hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মজলিসের সৌরভ

লেখকঃ তুরকী ইবন ইবরাহীম আল-খানীযান

২৯
সালাতের রুকনসমূহ
গত পর্বে আমরা সালাতের শর্তসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করছি। এ দারসে আমরা সালাতের রুকনসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব।

- সালাতের রুকনসমূহ ইচ্ছাকৃত ও ভুলে কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। আর তা হলো:

প্রথম রুকন: সক্ষম অবস্থায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ» [ رواه البخاري ].

“দাঁড়িয়ে সলাত আদায় কর, তা না পারলে বসে; যদি তাও না পার তাহলে কাত হয়ে।” [হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]।

এটি ফরয সালাতে। আর নফল সালাত কোনো প্রকার অপারগতা ছাড়া বসে পড়া বৈধ। তবে সাওয়াব অর্ধেক। কারণ, হাদীসে এসেছে-

«وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ» [ رواه البخاري ].

“যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করে তার জন্য দাড়িয়ে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সাওয়াব।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]

দ্বিতীয় রুকন: সালাতের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা বলা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলা্ইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَكَبِّرْ» [ رواه البخاري ].

“তারপর তুমি কিবলামুখী হও ও তাকবীর বলো।” [এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন]।

তৃতীয় রুকন: প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়া।

কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলা্ইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ» [ متفق عليه ]

“যে ব্যক্তি ফাতিহাতুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) পড়ল না তার সালাত নেই।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]

যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় বা রুকুর পূর্বে পেল; কিন্তু সূরা ফাতিহা পড়তে পারেনি তার জন্য সূরা ফাতেহা পড়া মাফ।

চতুর্থ রুকন: রুকু করা।

পঞ্চম রুকন: রুকু থেকে উঠা।

ষষ্ঠ রুকন: রুকুর পূর্বের অবস্থার মতো সোজা হয়ে দাঁড়ানো।

সপ্তম রুকন: সাতটি অঙ্গের ওপর সেজদা করা। আর তা হলো কপাল, নাক, দুই হাত, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের আঙ্গুলের মাথাসমূহ।

অষ্টম রুকন: সেজদা হতে উঠা।

নবম রুকন: দুই সেজদার মাঝখানে বসা।

দশম ও একাদশ রুকন হলো শেষ বৈঠক ও শেষ তাশাহুদ। আর তাশাহুদ হলো বর্ণিত দোয়া- আত-তাহিয়্যাত পড়া।

দ্বাদশ রুকন: সালাম ফিরানো।

ত্রয়োদশ রুকন ধীরস্থিরতা: প্রতি কর্মময় রুকনে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা। যদিও কম হয়।

চতুর্দশ রুকন: রুকনসমূহে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

হে আল্লাহ তুমি আমাদের দীনের বুঝ দান করো। আর আমাদেরকে এমন ইলম দান করো যা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে উপকার করে। এতটুকুতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী দারসে আমরা এসব রুকন হতে যে কোনো জিনিস ছেড়ে দিল বা ভুলে গেল তার বিধান সম্পর্কে আলোচনা করব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন