মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘তার উদর হতে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয় ; যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই এতে এমন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিমত্মা করে’। [সূরা নাহল : ৬৯]
عن أم الدرداء رضى الله عنها، عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : إن الله خلق الداء و الدواء، فتداوا، و لا تتداوا بحرام .
‘উম্মে দারদা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আল্লাহ ব্যধি এবং তার সাথে ঔষধও সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং তোমরা ঔষধ গ্রহণ কর এবং কোনো হারাম জিনিস ঔষধ হিসেবে ব্যবহার কর না’। [তাবরানী : ৬৪৯]
عن ابن مسعود رضي الله عنه، أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : ما أنزل الله داء إلا قد أنزل له شفاء، علمه من علمه و جهله من جهله .
‘ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আল্লাহ যে সব ব্যধি নাযিল করেছেন, তার সাথে তার নিরাময় ব্যবস্থাও রেখেছেন। কেউ তা জানে অনেকে জানে না’। [মুসনাদ : ৩৫৭৮]
একটি মাত্র সংস্থা, যা গঠিত হবে ডাক্তারদের নিয়ে, তাদের সম্পর্কে এ লেখার সার্থকতার জন্য যথেষ্ট। ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত এই দাওয়াতী সংস্থা অবশ্যই হবে এক মহান সাদাকায়ে জারিয়া, যা তোমাকে দীর্ঘ পথ চলতে এবং আপন লক্ষ্যে উপনীত হতে সাহায্য করবে। এই সংস্থার একক লক্ষ্য হবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন, ইসলামের সাহায্য ও তাকে রক্ষার ফলপ্রসু পদ্ধতি অবলম্বন, মুসলমানদের স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর আশ্রয় লাভ। নির্দিষ্ট একটি কর্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন হতে পারে। নিম্নে আমরা এর কিছু অবস্থা তুলে ধরার প্রয়াস পাব :
ইসলামে চিকিৎসার মৌলিক বোধকে শরীয়তের বিধানের আলোকে বিশুদ্ধ করণ, চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে আছে যে বিভ্রান্তি ও ভুল বিশ্বাস তা দূর করার জন্য কার্যকরী কর্মপন্থা গ্রহণ, উন্নত চিকিৎসার অধিকারী কেবল অমুসলিমগণ, মুসলমানগণ তা কখনো পেতে পারে না, এই ফ্যাসিষ্ট আচরণকে সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
চিকিৎসা ও চিকিৎসাশাস্ত্রের নানাবিধ নীতিমালাকে শরয়ী ভিত্তি প্রদান, এর জন্য সর্ব প্রথম যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে চিকিৎসাশাস্ত্রে ইতিপূর্বে যা যা লিখিত হয়েছে তা একত্রিত করা এবং গবেষণা সংস্থা, ইসলামী আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চতর গবেষণা বিভাগগুলোকে পাশাপাশি সহায়তা প্রদান করা।
অন্যান্য চিকিৎসা সংগঠনগুলোর প্রতিরোধ করা, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে চিকিৎসার পোশাক চড়িয়ে ইসলামী দেশে ইসলাম বিরোধী বিশ্বাসের বীজ বপন।
বিপন্ন মুসলিমদেরকে চিকিৎসাসেবা দান।
ইসলামী রাষ্ট্রে চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে অন্যান্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো কীভাবে মুসলমানদের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, পঙ্গু করে দিচ্ছে তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সে সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করা।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলো চিকিৎসাসেবা বিস্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ; হয়তো তা নতুন মুসলিম ডাক্তার তৈরির জন্য বিস্তৃত ভবিষ্যত পরিকল্পনার মাধ্যমে হতে পারে, কিংবা অমুসলিম ডাক্তারদেরকে ইসলামের আহবান এবং মুসলিম করে নেয়ার মাধ্যমেও হতে পারে।
চিকিৎসা পেশাকে দাওয়াত ইলাল্লার কাজে ব্যবহার করা। রোগীদের মাঝে তারা ছড়িয়ে দিবে আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ ভরসার মানসিকতা। আল্লাহর ইচ্ছায় এটিই হবে তাদের রোগমুক্তির সর্বোত্তম ও মৌলিক উপায়।
দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোতে হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা, এটি স্থায়ী বা অস্থায়ী- যে কোন ধরনের হতে পারে। অধিকাংশ দেশে ঔষধ, পর্যবেক্ষণ ও ঔষধকেন্দ্রের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে।
স্কুলগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনা প্রকল্পে বিশেষ সহায়তা প্রদান। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর জন্য কয়েকটি বিষয় প্রয়োজন : যেমন-
প্রথমত: শরীয়তের বিচারে ইসলামী আকীদা, বিশ্বাস ও বোধ বিরোধী বিষয়গুলো থেকে স্কুলের পাঠ সিলেবাসকে পুনর্বিন্যাসে সহায়তা প্রদান।
দ্বিতীয়ত: স্কুলের পাঠ সিলেবাসের প্রাকটিক্যাল বিষয়গুলোকে ইসলামী আইনের মৌলনীতিমার আলোকে যাচাই ও বিন্যাস প্রদান, যাতে ধর্মনিরেপক্ষ কোন শিক্ষক ছাত্রদের মাঝে অপবিশ্বাস ছড়াতে না পারে।
তৃতীয়ত: পাঠ সিলেবাসের সাথে সমঞ্জস্য করে এমন কিছু পুস্তিকা রচনা করা, যাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের মৌলিক ও প্রাথমিক নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা থাকবে, এবং যার মাধ্যমে ছাত্রদের মানসিকতা, বিশ্বাস দৃঢ় ও বিশুদ্ধ হবে। পাঠ সিলেবাসে এটি হবে একটি নতুন পুস্তক এবং অন্যান্য শাস্ত্রের বিচারে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।
চতুর্থত: প্রাকটিক্যাল বিষয়গুলোতে তারা একাডেমিক গবেষকদেরকে সহায়তা প্রদান করবেন এবং তাদের উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ব্যাপারে একটি নতুন পাঠ সিলেবাস তৈরি হবে।
নিম্নে আমি কয়েকটি কর্মপদ্ধতি তুলে ধরছি, পাঠক, যে এগুলো বাস্তবায়ন করবে কিংবা যার সাথে তুমি এগুলো বাস্তবায়ন করবে, তুমি তাকে এগুলো পৌঁছে দিতে পার।
‘বিশ্বজগতে ও তাদের নিজদের মধ্যে আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি (কুরআন) সত্য; তোমার রবের জন্য এটাই যথেষ্ট নয় কি যে, তিনি সকল বিষয়ে সাক্ষী?’ [সূরা ফুসসিলাত : ৫৩]
শাইখ আব্দুল্লাহ যানদানীর তিনটি ভিডিও আমার নজরে পড়েছে, আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন। ভিডিও তিনটিতে সৃষ্টিজগতে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ, তার গুঢ় রহস্য ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে আল্লাহর একত্বের প্রমাণ বহন করে। অমুসলিম বিশিষ্ট কয়েক বিজ্ঞানীর সাথে টেলিভিশনে তার আলোচনা ও কথোপকথন দেখেছি, এ বিজ্ঞানীগণ প্রত্যেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল খ্যাতি লাভ করেছেন। তিনি তাদেরকে বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট কোন বিষয় বা সূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করতেন, তারা এর উত্তর দিত। সূত্রগুলো বিজ্ঞাসম্মত এ পর্যায়ে পৌঁছতে গবেষণার ইতিহাসের কী কাঠখর পোহাতে হয়েছে, তার প্রশ্নের বিষয়বস্ত্ততে এটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অত:পর তিনি তাদেরকে দেখিয়ে দিতেন, কুরআন বহু আগেই এই সূত্রের প্রতি ইঙ্গিত করেছে, তাদের ধারণার আগেই কুরআন তা জ্ঞান আকারে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে। উপস্থিত জ্ঞানীরা তাকে এর প্রামাণ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে তা ব্যাখ্যা করে দিতেন। এ আলোচনার ফলে তাদের কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করত, কেউ বিষয়টি মেনে নিত। এবং যারা শ্রোতা, বৃদ্ধি পেত তাদের ঈমান ও বিশ্বাসের ভিত্তি।
এটি একটি মাত্র ক্ষেত্র ডাক্তার ও চিকিৎসকগণ যে ক্ষেত্রে সক্রিয় অবদান রাখতে পারেন। আমাদের চিকিৎসক বন্ধুরা এই সেবা দিতে কোনভাবেই অক্ষম নন, বরং, তারা একে অধিক পরিশুদ্ধ ও পরিস্রুত আকারে হাজির করতে পারবেন, তাদের উপস্থাপন হবে আরো কার্যকর। এমনিভাবে, এ ময়দানে আলোচিত অন্যান্য মহান ব্যক্তিদের থেকে তারা উপকৃত হতে পারেন ; শাইখ আব্দুল মাজীদ, ডক্টর আহমাদ শাওকী ইবরাহীম এবং ডক্টর আল্লামা যগলুল নাজ্জার ইত্যাদি মহান ব্যক্তিগণ হতে পারেন তাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
‘কুরআন ও বিজ্ঞান’ শিরোনামে কুয়েতী টেলিভিশনে প্রচারিত ডক্টর আহমাদ শাওকীর প্রোগামগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং দর্শকদের ঈমান ও বিশ্বাসের বৃদ্ধিতে তা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।
এগুলো ছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পরিশ্রমের ফসল, আল্লাহ তাদেরকে উত্তম জাযা দান করুন।
সুতরাং, যদি চিকিৎসকদের আগ্রহী দল সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেন, তবে কী ফল দাঁড়াবে, তা বলাই বাহুল্য। তারা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতী প্রোগ্রামের কার্যক্রম হাতে নিতে পারেন, যা বিভিন্ন ভাষায় পরিচালিত হবে এবং বিজ্ঞানের আলোকে নির্মিত হওয়ার ফলে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, যা অন্যান্য কাজে আমাদেরকে সহায়তা দিবে।
দ্বিতীয়ত: সুন্নাত ও শরীয়তসম্মত চিকিৎসার পুন: অনুশীলন ও সামাজিকভাবে তাকে প্রতিষ্ঠাকরণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকরদের সাথে আমি বেশ কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়েছি। হাদীসনির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারীতার ব্যাপারে তারা আমাকে অবহিত করেছেন, এবং এ ব্যাপারে তাদের নিশ্চয়তার কথা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি, সন্দেহ নেই, খুবই চমকপ্রদ একটি ব্যাপার।
হাদীসনির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতি এক সময় মানুষের কাছে চর্চার বিষয় ছিল, তারা একে জ্ঞান আকারে লালন করত, কিন্তু ক্রমে, কাল ও সভ্যতার বিবর্তনের ফলে এবং মুসলমানদের অবহেলার দরুন তা হারিয়েছে তার চর্চা এবং মানুষ ভুলতে বসেছে এর ব্যবহার ও কার্যকারণ পদ্ধতি।
আমাদের চিকিৎসক বন্ধুগণ একে পুনরায় আলোতে নিয়ে আসতে পারেন, একটি ব্যাপক বিস্তৃত গবেষণা, পূর্নপঠন ও বিন্যাসের মাধ্যমে তারা একে আবার সমাজের সামনে হাজির করতে পারেন। সন্দেহ নেই, সেবার পাশাপাশি এটি তাদের জন্য দাওয়াতের সুফল বয়ে আনবে।
চিকিৎসকরদের জন্য সময় উচ্চকণ্ঠে সাহসের এমন কথা বলবার, যা দ্ব্যর্থহীন সত্যের প্রকাশ করবে এবং সত্যের বাণীকে সুমহান করে তুলবে। বৃদ্ধি পাবে মুমিনের বিশ্বাস, স্তব্ধ করে দিবে পরশ্রীকাতর ইসলাম বিরোধী জনগোষ্ঠীর ভাষা ও প্রপাগান্ডা।
বিশ্বে নানা চিকিৎসাপদ্ধতি আছে, চীনা ন্যাচারাল ট্রিটম্যান্টের আদলে অকুপেশন পদ্ধতিকে এক প্রকার শাস্ত্রীয় রূপ প্রদান করা হয়েছে, অথচ তাদের সমাজিকভাবে ঐতিহাসিক চর্চা ব্যতীত এর কোন ভিত্তি নেই। আর আমাদের ইসলামী চিকিৎসাপদ্ধতি ওহী দ্বারা সত্যায়িত, কোন ভিত্তি ছাড়া যার একটি উচ্চারণও নেই।
সেঁক পদ্ধতি, শিঙ্গা, কালোজিরা, মধু, উটের মূত্র ও দুধ ইত্যাদি সবই হাদীসের চিকিৎসা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। এ সবের ব্যাপারে লিখিত গবেষণাগুলো কোথায়? এ সবের ভিত্তি করে যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে, তা কি কাজে লেগেছে? হাসপাত, বরং, স্কুলগুলো এ সব পদ্ধতির প্রতি কি মোটেই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়? ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানো হয়, তাদের দৃষ্টিতে এগুলো কি মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়? সুতরাং, হে চিকিৎসক বন্ধুরা, তোমরা ব্যতীত এ মহান দায়িত্ব কেউ পালন করবে না।
তৃতীয়ত: আমি মনে করি, চিকিৎসক বন্ধুদের সাথে সংবাদপত্র ও মিডিয়া সেকশনের যোগাযোগ অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়, যাতে মুসলিম শিশুদেরকে ভিকটিম বানিয়ে যে সমস্ত নিরীক্ষা চালানো হয়, তা সকলের সামনে স্পষ্ট করে দেয়া যায়। নতুন যে দায়ীগণ দাওয়াতের ময়দানে আত্মনিয়োগ করেছেন, জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ হলেও তাদের উদ্দেশ্য বিশুদ্ধ ও আল্লাহর জন্য নিবেদিত, চিকিৎসকগণ তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং একটি ফলপ্রসু ধারাবাহিকতা আনয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ ও শাস্ত্রসম্মত কার্যক্রম তোমরা কেন হাতে নিচ্ছো না, যা একই সাথে টেলিভিশন, প্রচার মাধ্যম, সংবাদপত্র, বই-পত্র প্রকাশনা, অডিও ও ভিডিও ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিস্তৃত থাকবে?
তোমাদের কাছে এমন কোন আর্কাইভ নেই কেন, যাতে ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর সত্যতা ও তার প্রায়োগিক শুদ্ধতার আলোচনা থাকবে, যেমন মিসওয়াকের ব্যবহার? এ ব্যাপারে বিপুল পরিমাণে লেখা হয়েছে, এগুলো তোমাদের সংগ্রহে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত: ব্যাপকভাবে মানুষের মাঝে এবং বিশেষভাবে মুসলমানদের মাঝে যাদু ও ভেলকিবাজির প্রতি নির্ভরতা ছড়িয়ে পড়েছে, এমনকি তা চিকিৎসা পদ্ধতি ও শরীয়ত প্রবর্তিত চিকিৎসা ব্যবস্থা মিশে যাচ্ছে। বিপদের ব্যাপার হচ্ছে : মানুষ একে ইসলামের নামে গ্রহণ করছে এবং তাকে ভাবছে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে। এর পক্ষ হয়ে সোৎসাহে তারা লড়ছে।
এরা দু দলে বিভক্ত হয়ে মানুষের কাছে হাজির হয়, একদল শরীয়তের পোশাক পড়ে, শরীয়তের বিচারে যাদের অসারতা খুবই সিদ্ধ ও প্রমাণিত ; অপর দল ডাক্তারের পোশাক চড়িয়ে, যাদের ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীর মাঝে কেবল নেতিবাচক প্রভাবই বৃদ্ধি পায়। তুমি কেন বিষয়টি নিয়ে তোমার চিকিৎসক বন্ধুদের কাছে যাচ্ছ না, তাদেরকে বিষয়টি বোঝাতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছো না?
আমি বলছি না যে, এখুনি ইসলামের চিকিৎসা সেবার পদ্ধতি ব্যবহার করে কোন হাসপাতাল প্রস্ত্তত করতে হবে। কারণ, আমরা এখনো পথের সূচনাতে রয়েছি।
হে আমার ডাক্তার বন্ধুরা, যদি তোমরা দেখতে পাও যে, তোমাদের সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত এ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, এবং এই ময়দানে ইসলামের দাওয়াতী কাজ সহজে পূর্ণ হচ্ছে, তবে তোমরা এ পথ ছেড়ে দাও, আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তোমরা তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছ, এ বিষয়টি একান্তভাবেই তোমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট, সুতরাং যে ব্যাপারে তোমাদেরকে ইলম প্রদান করা হয়েছে, তার সঠিক প্রয়োগের ব্যাপারে তোমরা অবহেলা কর না, বিনষ্ট কর না আল্লাহর পথে দাওয়াতের সুযোগ। মুসলিম সমাজ তোমার নিকট অনেক কিছুর আশা করে আছে।
প্রথমে আমরা আল্লাহর কাছে, পরবর্তীতে তোমাদের কাছে আমাদের আশা থাকবে যে, তোমরা ইসলামী দেশগুলোতে পুনরায় চিকিৎসা ব্যবস্থার বিন্যাসে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে, আন্তর্জাতিক মানসম্যত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সেবার বিপুল সুযোগ করে দিবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/723/61
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।