hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-গিরাস চিন্তার উন্মেষ ও কর্মবিকাশের অনুশীলন (১ম খন্ড)

লেখকঃ তাওফীক বিন খলফ বিন আবদুল্লাহ বিন আল-রেফায়ী

১৯
পঞ্চম প্রক্রিয়া : সিরকা তৈরী
খেজুরগুলো ব্যবহার করে আমরা অনায়াসে সিরকা তৈরী করতে পারি, এমনকি যেগুলো নিম্নমানের, যা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার মত নয়, সেগুলোকেও সিরকা বানিয়ে বাজারজাত করা সম্ভব।

খেজুর বৃক্ষ ও তার ফলন নিয়ে আরো গবেষণা আমাদেরকে নতুন নুতন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিবে, আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র কলেবরে সংক্ষেপে কিছু আলোচনার প্রয়াস চালিয়েছি। গবাদিপশুর খাদ্য ও কাগজ ইত্যাদি বানান সম্ভব খেজুরের আটি থেকে- অনেকের সাথে আলোচনা করে যা আমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে।

খেজুর বৃক্ষ- সন্দেহ নেই, খুবই বরকতময় একটি বৃক্ষ।

কল্যাণকর অনেক কিছুর উদ্ভাবন সম্ভব এ বৃক্ষ থেকে, কিন্তু তাকে অবশ্যই একটি শৃঙ্খলায় নিবিষ্ট করতে হবে, যাতে তার কল্যাণ অব্যাহত একটি কল্যাণের রূপ লাভ করে এবং দীর্ঘ সময় তা অব্যাহত থাকে। কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপ যদি তার নামকরণ করে ‘মুমিনের বৃক্ষ’ নামে কিংবা এ ধরনের নাম যদি সে পছন্দ করে, অত:পর মাঠ পর্যায়ে বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা চালায় এবং দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য মাধ্যমটি কী কী উপকার বয়ে আনতে সক্ষম সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করে, তাহলে তা হবে কার্যকরী ও ফলপ্রসু একটি কাজ।

এর মাধ্যমে আল্লাহর নিআমত নষ্ট হওয়া বন্ধ হবে। যেভাবে এ উপকার আমরা বিনষ্ট করছি, এক সময় তা আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে সন্দেহ নেই। আমরা কেন এই বৃক্ষগুলোকে ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছি?

অধিক হারে এই গাছ রোপন করলে আমাদের রিযকে প্রসস্ততা আসবে এবং আল্লাহ চাহে তো বৃষ্টির নিআমতে আমরা বিধৌত হব। কে জানে, হয়তো আমরা এ গাছের প্রতি অধিক যত্নশীল নই বলেই আমরা বৃষ্টির নিআমত থেকে সব সময় বঞ্চিত হচ্ছি।

এর ফলে রাষ্ট্র ও জনগণ অধিক হারে এ বৃক্ষটির প্রতি নজর দিবে, ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে, পরিচ্ছন্নতা আসবে এবং ফলনশীলতা বহুগুণে বাড়বে।

রাষ্ট্র ও সরকার- বর্তমানে যে এ গাছগুলোর রক্ষাবেক্ষণ ও দেখভালের দায়িত্ব পালন করে, তাকে সহযোগিতা করা হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বে কেবল পানি দেয়া, রোপন করা ইত্যাদি। কিন্তু উক্ত সংস্থা এর বাইরে আরো কিছু দায়িত্ব পালন করবে। গাছগুলো পরিচ্ছন্ন করবে, কাটবে এবং ফলন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে যাবে।

কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। প্রয়োজনগ্রস্ত অনেক কৃষক ও কৃষক পরিবারকে এভাবে আমরা অন্ন ও বস্ত্র সংস্থানে সহযোগিতা করতে পারব। প্রতি শ্রমিককেই তার প্রয়োজনমত পারিশ্রমিক- খেজুরের আয় থেকে দেয়া সম্ভব হবে। এটি তাদের জন্য, সন্দেহ নেই, বিরাট সহযোগিতা, দারিদ্র্য দূরিকরণের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ।

এ প্রক্রিয়াটি সচল করার পাশাপাশি আমরা এমন আরো অনেক প্রজেক্টের সূচনা করতে পারি, যা বিপুল অর্থ আয় করতে সক্ষম। যেমন, অন্যান্য ইসলামী দেশ ও রাষ্ট্রগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ, প্রাকৃতিক মধু উৎপাদন কিংবা খেজুরের মাধ্যমে যে আয় হবে, তার মাধ্যমে অন্যান্য এলাকায় কৃষি সহযোগিতা প্রদান ইত্যাদি।

যে সমস্ত দেশে মুসলিম কৃষকরা দরিদ্র অবস্থায় জীবন যাপন করছে, অর্থের অভাবে কৃষির প্রসার ঘটাতে পারছে না, আমরা এর মাধ্যমে তাদেরকে ভাতা ইত্যাদি প্রদানের দ্বারা স্বাবলম্বি করে তুলতে পারি।

সর্বশেষ আমি বলব : ‘আবু মুহাম্মাদ’ যদি তার দারিদ্রে্যর কারণে আমাদেরকে এই চিন্তা ও তার বপনে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে তুলতে পারে, এবং আমরা যদি প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র ব্যক্তিদের অনুভূতি নিয়ে ভাবি, তাকে বুঝতে চেষ্টা করি তাহলে সন্দেহ নেই, আমরা তাদেরকে আর বেশি দিন দরিদ্র হয়ে থাকতে দিব না।

আবু মুহাম্মাদ যদি তার দারিদ্রে্যর কারণে এই চিন্তা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, তাহলে আমরা কেন আল্লাহর কালাম এবং তার প্রেরিত রাসূলের উক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত হই না? তা থেকে নতুন নতুন চিন্তার অনুসন্ধান করি না? আল্লাহ তাআলার কালাম, রাসূলের উক্তির ছত্রে ছত্রে ভরে এই ধরণের চিন্তার খোরাক। কিন্তু কে এর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে? কে সেগুলোকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসবে?

আমরা এখানে খেজুর বৃক্ষ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছি, যাতে পরিবর্তনটি এমন এক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়, যা হবে বাস্তব ও সুষ্ঠু পদ্ধতিগত এক পরিবর্তন, যা আমাদের ও অন্যান্য মুসলিম দেশে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে।

কৃষি এমন এক সম্পদ, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই যে সম্পদে সম্পদশালী। প্রয়োজনের সময় যারা আমাদের প্রতি ওৎ পেতে থাকে, এ সম্পদের সুষ্ঠু চর্চার ফলে আমরা অনায়াসে তাদের থেকে অমুখাপেক্ষী হতে সক্ষম হব।

এ এমন এক সম্পদ, যা অন্য অনেক সম্পদের শিরোনাম, যা থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক শিরোনামের জন্ম হয়।

জৈব সম্পদ, তার প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পানি সম্পদের মূলেই হচ্ছে কৃষি সম্পদ।

আমাদের প্রয়োজন কোন একটি নিরাপদ সংস্থা, যাকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে বিশেষ এই কাজের জন্য, এর জন্যই যাকে নিবেদিত করা হবে, এবং তাকে পরিচালিত করবে এমন এক ব্যক্তি যিনি এ ব্যাপারে পারদর্শী। এবং যিনি একে একটি সম্পদশালী ও ফলদায়ক বীজে পরিণত করতে সক্ষম হবেন।

যিনি মরুভূমিকে সবুজ বরকতময় উদ্যানে রূপান্তরিত করতে পারবেন। ফেলে দেয়ার বস্ত্তকে পরিপূর্ণ কল্যাণে নিয়োজিত করবেন, এবং আল্লাহর ইচ্ছা ও অনুমতিতে মৃত্যুকে রূপান্তরিত করবেন জীবনময়তায়।

পদ্ধতিগত রূপান্তর ও পরিবর্তনের সূচনা হতে হবে আমাদের ভিতরগত পরিবর্তনের মাধ্যমে।

আমাদের চিন্তায় যখন বাক্যাবায়ব ধরা দেয়, তখন কীভাবে তাকে আমরা গ্রহণ করছি, কীভাবে তার মুখোমুখি হচ্ছি এবং পরবর্তীতে তা কীভাবে আমাদের কাজে-কর্মে প্রভাব বয়ে আনে, আমাদের গতি ঠিক করে দেয়, তা অনেক কিছু নির্ভর করে।

এ পরিবর্তন ও রূপান্তরের মূলমন্ত্র হবে ‘কৃষি উৎপাদনের পদ্ধতি’- ‘কৃষি সৌন্দর্যের পদ্ধতি’ নয়।

সৌন্দর্য প্রয়োজন নেই- এমন মত আমরা কখনোই পোষণ করি না। কিন্তু সৌন্দর্য ও সৌন্দর্যের চর্চাই একমাত্রিক লক্ষ্য ও ধ্যানজ্ঞান করার পুরোপুরি বিরোধিতা আমরা করি। এটি খুবই ক্ষতিকর একটি বিষয়। কারণ, এটি কোন ভাল সুসংবাদ বয়ে আনে না। সৌন্দর্য চর্চা করতে গিয়ে মানুষ অঢেল অপচয় ও বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত অহরহ খুঁজে পাওয়া যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন