও সমাজে সে সক্রিয় হয়ে অংশগ্রহণ করবে- হোক তারা মুসলমান কিংবা কাফির, হোক তারা পরিচিত কিংবা অপরিচিত।
উন্নত আচরণ ও অভ্যাসের আলোকে কীভাবে আমরা তাদেরকে জীবনের রাজপথে তুলে আনতে পারি? সাধারণ ও ব্যাপক সামাজিক চর্চার মাধ্যমে, হয়তো, আমরা তাদের মাঝে এই বীজ বপন করতে পারি।
কী পদ্ধতি অনুসরণের ফলে তাদের মাঝে ইসলামের জ্ঞানগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে, তা আমাদেরকে অবশ্যই আবিস্কার করতে হবে। শুদ্ধ ও শক্তিশালী মানসিক গঠন এবং বিশেষ কোন ক্ষেত্রে জ্ঞানগত উৎকর্ষই তাদেরকে এ পথে সফল করে তুলবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/723/67
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।