hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

২৬
নারীর পবিত্রতা
এ পাঠে আমরা এমন কতক বিধান নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো শুধু নারীদের পবিত্রতার সাথে নির্দিষ্ট।[ [আরও বেশি জানার জন্য শায়খ মুহাম্মাদ ইবন উসাইমীনের পুস্তিকা ( رسالة في الدماء الطبيعية للنساء ) দেখা যেতে পারে।]] এ বিষয়ে আলোচনার আরম্ভ করার পূর্বে আমরা জানিয়ে দিতে চাই যে, একজন মুসলিম নারীর ওপর ওয়াজিব হলো এমন বিধানগুলো শিখে নেওয়া যেগুলো তাদের সাথে খাস। আর আমাদের সবাইর জন্য উচিত হলো আমরা আমাদের পবিবার ও আত্মীয় স্বজনদের শিক্ষা দেয়ার প্রতি যত্মবান হব এবং তাদের দীন, দুনিয়া বিষয়ে তাদের আকীদা, পবিত্রতা, সালাত চরিত্র ইত্যাদি বিষয়ে এমনভাবে দিক নির্দেশনা দেব যা তাদের উপকারে আসে।

নারীদের বিশেষ বিধানসমূহের মধ্যে রয়েছে হায়েয ও নিফাসের বিধান:

- হায়েয: এটি হলো সৃষ্টিগত ও স্বভাবজনিত রক্ত যা প্রাপ্ত বয়স্কা নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে নির্ধারিত সময়ে বের হয়।

- হায়েযের রক্ত বের হওয়ার শুরু ও শেষের কোনো নির্ধারিত সীমা নেই। আর তার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সময়েরও কোনো সীমা নেই; বরং নির্ধারিত গুণে তা যখনই পাওয়া যাবে তা হায়েয বলে গণ্য হবে।[ [ঋতুস্রাবের রক্তের বৈশিষ্ট্য: ঘন, পাতলা নয়, খারাপ গন্ধে দুর্গন্ধময়, জমাটবাধা নয়।]]

- আর নিফাস হলো: প্রসবের সময় অথবা তার দুই বা তিন দিন আগে নারীর থেকে যে রক্ত লাগাতার বের হয়, তাকে নিফাস বলে। নিফাসের কমের কোনো সীমা নাই। আর তার সর্বোচ্চ সময় হলো চল্লিশ দিন।

- হায়েয ও নিফাসের নারী: তাদের উভয়ের জন্য সালাত ও সাওম হারাম। তবে তাদের ওপর সাওম কাজা করতে হবে সালাত নয়। তাদের সাথে সহবাস করা ও তাদেরকে তালাক দেওয়া হারাম। তাদের জন্য মসজিদে বসা হারাম। ছোট নাপাকে নাপাক ব্যক্তির ওপর যা হারাম তাদের জন্য তা হারাম। তারা যখন পবিত্র হবে তখন তাদের ওপর গোসল করা ওয়াজিব।

- যখন কোনো নারী সালাতের ওয়াক্তে ঋতুবতী হয় বা প্রসূতী হয় তখন তার ওপর ঐ সালাত কাজা করা ওয়াজিব নয়। কিন্তু যদি সে সালাতকে এতো দেরী করে যে, তা আদায় করার পর্যাপ্ত সময় না থাকে, তখন তার ওপর তা কাজা ওয়াজিব।

- আর যদি কোনো নারী সালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে পাক হয়, তবে তাকে অবশ্যই সেই সালাত আদায় করতে হবে।

- কতক নারীর ইস্তেহাযার রক্ত বের হয়। আর তা হলো এমন রক্ত যা অভ্যাসগত সময়ের বাহিরে রেহমের নিম্নস্তর হতে বের হয়।[ [ইস্তেহাযার রক্তের ধরন: পাতলা গাঢ় নয়, দুর্গন্ধযুক্তও নয়। আর এটি বের হলে জমে যায়।]]

- ইস্তেহাযার বিধান পবিত্র হালতের বিধানের মতো, তবে তার ওপর ওয়াজিব হলো:

- প্রত্যেক সালাতের জন্য ওযূ করা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلَاةٍ وَصَلِّي» [ رواه البخاري ]

“তারপর তুমি প্রতি সালাতের জন্য ওযূ কর এবং সালাত আদায় কর।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]।

অর্থাৎ ওয়াক্তিয়া সালাতে ওয়াক্ত প্রবেশ করা ছাড়া সালাতের জন্য ওযূ করবে না। [ [মুস্তাহাযা নারীর জন্য যুহর ও আছরের মাঝে এবং মাগরিব ও এশার মাঝে একত্র করা যায়েয আছে, যখন প্রত্যেক সালাতের জন্য তার ওপর ওযূ করা কষ্টকর হবে।]] আর অনির্ধারিত সালাত যখন আদায় করার ইচ্ছা করবে তখন তার জন্যে ওযূ করবে।

- যখন ইস্তেহাযাগ্রস্ত নারী ওযূ করতে চায় তখন সে রক্তের দাগগুলো ধুয়ে ফেলবে। আর লজ্জাস্থানের ওপর একটি কাপড়ের টুকরা পট্টি লাগিয়ে নেবে যাতে রক্ত আঁটকে থাকে। এর বিকল্প হিসেবে বর্তমান যুগে নারীরা যে ন্যাপকিন ব্যবহার করে তাই যথেষ্ট।

আল্লাহ আমাদেরকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে পবিত্রতা হাসিল করার তাওফীক দান করুন। এতটুকুতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী দারসে আমরা সালাতের শর্তসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন