hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

৫৬
ইসলামের সুন্দর চরিত্র (১)
এ দারসে আমরা ইসলামের সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করব:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র দ্বারা চরিত্রবান হতে এবং প্রশংসনীয় আদব দ্বারা গুণান্বিত হতে উৎসাহ প্রদান করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَيَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَاسِنَكُمْ أَخْلَاقًا» [ رواه الترمذي وصححه الألباني ].

“কিয়ামাতের দিন তোমাদের মধ্য যে ব্যক্তি আমার কাছে সবার প্রিয় এবং আমার খুব কাছে বসবে সে হলো তোমাদের মধ্যে যার চরিত্র সবার চেয়ে ভালো।” [বর্ণনায় তিরমিযী। আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন]

যে সব সুন্দর চরিত্রসমূহের প্রতি ইসলাম আহ্বান করেছে:

- মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, স্ত্রী সন্তান ছেলে মেয়েদের প্রতি ভালো ব্যবহার করা এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে সু সম্পর্ক বঝায় রাখা। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا [ الإسراء : 23]

“এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে।” [আল-ইসরা : ২৩]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي» [ رواه ابن ماجه وصححه الألباني ].

“তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে যে তোমাদের পরিবারের কাছে উত্তম। তোমাদের মাঝে আমি আমার পরিবারের কাছে সবচেয়ে উত্তম।” [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন আর আলবানী তা সহীহ বলেছেন]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ أَوْ يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ» [ متفق عليه ].

“যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার ওপর রিযিক প্রশস্ত করা হোক এবং তার বয়সে বরকত হোক তাহলে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বঝায় রাখে।”[ [হাদীসটির অর্থ: যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক বঝায় রাখে আল্লাহ তাকে সাওয়াব ও বিনিময় দেয়ার ওয়াদা দিয়েছেন। তার ইহসানের বিনিময়ে আল্লাহ তার হায়াতকে দীর্ঘ করবেন এবং তার রিযিক প্রশস্ত করে দিবেন।]] মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

- আরও যে সব আখলাকের প্রতি ইসলাম উৎসাহ প্রদান করেছে: সুন্দর কথা বলা, ভালো বাক্যব্যয় করা, সত্য বলা, হাসি মুখ থাকা, মুচকি হাসি দেওয়া এবং মুমিনদের জন্য বিনয় অবলম্বন করা। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,

وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا [ البقرة : 83]

“আর তোমরা মানুষের সাথে সুন্দর কথা বলো।” [আল বাকারাহ: ৮৩]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا الله وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ [ التوبة : 119]

“হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।” [তাওবাহ: ১১৯]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ» [ متفق عليه ]

“ভালো বাক্যব্যয় (উত্তম কথা) সাদাকা।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«تَبَسُّمُكَ فِي وَجْهِ أَخِيكَ لَكَ صَدَقَةٌ» [ رواه الترمذي وصححه الألباني ]

“তোমার ভাইয়ের সামনে মুচকি হাসি দেওয়া তোমার জন্য সাদকা।” [বর্ণনায় তিরমিযী আর আলবানী তা সহীহ বলেছেন]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِله إِلَّا رَفَعَهُ الله» [ رواه مسلم ].

“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয় অবলম্বন করবে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।” [মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন]

- যবানের হিফাযতের প্রতি উৎসাহ ও নিদের্শ এসেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

مَا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ [ق: 18]

“সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।” [কাফ : ১৮]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِالله وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ» [ متفق عليه ]

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনে সে যেন ভালো কথা বলে বা চুপ থাকে।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)] যবানের হিফাযত খারাপ বাক্য উচ্চারণ না করা, অভিশাপ ও গাল-মন্দ পরিহার করা এবং গীবত থেকে বেচে থাকা দ্বারা হয়। গীবত হলো কোনো মুসলিমের তার ভাইয়ের অনুপুস্থিতিতে এমন কথা বলা যা সে অপছ্ন্দ করে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا [ الحجرات : 12]

“তোমরা কেউ কারো গীবত করবে না।” [আল-হুজরাত : ১২]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«ليسَ المؤمِنُ بالطَّعَانِ، ولَا اللَّعَانِ، ولَا الفَاحِشِ، ولَا البَذِيءِ» [ رواه الترمذي وصححه الألباني ]

“মুমীন খোঁটা দানকারী, অভিশাপ-কারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীল-ভাষী হয় না।” [বর্ণনায় তিরমিযী আর আলবানী তা সহীহ বলেছেন]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহংকার করা থেকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন,

«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ» [ رواه مسلم ].

যার অন্তরে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” [মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন]

- ইসলাম খাদেমদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে এবং তাদেরকে তাদের সক্ষমতার বাহিরে কোনো কাজের দায়িত্ব না দিতে এবং তাদের কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হক আদায় করতে উৎসাহ প্রদান করেছে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِخْوَانُكُمْ خَوَلُكُمْ -أي : خدمُكم- جَعَلَهُمُ الله تحْتَ أيْدِيكُمْ . فَمَنْ كَانَ أخُوهُ تَحْتَ يَدِهِ فَلْيُطْعِمْهُ مما يأكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِما يَلْبَسُ . ولا تُكَلِّفُوهُمْ ما يَغْلِبُهُمْ فإنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فأعِينُوهُمْ» [ متفق عليه ]

“তোমাদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে তবে সে যা খায়, তা হতে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা হতে যেন পরিধান করায় এবং তাদের সাধ্যাতীত কোনো কাজে বাধ্য না করে। তোমরা যদি তাদের শক্তির ঊর্ধ্বে কোনো কাজ তাদের দাও তবে তাদের সহযোগিতা কর।” মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«أَعْطُوا الْأَجِيرَ أَجْرَهُ قَبْلَ أَنْ يَجِفَّ عَرَقُهُ» [ رواه ابن ماجه وصححه الألباني ].

“শ্রমিককে তার শরীরের ঘাম শুকানোর আগে বিনিময় দিয়ে দাও ।”[ [তার ঘাম শুকানোর আগে: কাজ শেষ হওয়ার পর যখন সে মুজুরী চায় তখন তা তাড়াহুড়া করে পরিশোধ করার প্রতি ইঙ্গিত, যদিও তার ঘাম বের না হয় বা হয়েছে এবং শুকিয়ে গেছে। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তাড়াতাড়ি পরিশোধ করা এবং দীর্ঘায়িত ও গড়িমসি না করা।]] [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন আর আলবানী তা সহীহ বলেছেন]

- সকল আখলাকের নীতিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত বাণী একত্র করেছে:

«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ» [ متفق عليه ].

“তোমাদের কেউ নিজের জন্য যা পছন্দ করে তা তার ভাইয়ের জন্য পছন্দ না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি]

হে আল্লাহ তুমি আমাদের সুন্দর চরিত্রের প্রতি পথ দেখাও। তুমি ছাড়া কেউ সুন্দর চরিত্রের প্রতি পথ দেখাবে না। আর আমাদের থেকে খারাপ স্বভাবগুলো দূর করো, তুমি ছাড়া কেউ আমাদের থেকে খারাপ স্বভাবগুলো দূর করতে পারে না। এতটুক আলোচনাতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবতী দারসে আমরা আলোচনা সম্পন্ন করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন