মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এ পাঠে আমরা হাদীসে যেভাবে সালাতের বিশুদ্ধ পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আর তা হলো নিম্নরূপ:
- সালাত আদায়কারী কিবলামুখ হয়ে দাঁড়াবে এবং দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত বা দুই কান পর্যন্ত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলবে। আর সেজদার স্থানের দিকে দৃষ্টি দেবে।
- তারপর ডান হাত বাম হাতের ওপর রাখবে। হাত দুটি বুকের ওপর বা নাভীর ওপর বুকের নীচে অথবা নাভীর নীচে রাখবে। রাখার পদ্ধতি হলো:
১- হয়তো ডান হাতের কব্জি বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর ওপর রাখবে।
রুসগ [ الرُّسغ ] হলো: বাহু ও কব্জির জোড়ার স্থান।
২- অথবা ডান হাতকে বাম হাতের বাহুর ওপর রাখবে।
- তারপর সানা পড়বে। «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلا إِلَهَ غَيْرُكَ» অথবা অন্য কোনো দোয়া যা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে পড়বে।
- তারপর أعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمن الرحيم، পড়বে। তারপর সূরা ফাতেহা পড়বে । আর তার শেষে আমীন বলবে। সালাত যদি উচ্চ স্বরের হয় তবে উচ্চ স্বরে বলবে আর যদি নিম্ন স্বরের হয় তবে নিম্ন স্বরে বলবে।
- তারপর সূরা ফাতেহার পর প্রথম দুই রাকাআতে কুরআন থেকে যতটুকু পড়া সহজ হয় তা পড়বে।
- তারপর দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত বা কান পর্যন্ত উঁচু করে রুকু করার জন্য তাকবীর বলবে। আর দুই হাতকে দুই হাঁটুর ওপর আঙ্গুলগুলো ফাঁকা করে রাখবে। আর মাথাকে পিঠের বরাবর রাখবে এবং তার পিঠকে লম্বা ও সোজা রাখবে। তারপর রুকুতে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করবে এবং বলবে, سبحان ربي العظيم তিনবার অথবা তার অধিক।
- তারপর سمع الله لمن حمده বলে ও দুই হাত তুলে মাথা তুলবে। ইমাম অথবা একা সালাত আদায়কারী سمع الله لمن حمده বলবে। কিন্তু মুক্তাদি তা বলবে না।
- যখন সোজা হয়ে দাড়াবে তখন «ربنا ولك الحمد» বা ربنا لك الحمد বা اللهم ربنا ولك الحمد বা اللهم ربنا لك الحمد বলবে। আর যদি কেউ হাদীসে বর্ণিত দো‘আ বৃদ্ধি করে তা উত্তম।
- তারপর তাকবীর বলবে এবং সেজদায় লুটে পড়বে। তবে এ সময় দুই হাত উঠাবে না। আর সাতটি অঙ্গের ওপর সেজদা করবে অর্থাৎ, কপাল, নাক, দুই হাত, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের আঙ্গুল। আর দুই হাত ও দুই পায়ের আঙ্গুল কিবলা মুখ করবে এবং দুই হাত কাঁধ অথবা দুই কান বরাবর রাখবে। কপাল ও নাককে যমীনে রাখবে, দুই বাহুকে যমীন থেকে আলাদা করবে। আর দুই উরূকে প্রশস্ত করবে এবং পেট তা থেকে আলগে রাখবে। এ গুলো সে তার সক্ষমতা অনুযায়ী করবে এবং তার পাশের লোকের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবে। আর সে তার সেজদায় «سبحان ربي الأعلى» তিনবার বা তার চেয়ে বেশিবার বলবে। আর সেজদায় বেশি বেশি দোআ করবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“বান্দা স্বীয় রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয় তখন, যখন সে সাজদার অবস্থায় হয়। সুতরাং (ঐ সময়) তোমরা বেশি মাত্রায় দুআ কর।” [বর্ণনায় মুসলিম]।
- তারপর তাকবীর বলে সেজদা থেকে উঠবে এবং পা বিছিয়ে বসবে। তার পদ্ধতি হলো বাম পা বিছাবে এবং তার ওপর বসবে আর ডান পা খাড়া করে রাখবে [ [অথবা দুই পা খাড়া করে দু্ই গোড়ালির ওপর বসবে।]]। ডান হাত ডান উরুর ওপর এবং বাম হাত বাম উরুর ওপর হাঁটুর কাছে বা হাঁটুর উপর রাখবে। স্বীয় বৈঠকে স্থীর হবে এবং বলবে, ( ربِّ اغفر لي ) হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো তিনাবার বা ততোধিক।
- তারপর তাকবীর বলবে ও সেজদা করবে এবং প্রথম সেজদায় যা করেছে দ্বিতীয় সেজদায় তাই করবে।
- তারপর তাকবীর বলে মাথা উঁচু করবে এবং দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াবে আর প্রথম রাকাতে যাই করেছে দ্বিতীয় রাকাতে তাই করবে।
- তারপর তিন রাকাত বা চার রাকাত বিশিষ্ট সালাতে দুই সেজদার মাঝখানে যেভাবে পা বিছিয়ে বসেছিল সেভাবে বসবে। দুই হাত দুই উরুর ওপর রাখবে এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল মধ্যমার সঙ্গে মিলে বৃত্ত বানাবে, কনিষ্ঠা ও অনামিকাকে ভাঁজ করে রাখবে। আর তর্জনী দ্বারা ইশারা করবে। অথবা সব আঙ্গুল ভাঁজ করে রাখবে এবং তর্জনী দ্বারা ইশারা করবে। আর দৃষ্টি তার দিকে রাখবে এবং বলবে-
«التَّحِيَّاتُ لِله وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ الله وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ الله الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا الله، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ» [ متفق عليه ].
“সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল।” [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]
- তারপর তাকবীর বলে দুই হাত তুলে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত আদায় করবে এবং তাতে ফাতেহা পাঠ করবে।
- তারপর শেষ বৈঠকের তাওয়াররুক করে বসবে। তার পদ্ধতি হলো, বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার ডান দিকে বের করে দেবে এবং ডান পা খাড়া করে রাখবে। তারপর সে তার নিতম্বের ওপর বসবে [ [অথবা ডান পা বিছিয়ে দেবে এবং ডান পায়ের গোড়ালী ও উরুর মাঝখান দিয়ে বাম পা প্রবেশ করাবে।]] এবং শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়বে। আর তা হলো প্রথম তাশাহুদ আর তার ওপর বাড়তি পড়বে,
“হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম ও ইবরাহীমের বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। [বর্ণনায় বুখারী]।
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং কানা দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [বর্ণনায় মুসলিম]
- আর যা ইচ্ছা দোআ করবে।
- তারপর «السلام عليكم ورحمة الله , السلام عليكم ورحمة الله» .বলে ডানে ও বামে সালাম ফিরাবে।
- যখন সালাম ফিরাবে তখন أستغفر الله তিনবার বলবে। আর এ দোআ পাঠ করবে-
এতটুকুতে যথেষ্ট করছি। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী দারসে আমরা কতক মানুষ সালাতে যে সব ভুল করে থাকেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/586/33
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।