hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-গিরাস চিন্তার উন্মেষ ও কর্মবিকাশের অনুশীলন (১ম খন্ড)

লেখকঃ তাওফীক বিন খলফ বিন আবদুল্লাহ বিন আল-রেফায়ী

৭১
প্রথম কারণ : শরয়ী উপাদান
عن سهل بن سعد رضي الله عنه قال : بلغ رسول الله صلى الله عليه و سلم أن بني عمرو بن عوف بقباء كان بينهم شيئ فخرج يصلح بينهم في أناس من أصحابه فحبس رسول الله صلى الله عليه و سلم و حانت الصلاة فجاء بلال إلى أبي بكر رضي الله عنهما فقال يا أبا بكر إن رسول الله صلى الله عليه و سلم قد حبس و قد حانت الصلاة فهل لك أن تؤم الناس قال نعم إن شئت فأقام بلال الصلاة و تقدم أبو بكر رضي الله عنه فكبر للناس و جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم يمشي في الصفوف يشقها شقا حتى قام في الصف فأخذ الناس في التصفيح-قال سهل : التصفيح هو التصفيق-قال و كان أبو بكر رضي الله عنه لا يلتفت في صلاته . فلما أكثر الناس التفت فإذا رسول الله فأشار إليه يأمره أن يصلي فرفع أبو بكر رضي الله عنه فحمد الله ثم رجع القهقرى وراءه حتى قام في الصف , و تقدم رسول الله صلى الله عليه و سلم فصلى للناس , فلما فرغ أقبل على الناس فقال : يا أيها الناس ما لكم حين نابكم شيئ في الصلاة أخذتم بالتصفيح إنما التصفيح للنساء , من نابه شيئ في صلاته فليقل : سبحان الله , ثم التفت إلى أبي بكر رضي الله عنه فقال يا أبا بكر ما منعك أن تصلي للناس حين أشرت إليك , قال أبو بكر : ما كان ينبغي لابن أبي قحافة أن يصلي بين يدي رسول الله صلى الله عليه و سلم .

‘ছাহাল বিন সাআদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খবর পেলেন যে, কুবার বানি আমর ইবনে আউফের মাঝে বিবাদ দেখা দিয়েছে। তিনি তাদের বিবাদ মিটানোর উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি সেখানে আটকে গেলেন। এদিকে নামাজের সময় হয়ে এল। তখন বেলাল আবু বকর রা. এর কাছে এসে বলল : আবু বকর ! রাসূল তো আটকে গেছেন এদিকে নামাজের সময় হয়ে এসেছে আপনি কি নামাজ পড়াতে পারবেন? তিনি বললেন : তুমি চাইলে পারব। তখন বেলাল ইকামাত দিলেন এবং তিনি এগিয়ে গিয়ে তাকবির দিলেন এবং তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাতারের মাঝখান দিয়ে কাতার ফাঁক করে এগিয়ে এসে সামনের কাতারে গিয়ে দাঁড়ালেন। মানুষ তালি দিতে লাগল। তিনি বলেন : আবু বকর কখনো সালাতে এদিক সে দিক তাকাতেন না। মানুষ যখন বেশী তালি বাজাতে লাগল তখন তিনি পিছনে ফিরে রাসূলকে দেখতে পেলেন, তিনি ইশারা করে তাকে সালাত চালিয়ে যেতে বললেন, তখন আবু বকর হাত তুলে হামদ বললেন অত:পর পিছনে সড়ে এলেন এবং কাতারে এসে দাঁড়ালেন। রাসূল এগিয়ে গিয়ে নামাজ শেষ করলেন নামাজ শেষ করে মানুষদের দিকে ফিরে তিনি বললেন : হে মানুষ ! নামাজে তোমাদের কোনো সমস্যা দেখা দিলে তোমরা তালি বাজাও কেন? তালি তো নারীদের জন্য। নামাজে কারো কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে যেন বলে ‘‘সুবাহানাল্লাহ’’। অত:পর আবু বকরের দিকে ফিরে বললেন আমি ইশারা করার পরও তুমি ইমামতি করলে না কেন? আবু বকর বললেন : রাসূলের উপস্থিতিতে আবু কুহাফার ছেলের পক্ষে ইমামতি করা শোভনীয় নয়।

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا تقاطعوا , و لا تدابروا , و لا تباغضوا , و لا تحاسدوا , و كونوا إخوانا كما أمركم الله .

আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : ‘তোমরা পরস্পর সম্পর্ক ছিন্ন কর না, পরস্পর ঝগড়া কর না, বিদ্বেষে জড়িও না, একে অপরকে হিংসা কর না। বরং আল্লাহ তোমাদের যেমন আদেশ করেছেন, সেভাবে পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও।’

কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারতেন, এ সমসত্ম যুক্তি ও প্রমাণ তো পূর্বেই ছিল, কিন্তু আমাদের মহান সালাফ তো এর এমন প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা দেননি। কারণ, তারা জানতেন, এ বিষয়টি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করার বিষয়, সম্মিলিত ও সাংগঠনিক কোন বিষয় নয়।

আমরা একে দুভাবে উত্তর দিতে পারি।

প্রথমত : সংস্কারের ব্যাপারে সমানভাবে সকলে আদিষ্ট। শরীয়ত প্রণেতা একে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যরূপে ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআনে এসেছে :

فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ .

‘অতঃপর তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তাহলে তার কোন পাপ নেই।’ [সূরা বাকারা : ১৮২]

أَنْ تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ .

‘ভালো কাজ করবে, তাকওয়া অবলম্বন করবে এবং মানুষের মধ্যে সংশোধন করবে।’ [সূরা বাকারা : ২২৪]

وَالْعَصْرِ ﴿1﴾ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ ﴿2﴾ إِلاَّ الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ﴿3﴾

‘যুগের কসম, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিতে রয়েছে। তারা ব্যতীত, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে। আর পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ [সূরা আছর]

দ্বিতীয়ত: সংস্কারের উদ্দেশ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার নজীর অনেক আছে। স্বামী স্ত্রী যদি পরস্পর মনোমালিন্য করে বিচ্ছিন্ন থাকতে আরম্ভ করে, তবে সম্মিলিত আকারে তাদের মাঝে বিষয়টির ফায়সালার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আমর বিন শুআইব হতে বর্ণিত হাদীসে আছে :

কুরআনে এসেছে :

وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلاَحًا يُوَفِّقِ اللهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا ﴿35﴾

‘আর যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত।’ [সূরা নিসা : ৩৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন